উপন্যাস                  :         শরম 
লেখিকা                    :         তসলিমা নাসরিন
গ্রন্থ                          :         শরম 
প্রকাশকাল              :       

জনপ্রিয় প্রথাবিরোধী লেখিকা তসলিমা নাসরিনের বহুল আলোচিত উপন্যাস 'লজ্জা'। ১৯৯৩ সালে এটি বাংলাদেশে প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রকাশের প্রথম ছয় মাসেই বইটি পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি বৈধ কপি বিক্রি হয়। এরপর ধর্মীয় মৌলিবাদিদের একতরফা বিতর্কের মুখে উপন্যাসটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তৎকালিন বাংলাদেশ সরকার। পরবর্তীতে 'লজ্জা' উপন্যাসটি বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন দেশে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসটি লেখার কারণে দেশ ছাড়তে হয়েছিল লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে। 

পরবর্তীতে 'লজ্জা' উপন্যাসের নায়কের সঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দেখা হয়েছিলো লেখিকা তসলিমা নাসরিনের। সেই অনুভূতিকে পুজি করে তিনি লিখলেন নতুন উপন্যাস 'শরম'। এ উপন্যাসটি কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো। আজ প্রকাশিত হলো 'শরম' উপন্যাসের ৩য় পর্ব।
শরম || তসলিমা নাসরিন
শরম || তসলিমা নাসরিন

২য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

শরম || তসলিমা নাসরিন (পর্ব - ০৩)

ওই প্রথম দিকেই। লজ্জা যখন লোকের হাতে হাতে। গোগ্রাসে পড়ছে। এরপর সুধাময় আর বলেননি কাউকে তিনি লজ্জার ডাঃ সুধাময়। বরং কেউ আগ বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করলে এড়িয়ে যেতেন। না আমি নই, সে অন্য কোনও সুধাময় হবে- এরকম বলতেন উদাসিন ভঙ্গিতে। এর চেয়ে ব্যতিক্রম যে কিছু ঘটেনি। কেউ কেউ যারা বিশ্বাস করেছিল তারা বাড়িতে মিষ্টি দিয়ে গেছে। কেউ বাড়িতে নিমন্ত্রণ করেছে। বেলঘরিয়ায় ও পারের লোক প্রচুর। স্মৃতিকাতর লোকে গিজগিজ করছে। এখনও বাড়িতে বাড়িতে লোকে ও পারের ভাষায় কথা কয়।

সুধাময়ের কাছে একটিই লজ্জা ছিল। সুরঞ্জন বেশ কয়েকটি লজ্জা নিয়ে এসেছিল বাড়িতে, একটি তিনি নিজের কাছে রেখেছিলেন। বালিশের তলায় থাকতো বইটি। অবসরে তিনি পড়তেন। যে বইটি বাংলাদেশ থেকে বেরিয়েছে, সেটির জালে ছেয়ে গেছে কলকাতা, পাতলা ফিনফিনে বই। খারাপ কাগজ, খারাপ ছাপা। মানুষ যেখান থেকে পারুক বইটি কিনছে। কোনওদিন যে বই পড়ে না, সেও পড়ছে। সে যে কী উন্মাদনা।

এসব নিজের চোখে দেখা সুধাময়ের। তিনি পাড়ায় বেরিয়ে দেখতেন, লোকের মুখে শুনতেন, খবরের কাগজে পড়তেন। একবার জাল বই ব্যবসায়ীদের কিছু লোককে পুলিশ ধরে নিয়ে গেল। কাগজে এ খবর পড়ে সুধাময়ের সন্দেহ হত, সুরঞ্জন না জানি আবার এসবে নিজেকে জড়িয়েছে। তিনি বলেছেন বেশ কয়েকবার, - দেখ তুই সাবধানে থাকিস। কাদের সঙ্গে মেলামেশা করছিস কে জানে। নতুন দেশ। অত চেনা জানা লোক নেই। বন্ধু নেই। বিপদ আবার যেন না বাধে। আর লজ্জা বইটা নিয়ে লোকে যা খুশি তাই করুক, তুই ঝামেলা থেকে দূরে থাকিস।


সুরঞ্জন কোনও কথা বলে না এসব শুনে। সুধাময়ের কষ্টক্লিষ্ট উদ্বিগ্ন মুখের দিকে তাকাতে ইচ্ছে করতো না তার। যতদিন না নিজেদের মাথা গোঁজার একটা ঠাঁই পাচ্ছে, ততদিন তার শান্তি ছিল না। রাতে তার বাড়ি ফিরতে ইচ্ছে করতো না। মাটিতে মাদুর পেতে কয়েকশ মশার কামড় খেতে খেতে ঘুমোতে হত। তার চেয়ে রাস্তায় শুয়ে থাকা ভালো। সুরঞ্জন একটি শহর পছন্দ করেছে, যেখানে তার কোনও বন্ধু নেই। আত্মীয় বলতে, স্বজন বলতে কেউ নেই। শুধু চারদিকে গিজগিজ করছে হিন্দু-নারী-পুরুষ-শিশু। যাদের সুরঞ্জন সবচেয়ে আপন ভেবে দেশান্তরী হয়েছে। তাকে সাহায্য করার একটি প্রাণীও কোথাও ছিল না। শংকর ঘোষের অশ্লীল ব্যবহার, আধ পেট খাওয়া, বাড়িতে প্রায় চাকরানির মতো কিরণময়ীকে খাটানো, চার লাখ টাকা হারিয়ে যাওয়া, দেশের যা কিছু ফেলে এসেছিল, সেগুলো বিক্রি করে টাকা পাওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়া, সুরঞ্জনকে অনেকবার ঠেলেছে আত্মহত্যার দিকে। শেষ অবদি আত্মহত্যা তার করা হয়নি। লজ্জা বেরিয়েছে অনেকগুলো বছর পার হয়ে গেল। এখনও সুরঞ্জন বইটা মাঝে মাঝে উল্টে পাল্টে দেখে। এই বইয়ের সঙ্গে তার একটা অদ্ভুত সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। মাঝে মাঝে লজ্জার সুরঞ্জনের কথা সে পড়ে। যেন সেই সুরঞ্জন অন্য সুরঞ্জন। এই সুরঞ্জনের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। সেই সুরঞ্জনের দিকে এই সুরঞ্জন খানিকটা দূর থেকে তাকায়। নিজের দিকে সে খানিকটা দূর থেকে তাকায়। লজ্জার যারা জাল করেছে তাদের সঙ্গে, সত্যি বলতে কী, সুধাময়ের সন্দেহ হোক, সে জড়িত নয়।

তবে দিনের পর দিন ভুগতে ভুগতে, অপমানে অসহায়ত্বে অনাহারে অনিদ্রায় সুরঞ্জন গেছে বিজেপিতে যোগ দিতে। যে লোকেরা লজ্জার সুরঞ্জন বলে তাকে মঞ্চে তুলেছে, সম্বর্ধনা দিয়েছে, ফুল দিয়েছে হাতে, মুখে মিষ্টি দিয়েছে, সুরঞ্জনের সঙ্গে তাদের কোনও বিরোধ নেই। সুরঞ্জন বলেছে সে সুরঞ্জন দত্ত, লজ্জা তাকে নিয়েই লেখা। ওরা কেউ তাকে অবিশ্বাস করেননি। ওদের ব্যবহারে, ওদের আদর্শে, বিশ্বাসে সে আস্থা রেখেছে। সুরঞ্জনকে একটি চাকরি পাইয়ে দেবার আশ্বাস ওরাই দেয়। রেশন কার্ডের ব্যবস্থা ওরাই করে।

পার্টি অফিসে দিনের পর দিন সে বসে থেকেছে, শুনেছে লজ্জার জাল বই বের করে বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সস্তায় ছাপিয়ে দশ পাঁচ টাকায় শহরের সর্বত্র বিক্রি করার ব্যবস্থা করছে কারা যেন। যারা করছে তাদের হদিশ বহু চেষ্টা করেও সুরঞ্জন পায়নি। নিজে সে যদি জড়িত থাকতে পারতো এই বই বিক্রির ব্যবসায়, মোটা অংকের টাকা তার পকেটে আসতে পারতো। কিন্তু জড়াবে জড়াবে ইচ্ছে করলেও শেষ পর্যন্ত অসততার সঙ্গে নিজেকে জড়াতে ভালো তার লাগেনি। আপাতত এইটুকু অন্তত সে বুঝেছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এক বিজেপিই বাংলাদেশে হিন্দুদের দুর্ভোগ নিয়ে জোর গলায় কথা বলছে, তার প্রতিবাদ করছে। এই দলটি তার সবচেয়ে বড় আশ্রয় হয়। তার অসহ্য মানসিক যন্ত্রণাকে প্রশমিত করতে এই দলের লোকেরাই এগিয়ে আসে। শংকর ঘোষের বাড়িটি তার কাছে কোনও আশ্রয় নয়। আশ্রয় এইখানে। রাষ্ট্রীয় সেবক সংঘ আর বিজেপির কর্মীদের আলিঙ্গনে। কিন্তু দলের সদস্য থেকে সুরঞ্জন একদিন হুট করে নাম কাটিয়ে নেয়, যেদিন সে ধার চেয়েছিল অন্তত পাঁচ হাজার টাকা। যে কোনও একটা বাসা তাকে ভাড়া নিতে হবে, অগ্রিম টাকা দিতে হয় বাড়িঅলাকে। তারপর নতুন বাসায় উঠে সস্তায় হলেও কিছু আসবাব তো কিনতে হবে। সুরঞ্জনের হঠাৎ এসে কেঁদে পড়া, আর যে ছেলের কোনও চাকরি বাকরি নেই, সে কী করে টাকাটা শোধ দেবে, তাও কেউ জানতো না, তাই নেই, টানাটানি যাচ্ছে, আমি তো পারছি না, ইত্যাদি বলে লোকেরা এড়িয়ে গেছে।


সুরঞ্জন সেই পুরোনো দিনগুলোর কথা ভাবছে এবং ভাবতে পারছে না এ কথাগুলো সে বলবে লজ্জার লেখিকাকে! লেখিকা হয়তো এসবই জানতে চেয়েছেন, কী করেছে সুরঞ্জন কলকাতায় আসাতক, কী করছে এখন। লেখিকা তো লজ্জার মতো কোনও বই তাকে নিয়ে লিখবে না, এটা জানার পরও এক আশ্চর্য তাড়না সে অনুভব করে তার সঙ্গে দেখা করার। ছটফট করে সে একা ঘরে। তাকে কি ফোন নম্বর দিয়েছিলো লেখিকা! মনে নেই। ফোন নম্বরটি কি সে নিয়ে এসেছে, নাকি নেয়নি? সার্টের পকেটে দেখলো, নেই। প্যান্টের পকেটেও নেই। বোধহয় নেয়নি। না নিয়ে একদিকে সে ভালোই করেছে। আবার যাবে। যেন খুব পুরোনো কোনও বন্ধু, যার সঙ্গে খুব হৃদ্যতা ছিল, যত বন্ধু আছে তাদের সবার থেকে বেশি হৃদ্যতা, দীর্ঘ বছর পর তার সঙ্গে দেখা হবে। কেন এমন মনে হয়! সব কথা তাকে খুলে না বললে সুরঞ্জনের অস্বস্তি হচ্ছে কেন! যার সঙ্গে জীবনে প্রথম দেখা হল, যে তার আত্মীয় নয়, বন্ধু নয়, শুধু ওই একটি বইএর কারণে এত কাছের মানুষ মনে হতে পারে! ও তো যে কোনও হিন্দু পরিবারেরই গল্পই হতে পারতো। সুরঞ্জনের গল্প তো আলাদা কোনও ঘটনা নয়। সুরঞ্জন শুধু কি ছাপার অক্ষরের কেউ, রক্তমাংসের মানুষ নয়! বইয়ের কালো কালো অক্ষর থেকে সে বেরিয়ে আসতে চায়। সে তার জীবনটা খুলে সামনে ধরতে চায় লেখিকার। বলতে চায় আমাকে তো পুরে দিয়েছো দুই মলাটের মধ্যে, দেখতে চেয়েছো কোনওদিন। তোমার ওই বইয়ের সুরঞ্জনকে আমার রোবট বলে মনে হয়। তার কষ্টের কথা, যন্ত্রণার কথা, পারভিনের জন্য তার ভালোবাসার কথা, তাকে না পেয়ে যে হাহাকার তার ছিল, তার কিছুই, সামান্য কিছুই তুমি তুলে ধরতে পারোনি, ম্যাডাম লেখিকা। তথ্য দিয়ে ভরাট করেছো বই। আর সুরঞ্জনের গল্প লেখার নাম করে ফাঁকি দিয়েছো মস্ত। হৃদয়হীনের মতো লিখে গেছো। যেন একটা শুকনো প্রবন্ধ। আর সব তো টুকেছো, কোথায় কী ঘটেছে হিন্দুদের ওপর। কার বাড়ি পুড়েছে, কাকে কে ধরে নিয়ে গেছে, কাকে হুমকি দিয়েছে। কাজল দেবনাথ তোমাকে তো বই সাপ্লাই দিয়েছে, জানি জানি সব। সুরঞ্জন উত্তেজনায় উঠে পড়ে বিছানা ছেড়ে। তুমি তো আর বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিয়ে কিছুই দেখনি।

আবার ভাবে সে, হোক না বইয়ের সুরঞ্জন প্রাণহীন। লেখিকা না হয় ব্যর্থ হয়েছে তার নায়কের ভেতরের অনুভূতি প্রকাশ করতে। তাতে সুরঞ্জনের কী যায় আসে। জগতের কটা লোক জানে জাননগরের পলেস্তারা খসা পুরোনো এক ভাঙা বাড়ির একতলার অন্ধকারে একা ঘরে বসে থাকা প্রায় বেকার ছেলেটি সুরঞ্জন দত্ত। নিজেকে ছেলে বলতে এখন বাধে তার। বয়স অনেক হল। লজ্জার সেই সুরঞ্জন যে ওই বয়সে পড়ে নেই, সে কি লেখিকা জানে! কিন্তু জেনেই বা কী! কী করবে সে সুরঞ্জনের বয়স দিয়ে! তার বয়স, তার নাম ঠিকানা, তার জীবন বৃত্তান্ত কারও জানা হলে কী লাভ! কে সে! জগতে সে কেউ না। তুচ্ছ তৃণেরও দাম তার চেয়ে বেশি। এ শহরে তার কোনও বন্ধু নেই। এটাই সবচেয়ে বড় সত্য। সুরঞ্জন প্রলাপের মতো ঘরময় পায়চারি করতে করতে বলে-সুরঞ্জন কেমন আছো? কেমন ছিলে? নানা রকম ছিলাম, তবে সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হল, কী করে যেন বেঁচে আছি। আর...। আর কী? আর, খুব একা বোধ করি। কেন? আমার কোনও বন্ধু নেই। দেশে কি তোমার অনেক বন্ধু ছিল? ছিল। যোগাযোগ হয় না ওদের সঙ্গে? না। কারও সঙ্গেই হয় না। ওদেশে যাচ্ছো না কেন? যাও, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হবে। চাই না যেতে। কেন? জানি না। জানে না এমন কিছু আছে নাকি কারওর। নিশ্চয়ই জানো তুমি। আমার লজ্জা হয়। কী হয়? লজ্জা।

অনেক রাত অবদি সুরঞ্জনের ঘুম হয় না। সিগারেট ছেড়ে দিয়েছিল। আজ সে নতুন একটি প্যাকেট কিনেছে। একটি একটি করে পুরো প্যাকেটের সিগারেটই সে খেয়ে শেষ করে। দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে থাকলে হিবিজিবি স্যাঁতার দাগগুলো কোনওটা মানুষের মুখের মতো, কোনওটা একটা ঘরের মতো, কোনওটা অশ্বথ্ব গাছের মতো দেখতে। এই ছবিগুলোও আবার কদিন পর পর বদলে যায়, অন্য কিছুর মতো দেখতে লাগে। মাথার পিছনে দুটো বালিশ দিয়ে ভাঁজ করা পায়ের ওপর আরেক পা তুলে শুয়ে শুয়ে দেওয়ালের দিকে, শুধু দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে থেকে থেকে আর সিগারেট খেয়ে প্যাকেট ফুরিয়ে যখন সে ঘুমোতে যায়, রাত তখন চারটে। কিছু কিছু রাত থাকে কিছু না করার রাত। কিছু করতে না ইচ্ছে করার রাত। বার বার করে দীর্ঘশ্বাস ফেলার রাত। কিছু রাত আছে, যে রাতের কথা কাউকে বলে বোঝানো যায় না।



চলবে.......

৪র্থ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ: 
জনপ্রিয় প্রথাবিরোধী লেখিকা তসলিমা নাসরিন ১৯৬২ সালের ২৫ আগষ্ট ময়মনসিংহ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৬ সালে ময়মনসিংহ রেসিডেন্সিয়াল স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও ১৯৭৮ সালে আনন্দ মোহন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে ১৯৮৪ সালে এমবিবিএস পাস করেন। তসলিমা নাসরিন ১৯৯৪ সাল অবদি চিকিৎসক হিসেবে ঢাকা মেডিকেলে কর্মরত ছিলেন। 

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে লেখালেখি নয়তো চাকুরি ছাড়তে বললে তিনি লেখালেখি ছাড়েন নি। বরং সরকারি চিকিৎসকের চাকুরিটিই ছেড়ে দেন তিনি। তখন এই লেখিকাকে কেন্দ্র করে উগ্র মৌলবাদীদের আন্দোলনে উত্তাল ছিলো পুরো দেশ। বেশ কিছু মামলাও হয়েছিলো তার বিরুদ্ধে। শেষে এককথায় বাধ্য হয়েই দেশত্যাগ করেন নারীমুক্তির অন্যতম অগ্রপথিক তসলিমা নাসরিন। এরপর তিনি নির্বাসিত অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। 

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন