সবুজ দেবকন্যা || মলয় রায়চৌধুরী
ওঃ তুই-ই তাহলে সেই সুন্দরী দেবকন্যা
তুলুজ লত্রেক র্যাঁবো ভেরলেন বদল্যার
ভ্যান গঘ মদিগলিয়ানি আরো কে কে
পড়েছি কৈশোরে, কোমর আঁকড়ে তোর
চলে যেত আলো নেশা আলো আরো মিঠে
ঝলমলে বিভ্রমের মাংস মেজাজি রঙে
বড় বেশি সাজুগুজু-করা মেয়েদের নাচে
স্পন্দনের ছাঁদ ভেঙে আলতো তুলে নিত
মোচড়ানো সংবেদন কাগজে ক্যানভাসে
অ্যামস্টারডম শহরের ভিড়ে-ঠাসা খালপাড়ে
হাঁ করে দেখছি সারা বিশ্ব থেকে এনে তোলা
বিশাল শোকেসে বসে বিলোচ্ছেন হাসি-মুখ
প্রায় ল্যাংটো ফরসা বাদামি কালো যুবতীরা
অন্ধকার ঘরে জ্বলছে ফিকে লাল হ্যালো
এক কিস্তি কুড়ি মিনিট মিশনারি ফুর্তির ঢঙে
পকেটে রেস্ত গুনে পুরোনো বিতর্কে ফিরি
কনটেন্ট নাকি ফর্ম কোনটা বেশি সুখদায়ী
তাছাড়া কী ভাবে আলাদা এই আবসাঁথ?
যুবতী উত্তর দ্যান, শুয়েই দ্যাখো না নিজে
এই একমাত্র মদ যা বীর্যকে সবুজ করে তোলে।
লেখক সংক্ষেপ:
মলয় রায়চৌধুরী (২৯ অক্টোবর, ১৯৩৯ — ২৬ অক্টোবর, ২০২৩) ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক, সাংবাদিক এবং ১৯৬০-এর দশকের আলোড়ন সৃষ্টিকারী ‘হাংরি আন্দোলন’ বা ‘হাংরিয়ালিজম’-এর জনক ও প্রধান রূপকার। বাংলা সাহিত্যে প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে তিনি ব্যাপক পাঠকগোষ্ঠীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন