উপন্যাস       :        শকুন
লেখিকা        :         আরশি আয়াত
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ইং

লেখিকা আরশি আয়াতের “শকুন” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশ করা হলো। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে লেখা শুরু করেছেন।
Bangla Golpo শকুন || আরশি আয়াত
শকুন || আরশি আয়াত

১৩ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

শকুন || আরশি আয়াত (পর্ব -১৪ )


বসেই হিমানী ভাবছিলো সকালের ঘটনা।শামীম ওইভাবে হাঁটছিলো কেন রাস্তায়?সুই'সাইড করতে চাইছিলো?কিন্তু কেন?কিসের কষ্ট ওর?নাকি হিমানীর জন্য!না না এসব কি ভাবছে ও।এতদিন পর নিশ্চয়ই কষ্ট উথলে পরবে না যে একেবারে সুই'সাইড করতে হবে।তাহলে?
এসব ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ বিল্লাল স্যারের কর্কশ কঠিন গলা শোনা গেলো।তিনি আকাশ বাতাস কাপিয়ে ধমক দিয়ে বললেন,'এ্যাই মেয়ে এ্যাই,দাড়াও।ক্লাসে মনযোগ কোথায় থাকে?'
হিমানী কেঁপে উঠলো।তোতলানো স্বরে বলল,'আ আর হবে না স্যার।'
'এমন হলে ক্লাসে আসার দরকার নেই।আসলাম আর গেলাম দিয়ে কিচ্ছু হবে না জীবনে।ওই হাঁড়ি-পাতিলই মাজতে হবে।'
একাধারে অনেক কথা শুনিয়ে তবে শান্ত হলেন তিনি।অতঃপর সারা ক্লাস দাঁড়িয়েই কাটাতে হলো ওর।
ক্লাস শেষে হিমানী গেটের বাইরে এসে চোখ বুলালো রবিন এসেছে কি না বোঝার জন্য কিন্তু না দেখা যাচ্ছে না কোথাও।তারমানে এখনও আসে নি।ব্যাগ থেকে ফোন বের করে ওকে কল করতেই রবিন ফোন রিসিভ করে বলল,'দুইমিনিট অপেক্ষা করো।আসছি।'
'আচ্ছা।'
দু'মিনিট না,অবশ্য পাঁচ মিনিটই লেগেছিলো।এসেই বাধ্যগত প্রেমিকের মত কান ধরে সরি বলল সাথে একটা সদ্য ফোঁটা গোলাপও দিলো।হিমানীর ভালো লাগল,ভীষণ ভালো লাগলো।এই ছেলেটা এমন ই।রাগ করে থাকা যায় না।
আজ সারাদিন মাথাটা এলোমেলো ছিলো।সকালের ঘটনা তারওপর আবার অফিসের একগাদা কাজ।সব মিলিয়ে হ-য-ব-র-ল অবস্থা ওর।কোনোরকম কাজ শেষ করে অফিসে থেকে বেরিয়েই রুপাকে কল করলো।প্রথমবারে ধরলো না রুপা।দ্বিতীয়বারে ধরেই গম্ভীর স্বরে বলল,'আমি এসেছি পোড়াবাড়িতে।আপনি কোথায়?'
'আসছি।দশমিনিট লাগবে।'
'আচ্ছা আসুন।'
কল কেটে দিয়ে শামীম দ্রুত একটা রিকশা ডেকে উঠে পড়লো।হিমানীকে বলে কোনো লাভ হয় নি এখন রুপাকে বললে হয়তো ও সাহায্য করতে পারে কিন্তু শামীমের প্রচন্ড অপরাধ বোধ হচ্ছে।ও রুপার সাথে অনেক বাজে ব্যাবহার করে ফেলেছে।এখন কোন মুখ নিয়ে ওর সামনে দাঁড়াবে!
পোড়াবাড়িতে এসে রুপাকে খুঁজতে লাগলো শামীম।কল করলো দু'বার কিন্তু ফোন বন্ধ।নিচতলায় খুঁজে না পেয়ে বাড়ির দোতলার ছাঁদে উঠলো ও।এখানেও নেই।গেলো কোথায়?নাকি আসেই নি!শামীম পুরো ছাঁদ'টা ভালো করে ঘুরে দেখতে দেখতে হঠাৎই একটা শব্দ শুনতে পেলো।যেন কোনো ভারী কিছু পড়ে গেছে নিচে।তৎক্ষনাৎ দ্রুত পা চালিয়ে নিচে নামলো ও।আর নামতেই চোখের সামনে এলো বিভৎস এক দৃশ্য!শামীম বাকরুদ্ধ হয়ে গেলো।কতক্ষণ এভাবে দাঁড়িয়ে ছিলো বুঝতে পারলো না।হুশ ফিরলো দূরের কোনো এক মসজিদে ক্ষীণ আজানের ধ্বনি শুনে।আর এক মুহুর্তও দাঁড়ালো না এলোমেলো পায়ে বেরিয়ে পড়লো সেখান থেকে।বেরিয়েই ইফতির দাদুকে ফোন করলো।তিনি ফোন রিসিভ করতেই শামীম জড়ানোর স্বরে বলল,'দাদু,রুপাকে মেরে ফেলেছে।আমাকেও মেরে ফেলবে কি করব আমি?'
'শান্ত হও।আমার কথা শোনো।এখনই রুপার বাসায় যাও।সেখানে গেলেই সব বুঝতে পারবে।ওখান থেকে বের হয়ে এশার নামাজের পর আমার সাথে দেখা করবে।'
'আচ্ছা দাদু।'
শামীম দ্রুত রুপার বাসার দিকে ছুটলো।ওর বাসার সামনে এসে দু'মিনিট দাড়াতেই রুপার ভাই বের হয়ে এলো।শামীম ওর কাছে ছুটে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো,'তোমার আপু কোথায়?'
'আপু তো ঘরে।শুয়ে আছে।আপুর জ্বর এসেছে।'
'কখন?'
'গতকাল থেকেই তো জ্বর।আজ কলেজেও যায় নি।'
'ও আচ্ছা।'
'কিন্তু আপনি কে?'
ছেলেটার কৌতুহলী দৃষ্টি এড়াতে শামীম বলল,'আমি তোমার আপুর স্যার।ও আজকে যায় নি তো পড়তে তাই আসলাম দেখতে।'
'ও আচ্ছা।আপনি ভেতরে আসুন তাহলে।দেখা করে যান আপুর সাথে।'
'না,থাক।ও রেস্ট করুক।কাল দেখা হবে।'
বলেই শামীম দ্রুত সেখান থেকে চলে গেলো।

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 

 Follow Now Our Google News

সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।


চলবে ...

১৫ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

লেখক সংক্ষেপ:

তরুণ লেখিকা আরশি আয়াত সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। জানতে পারলে অবশ্যই তা কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হইবে।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন