![]() |
| শত্রু নিধন || আর আই রফিক |
শত্রু নিধন || আর আই রফিক
শিমুল কান্দি গ্রামের মীর্জা বাড়ি আর খান বাড়ি সবচেয়ে প্রভাবশালী। পরিবার দুটির মাঝে বৈরীতা বহু পুরানো। পূর্ব পুরুষদের দ্বন্দ্বটা এখন অব্দি বিদ্যমান। আদালতে মানিক মীর্জা আর হাসান খানের মধ্যে কয়েকটা মামলা এখনো চলমান।
মামলা যুদ্ধের গোলাবারুদ যেভাবে ব্যয় হয়ে চলছে, তাতে উভয়েরই অস্থাবর সম্পত্তি শেষ হয়ে স্থাবরে লেগেছে। তবু কেউ-ই পিছপা হতে নারাজ। অর্থ-সম্পদ যাচ্ছে, যাক্। মান-মর্যাদাকে তো আর ধুলোয় মিশিয়ে দিতে পারেন না।
এমনি একসময় হাসান খানের মাথায় নতুন বুদ্ধি গজালো। তিনি শুনেছেন, তন্ত্র-মন্ত্র করে মানুষকে মেরে ফেলা যায়। এ লক্ষ্যে বেচারা তান্ত্রিক খোঁজে ফিরছেন। পেয়েও গেলেন একজনকে। নাম ঈমানী হুজুর। বাড়ি পাশের জেলায়। দূরের মানুষ। তান্ত্রিকের ক্ষমতার কথা শুনে হাসান খান ঈমানী হুজুরের বাড়ি গিয়ে উঠলেন। হুজুরের কথাবার্তায় লোকমুখে শোনা কথাগুলো তাঁর বিশ্বাসে এলো। তিনি বললেন-- হুজুর, একটা আশা নিয়ে আপনার কাছে এসেছি।
হুজুর জিজ্ঞেস করলেন -- কি আশা ?
-- মানিক মীর্জা আমার সংসারটাকে তছনছ করে দিয়েছে। আমি তারে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে চাই। এজন্যই আপনার কাছে আসা।
হুজুর বললেন -- শুধু মানিক মীর্জা কেন? সকল শত্রুকেই আপনি ধ্বংস করতে পারবেন। তবে হাদিয়া হিসাবে পাঁচ হাজার টাকা দিতে হবে।
হাসান খান হেসে উঠলেন। পকেটে হাত দিয়ে বললেন -- টাকা আরো বেশি দেবো। তবে কাজে সফলতা চাই। যত দ্রুত সম্ভব কাজটা আপনি করে দিন।
হুজুর বললেন-- বেশির দরকার নাই। রেটের বেশি আমি নেই না।
হাসান খান পাঁচ হাজার টাকা বের করে বাড়িয়ে দিলে তিনি আবার বললেন -- এখন সব টাকা লাগবে না। এখন মাত্র পঞ্চাশ টাকা দিবেন। বাকিগুলো দিবেন কাজ হাসিল হওয়ার পরে।
হাসানের বিশ্বাস আরো বেড়ে গেল। তিনি পাঁচশ টাকার একটা নোট বাড়িয়ে দিয়ে বললেন-- এই নিন।
দেখে হুজুর বলে উঠলেন -- আমার কাছে ভাংতি নাই। ভাঙিয়ে নিয়ে আসুন। এর মাঝে আমি আপনার তাবিজ বানিয়ে নেই।
হাসান খান বললেন-- ভাঙাতে হবে না। সমস্তটাই রেখে দিন। পরে তো দিতেই হবে।
হুজুর অস্বীকৃতি জানালেন -- আমার নিয়মের ব্যতিক্রম করলে আপনার কাজ কিন্তু হাসিল হবে না।
অগত্যা হাসান খানকে মোড়ের দোকানেই যেতে হলো। ফিরে এসে পঞ্চাশ টাকার একটা নোট হুজুরের হাতে দিলেন। টাকাটা নিয়ে হুজুর হাসান খানের বাহুতে একটা কবচ বেঁধে দিয়ে বললেন -- এটা বেঁধে দিলাম। ফলাফল পেতে আপনার কিছু করণীয় আছে।
হাসান খান জিজ্ঞেসের দৃষ্টিতে তাকালে তিনি বললেন -- আপনাকে শত্রুর তিনটি উপকার করতে হবে। যেদিন তৃতীয় উপকারটা করে ফেলবেন, সেদিনই আপনার মনের ইচ্ছা পূরণ হবে। সেই দিনটাই হবে আপনার শত্রুর জন্য শেষ দিন।
হুজুরকে ধন্যবাদ জানিয়ে হাসান খুশীমনে বিদায় নিলেন এবং বাড়ি ফিরে মানিক মীর্জার উপকারে মন দিলেন।
দুদিন পর। হাসান খান স্থানীয় বাজারে যাচ্ছেন। অটোরিকশায় যাতায়াত। রাস্তায় তাঁর সামনেই একটা দুর্ঘটনা। ১০/১২ বছরের একটা ছেলে সাইকেলে যাচ্ছিলো। একটা অটোরিকশার ধাক্কায় সে সাইকেলসহ পড়ে গেছে। ধাক্কা দেয়া অটোরিক্সা তো দে ছুট। হাসান খানের বাহনটি ছেলেটার কাছে এসে থামলো। যাত্রীরা নেমে এসেছে। হাসান খানও বসে রইলেন না। ছেলেটাকে দেখে তিনি চিনতে পারলেন, এ মানিক মীর্জার ছোট ছেলে বিপিন। ওর হাটুর নীচের ছাল উঠে গিয়ে রক্ত ঝরছে। হাসান ওকে একজন ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলেন। চিকিৎসায় ব্যথা কমে এসেছে। মারাত্মক আঘাত না হওয়ায় বিপিন খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাটতেও পারছে। দেখে হাসানের মুখে তৃপ্তির হাসি।
বাড়ি ফিরে বিপিন ঘটনাটা জানালে পরিবারের কেউ বিশ্বাস করতে পারছে না। তাদের ভাবনা, লোকটা হয়ত হাসান খানের মতই হয়ে থাকবে। বিপিন তাকে চিনতে পারেনি।
পরে বিপিন যখন নিশ্চিত করেই জানালো যে হাসান খানকে সে ভালো করেই চিনে, তখন অগত্যাই সকলকে বিশ্বাস করতে হলো।
পরদিন মানিক মীর্জার আদালতে যাওয়ার কথা। আইনজীবীর পরামর্শ, হাসান খানের বিরুদ্ধে নতুন একটা মামলা দায়ের করতে হবে। কিন্তু ছেলে বিপিনের বক্তব্যে তাঁর অন্তর আদালতে যাওয়ার পক্ষে সায় দিচ্ছে না। অবশেষে স্ত্রীকেও নতুন মামলা করার বিপক্ষে দাঁড়াতে দেখে আদালতে আর যাওয়াই হয়নি তাঁর।
আরো মাস খানেক কেটে গেছে। হাসান খান খুঁজছেন, কিভাবে মানিক মীর্জার আরো উপকার করা যায়। তিনটির মধ্যে মাত্র একটিতে সফল। আরো দুটো। অথচ প্লটও পাচ্ছেন না।
এমনি একদিন একটা মামলার জামিন শুনানি। এই মামলার বাদী হাসান খান নিজে। মানিক মীর্জা আর তাঁর বড় ছেলে আসামি। উভয় পক্ষই আদালতে হাজির। শুনানিতে হাসান খানের আইনজীবী জামিনের বিরূদ্ধে জোড়ালো বক্তব্য রেখেছেন। বিপরীতে আসামি পক্ষের কৌসুলি সেটা খণ্ডনে ব্যর্থ।
আদালত কৌসুলিকে জামিনের পক্ষে আরো যোগ্যতা প্রদর্শনের সুযোগ দিয়েছেন। তবে বিজ্ঞ কৌসুলি অনভিজ্ঞের মতো আমতা আমতা করছেন। এতে আদালত জামিনের পরিবর্তে আসামিদের হাজতে পাঠানোর নির্দেশ লেখতে যাচ্ছেন। ঠিক তখনই হাসান খান বলে উঠলেন -- মাননীয় আদালতের কাছে আমার একটা আরজি।
বিচারক কলম উঠিয়ে তাকালে হাসান খান বললেন-- আসামিরা জামিনে থাকলে আমার কোনো আপত্তি নাই। যা হওয়ার বিচারেই হবে। আমি চাই না, এখন তারা হাজতে যাক্।
বাদীর এ কথায় আসামি পক্ষের কৌসুলি খুব খুশী। তবে স্বপক্ষীয় আইনজীবী রাগে, ক্ষোভে আদালত ত্যাগ করলেন।
জামিন পেয়ে দুই বাপ-বেটা যখন নিজেদের কৌসুলির চেম্বারে উল্লসিত, হাসান খান তখন তাঁর আইনজীবীর চেম্বারে বকা শুনছেন। আইনজীবী বকাবকি করতে লাগলেন -- যান যান, হাবা মানুষের মামলা আমি ড্রীল করবো না। আসামিদের হাজতে পাঠানোর সব ব্যবস্থা আমি করে নিয়েছি। তখনই আপনি তাদের জামিন চেয়ে বসলেন। কী হবে আপনার মামলা করে ? এতই যদি মায়া, তাহলে মামলা কেন ? গলাগলি করে বাড়ি যান।
হাসান খানের ভাবনা কিন্তু ভিন্ন। তিনি ভাবছেন -- হাজতে পাঠিয়ে হবেটা কি ? আমি ওকে যেখানে পাঠাচ্ছি, সেটা আপনি চিনতেই পারবেন না। হাজত থেকে তো ক'দিন পরেই বেরিয়ে এসে আবার জ্বালাতন করবে। কিন্তু আমি যেখানে পাঠাচ্ছি, সেখান থেকে ফিরে আসার পথ নাই।
ওদিকে বিষয়টা মানিক মীর্জার মনে বড় দাগ কেটে দিয়েছে। নিশ্চিত হাজতবাস থেকে বাঁচতে পেয়ে দুই বাপ-বেটা বাড়ি ফিরলেন সত্যি, তবে কারো মুখেই কথা নেই। বাপ-বেটা দুজনেই যেন পাথর।
এরপর থেকে মামলা মোকদ্দমায় তাঁদের আর কোন আগ্রহই নেই। কদিন আগেও যারা পরম উৎসাহ নিয়ে আদালত পাড়ায় ছুটেছেন, প্রতিপক্ষের সামান্যতম ক্ষতি সাধনের জন্যও নিজের অর্থ ব্যয়টাকে অপচয় মনে করেননি, এখন ওসব কিছুই যেন নিরর্থক।
মানিক মীর্জা ভেবে নিলেন, নিশ্চয়ই হাসান খান মীমাংসার পথে হাটছেন। তিনিও এর জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। হাসান খান চাইলে বিনাশর্তে তারা মীমাংসায় আসবেন।
কিন্তু কই ? হাসান খান নিজে তো দূরের কথা, আপোষের প্রস্তাব নিয়ে অন্য কাউকেও আসতে দেখা গেল না।
আরো দু'মাস পরের কথা। মানিক মীর্জার একমাত্র মেয়ে রুনার বিয়ের ব্যাপারে ছেলেপক্ষ পাত্রী দেখতে এসেছে। মেয়ে খুব সুন্দরী হলেও ওর বিয়ে নিয়ে মানিক মীর্জা বড় সমস্যায় আছেন। কারণ হলো, দশম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় রুনার একটা কলংকজনক ঘটনা। পাশের গ্রামের একটা ছেলের সাথে পালিয়ে বেশ ক'দিন তার নিখোঁজ থাকার মত একটা কথা চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল। সেটাই এখন বিয়ের পথে কাঁটা। কোনো ঘর এলেই কারা যেন সেটা জানিয়ে দেয় এবং পাত্রপক্ষও কেটে পড়ে।
এবারও মেয়ে দেখার পরে পাত্রপক্ষের ক'জন লোক তথ্য জানার জন্য বেরিয়ে পড়লো। তাদের মধ্যে দু'জনকে খান বাড়ির দিকে যেতে দেখে মানিক মীর্জা একেবারে হতাশ। বিয়েটা যে এবারেও হচ্ছে না, এতে তিনি নিশ্চিত।
ওদিকে পাত্রপক্ষের লোকেরা এসে হাসান খানের কাছে মানিক মীর্জার মেয়ের বিষয়ে জানতে চাইলো। হাসান খানের আনন্দ আর ধরে না। তৃতীয় উপকারটা করার এমন সুযোগ যে তিনি এভাবে ঘরে বসেই পেয়ে যাবেন, সেটা তাঁর ধারণারই বাইরে। তাই যেভাবে বললে বিয়েটা হয়ে যায়, সেভাবেই বললেন। শেষ কথায় বললেন -- মানিক মীর্জার সাথে আমার চরম শত্রুতা। তার সাথে আমার কয়েকটা মামলা চলমান। কিন্তু তার মেয়ে খুবই ভালো। বাবার সাথে শত্রুতার জন্য তো একটা ভালো মেয়ের সম্পর্কে আমি মন্দ বলতে পারি না।
হাসান খানের ভোট পেয়ে পাত্রপক্ষের লোকেরা খুব খুশী। তারা মীর্জা বাড়িতে ফিরে এসে সেদিনই বিয়ের কাজ সেরে ফেলতে চাইলো। তাদের মতে, শুভ কাজে দেরি করতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানিক মীর্জাও খুশী মনেই রাজি হলেন।
আলোচনার একপর্যায়ে পাত্রপক্ষ প্রকাশ করলো যে হাসান খানের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করেই তারা অন্য কারো কথা কানে তুলেননি।
পাত্রপক্ষের মুখে হাসান খানের সম্পর্কে এসব কথা শুনে মানিক মীর্জা নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি। আবেগে আপ্লুত হয়ে বিকেলেই খান বাড়ির দিকে ছুটলেন।
হাসান খান সবে আছরের নামাজ শেষে বাইরে এসে দাঁড়িয়েছেন। এসময় মানিক মীর্জাকে নিজের বাড়ির আঙিনায় দেখে তিনি তো অবাক। তাঁর বিস্ময় আরো বেড়ে গেল যখন মানিক মীর্জা হাত জোড় করে তাঁর দিকে এগিয়ে এসে বলতে লাগলেন -- খান ভাই, আমি তোমার অনেক ক্ষতি করেছি। বড়ভাই হয়ে আমি সব অপরাধ স্বীকার করছি। তোমার মত একজন মহৎ মানুষকে আমি আগে চিনতে পারিনি।
হাসান খানের বিস্ময়ের শেষ নেই। তার মুখে কথা ফুটছে না। ততক্ষণে মানিক মীর্জা কাছে এসে তাঁর হাত ধরে বলে উঠলেন -- আমি তোমার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। এই অধম ভাইটিকে ক্ষমা করে দাও। ক্ষমা করতে না পারলে, ইচ্ছে মতো আমাকে শাস্তি দাও।
হাসান নিজের শরীর ছুঁয়ে পরীক্ষা করে নিলেন, স্বপ্ন দেখছেন কিনা। পরে প্রকৃতিস্থ হয়ে বললেন -- আপনি এভাবে .........
মানিক মীর্জা আবার বললেন -- হ্যা, ভাই। আমি অমানুষ হয়ে গেছিলাম। তাই তোমার মত হৃদয়বান মানুষকে চিনতে পারিনি। তুমিই আমার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলে, প্রকৃত মানুষ কেমন স্বভাবের হয়। তাই একজন মানুষের কাছে নতি স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে এসেছি।
হাসান খান একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন -- আপনি আমার বড় ভাই। যান, আপনার প্রতি আমার কোনো ক্ষোভ নাই।
মানিক মীর্জা বলতে লাগলেন -- যদি অধম ভাইকে ক্ষমাই করে থাকো, তাহলে আজ আমার মেয়ের বিয়েতে উপস্থিত থেকে তুমি নিজে বিয়ের অনুষ্ঠান পরিচালনা করবে।
হাসান খান কি বলবেন, ভেবে পাচ্ছেন না। এসময় তাঁর দুই ছেলেও সেখানে উপস্থিত হলো। তারা মত প্রকাশ করলো যে মানিক মীর্জা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি। তাঁর অনুরোধ উপেক্ষা করাটা ঠিক হবে না।
অবশেষে ছেলেদের নিয়েই হাসান খান বিয়ে বাড়িতে গেলেন। সেখানে মানিক মীর্জার পরিবারের কাছ থেকে অপ্রত্যাশিত সম্মান পেয়ে তিনি অভিভূত।
অনুষ্ঠান শেষে মানিক মীর্জা নিজের অতীত কর্মের জন্য আবারও হাসান খানের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী হলেন। হাসান নিজেও মীর্জাকে বড়ভাই সম্বোধনে জড়িয়ে ধরে নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন। সবশেষে ঠিক হলো, অতীত ভুলে তাঁরা পরস্পরকে আপনজন বিবেচনা করেই বাকি জীবন কাটাবেন।
ফেরার পথে হাসান কি যেন ভেবে হাতে বাঁধা কবচটা খুলে ফেললেন। পরদিনই ছুটলেন ঈমানী হুজুরের কাছে। হুজুরকে বিনয়ের সাথে বললেন-- হুজুর, দয়া করুন। যার জন্য কবচটা আমি নিয়েছিলাম, তাকে আপনি বাঁচান। আমি তার মৃত্যু চাই না।
শুনে হুজুর বলতে লাগলেন -- আমি তো স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, আপনার শত্রু মারা গেছে।
হাসান বলে উঠলেন -- না হুজুর, মরেনি। গতকালকেও আমি তার সাথে বসে খাবার খেয়েছি, কথা বলেছি।
হুজুর বলে উঠলেন -- আরে, আপনি যার কথা বলছেন, সে আপনার শত্রু হতে যাবে কেন ? শত্রু তো ছিল তাঁর মনে। তাঁর মনের মধ্যে থাকা আপনার শত্রুটা ঠিকই মরে গেছে। এজন্যই আপনাকে সে আর শত্রু ভাবছে না। যান, বাড়ি যান। মিলেমিশে থাকলে সুখের অভাব হবে না।
হাসান খান এবার সবকিছু বুঝতে পারলেন। এসময় পকেট থেকে বের করে বাকি টাকা দিতে চাইলে ঈমানী হুজুর বললেন -- এই টাকা আর দিতে হবে না। আপনারা যেহেতু পরস্পরের বন্ধু হয়ে গেছেন, এটা আপনাদের জন্য আমার উপহার হিসেবে রইলো।
আর আই রফিক
কবি, গল্পকার ও উপন্যাসিক

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন