উপন্যাস       :        শকুন
লেখিকা        :         আরশি আয়াত
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ইং

লেখিকা আরশি আয়াতের “শকুন” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশ করা হলো। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে লেখা শুরু করেছেন।
Bangla Golpo শকুন || আরশি আয়াত
শকুন || আরশি আয়াত

১৪ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

শকুন || আরশি আয়াত (পর্ব - ১৫)


এশার নামাজের পর ইকবাল সাহেবের সাথে দেখা করলো শামীম।তিনি আয়াতুল করসী পড়ে ওর শরীরে ফু দিয়ে প্রশ্নোক্তি করলো,'নামাজ পড়েছো?'
'জ্বি,দাদু।'
তিনি মাথা নেড়ে বললেন,'আমি তোমার কাছে থেকে শুনে সবই বুঝেছি।এটা একটা ফাঁদ।তুমি যেন মঞ্জিলে পৌঁছাতে না পারো তাই বিভিন্নরকম বিভ্রান্তি তৈরি করছে।তুমি শুধু নিজেকে ঠিক রেখে নিজের কাজ করো।ইনশাআল্লাহ,সব ভালো হবে।'
'দাদু,দোয়া করবেন আমার জন্য।'
'সবসময়ই করি।'
'দাদু আরেকটা কথা।হিমানী কেমন যেনো দিনদিন সুন্দর হয়ে উঠছে।'
'স্বাভাবিক।যত দিন ঘনিয়ে আসবে তত ওর রুপ লাবণ্য বাড়বে।আর যেদিন অমাবস্যা হবে সেদিন ও হবে চাঁদের মত উজ্জ্বল।'
'দাদু ওকে কিভাবে বোঝাবো সবকিছু?'
'লাভ নেই ও বুঝবে না।ওকে বশে রাখা হয়েছে।যা করার তোমাকেই করতে হবে।'
পুনরায় হতাশ হলো শামীম।মলিন স্বরে বলল,'কে জানে কি আছে কপালে!'
'চিন্তা করো না।ভালোই হবে।এখন চলো উঠি।বেশিক্ষণ আমাদের একসাথে বসা ঠিক হবে না।'
'জ্বি দাদু,আসসালামু আলাইকুম।আমি আসছি।'
'যাও,ফি-আমানিল্লাহ্।'
চোখ খুলেই অন্ধকারাচ্ছন্ন কোনো এক জায়গায় নিজেকে আবিষ্কার করলো হিমানী।চারিদিকে গা হিম করা ঠান্ডা হওয়া বইছে।কোথাও আলোর রেশটুকুও পাওয়া গেলো না।আতঙ্কে কেঁপে উঠলো ও।শিরদাঁড়া বেয়ে ভয়ের চোরাস্রোত উঠে এলো।কি করবে এখন?মস্তিষ্ক এক নিমিষেই ফাঁকা হয়ে গেলো।মানুষ যখন মাত্রাতিরিক্ত ভয় তখন মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দেয়।হিমানী এবার দ্বিকবিদিক ভুলে উঠে দাঁড়িয়ে সামনের দিকে দৌড়াতে শুরু করলো।কিন্তু দৌড়াতে গিয়ে বুঝলো ও ঠিকভাবে দৌড়াতে পারছে না পরনের শাড়ির জন্য।হঠাৎ ওর মনে হলো ও শাড়ি কখন পরলো?এবার আরও ভয় পেলো ও।সর্বশক্তিতে দৌড়াতে শুরু করলো কিন্তু কিছুটা এগুতোই পেছনে তীব্র আলোকচ্ছটা দেখে দাঁড়িয়ে পড়লো।পেছনে এত আলো কেনো?একটু আগেই তো নিকষ কালো আঁধার ছিলো।হঠাৎ এত আলো কোথা থেকে এলো?ও কি ঘুরে দেখবে?কোনো এক অদৃশ্য স্বত্তা যেন কানে কানে সাবধানী কন্ঠে বলল,'তেড়েফুঁড়ে উঠে আসে বর্ণিল আলোকছটা,
সহসা কাছে টানে কি এক চুম্বকীয় আকর্ষণ।
যত যাই তার পানে, দেখা মেলে মৃত্যুর
বিভৎসতার ওপিঠে যেন স্পষ্টতর মুখোশটা'।
হিমানী দ্বিধান্বিত!কি করবে?সামনে এগুবে?নাকি পেছন ফিরে চাইবে?অতঃপর সিদ্ধান্ত ঘুরে দেখবে এত আলোর উৎস কোথায়!ধীরে ধীরে ঘুরতেই প্রচন্ড বিষ্ময়ে চোখজোড়া আঁটকে গেলো।কি দেখছে এসব?চারদিকে জমকালো আয়োজন।নানা রঙের মরিচা বাতি।সব বয়সের মানুষেরা ঘুরছে সাজ পোশাক পরে।বাচ্চারা ছুটোছুটি করছে।বাড়ির মেয়ে,বউরা ডালায় করে মিষ্টি,পিঠা,পায়েস,দই নিয়ে যাচ্ছে।কি সুন্দর উৎসব আমেজ!হিমানী একটু আগে ঘটা সবকিছু ভুলে গেলো।ও কোথায় আছে সেটাও।এত সুন্দর জাঁকজমক দেখে সেদিকেই এগুতে চাইলো।কিন্তু একবার যদি পেছনে ফিরে চাইতো তবে দেখতে পেতো কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যে।কিন্তু আফসোস মিথ্যে আলোর শহরে পা বাড়ালো মেয়েটা।এগিয়ে গেলো একটু একটু করে সামনের দিকে।কিন্তু হায়!একি হচ্ছে?কোথায় সেই সাজসজ্জা?কোথায় সব মানুষজন?কোথায় উৎসব এতো দেখি মৃত্যুপুরী!একলহমায় যেন সবকিছু বদলে গেলো!আঁধারে ছেয়ে গেলো গোটা পরিবেশ।ফুটে উঠলো ভয়ংকর রুপ!আকাশে বজ্রধ্বনি!তার নীল আলোতে দেখা গেলো শত-শত শকুন উড়ছে।হিমানী সর্বশক্তিতে সামনে দৌড়াতে চেয়েও পারলো না কারা যেন ওর দু'হাত চেপে ধরলো।ওকে নিয়ে গিয়ে হাঁড়িকাঠে মাথা রাখলো।সামনে বিশাল এক মূর্তি!পাথুরে ওই মূর্ডিটার চোখে আগুনের স্ফুলিঙ্গ!আজ হবে মহা উৎসব!এই উৎসবের শুরুই হবে নর'বলির মধ্যমে।
প্রচন্ড ছটফট করতে করতেই ঘুম থেকে উঠে বসলো হিমানী।সারা শরীর ঘামে ভিজে গেছে।এত হাসফাঁস লাগছে!কি ভয়ানক স্বপ্ন!হিমানী বেডসাইড থেকে পানির গ্লাসটা নিয়ে পানি পান করলো।আর তখনই ফজরের আজান দিলো।

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 

 Follow Now Our Google News

সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।


চলবে ...

১৬ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

লেখক সংক্ষেপ:

তরুণ লেখিকা আরশি আয়াত সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। জানতে পারলে অবশ্যই তা কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হইবে।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন