উপন্যাস       :        তাজমহল প্রথম খন্ড
লেখিকা        :         প্রিমা ফারনাজ চৌধুরী
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         ১লা অক্টোবর, ২০২৫ ইং

লেখিকা প্রিমা ফারনাজ চৌধুরীর “তাজমহল - ১ম খন্ড” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশ করা হলো। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২৫ সালের ১লা অক্টোবর থেকে লেখা শুরু করেছেন।

তাজমহল || প্রিমা ফারনাজ চৌধুরী
তাজমহল || প্রিমা ফারনাজ চৌধুরী


তাজমহল || প্রিমা ফারনাজ চৌধুরী || প্রথম খন্ড (পর্ব - ২৩)

শাইনা প্রতিবেশীদের অনেকগুলো বাচ্চাকাচ্চা পড়াতো। হিসাব করলে বাচ্চার সংখ্যা দাঁড়ায় আটজন। চারটে মেয়ে, চারটে ছেলে। ওর বিয়ে উপলক্ষে অনেকদিন পড়ানো হয়নি। যেহেতু একবাড়িতেই বিয়ে হচ্ছে সেহেতু শাইনা কাউকে মানা করে দেয়নি। এটা তার মাথায়ও আসেনি যে সে বিয়ের পর বাচ্চাগুলোকে পড়াতে পারবে না। তাছাড়া বছরের মাঝপথে হুট করে গার্ডিয়ান তাদের কোথায় পড়তে দেবে?

কলতানে সকাল সকাল একজন স্টুডেন্টের মা এল জানতে যে শাইনা পড়াবে কিনা। শাইনা বলল, সে তার রুমে পড়াবে। সবাইকে যেন আসতে বলে।

শাইনা সকাল থেকে রান্নাঘরে ছিল। নতুন বউয়ের হাতের কাজ দেখছিল সবাই। এটা নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বিস্তর আলোচনা, সমালোচনাও চলছে। একেকজন বলল বউয়ের গা ভার, নড়তচড়তে সময় চলে যায়। কাজকামে এত স্লো। রান্নাঘরে হেঁটে আসতে একঘন্টা। দশ কথার একটা জবাব দেয়। এটা করো, সেটা করো বলে বলে করাতে হয়। আক্কেল থেকে কোনো কাজ করেনা।

শাইনা মাছ কাটতে পারেনা কথাটা শাহিদা বেগম সবাইকে বলতেন। রওশনআরাও সেটা জানে। এমনকি তৌসিফের মা জোহরা বেগমও। তবুও শাইনাকে মাছ কাটতে দেয়া হয়েছে। মাছ কাটতে দিয়েছে তাসনীম।

সে শাইনাকে রুই মাছ কাটতে দিয়ে সবার উদ্দেশ্যে বলল,

"আমাদের কত বড় বাড়িতে বিয়ে হয়েছে তবুও আমরা পরের দিন মাছ কেটেছি। করতে করতে শিখে যাবে। না পারার কোনো কিছু নেই।"

এদিকে বাচ্চারা পড়তে এসেছে। শাইনা মাছের গায়ে ছাই মেখে বটিতে আঁশ ছাড়াচ্ছে। এতটুকু সে ভালোই পারে। মাছের পেট কেটে নাড়িভুঁড়ি বের করার সময় সে সহ্য করতে পারেনা, এটা মুরগী কাটার সময়ও হয়। এই দুটো কাজে তার খুব ভয়। মাছগুলোর আঁশ ছাড়িয়ে, কান পাখনা কেটে সে রেখে দিচ্ছে। এগুলো পরিষ্কার করতেও অনেক সময় লাগবে। এগুলো ভালো করে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে তারপর পেট কাটা হবে। আর তারপর পিস করা হবে। তিতলি এসে বলল,

"বাচ্চারা তো চলে এসেছে শাইনা।"

দাদীমা ধমকে বলল,"শাইনা আবার কি?"

তিতলি চমকে উঠলো। দাদীমা বলল,

"ভাবি ডাকবে। বড় ভাইয়ের বৌ হয়। এখন ও তোমার সমবয়সী আছে নাকি?"

তিতলি জিভ কামড়ে ধরে বলল,"ভাবি ডাকতে হবে? ওকে ওকে। ডাকব না হয়।"

শাইনা বলল,"ওদের বসাও তুমি। আমি আসছি।"

তিতলি মাথা দুলিয়ে বলল,"ওকে তাড়াতাড়ি এসো।"

তারপর হঠাৎ থেমে গিয়ে মায়ের দিকে তাকালো। বলল,"আম্মু মেঝপু বেরোচ্ছে। তোমাকে ডেকেছে।"

রওশনআরা বলল,"যাচ্ছি।"

তিতলি বেরিয়ে গেল।

শাইনা মাছের পিঠ, মাথা ভালো করে পরিষ্কার করে নিল খাঁজকাটা সিমেন্টের সিলে। তার আম্মাও এভাবে মাছ পরিষ্কার করে। সবাই আম্মার ধোয়ামোছার বেশ প্রশংসা করে। জোহরা বেগম এসে বলল,"হয়েছে?"

শাইনা বলল,"না, পেট কাটতে হবে।"

"কেটে ফেলো। মাছ আবার বেশি ছোট করে কেটো না। ছোট পিস দেখলে তোমার শ্বশুর ভাসুর সবাই রেগে যাবে। এই বাড়িতে ছোট পিস খায় না।"

শাইনা চুপচাপ পিঠ পরিষ্কার করতে লাগলো। সবাই কথাবার্তা শুরু করলো তাদের কোন আত্মীয়র বাড়িতে মাছের ছোট পিস দিয়েছে, কাদের এরকম ছোটলোকি স্বভাব আছে ইত্যাদি ইত্যাদি। ছোটবেলায় শাইনাদের বাড়িতেও এরকম মাছ এলে মা ছোট ছোট পিস করতো। কারণ সদস্য বেশি ছিল। আয় কম ছিল। একটা মাছ এনে দুইবেলা খাওয়ার জন্য মা ছোট ছোট পিস করে কাটতো। এখন অবশ্য বড় মাছে আসে বাড়িতে। বড় বড় করে কাটা হয়। কিন্তু ওই ছোট ছোট পিসগুলো যেন খুব স্বাদের ছিল। দিনগুলো খুব কষ্টের ছিল, তবুও ভালো ছিল!

মাছ পরিষ্কার করা শেষে সে তাসমীনকে ডেকে সোজাসাপটা বলল,

"বড় আপু পেট কাটতে পারিনা আমি। খারাপ লাগে গন্ধটা।"

তাসমিন তার ছেলেমেয়ের জন্য আপেল কাটছিল। শাইনার কথা শুনে বলল,

"পেট কাটা সহজ তো। একবার চেষ্টা করো। একটা দুটো কাটলে পারবে।"

শাইনা বলল,"ওদিকে বাচ্চারাও পড়তে এসেছে অনেকক্ষণ হলো।"

রান্নাঘরে আরও অনেকে ছিল। তারমধ্যে তাজদারের ছোট মামিটা একটু ছটফটে। তিনি হেসে হেসে বললেন,

"আচ্ছা তুমি যাও যাও। এভাবে মাছ কাটতে থাকলে সবার ভাত খাওয়া হবে আজ। শ্বাশুড়ি ভালো পেয়েছ তাই কিছু বলবে না। মেয়েদের কাজকর্মে চতুর হতে হয়।"

শাইনা হাত ধুয়ে নিতে লাগলো। মাছের গন্ধটা এত বাজে লাগে তার। এখন ইচ্ছে করছে গোসল নিতে। কিন্তু সেটা নিয়েও কথা হবে। তাই ভালো করে হাত ধুয়ে নিল সে। সবাই বলাবলি করছে কাদের বাড়ির বউ কাজকর্মে কেমন। চতুর নাকি বোকা, পটু নাকি অলস। এইসব সাংসারিক নানানরকম কথাবার্তা। বিয়ের পর আবার কীসের টিউশনি এই ধরণের কথাও কানে এল।

শাইনা বাচ্চাদের পড়াতে এসে দেখলো একটা মাছের বাজার। সে ঘরে ঢুকামাত্রই চুপ হয়ে গেল সবাই। সেখানে শাইনার চাচাতো ভাইবোনও আছে। তারা শাইনাকে দেখামাত্র হাসলো। শাইনা তাদের দেখলো একটু বিশেষ নজর দিয়ে। জানতে চাইল,

"কাল বড় ফুপু চলে গেছে?"

"হ্যাঁ, এখানে আসতে চেয়েছিল। দাদী আসতে দেয়নি।"

তিতলি তাদের সবাইকে টেবিলে বসিয়েছে। চেয়ার এনে দিয়েছে নিজ দায়িত্বে। শাইনা সবার হোমওয়ার্ক দেখলো। পড়া নিল একেএকে। যারা পড়া শেখেনি তাদের শিখতে দিল। তাদের পড়া দিয়ে বিছানায় এসে শুয়ে পড়লো হাতে একটু লোশন মেখে। কখন যে চোখ লেগে গেল বুঝতেই পারলো না। চোখ ছুটতেই দেখলো রওশনআরা ঘরে দাঁড়িয়ে আছে। বাচ্চারা সবাই চুপ। রওশনআরা শাইনাকে বলল,

"ওরা জোরে জোরে কথা বলছে। তুমি ঘুমোচ্ছ।"

শাইনা শোয়া থেকে উঠে বসলো। বলল,

"ছুটি দিয়ে দিচ্ছি।"

রওশনআরা বলল,"আসার সময় কে পায়ে করে কাঁদা নিয়ে এসেছে কে জানে। নুভা বেরোনোর সময় ওসব দেখে চেঁচাচ্ছে। স্যান্ডেল নিয়েও ঢুকে এসেছে ভেতরে।"

শাইনা সবার দিকে তাকাল।

"কার পায়ে কাঁদা ছিল?"

ওরা একে অপরকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

"তোর পায়ে ছিল, তুই স্যান্ডেল নিয়ে ঢুকেছিস।"

সবার মধ্যে তর্কবিতর্ক লেগে গেল। শাইনা ধমকে উঠলো,"একদম চুপ। কাল থেকে পা একদম পরিষ্কার করে আসবে সবাই। জুতো বাইরে থাকবে। কথাটা মনে থাকবে?"

সবাই মাথা দুলিয়ে বলল,"হ্যাঁ।"

রওশনআরা চলে গেল। শাইনা পিছু পিছু কাঁদাটা পরিষ্কার করতে গেল। পরিষ্কার করার সময় দেখলো স্যুটবুট পরে তাজদার সিদ্দিকী তার সামনে হাজির। ব্লেজারটা কাঁধে তুলে কপাল কুঁচকে তার দিকে তাকিয়ে আছে। শাইনা চোখ তুলে তাকালো।

তারপর চোখ নামিয়ে নিয়ে তার পায়ের দিকে তাকাল। কাঁদা নিয়ে ঢুকে এসেছে। শাইনা যেটা পরিষ্কার করতে এসেছে সেটা পরিষ্কার করে বালতিটা নিয়ে সোজা চলে যাচ্ছিল তখুনি তাজদার বলল,

"ঝি গিরি শুরু হয়ে গিয়েছে?"

শাইনা থমকে দাঁড়ালো। ঘাড় ফিরিয়ে তাকাল।

"কি বললেন?"

"আমি এককথা দুইবার বলিনা। তুমি স্পষ্ট শুনেছ আমি কি বলেছি।"

"না আমি শুনতে পাইনি।"

"না শুনলে যেদিকে যাচ্ছ সেদিকে যাও।

শাইনা সোজা চলে যেতে লাগলো। তাজদার পকেটে একহাত গুঁজে বলল,

"ঝি গিরি করার জন্য এখানে থাকছে। খাসিয়ত কখনো যায় না।"

শাইনা চট করে তার দিকে ফিরলো। কাঠকাঠ গলায় বলল,

"তাহলে আপনার পরিবারকে বলে দেবেন আমাকে যেন পায়ের উপর পা তুলে, বসিয়ে বসিয়ে খাওয়ায়।"

"আমার সাথে না গেলে এখানে ঝিগিরিই করতে হবে। আমি ওদের আরও বলে যাব সব কাজ যেন তোমাকে দিয়ে করাই।"

শাইনা মেজাজ বিগড়ে যাচ্ছে। সে নিজেকে যথেষ্ট শান্ত রেখে বলল,

"আমার যতটুকু করার আমি ততটুকুই কাজ করবো। দরকার পড়লে কিছু বাড়তি কাজ করে দেব। কিন্তু সব কাজ আমি করবো না। আমাকে এইসব ভয় দেখালে আমি নড়বো না আমার কথা থেকে। এইসব ভয় আমাকে দেখাবেন না। নিজের সাথে নিয়ে গিয়ে আমাকে রানির হালে রাখবেন এমনও না। বউকে রানির হালে রাখার মতো পুরুষ যদি আপনি হতেন তাহলে আমি চোখ বন্ধ করে আপনার সাথে চলে যেতাম। আপনার কাছে গিয়েও আমাকে ওই ঝি গিরিই করাতে হবে। যে নিজের বউকে পড়াশোনা করাতে চায় না ঝি বানানোর জন্য তার মুখে এত বড় বড় কথা মানায় না।"

তাজদার সিদ্দিকী ব্যঙ্গ করে বলল,

"আমি ইংল্যান্ডে নিয়ে গিয়ে তোমাকে বেচে দেব ভাবছি।"

শাইনা বলল,"অবিশ্বাস্য কিছু না। আপনাকে আমি বিন্দুমাত্র বিশ্বাস করিনা যে একা একা নিজেকে একটা বর্বরের হাতে ছেড়ে দেব।"

তাজদার তার পাশ ঘেঁষে যেতে যেতে বলল,"বোকাচণ্ডী!"

শাইনা তার পেছনে যেতে যেতে বলল,"উগ্রচন্ডী!"

ঘরে পা রাখতে রাখতে বাচ্চাদের দেখে কপাল কুঁচকে তাকালো তাজদার।

"এই চ্যাঙব্যাঙগুলো এখানে কি করে?"

সবাই এতক্ষণ কথা বলছিল। তাজদারকে দেখামাত্রই সবাই চুপ হয়ে গেল। শাইনা ঘরে ঢুকলো। বলল,

"পড়া শেষ করো সবাই।"

তাজদার এখনো সবাইকে দেখে যাচ্ছে। শাইনার কাছে পড়তে এসেছে বিষয়টা তার কাছে তাজ্জব লাগছে। যদিও সে জানতো সিদ্দিক বাড়ির মেয়ে মাস্টার সে। অনেক বাচ্চা কাচ্চা পড়ায়।

মাথায় চুল নেই এমন একজনের মাথা ধরে ডানে-বামে ঘুরিয়ে তাজদার বলল,

"এই ডাবটার দাম কত?"

ছেলেটা লজ্জা পেয়ে হাসলো। তারপর পেন্সিল দিয়ে লিখতে লাগলো।

তাজদার হেঁটে হেঁটে তাদের লেখা দেখতে লাগলো। মাস্টারের লেখা হাঁসের ডিমের মতো। স্টুডেন্টদের লেখা কোয়েল পাখির ডিমের মতো। সে মজা করে একেকজনের পেন্সিল, রাবার, স্কেল নিয়ে নিল। বলল,

"এগুলো আমার লাগবে। কেনার পয়সা নেই।"

শাইনা বলল,"হচ্ছেটা কি? ওরা লিখছে। আমি সারাদিন ওদের নিয়ে বসে থাকবো নাকি? ওদের জিনিস ওদের ফেরত দিন। লেখা শেষ করুক।"

তাজদার ব্লেজারটা তার মুখে ছুঁড়ে মেরে বলল,"এটা ধুয়ে দাও এত কথা না বলে।"

ঘাম আর পারফিউমের গন্ধে ভুসভুস করছে।
শাইনা সেটা বিছানায় ছুঁড়ে মেরে বলল,"ওদের জিনিস ওদের দিন।"

"না দিলে তুমি কিভাবে নেবে?"

শাইনা তার হাত থেকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলো। তাজদার হাতটা উঁচুতে তুলে রাখলো। শাইনা হাতটা ধরার জন্য পায়ের আঙুলে ভর রাখলো। শেষমেশ হতাশ হয়ে চুপ করে চেয়ারে গিয়ে বসলো। সবার খাতায় হোমওয়ার্ক দিয়ে, পড়া দাগিয়ে দিয়ে ছুটি দিয়ে দিল। বলল, তাদের পেন্সিল রাবার যেন তাজদার সিদ্দিকীর হাত থেকে নেয়।

বাচ্চাদের ছুটি দিয়ে শাইনা তাদের বাড়ির সদর দরজা পার করে দিয়ে ঘরে এল। বিছানায় শুয়ে পড়লো। বুকের উপর বালিশ টেনে নিল। কোনসময় গায়ের উপর উঠে আসে বলা যায় না। তাজদার এসে আধভেজা মাথাটা সেই বালিশের উপর রেখে শুয়ে পড়লো। শাইনা হকচকিয়ে গেল। চোখ খুলতেই দেখলো তাজদার তার গায়ের উপর রাখা বালিশের উপর মাথা রেখে শুয়ে পড়েছে। শাইনা অনেকক্ষণ সহ্য করলো। বলল সে নিঃশ্বাস ফেলতে পারছেনা। তার অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু তাজদার সরল না।

বালিশ থেকে তার মাথা সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলো শাইনা। তাজদার চ বর্গীয় শব্দ করে বলল,

"ডোন্ট ডিস্টার্ব মি। ঘুমাতে দাও। সকাল সকাল উঠে যেতে হয়েছে।"

শাইনা বালিশ থেকে তার মাথাটা সরিয়ে দিতে গিয়ে বালিশটাই টেনে নিয়ে ফেললো। ফলস্বরূপ তাজদারের মাথাটা তার বুকের উপরে পড়লো। শাইনা জমে গেল। তাজদার মাথাটা ফেলে রেখে বলল,"উচিত হয়েছে। দেখি চুলে বিলি কাটো। পয়সা দেব।"

"বিলি কাটবো না, চুল কাটবো। সরুন।"

"আমি নাপিতদের যথেষ্ট সম্মান করি। পয়সা বাড়িয়ে দিই সবসময়।"

বলেই নড়েচড়ে উঠে মুখটা আরও দাবিয়ে রাখলো। শাইনা কেঁপে উঠলো। নড়েচড়ে উঠে বলল,

"আপনি ইচ্ছে করেই আমার অপছন্দের কাজটা করেন। পৈশাচিক আনন্দ পান।"

তাজদার মাথা তুললো। শাইনার মুখের দিকে তাকাতে তাকাতে তার চোয়াল শক্ত হয়ে এল।

"তোমার পছন্দের কাজ কি? সিগারেট খাওয়া?"

"সিগারেট খেয়ে দেখুন, এই ঘর থেকে সোজা বেরিয়ে যাব আমি।"

তাজদার জেদ দেখিয়ে বলল,"তাহলে আমাকে সিগারেট খেতেই হবে। আজকেই খাব।"

শাইনা বলল,"গায়ের উপর বমি করে দেব আমি।"

তাজদার একটু উপরে উঠে এল। অবাক হয়ে বলল,"এত তাড়াতাড়ি সুখবর?"

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 


 Follow Now Our Google News



চলবে ...

২৪তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

প্রিমা ফারনাজ চৌধুরীর গল্প ও উপন্যাস:

লেখক সংক্ষেপ:

তরুণ লেখিকা প্রিয়া ফারনাজ চৌধুরী চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। চার ভাই বোনের মধ্যে তিনি বড়। কল্পনার ভূবনকে শব্দে রুপ দিতে লেখালেখির জগতে তার পদচারণা শুরু হয়েছে ২০২১ সালের মার্চ মাসে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত প্রিমা পড়াশোনার পাশাপাশি যুক্ত আছেন অনলাইনভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং পেশায়। ‘প্রিয় বেগম’ উপন্যাসের মাধ্যমে তার পরিচিতি বেড়েছে। ২০২৪ সালের একুশে বইমেলায় তার প্রথম বই প্রকাশিত হয়েছে যা পাঠকদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। শব্দের জগতে তার পথচলা এখনো চলমান। ভবিষ্যতে আরও পরিপক্ক, আরও বৈচিত্রময় লেখালেখির মাধ্যমে পাঠকের হৃদয়ে স্থায়ী জায়গা করে নিতে চান তিনি।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন