উপন্যাস        :         শালুক ফুল
লেখিকা        :          রাজিয়া রহমান
প্রকাশনা       :         বইটই এ্যাপ
প্রকাশকাল   :         আগষ্ট, ২০২৪ ইং
রচনাকাল     :         

লেখিকা রাজিয়া রহমানের “শালুক ফুল” নামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হল। লেখিকার অনবদ্য এ উপন্যাসটি  ২০২৮ সালের আগষ্ট মাসে অনলাইনভিত্তিক প্রকাশণা মাধ্যম ‘বইটই’ এ্যাপে প্রকাশিত হয়েছে। 
শালুক ফুল || রাজিয়া রহমান
শালুক ফুল || রাজিয়া রহমান

১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

শালুক ফুল || রাজিয়া রহমান (পর্ব - ২)


চৈত্র মাসের তীব্র গরমে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ প্রায়। চারদিকে বৃষ্টির জন্য হাহাকার। গাছপালা সব নির্জীব হয়ে আছে। তারাও বোধহয় চাতকের মতো অপেক্ষায় আছে কখন বৃষ্টি আসবে।
বৃষ্টি এলে নববধূর ন্যায় স্নিগ্ধ সবুজ পাতা দিয়ে নিজেদেরকে সাজিয়ে তুলবে তারা।
এবারের গরমে সবার অবস্থায় নাজেহাল। পাড়ার সব ছেলেরা মিলে সিদ্ধান্ত নিলো সবাই ন্যাড়া হবে। ধ্রুবর মাথাভর্তি লম্বা লম্বা চুল।
বন্ধুরা সবাই মিলে ন্যাড়া হয়ে ফেসবুকে একটা ছবি আপলোড দিল।
শালুক ধ্রুবর ন্যাড়া মাথার ছবি দেখে হেসে কুটিকুটি। ন্যাড়া মাথা কেমন চকচক করছে। শালুকের মাথায় একটা দুষ্ট বুদ্ধি খেলে গেলো।সে চুপিচুপি একসময় ধ্রুবর চিলেকোঠার ঘরে ঢুকে গেলো।
মার্কার পেন দিয়ে দেয়ালে লিখতে লাগলো।
প্রতিশোধ নিতে শালুক ভুলবে না। শালুকের ঘরের দেয়ালে ধ্রুব কম লিখেনি। আজ সময় এসেছে শালুকের। এমনিতেই ধ্রুবর উপর রেগে আছে শালুক। ধ্রুবর জন্যই তো মা তাকে পড়ার টেবিল থেকে উঠতে দেয় না, ১২ টার আগে।
সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে ধ্রুব নিজের ঘরে গেলো। গোসল করে আয়নায় নিজেকে দেখলো কিছুক্ষণ।
খারাপ লাগছে না বোধহয়। আচ্ছা শালুকের কি হাসি পাবে না ধ্রুবকে দেখলে?
ধ্রুবর ন্যাড়া হওয়ার তেমন একটা ইচ্ছে ছিল না। গত কয়েকদিন ধরে শালুকের মন খারাপ খেয়াল করছে। ছোট চাচি ইদানীং শালুকের সাথে রাত ১২টা পর্যন্ত পড়ার টেবিলে থাকেন।
ধ্রুব ভাবলো শালুক আনন্দ পাবে তাকে এরকম ন্যাড়া দেখে। ধ্রুবর দিকে তাকিয়ে হাসবে এটুকুই তো ধ্রুব চেয়েছে।
মাঝেমাঝেই ইচ্ছে করে সব বিধি-নিষেধ অগ্রাহ্য করে শালুকের কাছে ছুটে যায়।
ভালোবাসার মানুষ চোখের সামনেই আছে অথচ তাকে বলতে পারছে না ভালোবাসি, এর চাইতে নির্মম আর কি হতে পারে!
একটা সাদা রঙের টি-শার্ট গায়ে চাপিয়ে ধ্রুব ছাদের দিকে গেল। চিলেকোঠার ঘরটা ধ্রুবর সবচেয়ে প্রিয় জায়গা।
কিংবা কে জানে শালুক ও তার চিলেকোঠায় বেশি সময় কাটায় বলেই হয়ত তাকে আড়াল থেকে দেখার জন্যই ধ্রুব ও এখানে এসে উঠে।
রুমে ঢুকে ধ্রুব হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। সব দেয়াল জুড়ে এসব কি লিখা রয়েছে! বিস্ময় নিয়ে পড়তে যায় ধ্রুব।
“ন্যাড়া মাথা চার আনা
চাবি দিলে ঘোরে না
চাবি হলো নষ্ট
ন্যাড়ার কি কষ্ট”
ধ্রুব পরেরটা পড়ে,
“ন্যাড়া মাথা টাক টুক
বর্ষাকালে হাগার সুখ”
ধ্রুব দাঁত দিয়ে ঠোঁট কামড়ে ধারে পরের ছড়া পড়তে গেলো।

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 

 Follow Now Our Google News

সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।


চলবে ...

৩য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা রাজিয়া রহমান বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর জেলায় জন্মগ্রহন করেন। লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজে শিক্ষাজীবন শেষ করেছেন তিনি। তরুণ এই লেখিকা বৈবাহিক সূত্রে লক্ষ্মীপুরেই বসবাস করছেন। বর্তমানে তিনি একটি পুত্র সন্তানের জননী। পেশাগতভাবে তিনি গৃহিনী হলেও লেখালেখির প্রতি তার ভিষন ঝোক। আর তাই শত ব্যস্ততার মাঝেও শখের বশে ধারাবাহিকভাবে লিখে যাচ্ছেন একের পর এক উপন্যাস। ২০২২ সালের মধ্যদিকে গর্ভকালিন সময়ে লেখিকা হিসেবে হাতেখড়ি নিলেও এরই মধ্যে লিখে ফেলেছেন “তুমি অন্য কারো সঙ্গে বেঁধো ঘর” ও “শালুক ফুলের লাঁজ নাই” -এর মতো বহুল জনপ্রিয় উপন্যাস।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন