উপন্যাস : শকুন
লেখিকা : আরশি আয়াত
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ইং
লেখিকা আরশি আয়াতের “শকুন” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশ করা হলো। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
শকুন || আরশি আয়াত |
১৫ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
শকুন || আরশি আয়াত (পর্ব -১৬ )
ফজরের আজান দেওয়ার আগের স্বপ্ন সত্যি হওয়ার কথা শুনেছে ও।তাই এখন কেমন চিন্তা হচ্ছে!আদৌ এই ভয়ানক স্বপ্ন সত্যি হবে?বুকের মধ্যে আকাশসম চিন্তা নিয়ে আবার শুয়ে পড়লো হিমানী।কিন্তু চোখের কোণে একফোঁটা ঘুমের দেখা মিললো না।অজানা আশঙ্কায় কেমন ভেতরটা ছেয়েঁ গেছে।
বিছানা ছাড়ার সময় কল এলো হিমানীর।রবিন কল করেছে।রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে ঘুমঘুম কন্ঠে বলল,'গুড মর্ণিং প্রিয়তমা।'
'গুড মর্ণিং।'
'দেখা করবে?'
হিমানী ভাবলো স্বপ্নের কথাটা রবিনকে জানাবে তাই সায় জানিয়ে বলল,'হ্যাঁ।আমার তোমাকে কিছু বলার আছে।'
'কি?'
'দেখা করে বলি?'
'আচ্ছা।সাড়ে দশটার সময় গলিতে দাড়াবে।'
'আচ্ছা।'
ফোন রেখে হিমানী চলে গেলো ফ্রেশ হতে।
আসরের আজানের পর ইকবাল হাসান শামীমকে জরুরি তলব করলেন।তাই অফিস টাইমের একঘন্টা আগেই শামীম তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা রাশেদ খানকে জানিয়ে চলে গেলো।এমনিতেও অফিসে এখন কাজের প্রেশার কম।তাই সহজেই ছাড়া পেলো ও।অফিস থেকে বেরিয়ে আগে আসরের সালাত আদায় করে তারপর ইকবাল হাসানের সাথে দেখা করতে গেলো শামীম।মসজিদের এককোনায় বসে জিকির করছেন তিনি।শামীমকে দেখে ইশারায় বসতে বললেন।ও বসল।কিছুক্ষণ পর জিকির সম্পূর্ণ করে তিনি প্রশ্ন করলেন,'নামাজ পড়েছো?'
'জ্বি,দাদু।'
'মাশাআল্লাহ!শোনো তোমার জন্য খুশির খবর আছে।'
'কি খুশির খবর দাদু?'শামীমের চোখেমুখে আশার আলো জ্বলজ্বল করে উঠলো।
ইকবাল সাহেব তার দাড়িতে হাত বুলতে বুলাতে বললেন,'এই সর্বনাশ থেকে বাঁচার একটা উপায় পেয়েছি।'
'কি উপায়?'
'আগামী অমাবস্যার আগে যদি তুমি কোনো কুমারী মেয়েকে বিয়ে করো তাহলে তোমার ওপর থেকে এই অভিশাপ কাটবে।তবে সেটা কোনোক্রমেই হিমানী হওয়া যাবে না।'
'তাহলে হিমানীর কিভাবে?'
'ওকে কেউ বাঁচাতে পারবে না।যদি বাঁচাতেই হয় তাহলে আগের উপায়েই বাঁচাতে হবে।এছাড়া আর কোনো পথ নেই।'
যতটা খুশি হবার কথা ছিল ঠিক ততটা খুশি হতে পারছে না শামীম!কেন?তার তো খুশি হবার কথা সে সহজেই বেঁচে যাবে তবুও কেনো যেনো মন মানছে না।তবে কি ভালোবাসা বাকি আছে এখনো?
শামীম ইকবাল সাহেবকে বিদায় জানিয়ে বেরিয়ে পড়লো।
হিমানী চিন্তিত!সকালে রবিনকে সে সব বলেছে কিন্তু রবিন ওর কথার গুরুত্বই দেয় নি!নিছকই স্বপ্ন মনে করে হেসে উড়িয়ে দিয়েছে কিন্তু হিমানীর মনে হচ্ছে না এটা নিছক কোনো স্বপ্ন!মনে হচ্ছে সত্যি কিছু হতে চলেছে।
কেবলই অস্থিরতা বাড়ছে।সিদ্ধান্ত নিতে বেগ পেতে হচ্ছে।মস্তিষ্ক বলছে 'চাচা,আপন প্রাণ বাঁচা।'আর মন বলছে,'নিজের ভালোবাসার মানুষের সাথে এমন হতে দেখতে পারবি তুই?'
দোলাচালে রাতটা কেটে গেলো ওর।এখনো কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে নি ও।সকালে অফিসের জন্য বের হয়ে রাস্তায় আসতেই দেখতে পেলো দূর থেকে হিমানী ওর দিকেই হাত নাড়তে নাড়তে আসছে।দ্রুত পায়ে হেঁটে ওর কাছে এসে বলল,'ইশ!আরেকটু লেট করলেই মিস করতাম তোমাকে।'
শামীম ব্যাঙ্গাত্মক হেসে বলল,'কেন?আমাকে আবার কি দরকার?'
হিমানী উদ্বিগ্ন স্বরে বলল,'তোমাকে কিছু বলার ছিলো।কোথাও বসতে পারি?'
শামীম হাত ঘড়িতে সময়টা দেখে বলল,'আধঘন্টা দিতে পারব।'
'চলবে।'
ওরা কাছের একটা রেস্টুরেন্টে বসলো।কাল রাতে হঠাৎই হিমানীর মাথায় এসেছিলো শামীমের কথাগুলো।বেশ ক'দিন আগে শামীম এমন কিছুই হয়ত বলেছিলো ওকে।তারমানে শামীম ওর কথাগুলো বুঝতো পারবে।হয়তো ও কিছু জানেও।তাই সকাল হতে না হতেই বেরিয়েছে শামীমের সাথে দেখা করার উদ্দেশ্যে।
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
Follow Now Our Google News
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
চলবে ...
১৭ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা আরশি আয়াত সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। জানতে পারলে অবশ্যই তা কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হইবে।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন