উপন্যাস : তোমায় ঘিরে
লেখিকা : জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ০৬ অক্টোবর, ২০২২ ইং
লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “তোমায় ঘিরে” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের অক্টোবরের ৬ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান |
৩৩তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ৩৪)
নবনি ঘুম থেকে উঠে দেখে আরাফ নবনির মোবাইল ঘাটতেছে।নবনি লাফ মেরে ফোন নিয়ে নেয়।
নবনিঃআমার ফোনে কি!
আরাফ রেগে তাকায়।
আরাফঃতুমি বোরখা ছাড়া বের হয়ে ছিলা কেন!!
নবনিঃযেটার ভয় পেয়েছিলাম সেটাই।২ বছর আগে একটা দিন মামাতো বোনদের সাথে বোরখা ছাড়া বের হয়েছিলাম।ওই ছবিটা ফোনে ছিল।দেখে ফেলছে ইনি(মনে মনে)
আরাফঃবলো কেন বের হয়ে ছিলা!!?
নবনিঃআর এ এটাতো অনেক আগের।
আরাফঃঅনেক আগের মানে!!যত আগেরই হোক বোরখা ছাড়া কেন বের হবে!!মানুষ আমার বউকে দেখে ফেলছে না?!
নবনিঃআজব তো।এটাতো অনেক অনেক অনেক আগের কথা।তখনতো আপনি ছিলেন ও না।আর আমি ও আপনার বউ ছিলাম না।
আরাফঃআমি ছিলাম না মানে!আমি কই ছিলাম?আমি পৃথিবীতে ছিলাম না!!?
নবনিঃএটা কেমন কথা।
আরাফ মুখ ফুলিয়ে অন্য দিকে ঘুরে গেল।
নবনিঃআচ্ছা শুনেন না।এখনতো আর এমন করি না।একদিনই করেছিলাম।সরিতো।
আরাফ নবনির দিকে তাকালো।
আরাফঃআর কখনো দেখলে খবর আসে।তোমাকে শুধু আমিই দেখবো।আর কেউ না।
নবনিঃআমাকে যে এত বলছেন আপনি মাস্ক পরেন না কেন?!!
আরাফঃআমিই মাস্ক পরবো কেন!!মাস্ক পরলে গরম লাগে আমার।
নবনিঃগরম লাগে হা!!আর মেয়েরা যে প্রেমে পরে সেটা কি!!??আপনি মাস্ক পরলেতো আর তিশা পরি লিজা প্রেমে পরে না।
আরাফঃএটা তাদের চোখের দোষ। আমার কি করার আছে!!
নবনিঃআপনার কি করার আছে মানে! আপনি মাস্ক পরবেন।
আরাফঃঠিক আসে।পরবো।
নবনিঃVery good.
আরাফঃওহ। তোমাকে তো বলতেই ভুলে গিয়েছি।
নবনিঃকি!!
আরাফঃআসার সময় একটা বোরখা পড়া মেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল।
নবনিঃমাস্ক ছাড়া বের হলে তো এমন অঘটন ঘটবেই।
আরাফঃআর এ মেয়েটা এমন ভাবে তাকিয়ে ছিল যেন আমাকে চিনে।
নবনিঃআপনার নতুন পাগল দিয়া হবে!
আরাফঃআর এ না ও ছিল না। ও তো লম্বা।মেয়েটা খাটো ছিল।
নবনিঃআচ্ছা মেয়েটাতো আমিই ও হতে পারতাম!
আরাফঃতুমি কি করে হবা।তোমাকেতো এসে বাসায়ই পেলাম।
নবনিঃহইতেই পারে।সেটা আমিই ছিলাম।
আরাফঃতুমি থাকলে তো আমি তখনই যেয়ে জড়িয়ে ধরতাম।
নবনিঃআপনি কি করে এতো শিউর।আমি না। আমিই ছিলাম হয়তো।
আরাফঃআসলেই।জানো। রাস্তায় কোনো বোরখা পড়া মেয়ে দেখলেই তুমি তুমি মনে হয়।
নবনিঃওহ তাই না।তাহলে আমি আর বোরখা পড়বো না।
আরাফঃএটা কেমন কথা।
নবনিঃতা নয়তো কি!রাস্তায় বোরখা পড়া মেয়ে দেখলেই বউ বউ ফিল আসে!?তাইলে আমি আর বোরখাই পড়বো না।
আরাফঃWhat rubbish! অন্য মেয়েলে দেখলে কেন বউ বউ ফিল আসবে?বউ বউ ফিল তো শুধু তোমাকে দেখলেই আসে।
নবনিঃজ্বি না।
আরাফঃজ্বি হ্যা।
নবনিঃতাহলে বলেন নবনি তুমি যা বলবা আমি তাই শুনবো।বলেন।
আরাফঃদেখো নবনি পাখি।তুমি কিন্তু আমাকে কথার জ্বালে ফাসাচ্ছো।এটা কেমন কথা।
নবনিঃওহ বলবেন না তো!!মানুষ বউয়ের জন্য কত কিছু করে আর আপনি সামান্য কথা টুকু বলতে পারবেন না?
আরাফঃনা। আগে বলো কি করাইবা?
নবনিঃযা ইচ্ছে তা।অন্ধ বিশ্বাস করে বলে ফেলেন যেটা বলতে বলেছি।
আরাফঃবলবো না।
নবনিঃঠিক আসে আমি ও আপনার কঠিন রোমান্স চলাকালীন ধাক্কা দিয়ে খাট থেকে ফেলে দিবো।
আরাফঃঠিক আসে ফেলে দিও।খাট থেকে পরে মরে যাবো।
নবনিঃকিহহ!খাট থেকে পরে তো হাত পা ও ভাংগে না। আর আপনি উল্টা পালটা বলছেন।
আরাফঃআচ্ছা ঠিক আসে যাও।বললাম।
নবনিঃকি বললেন?
আরাফঃতুমি যেটা বলসো ওইটা।
নবনিঃআমি কি বলেছি!?মুখে উচ্চারণ করেন আমি রেকর্ড করে রাখবো।
আরাফঃআগে বলো কি করাবা?
নবনিঃআপনার সব সম্পত্তি লিখে নিবো নিজের নামে।
আরাফঃআচ্ছা লিখে নাও।আমার সম্পদ তুমিই।তুমি ছাড়া আমার কাছে আর মুল্যবান কিছু নেই।
নবনিঃঠিক আসে। তাহলে বলেন।তুমি যা বলবা তাই করবো।তোমার সব কথা শুনবো বউ।
আরাফঃঠিক আসে।ঠিক আসে।তোমার সব কথা শুনবো বউ।তুমি যা বলবা তাই করবো।
নবনিঃহা হা হা। হা হা হা।
আরাফঃএহ। ঈদের মতো খুশি।
নবনিঃহা হা হা। হা হা হা।
আরাফ নবনিকে জড়িয়ে ধরলো।
আরাফঃআমার লক্ষী বউটা।
নবনিঃহি হি।
আরাফ নবনির কপালে চুমু দিলো।
নবনিঃআপনাকে একটা কাজ দিয়েছিলাম।করেছেন!?নাকি আমার ফোনে গোয়েন্দাগিরি করেই সময় পার করে দিয়েছেন।
আরাফঃনা। আমি ভাবছি খুব ভাবছি আর যা বুঝলাম তা হলো~
নবনিঃহলো।
আরাফ কাশতে লাগলো।নবনি পানি দিলো।
নবনিঃবলেন কি হলো?
আরাফঃবলতাসি তো।
নবনিঃতাল্টি বাল্টি বাদ দেন।আমি বুঝে গেসি আপনি ভাবসেন।অকর্মক লোক একটা।
আরাফঃআমি যেমনই হই না কেন আমিই তোমার স্বামী। কিন্তু আমার মাথায় একটা কথাই ভনভন করছে।
নবনিঃকোন কথা?!
আরাফঃএটাই যে আমার বাচ্চাদের মেহরাব কেন বাচাবে!ওদেরকে আমি বাচাবো।আমি তাদের বাবা না!!ওই হাড্ডি কেন ঢুকবে।
নবনিঃআচ্ছা। আপনি এতো কি করে জেলাস হন।বাচ্চাদের বাচাচ্ছে Its Doesn’t matter সমস্যা হলো আপনি বাচাবেন উনি না। বাহহহ!!
নবনি বিছানা থেকে নেমে হাটতে যায়।আর স্লিপ কেটে পরতে নিলে। আরাফ এর উপরে পরে।
আরাফ ধরে ফেলে নবনিকে।
আরাফঃসাবধানে থাকবা তো নাকি!!?
নবনিঃআমি তো পড়ি নেই।মনে হলো কেউ টান মেরে ফেলেছে।
আরাফঃWhat! Its impossible. তুমি আমি ছাড়া আর কেউ নেই এখানে।
_আমরা আছি
আরাফ নবনি ভয় পেয়ে গেলো।
আরাফঃএটা আবার কোন জ্বিনরে বাবা।
নবনিঃআওয়াজ কোথা থেকে আসলো।নবনি লাফ মেরে আরাফ এর কোলে উঠে গেল।
নবনিঃআপনি শিউর এটা জ্বীন!!
আরাফঃআমি কি জানি!!
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
চলবে ...
৩৫তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন