উপন্যাস        :         ভিলেন
লেখিকা        :          মনা হোসাইন
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         

লেখিকা মনা হোসাইনের “ভিলেন” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০১৯ সালে লিখেছেন।
ভিলেন || মনা হোসাইন Bangla Golpo - Kobiyal
ভিলেন || মনা হোসাইন

1111111111111111111111

১১ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

ভিলেন || মনা হোসাইন (পর্ব - ১২)

মেঘলাঃ আমি চলে যাব... 
আকাশঃ কোথায়? 
মেঘলাঃ বাসায়...
আকাশঃ তাই নাকি ঠিক আছে যা দেখি... দরজা তো খোলাই আছে।
মেঘলা যেই যেতে নিল আকাশ মেঘলাকে একটানে বিছানায় ফেলে দিল...
আকাশঃ এখনো আমাকে মানুষ মনে হচ্ছে না তাই না?
মেঘলাঃ তুই আমাকে মারতে পারছিস ভাইয়া..??
আকাশঃ মারের দেখেছিস কি? আরো কত দেখবি.. এবার ভালই ভালই বল বাচ্চাটা কার? 
মেঘলাঃ বলব না...

আকাশঃ তাই নাকি? আচ্ছা বেশ আমিও দেখি, না বলে কতক্ষন থাকতে পারিস..বলতে বলতে আকাশ নিজের জিন্স থেকে ব্যাল্ড খুলে বলল লাস্টবার জিজ্ঞাস করছি.. 
মেঘলা মুখ ভেংচি দিয়ে তাছিল্যের সাথে বলল জানি না..
বলার সাথে সাথে আকাশ ব্যাল্ড দিয়ে মেঘলাকে আঘাত করল।
মেঘলা এর আগে এমন মার কখনো খায় নি মেঘলার ফর্সা শরীরে ব্যল্ডের দাগ বসে গেল মেঘলাও চিৎকার করে কেঁদে উঠল। 
আকাশঃ কেঁদে লাভ নেই যেটা জিজ্ঞাস করলাম সেটা বল যতক্ষন না বলবি ততক্ষন মারব,বলে যেই আবার মারতে গেল মেঘলা ভয়ে ২ চোখ বন্ধ করে নিল তারপর  হাত দিয়ে মুখ ডেকে বলল মারিস না প্লিজ..
আকাশঃ এসব বলে লাভ নেই যা জিজ্ঞাস করলাম সেটা বল বলেই আকাশ আবার মারল।
মেঘলা ব্যাথায় কুকিয়ে উঠল আকাশ এবার একের পরে এক মেরেই চলেছে, 
মেঘলা মারের জন্য কিছু বলার সুযোগ পাচ্ছে না।
কিছুক্ষন পর মেঘলা কান্নাজড়িত কন্ঠে অস্পষ্ট ভাবে বলে উঠল আর মারিস না ভাইয়া আমার পেটে কোন বাচ্চা নেই।
আকাশ মার থামিয়ে বলল কি বললি...??
মেঘলা কেঁদে কেঁদে বলল আমি প্রেগন্যান্ট নই।
আকাশঃ মানে কি?
মেঘলাঃ ওটা আমার রিপোর্ট ছিল না অন্য এক মেঘলার রিপোর্ট ছিল।ডাক্তার ভুলে আমাকে দিয়ে দিয়েছিল।পরে ফোন করে বলেছে?
আকাশঃ কি বলছিস? 
মেঘলাঃ হ্যা এটাই সত্যি
আকাশঃ আমাকে বললি না কেন? 

মেঘলাঃ কেন বলব যে আমাকে বিশ্বাস করে বা তাকে জোর করে কেন বিশ্বাস করাতে যাব?
আকাশঃ আচ্ছা সে নাহয় নাই বললি কিন্তু বিয়ে টাই না করতে যাচ্ছিলি কেন?
মেঘলাঃ তোকে কষ্ট দেয়ার জন্য তুই আমায় কিভাবে অবিশ্বাস করলি আমি একটু ফাযলামি করি তার জন্য তুই আমাকে নষ্টা বলতে পারলি?
আকাশঃ আমাকে কষ্ট দিবি ভাল কথা কিন্তু এতক্ষন যে মারলাম তখন বললি না কেন? তোর এই ফালতু জেদ গুলি খুব খারাপ মেঘলা।
তুই ও তো আমাকে বলেছিলি আমি নাকি সুযোগ নিয়েছি যে আমি মেয়েদের দিকে কোনদিন চোখ তুলে পর্যন্ত তাকাই না তুই কিনা বললি  আমি নাকি তোর ঘুমের সুযোগ নিয়েছি।
তোকে আমি ওই চোখে কখনো দেখিও নি...তবুও তুই আমার ক্যারেক্টর নিয়ে কথা বললি আমার রাগ হবে না..?? 

মেঘলাঃ....
আকাশঃ আজ ওই ডাক্তারকে তো আমি দেখে নিব আগে তোর হিসাব টা মিটাই তারপর ওর খবর আছে...
মেঘলাঃ আমার আবার কিসের হিসেব? 
আকাশঃ আমাকে কষ্ট দিবি ভাল কথা তাই বলে বিয়ে? 
মেঘলাঃ বিয়ে কোথায় এটা তো এনগেইজ মেন্ট ছিল। 
আকাশঃ আমি বাইরে কি করে বেড়াই এটা এতদিন কেউ জানত না কিন্তু আজ তোর জন্য সবাই সব জেনে গেল তুই ও শুধু শুধু এতগুলি মার খেলি আমাকে সব আগে বললে এসব কিছু হত না।

মেঘলাঃ তুই যে এত হারামি সেটা সবাই জেনেছে ভাল হয়েছে,
আকাশঃ একদম বাজে কথা বলবি না... দেখতো হাতে পুরো দাগ পড়ে গেছে উফফ ভাল লাগে না। আকাশ গিয়ে বরফ এনে মেঘলার হাতে লাগতে লাগল।
মেঘলাঃ ফালতু দরদ তর কাছেই রাখ আমার লাগবে না সর...
আকাশঃ নতুন করে মার খাস না আমার যে মায়া দয়া নেই সেটা তো দেখলিই।
আকাশ আর মেঘলা কথা বলছিল ঠিক তখনি সবাই বাসায় আসল মেঘলার বাবা মাও এসেছেন...
মেঘলার বাবাঃ গুন্ডাডা কোথায়...?? ছি ছি আপনাদের তো লজ্জা হওয়া উচিত একমাত্র ছেলে সেটাও কিনা গুন্ডা আর আপনারা তা জানেনই না কেমন পরিবার আপনাদের?আমার মান সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দিল।

আকাশের মাঃ একদম বাজে কথা বলবেন না আমার ছেলে গুন্ডা নয় বরং আপনারা আপনাদের মেয়েটাকে আমার ছেলের পিছনে লেলিয়ে দিয়েছেন। এভাবে একটা মেয়ে ছেলের সাথে মিশলে ছেলে তো পাগল হবেই। মেঘলা সারাদিন যেভাবে আকাশের সাথে ল্যাপ্টে থাকে তাতে আকাশের জায়গায় যে কোন ছেলে থাকলেই দুর্বল হয়ে পড়বে...
মেঘলার বাবাঃ তাই নাকি তা কি করেন আপনাদের রাজপুত্র যে তার পিছনে আমারা আমাদের মেয়েকে লাগিয়ে দিব?
আকাশ আর মেঘলা সবেই শুনতে পাচ্ছে 
আকাশঃ এ সবকিছু তর জন্য হল
মেঘলাঃ মোটেও না সব তোর জন্য হয়েছে তুই আমাকে অপমান না করলে এসব কিছু হত না।
আকাশঃ আচ্ছা ভুল যারেই হোক চল নিচে গিয়ে ব্যাপারটা মিটাতে হবে আমি ক্ষমা চেয়ে নিব।
আমি তোকে মেরেছি এটা বলিস না প্লিজ।
আকাশ মেঘলাকে নিয়ে নিচে গেল।
আকাশঃ আমি দুঃখিত আংকেল এমনটা করা আমার ঠিক হয় নি আসলে রাগ উঠে গিয়েছিল.....

মেঘলার বাবাঃ এই চুপ একদন চুপ তোমার এই দুঃখিত শব্দটা দিয়ে আমি কি করব? তোমার জন্য আমার কত বড় ডিল ক্যান্সেল হল তোমার কোন ধারনা আছে?মিঃ রায়হান তো মনে হয় আমার সাথে সব ডিলেই ক্যান্সেল করে দিবে।
আকাশের ধারনা ছিল সবার সামনে বিয়েটা ভেংগে গেছে বলে মেঘলার বাবার সম্মান হানি হয়েছে তাই রাগ করেছেন কিন্তু ডিলের কথা শুনে আকাশের মেজাজ খারাপ হয়ে গেল।
রেগে গিয়ে বলল,
আকাশঃ কেমন বাবা আপনি? বিজনেসের জন্য নিজের মেয়েকে ব্যবহার করতে লজ্জা করে না?
মেঘলার বাবাঃ বিজনেসের কি বুঝো তুমি আগে আমার জায়গায় নিজেকে এনে তারপর বড় বড় কথা বলো...
আকাশঃ আপনার বিজনেস আপনি করুন তাতে আমার কোন আপত্তি নেই কিন্তু একটা কথা কান খুলে শুনে রাখুন আংকেল মেঘলা কোন পন্য নয় যে আপনি নিজের স্বার্থে ওকে ব্যবহার করবেন...
আংকেলঃ এখন তোমার কাছ থেকে আমার পারমিশন নিতে হবে আমি কি করব আর কি করব না? 

আকাশঃ হ্যা মেঘলার ব্যাপারে সিধান্ত নিতে গেলে আমার কাছ থেকে পারমিশন তো নিতেই হবে...আমি বেঁচে থাকতে পৃথিবীর কেউ ওকে আমার কাছ থেকে সরাতে পারবে না এমন কি ও নিজে চাইলেও না।
মেঘলা এবার ফিস ফিস করে আকাশের কানে কানে বলল ভাইয়া কি করছিস এসব?  আব্বু এসব মেনে নিবে না চুপ কর...
মেঘলার বাবাঃ ছি ছি ছি এটা কেমন পরিবার কথাবার্তার কি ধরন..
আকাশের বাবাঃ ও খারাপ কি বলেছে টাকার জন্য এইটুকু মেয়েকে বিয়ে দিতে চান আপনার লজ্জা করে না?
ছোট মাঃ একদম হক কথা আকাশ কোন ভুল করে নি.. টাকা টাকা করে আপনি পাগল হয়ে গিয়েছেন

মেঘলার বাবাঃ সবি হল পরিবারের শিক্ষা যেমন গার্জিয়ান তেমনি তো হবে বাচ্চারা, দেখলে নিলু তোমার পরিবার আমাকে কিভাবে অপমান করছে?এই গুন্ডা পরিবারে সাথে আমাদের আর কোন সম্পর্ক নেই.. চল এখান থেকে।
আকাশের মাঃ হ্যা যান যান এই পাগলির হাত থেকে রেহাই দিন আমার ছেলেটাকে।
মেঘলার বাবা মেঘলার হাত ধরে নিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্ধুদ্ধ হলেন সাথে সাথেই আকাশ মেঘলার অন্য হাত ধরে বলল এতই সহজ নাকি আপনার সম্পর্ক রাখতে ইচ্ছা না হলে রাখবেন না মনি আর মেঘলার সাথে আমাদের সম্পর্ক থাকবে...
মেঘলার মাঃ তোমরা শান্ত হও কি করছো এসব?
মেঘলার বাবাঃআমাকে কেন বলছো? এই গুন্ডাটাকে ঠিক হতে বলো...
মেঘলার মাঃ বাবুনি ছোট মানুষ তাই বলে তুমিও পাগলামি করবে..??
মেঘলার বাবাঃআমার বুঝা উচিত ছিল তুমিও তো এই গুন্ডা পরিবারেই একজন তবে আজ তোমাকে সিধান্ত নিতে হবে হয় এই পরিবার অথবা আমার পরিবার।এবার সিধান্ত তোমার আমি কিছুতেই এই পরিবারের সাথে কোন সম্পর্ক রাখব না।
মেঘলা বুঝতে পারল তার বাবা কারো কথা শুনবে না তাই আকাশকে ইশারা করল হাত টা ছেড়ে দিতে...
আকাশও ছেড়ে দিল... 
মেঘলাকে নিয়ে তার বাবা চলে গেলেন মেঘলার মাও চলে গেলেন...

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 

সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।


চলবে ...

১৩ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা মনা হোসাইনের মূল নাম গাজী পিংকি হোসেন। তিনি লেখালেখির ক্ষেত্রে ছদ্মনাম হিসেবে ‘মনা হোসাইন’ নামটি বেছে নিয়েছেন। বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলার বাসিন্দা এই লেখিকা অনলাইন ডিজিটাল মার্কেটার ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে কাজ করছেন।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন