রম্য গল্প : নারী স্বাধীনতা
লেখক : মাসকাওয়াথ আহসান
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল :
পাঠপ্রিয় লেখক ও সাংবাদিক মাসকাওয়াথ আহসানের “নারী স্বাধীনতা” রম্য গল্পটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টের দেয়াল থেকে নেয়া হয়েছে। এ গল্পে তিনি নারীর অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য যুদ্ধ ও মোল্লাতন্ত্রের কোরাপশনকে তুলে ধরেছেন।
![]() |
নারী স্বাধীনতা || মাসকাওয়াথ আহসান |
নারী স্বাধীনতা || মাসকাওয়াথ আহসান
এক হুজুর মসজিদে বক্তব্য রাখেন, মাইয়াগো ঘরের মইধ্যে ধইরা রাখতে হবে; তা গো অত স্বাধীনতা দেওন ঠিক না। স্বাধীনতা দিতে হবে পোলা গো।
অ
এমন সময় ফোন আসে, তার ছেলে ছিনতাই-এর অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে। থানায় গিয়ে বুঝতে পারেন, ছেলেকে ছাড়াতে অনেক খরচ হবে। আজ রাতের মধ্যে হাজার পাঁচেক টাকা দিতে হবে। অনেকের কাছে সাহায্য চেয়ে কোন সাড়া শব্দ পাননা। বাড়ি ফিরে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন।
হুজুরের মেয়ে এগিয়ে এসে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে বলে, আব্বাজান যান ভাইজানরে ফিরাইয়া নিয়া আসেন। দেরি করলে গঞ্জে চালান কইরা দিবো।
-তুই এতো টাকা কই থিকা পাইলি!
হুজুরের স্ত্রী বলেন, মেয়ের সেলাইয়ের কাজ দেইখা পাড়ার মানুষ খুব পছন্দ করে। গিয়া দেখেন, ওর ঘরটা ভর্তি অর্ডারের কাপড়।
হুজুর অশ্রুসজল চোখে মেয়ের কাছ থেকে টাকাটা নিয়ে গিয়ে ছেলেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। আর আক্ষেপ করে বলেন,
-যে ছেলে ছিনতাই করে; তারে নিয়া পাড়ার লোকের সামনে মুখ দেখানোর আর অবস্থা নাই। সবাই দেখাইয়া কয়, ছিনতাইকারীর বাপ। এই যে রত্ন পোলার মা, তোমার বোরখাডা অহন আমারে আইনা দেও।
হুজুরের স্ত্রী হাসতে হাসতে বলেন, আপনে একটু শান্ত হন। খাইয়া দাইয়া বিশ্রাম করেন।
লেখক সংক্ষেপঃ
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন