উপন্যাস       :         প্রেমাতাল
লেখিকা        :         মৌরি মরিয়ম
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল    :         
রচনাকাল     :         ১০ নভেম্বর, ২০২২ ইং

লেখিকা মৌরি মরিয়মের “প্রেমাতাল” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের নভেম্বর মাসের ১০ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
প্রেমাতাল || মৌরি মরিয়ম
প্রেমাতাল || মৌরি মরিয়ম Ebook


প্রেমাতাল || মৌরি মরিয়ম (পর্ব - ১১)

 -"এত হাসছেন কেন, শুনি?"

-"এমনি।"

-"এমনি না, আপনি খুব খারাপ। খালি মনে মনে কি যেন ভাবেন আর হাসেন।"

মুগ্ধ একথার পর আবার হাসলো। তিতির এবার রেগেমেগে উঠে দাঁড়িয়ে বলল,

-"আপনি আসলেই খুব খারাপ!"

তারপর হাটা শুরু করলো। মুগ্ধ দৌড়ে ওকে ধরলো। পাশাপাশি হাটতে হাটতে বলল,

-"সরি সরি, আর হাসবো না। বলো কি জানতে চাও।"

-"দরকার নেই।"

-"বাপরে! তোমার দেখি অনেক রাগ! তোমার বয়ফ্রেন্ড তোমাকে সামলায় কিভাবে?"

-"আমার বয়ফ্রেন্ড নেই।"

-"সেকি! এত সুন্দরী মেয়ের কিনা বয়ফ্রেন্ড নেই।"

তিতির চোখ বড় করে তাকালো মুগ্ধর দিকে। মুগ্ধ ঢঙ করে দূরে সরে গেল। তারপর এক লাইন গাইলো,

"ওই চোখে তাকিয়ো না, আমি লুটপাট হয়ে যাব। আমি বরবাদ হয়ে যাব!"

তিতিরের কি হলো কে জানে রাগ ধরে রাখতে পারলো না গানটা শুনে। হেসে ফেলল। তারপর মুগ্ধ আবার তিতিরের পাশাপাশি হাটতে শুরু করলো। তিতির কিছু বলছিল না। মুগ্ধ বলল,

-"আসলে আমার ফার্স্ট গার্লফ্রেন্ড হয় ভার্সিটি তে সেকেন্ড ইয়ারে পড়ার সময়। মাস পর ব্রেকাপ। তারপর আবার সেই বছরই আরেকটা গার্লফ্রেন্ড হয়, মাস ছিল। তারপর আবার থার্ড ইয়ারে পড়ার সময় আরেকটা গার্লফ্রেন্ড হয়। ১০/১২ দিনেই চলে যায়। ব্যস শেষ আমার কাহিনী।"

-"আপনি যে বলেছিলেন / টা?"

-"আরে ওটা তো মজা করে বলেছি।"

-"ও।"

-"থার্ড ইয়ার মানে তো অনেক আগের কথা, না?"

-"হ্যা, তিন বছর প্রায়।"

-"এতদিন ধরে একাই আছেন?"

-"হ্যা, তারপর থেকে আর রিলেশনশিপে যাইনি। একবারে বিয়ে করবো। শুধু শুধু এক্সদের সংখ্যা বাড়িয়ে লাভ কি? তারপর হয়তো বিয়ে করতে গিয়ে দেখবো আমার বউ এক্স এর ছোট বোন। কি ভয়ঙ্কর হবে বুঝতে পারছো?"

একথা বলেই মুগ্ধ হো হো করে হেসে দিল। তিতির হেসে বলল,

-"আপনার খারাপ লাগে না কোনো এক্স এর জন্য?"

-"খারাপ লাগবে কেন? ওরা ভাল আছে, এটাই তো বড় কথা। আমি বয়ফ্রেন্ড হিসেবে খুব খারাপ। যখন বুঝেছে আমার সাথে রিলেশন করে ভুল করেছে তখন চলে গেছে। দুজনের জন্যই ভাল হয়েছে।"

-"ব্রেকাপ গুলো কি কি কারনে হয়েছে জানতে পারি?"

-"সবগুলো ব্রেকাপ সেইম কারনে হয়েছে।"

-"কি কারন?"

-"আমি কেয়ারলেস, আমি দায়িত্বজ্ঞানহীন, আমি অগোছালো, আমি ভাব মারি, আমি বোরিং,ব্যাগডেটেড। আমার সাথে থাকা আর গাছের সাথে থাকা সমান।"

-"কি বলছেন? আপনি কেয়ারলেস, দায়িত্বজ্ঞানহীন হলে আমি এতক্ষণে ডাকাতদের হাতে খুন হয়ে যেতাম।"

মুগ্ধ হাসলো। তিতির আবার বলল,

-"আপনি অগোছালো এটা নিয়ে আর কি বলবো? আপনি সবকিছু আমার আগে গুছিয়েছেন! পেঁপে কাটতে পারেন, রান্না করতে পারেন। এগুলো অগোছালো ছেলেরা পারে?"

-"ওরা তো আর কেউ আমার সাথে কোথাও ট্রিপে যায়নি আর বিয়ে করে এক বাড়িতেও থাকিনি তাই এসব দেখার বা জানার সুযোগ পায়নি। যা জেনেছে যা দেখেছে তা হলো, আমি কেয়ারলেস কারন, আমি ঘন্টায় ঘন্টায় ফোন দেইনা। প্রতিবেলায় ফোন করে খবর নেই না খেয়েছে কিনা। শুধুমাত্র রাতে একবার ফোন দেই। কি হেয়ার কাট দিল, কি লিপস্টিক লাগালো, কি ড্রেস পড়লো কিছুই খেয়াল করিনা বলিও না কেমন লাগছে! একচুয়েলি আমার এত সাজগোজ পছন্দ না। বাট আনফরচুনেটলি সবগুলোই সাজুনী ছিল। তিতির হেসে বলল,

-"তারপর?"

-"আমি ব্যাগডেটেড কারন, আমি ফেসবুকের ছবিতে কমেন্ট করিনা এটা একজনের অভিযোগ ছিল। আমি নাকি ভাব মারি কারন রেস্টুরেন্টে গেলে অন্য কাপলদের দেখিয়ে বলতো, 'দেখো ছেলেটা মেয়েটাকে খাইয়ে দিচ্ছে। আর তুমি জীবনেও আমাকে খাইয়ে দিলে না।' আমি হেসে বলতাম '' কিন্তু খাইয়ে দিতাম না।"

-"আচ্ছা, আসলেই আপনি তাহলে একটু অন্যরকম। সব মেয়েরাই এসব কম বেশি চায়। যেমন ধরুন একটা মেয়ে তো অবশ্যই চাইবে যে তার বয়ফ্রেন্ডটা তাকে একটু খেয়াল করে দেখুক। একটু প্রশংসা করুক। কিন্তু আপনি তা করতেন না।"

-"মুখে এক ইঞ্চি মেকাপ থাকলে বুঝবো কি করে কঙ্কাবতী না কৃষ্ণকলি? ফরসা কালো নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। তবে আসল ব্যাপারটা জানলে হয়তো সেটা নিয়ে গান শুনিয়ে প্রশংসা করতাম। তারপর ধরো একটা ছেলের মন পর্যন্ত পৌঁছতে যেমন পেটের দিকে আই মিন খাওয়ার দিকে নজর দিতে হয়, তেমনি একটা মেয়ের মন পর্যন্ত যেতেও তার চোখের দিকে নজর দিতে হয়। সুন্দর চোখের প্রতি আমার দূর্বলতা আছে। আমি অবশ্যই সেটা নিয়ে তাকে কিছু বলতাম কিন্তু চোখের উপর এক্সট্রা আইল্যাশ লাগলে আর কি কি সব দিয়ে চোখটাকে ভুতের মত রঙিন করে রাখলে বুঝবো কি করে যে কোন উপমাটা খাটবে? তাই কিছুই বলিনি।"

-"তো আপনি তাদেরকে বলতে পারতেন যে আপনি ওসব পছন্দ করেন না। আপনি না বললে তারা বুঝবে কি করে?"

-"বলবো কেন? যে যেরকম তার সেরকমই থাকা উচিৎ। আমার তো কোন রাইট নাই নিজের পছন্দ অপছন্দ অন্য কারো উপর চাপিয়ে দেয়া। আমি তো আর এসবের জন্য কাউকে ছাড়িনি। আর এসব অভিযোগ থাকলেও এসবের জন্য আমাকেও কেউ ছাড়েনি। ছেড়েছে আমার ট্রাভেলিং এর জন্য।"

-"সেকি! কেন?"

-"এইযে এরকম পাহাড়ে, জঙ্গলে আসলেই নেটওয়ার্ক থাকে না। কথা হয়না, তার জন্য নাকি অস্থির লাগে। গার্লফ্রেন্ডের চাইতে আমি ট্রাভেলিং কে বেশি ভালবাসি, আমি নাকি গার্লফ্রেন্ড ছাড়তে পারবো কিন্তু ট্রাভেলিং ছাড়তে পারবো না তাই ব্রেকাপ!"

-"আচ্ছা আপনি যখন / দিনের ট্রিপে যেতেন তখন আপনার গার্লফ্রেন্ডের কথা মনে পড়েনি? খারাপ লাগেনি?"

-"নাহ! প্রকৃতি আমার সবচেয়ে বড় আর ইম্পরট্যান্ট প্রেমিকা। প্রকৃতির কাছে গেলে আর কিছু লাগেনা।"

-"আমার তো মনে হচ্ছে আপনার কারো সাথেই সম্পর্কটা তেমন গভীর ছিলনা। কাউকেই আপনি সত্যিকার অর্থে ভালবাসেননি।"

-"সেটাও হতে পারে। তবে আমি লয়াল ছিলাম।"

-"ওহ!"

-"অনার্সের পর থেকেই মা আমার জন্য মেয়ে দেখছে। আমার মা ভীষন সৌখিন, সে বড় ছেলেকে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিতে চায়। কিন্তু আমি অনেক চুজি বুঝলে? মায়ের দেখা একটা মেয়েও পছন্দ হয়নি। মা তো পুরো বিরক্ত আমার উপর।"

-"তাই? আচ্ছা, কিরকম মেয়ে আপনার পছন্দ আমাকে বলুন তো। আমি আপনার জন্য মেয়ে দেখে দেব।"

-"বলছি তার আগে শোনো কেন আমার মায়ের দেখা মেয়ে পছন্দ হয়নি।"

-"ওহ, অবশ্যই... বলুন।"

-"দলবেঁধে মেয়ে দেখতে যাওয়া, সালামি দেয়া, এই ব্যাপারটা আমার কেমন যেন লাগে। যেকোনো মেয়ের জন্য খুবই অসম্মানজনক। তাই আমি মেয়ের ছবি দেখে ফোনে কথা বলেছি কিংবা বাইরে দেখা করেছি।"

-"তারপর?"

-"আমার সবচেয়ে ইম্পরট্যান্ট প্রশ্ন ছিল ট্রাভেলিং কেমন লাগে?"

-"ওয়াও, এন্সার কি ছিল?"

-"অনেক ধরনের এন্সার ছিল। একটা শুধু বলি। একজন বলেছিল, 'ওয়েস্ট অফ মানি। তার চেয়ে সেই টাকায় ঘরের একটা জিনিস বানানো যায়, ড্রেস কেনা যায়'"

তিতির হাসতে লাগলো। মুগ্ধ বলল,

-"আমি ট্রাভেলিং ছাড়া থাকতে পারবো না। তাই এটাকে সহজভাবে নেবে এমন কোনো মেয়েকেই বিয়ে করতে চাই। সবচেয়ে ভাল হয় তারও যদি ট্রাভেলিং ইন্টারেস্ট থাকে। দুজন মিলে সারা দুনিয়া ঘুরব। খুব বেশি সুন্দরী না হলেও চলবে। শুধু চোখ দুটো সুন্দর হলেই হবে, ডুব দেব সেই চোখে।"

তারপর পাশাপাশি হাটতে হাটতেই তিতিরের চোখের দিকে তাকালো। তিতির সে দৃষ্টির অর্থ বুঝলো না। খুব ইন্টারেস্ট নিয়ে বলল,

-"তারপর আর কি কোয়ালিটি চাই?"

-"বেশি সাজগোজ করেনা এমন কোনো মেয়ে হলেই ভাল হয়। মেকাপ দেখলেই আমার একটা নেগেটিভ ইম্প্রেশন ক্রিয়েট হয়।"

-"আর?"

-"রান্নাবান্না না জানলেও চলবে। আমি মোটামুটি সবই রাঁধতে পারি, আর রাঁধতে ভালও লাগে। ফ্রি টাইমে আমার কাছ থেকে হেল্প পাবে। আর বোকা, ইমোশনাল মেয়ে চাই। ওরা অনেক ভালবাসতে জানে।"

-"আর?"

-"বেশি লম্বা না হলেও চলবে। ফরসা, কালো কোনোটাতেই প্রব্লেম নেই।"

-"কিন্তু আপনি তো লম্বা। লম্বা মেয়েদেরই আপনার পাশে ভাল লাগবে।"

মুগ্ধ হাসলো। তিতির বলল,

-"হাসছেন যে?"

-"এমনি।"

-" ভাল কথা, সবই বললেন কেন এক্স রা আপনাকে কেয়ারলেস, দায়িত্বজ্ঞানহীন, ভাব মারা আর ব্যাগডেটেড বলত। কিন্তু বললেন না তো কেন আপনাকে বোরিং বলতো। আপনি তো মোটেই বোরিং না। দুদিন ধরে তো দেখছি।"

-"ওহ ওটা তো ইচ্ছে করেই স্কিপ করেছি।"

-"কেন?"

-"বললে তুমি লজ্জা পেয়ে যাবে। আর আমি এটা তোমাকে বলেছি বলেও অনেক কিছু ভাবতে পারো।"

-"আরে ধুর! কিছুই ভাববো না। আপনার এক্স আপনাকে বোরিং বলার কারনে আমি কেন লজ্জা পাব?"

-"আমরা তো অতটাও ফ্রি হইনি।"

তিতির কিছু না বুঝেই বাচ্চাদের মত বায়না করতে লাগলো। আরে বলুন না। আমি মোটেই লজ্জা পাব না। আপনার মত মানুষকে কেন বোরিং বলবে আমি তো ভেবেই পাচ্ছিনা।"

-"সবাই না শুধু সেকেন্ড গার্লফ্রেন্ডটা বোরিং বলেছিল যার সাথে মাস রিলেশনশিপ ছিল।"

তিতিরের মেজাজটাই খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। বলল,

-"ইন্ট্রোডাকশন টা অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে।"

-"বলার পর আবার রাগ করোনা কিন্তু।"

-"আরে না না বলুন।"

-"আই নেভার কিসড হার... বিকজ অফ হার লিপস্টিক!"

তিতির পুরো হা হয়ে গেল। ভাবতেই পারেনি এমন কিছু। ওরা হাটছিল। তিতির মুগ্ধর দিকে তাকিয়ে ছিল। মুগ্ধ অন্যদিকে ফিরে কথাটা বলল। তিতির সাথে সাথে সোজা হয়ে অন্যদিকে তাকালো। লজ্জা পেয়ে পুরো চুপ হয়ে গেল। কিছুক্ষণ দুজনেই চুপ। মুগ্ধর একবার ইচ্ছে হলো বলুক, 'জানতাম এমনটাই হবে।' কিন্তু কেন জানি আর বলল না।

ঘন্টা হেটে ওরা মাত্র কিলোমিটার এসেছে। হঠাৎ দূর থেকে একটা গাড়ির আওয়াজ আসছিল। পিছনে ফিরতেই দেখলো একটা বাস আসছে। মুগ্ধ জিজ্ঞেস করলো,

-"তিতির, বাসে যেতে পারবে?"

তিতিরের চোখ ঝিলিক দিয়ে উঠলো। বলল,

-"হ্যা পারবো।"

-"লোকাল বাস কিন্তু! দাঁড়িয়েও যেতে হতে পারে।"

-"নো প্রব্লেম। হাটতে তো আর হবে না।"

মুগ্ধ বাসটা থামালো। বাসের হেল্পার জানালো যায়গা নেই। অলরেডি অনেকে দাঁড়িয়ে আছে। তখন মুগ্ধ ওদের বিপদের কথা বলতেই বাস ওদের তুলে নিল। বাসে উঠে মুগ্ধ বাসের হ্যান্ডেল ধরে দাঁড়ালো। আর তিতির তা নাগাল পেলনা। তাই মুগ্ধর হাত ধরে দাঁড়ালো। মুগ্ধও তিতিরের হাত শক্ত করে ধরে রাখলো। কিন্তু একটা ডাউনহিল পার করতেই বাস নিচের দিকে যেতে শুরু করলো আর তিতির পড়ে যাওয়ার ভয়ে মুগ্ধকে জড়িয়ে ধরলো। মুগ্ধও অবশ্য তিতিরকে ধরে ফেলেছিল। এরকম শত শত আপহিল, ডাউনহিল ছিল রাস্তায়। পুরো রাস্তাই মুগ্ধ একহাতে হ্যান্ডেল ধরে আরেক হাতে তিতিরকে নিজের বুকের সাথে আঁকড়ে ধরে রেখেছে। তিতিরের তখন মনে হচ্ছিলো, বোধহয় মুগ্ধকে ভালবেসে ফেলেছে! আবার ভাবলো দুদিনের পরিচয়ে কি ভালবাসা সম্ভব? নাকি এটা শুধুই ভালোলাগা! কিন্তু ভালবাসা যদি নাই হয় তাহলে ওকে এভাবে জড়িয়ে ধরে থাকতেও কেন অস্বস্তি হচ্ছে না?"

থানচির সরকারি গেস্ট হাউজের মাঠে ওদের তাঁবু গেড়ে থাকার কথা ছিল। মুগ্ধ বাস থেকে নেমেই ফোন বের করলো। এখানে তো নেটওয়ার্ক থাকার কথা। হ্যা নেটওয়ার্ক পাওয়া গেল, কিন্তু সাফির ফোন বন্ধ। তাড়াতাড়ি একটা অটো নিয়ে গেস্ট হাউজে গেল মুগ্ধ-তিতির। তখনও ওরা জানতো না কি বিপদ ওদের জন্য অপেক্ষা করছিল থানচিতে!

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 

সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।


চলবে ...

১২ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা মৌরি মরিয়ম সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে জানতে পারলে অবশ্যই কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হবে। 

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন