গীতিকবিতা          :        এসো হে বৈশাখ এসো এসো
কবি                      :        রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্রকাশকাল          :        ২০ ফাল্গুন, ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ / ৫ই মার্চ, ১৯২৭ খ্রীস্টাব্দ

এসো হে বৈশাখ এসো এসো || রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
এসো হে বৈশাখ এসো এসো || রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

পুরনোকে বিদায় দিয়ে নতুনকে সাড়ম্বরে বরণ করে বৈশাখ। প্রচণ্ড ঝড় নিয়ে এসে বৈশাখ সবসময় সাহসী, ক্ষ্যাপা, বৈরী, অশান্ত, অসীম, নির্দয় কিন্তু তার সৃজনক্ষমতা সবকিছু নতুন করে সাজিয়ে তোলো। বাঙালি জাতির সংস্কৃতিতে বাংলা সালের প্রথম মাস বৈশাখ। আর এই মাসের প্রথম দিনই নতুন বছরের শুরুর দিন। এই দিনকে কেন্দ্র করেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন “এসো হে বৈশাখ এসো এসো” শিরোনামের এই গীতি কাব্যটি।

এসো হে বৈশাখ এসো এসো || রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


এসো হে বৈশাখ, এসো এসো।
এসো হে বৈশাখ, এসো এসো।
তাপস নিঃশ্বাস বায়ে, মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,
তাপস নিঃশ্বাস বায়ে, মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে
বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক॥
এসো এসো...
এসো হে বৈশাখ, এসো এসো
এসো হে বৈশাখ, এসো এসো

যাক পুরাতন স্মৃতি
যাক ভুলে-যাওয়া গীতি
যাক অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক
যাক যাক
এসো এসো...
এসো হে বৈশাখ, এসো এসো

মুছে যাক গ্লানি - ঘুচে যাক জরা
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।
মুছে যাক গ্লানি - ঘুচে যাক জরা
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।
রসের আবেশ রাশি, শুষ্ক করি দাও আসি।
আনো আনো, আনো তব প্রলয়ের শাঁখ।
আনো আনো, আনো তব প্রলয়ের শাঁখ।
মায়ার কুজঝটি জাল যাক দূরে, যাক যাক যাক।
এসো এসো...

এসো হে বৈশাখ, এসো এসো
তাপস নিঃশ্বাস বায়ে, মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,
বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক
এসো এসো...
এসো হে বৈশাখ, এসো এসো।





লেখক সংক্ষেপ :

কবিয়াল

কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন