উপন্যাস : শকুন
লেখিকা : আরশি আয়াত
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ইং
লেখিকা আরশি আয়াতের “শকুন” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশ করা হলো। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
শকুন || আরশি আয়াত |
১৬ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
শকুন || আরশি আয়াত (পর্ব - ১৭)
রেস্টুরেন্টে এসে দম ফেলে বসার আগেই শামীমের ফোন এলো।ইফতি ফোন করেছে।রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে কাঁপা গলায় ও বলল,'দোস্ত,দাদু একটু আগে স্ট্রোক করে মারা গেছে।'
খবরটা শুনে মুহুর্তেই বাক শূন্য হয়ে গেলো শামীম।কি বলবে বুঝতেই পারল না!কল কেটে গেলো।মূর্তির মত বসে রইলো সেখানেই।সামনে বসা হিমানীর চোখেমুখে বিচলতা!বারবার জিজ্ঞেস করেও কিচ্ছু জানতে পারলো না।কিছু সময় পর হুশ ফিরতেই হন্তদন্ত হয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে গেলো শামীম।ইফতির বাড়ির পথ ধরলো।পিছুপিছু হিমানীও বের হলো কিন্তু ওর নাগাল পেলো না।
সিএনজি'তে বসে কেবল একটা কথাই চিন্তা করছিলো শামীম মৃত্যুটা কি স্বাভাবিক?হঠাৎই শামীমের খেয়াল হলো সামনের দিক থেকে দ্রুতবেগে একটা মালবাহী ট্রাক আসছে।সিএনজির ব্রেকও কাজ করছে না।সামনে নিশ্চিত মৃত্যু!শামীম উপায়ন্তর না পেয়ে সিএনজি থেকে বাইরের দিকে লাফিয়ে পড়লো।বিপরীত পাশ থেকে আসা একটি চলন্ত বাসের সাথে ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়লো কিছুদূর!তাজা র'ক্তে পিচঢালা কংক্রিটের রাস্তা ক্রমেই লাল হয়ে উঠছে!থেমে গেছে যানবাহন,জড়ো হচ্ছে মানুষ।সিএনজিতে ড্রাইভার আর শামীম ছাড়া আর কেউ ছিলো না।ঘটনাস্থলের লোকজন ধারণা করছে ড্রাইভার মা'রা গেছে আর যাত্রী হয়তো বেঁচে আছে তবে গুরুতর আহত হয়ে।অ্যাম্বুলেন্সে দু'জনকেই হাসপাতালে নেওয়া হলো।কর্মরত ডাক্তার'রা ড্রাইভার'কে মৃত ঘোষণা করলেন আর শামীমকে দ্রুত আইসিইউতে নেওয়া হলো।অবস্থা বেশি ভালো না।অনেক রক্ত ক্ষরণ হয়েছে।শামীমের ফোন থেকে ফোন করা হলো ইফতি আর হিমানীকে।এছাড়া কললিস্টে তেমন কারো নাম নেই।
ইফতি আসার আধামিনিটের ব্যবধানে হাজির হলো হিমানী।চোখেমুখে রাজ্যের ভয়।এসেই হন্তদন্ত হয়ে বলল,'কি হয়েছে শামীমের?'
'এক্সিডেন্ট করেছে।এখন আইসিইউতে আছে।'বিমর্ষ স্বরে বলল ইফতি।
'আমার সাথে সকালে দেখা হয়েছিলো ওর বাসা থেকে একটু সামনেই।কিছু কথা বলার ছিলো তাই আমরা একটা ক্যাফেতে বসেছিলাম কিন্তু হঠাৎ একটা কল আসতেই শামীম প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেলো।তারপর কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থেকে তাড়াহুড়ায় উঠে গেলো।মনে হচ্ছিল খারাপ কেনো সংবাদ শুনেছে।'
হিমানীর কথা শুনে ইফতি বলল,'চলো তো দেখি কার সাথে কথা বলেছে ও?'
'কিন্তু ওর ফোন কার কাছে?'
'পুলিশ স্টেশনে।'
'ওরা দেবে?'
'দেখি দেয় কি না!'
হিমানী আর ইফতি পুলিশ স্টেশনে গেলো।পুলিশ অফিসার সোহেল রহমান বললেন,'এখনই আপনাদের তলব করতাম।তবে ভালোই হলো নিজ থেকে এসে গেছেন।'
ইফতি বলল,'অফিসার আমরা একটু শামীমের ফোনটা দেখতে চাই।'
'ওটা প্রায় ভেঙে গেছে।আমরা ওটার ডাটা ট্রান্সফার করে দেখেছি আপনাদের দু'জন ছাড়া আর কারো নাম্বারই সেভ নেই ওনার ফোনে।কি হন আপনারা ওর?'
'বন্ধু।'ইফতি বলল।
'ওনার ফ্যামিলির কেউ নেই?'
'না ও এতিম।'
'আপনারা বসুন।প্রাথমিক জিজ্ঞাসা হবে।'
ওরা বসলো।শামীমের সম্পর্কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসা শেষে ওদের যেতে দেওয়া হলো তবে যাওয়ার আগে জানতে পারলো গত একদিনে ওর ফোনে কোনো কল আসেও নি,যায়ও নি।কথাটা শুনে হিমানী বিষ্ময়ে বাকরুদ্ধ।ইফতিও বুঝলো না কিছু কি হলো!
পুলিশ স্টেশন থেকে বের হতেই দেখলো ইফতির দাদু এসে পৌঁছালো মাত্রই।ইফতি ইকবাল সাহেবকে দেখেই বলল,'দাদু,কি হয়ে গেলো বলো তো!'
'চিন্তা করিস না।সব ঠিক হয়ে যাবে।আমি হাসপাতালে গিয়েছিলাম।ওর এখনো অপারেশন চলছে।'
ইকবাল সাহেব হিমানীকে দেখেই চিনতে পারলো।নিশ্চয়ই কিছু একটা হয়েছে লোকচক্ষুর অগোচরে।সেটা জানতে হবে।তবে সেটা শামীম ছাড়া আর কেউ বলতে পারবে না।তাই সবাই চাইলো শামীম তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক।
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
Follow Now Our Google News
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
চলবে ...
১৮ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা আরশি আয়াত সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। জানতে পারলে অবশ্যই তা কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হইবে।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন