উপন্যাস       :        আদিল মির্জা'স বিলাভড
লেখিকা        :         নাবিলা ইষ্ক
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         ১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ ইং

লেখিকা নাবিলা ইষ্ক-র “আদিল মির্জা'স বিলাভড” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশ করা হলো। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২৫ সালের ১৭ই অক্টোবর থেকে লেখা শুরু করেছেন।

আদিল মির্জা'স বিলাভড || নাবিলা ইষ্ক
আদিল মির্জা'স বিলাভড || নাবিলা ইষ্ক

আদিল মির্জা'স বিলাভড || নাবিলা ইষ্ক (পর্ব - ৬)

পুরো তিনতলাটা আদিলের অধীনে আছে। এই তলাতেই বানানো হয়েছে তার বেডরুম, অফিসরুম, জিমরুম। ডানদিকের করিডোরের শেষ মাথায় বেডরুম-টা। জিমরুম বাম দিকের শেষ মাথায়। জিমরুমের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে এলেন। হাতে ঠান্ডা পানির বোতল। আশেপাশে শান্তর কোনো চিহ্ন নেই। ছেলেটা কোথায় গেলো? এযাত্রায় জিম শেষ করে জিমরুম থেকে বেরিয়ে এলো আদিল। হাতে পাতলা তোয়ালে। পরনে ট্যাঙ্ক টপ, শর্টস। ঘামে ভেজা শরীরটা ধাতুর মতো দেখাল। কাঁধের মাংসপেশিগুলো কেমন শক্ত হয়ে আছে। বুকের ওঠানামার গতি তখনো সামান্য অস্বাভাবিক। প্রতিটি নিঃশ্বাসে পরিশ্রমের ছাপ স্পষ্ট। এলেন পানির বোতলটা এগিয়ে ধরল সাথে জানাতে থাকল গুরুত্বপূর্ণ কাজের বিষয়গুলো। করিডোর বেয়ে হাঁটতে হাঁটতে বোতলে ঠোঁট ছুঁয়েছে আদিল। নীরবতা চিড়ল শান্তর উচ্চস্বর -

‘গুড মর্নিং, বস। গুড মর্নিং।’

আদিলের নির্ঘুম চোখদুটো লাল। বেশ ভয়ংকর দেখাল যখন চোখ রাঙিয়ে তাকাল। নড়েচড়ে ওঠে শান্ত। সারারাত নির্ঘুম থেকেও মনের মধ্যে যেই স্বতঃস্ফূর্ততার হাওয়া বয়ে যাচ্ছে তা দমাল। কুটিল হাসল ভেতরে। বস-কে ভালো জব্দ করা যাবে ওই আনন্দে সে দিকবিদিকশুন্য -

‘মিস রোযাকে বলে দিয়েছি তার আজ প্রিন্সেসকে নিয়ে স্কুল যেতে হবে না।’

আদিলের চলন্ত পা-জোড়া হঠাৎ করে থামল। দু-ভ্রুয়ের মধ্যিখানে অজস্র ভাঁজ ফেলে প্রশ্ন করল -

‘তা কেনো?’

দ্বিগুণ উচ্ছ্বাস নিয়ে শান্ত বলল -

‘বস, ভুলে গেলেন? আজ না আপনি প্রিন্সেসকে স্কুল নিয়ে যাবেন?’

আদিল থমথমে মুখে দু-পা এগুতেই শান্ত কয়েক পা পিছিয়ে গেলো। আদিল দাঁতে দাঁত পিষে আওড়াল -

‘আর ইউ ফা-ক-কিং জোকিং উইদ মি?’

শান্ত ভয়ে সিঁটিয়ে গেলো। নির্বোধ সাজল। চোখমুখে চিন্তার রেখে। অসহায় হয়ে জিজ্ঞেস করল -

‘কিন্তু বস, ইউ ডোন্ট লাইক বিং অ্যারাউন্ড ন্যানিস। আমি কি ভুল জানতাম?’

আদিল গম্ভীরমুখে ডাকল, ‘এলেন!’

‘ইয়েস, বস।’
‘বিট হিম আপ ফর মি।’

এলেন বিরক্ত হয়েছিল। বসের হুকুম পেয়ে বরংঞ্চ খুশি সে। দ্রুতো শান্তকে কয়েক ঘা দেওয়ার জন্য এগুতেই শান্ত আত্মসমর্পণ করতে দু-হাত তুলে তুলল। কাজের কাজ হলো না। এলেন আসলেই ওকে মার তে ব্যাকুল, শান্ত নিজেকে বাঁচাতে। আদিল রুমে এসে গোসলে ঢুকল। গোসল শেষ করে যখন বেরুলো তখুনি কফিটা নিয়ে এলো শান্ত। আদিলের কোমরে কালো রঙের তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখা। কফির মগটা ট্রে থেকে নিয়ে এসে দাঁড়াল দেয়াল সমান কালো কাঁচের জানালার সামনে। ভেতর থেকে বাইরেটা দেখা গেলেও, বাইরে থেকে ভেতরেটা দেখা সম্ভব না। গার্ডেনার — ইলিয়াস উদ্দিন সাহেব গাছের আগাছা কাটছেন। তার সামনে যেই কালো রঙের কুকুরটা, এটা আদিলের। আদিলের দুটো কুকুর। আরেকটা সাদা রঙের। এই দুই কুকুর সম্পর্কে আপন ভাই। ইতালি থেকে আনা হয়েছিলো। বিশালদেহী, ভয়ংকর দেখতে হলেও কাছের মানুষদের কাছে একেবারে বাচ্চা। কালো কুকুরটির নাম তিতান, সাদাটার থোর। গার্ডেনার ইলিয়াস সাহেবকে তিতান বেশ ভালো পায়। ভদ্রলোক মিষ্টিভাষী, সুশীল আর ভীষণ দয়ালু। এইযে বাম হাতে তিতানের মাথাটা মালিশ করে দিতেই ওই বিশালদেহী তিতানে আহ্লাদে আটখানা। কফিতে চুমুক বসিয়ে ফিরে তাকাল আদিল। শান্তকে আড়চোখে দেখে বলল সময় নিয়ে -

‘হৃদি ওর ন্যানিকে পছন্দ করে।’

শান্ত মনে মনে হাসল। বসের ইঙ্গিত বুঝেও না বোঝার মতো করে থাকল। তিরস্কার করল, ‘হে হে বস, আপনি স্বীকার করেন আপনি চাচ্ছেন মিস রোযা সাথে যাক। শুধু শুধু প্রিন্সেসকে টানছেন।’ মুখে বাধ্য গলায় বলল -

‘প্রিন্সেস আসলেই ভীষণ পছন্দ করে মিস রোযাকে। রীতিমতো চোখে হারায়।’

আদিল মহা বিরক্ত হলো। শান্ত তার ইঙ্গিত বুঝছে না? শান্ত? আদিল এমনভাবে তাকাল যে শান্তর বুকের ভেতরের প্রাণপাখি ডানা ঝাপটাতে শুরু করল আতঙ্কে। গায়ে কাটা দিয়ে উঠল। ঢোক গিলে দ্রুতো বলল -

‘আমি গিয়ে বলছি মিস রোযাকে— টু গেট রেডি।’

আদিল সন্তুষ্ট হলো। শান্ত বেরিয়ে যেতেই সে ফের তাকাল গার্ডেনের দিকে। চোখের পাতায় ভাসল সেদিনের দৃশ্যটুকু —বাতাসে উড়ছিল ব্রাউনিশ চুল। সুন্দর মুখে ওমন তেজস্বিনীর স্পর্শে এক আলাদাই ভাব ছিল। ধারালো চোখের দৃষ্টি, তাঁক করা পিস্তল আর ওমন কোকিলের মতন কণ্ঠে রুক্ষ ভাবে বলা কথাগুলো। আদিল চোখ দুটো বন্ধ করে, মিস— রোযা! মিস রোযা!!

এলেন ভেতরে এলো ব্রেকফাস্টের ট্রলি ঠেলতে ঠেলতে। দুয়ারে দাঁড়িয়ে আছে মরিয়ম বেগম। সেই এনেছে ব্রেকফাস্ট। আদিল নিজেকে শান্ত করে বলল -

‘ডাইনিংয়ে ব্রেকফাস্ট লাগাতে বল।’

———

রোযা পেছন থেকে জড়িয়ে ধরল ছোটো শরীরটা। কোকড়ানো চুলগুলো মুখের সামনে থেকে সরিয়ে দিয়ে কপালে ঠোঁট ছোঁয়াল। ঘুমের মধ্যেও আহ্লাদে আটখানা হৃদি। দু-হাতে কাউকে খুঁজছে। রোযার গলা শুনে গোমড়া মুখে অস্পষ্ট দৃষ্টিতে তাকাল। রোযা হাসল -

‘কী হয়েছে? মুখটা এমন করে রেখেছো কেনো?’

হৃদি অন্ধের মতো উঠে এলো রোযার কোলে। গলায় মুখ গুঁজে আওড়াল -

‘স্নো-হোয়াইট, তুমি আমার সাথে থাকো না, প্লিজ? আমার একা ঘুমোতে ভালো লাগে না।’

রোযা অসহায় হয়। দু-হাতে হৃদির ঘুমন্ত মুখটা তুলে নরম গালে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়। এতটুকু মেয়েটার এমন আবদারে কীভাবে পাথর হয়ে থাকবে রোযা? সে যে বরাবরই দুর্বল -

‘তুমি না সাহসী? আমার সাহসী প্রিন্সেস। তার মুখে এসব মানায় বুঝি?’
‘জানি না৷ আই ওয়ান্ট ইউ টু স্টে উইদ মি ফরএভার।’

রোযার বুকের ভেতরটা যেন কেউ খামচে ধরে। এতো যন্ত্রণা হয়! অসহায় হয়ে পড়ে। নীরবে শুধু আরও গাঢ়ভাবে জাপ্টে ধরে ছোটো শরীরটা৷ একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে আনমনা। র ক্তের তো কেউ নয় তারা। তাহলে কেনো এতো মায়া? এতো ভালোবাসা?

‘সারাদিনই তো সাথে থাকি, সোনা। জাস্ট রাতটুকু একা থাকতে পারবে না? আমার জন্য?’

হৃদি মাথা দোলাল বাধ্য মেয়ের মতো। নিবিড়ভাবে গলে রইল রোযার উষ্ণ বাহুতে। মেয়েটা এতো বুঝদার, লক্ষ্মী! অনেকটা সময় পেরুল। ঘড়ির কাটা ছ'টা পেরিয়েছে। এবারে হৃদিকে কোলে নিয়ে উঠে দাঁড়াল রোযা। ওয়াশরুম নিয়ে গিয়ে ফ্রেশ করিয়ে আনলো। স্কুলড্রেস পরিয়ে চুল বেঁধে দিচ্ছিল ওসময় দরজায় করাঘাত পড়ল -

‘মিস রোযা!’

হৃদির চুলটা বাঁধা শেষ করে রোযা এগিয়ে এলো। দরজাটা চাপানো ছিলো। বাইরে থেকে কিছুটা খুলে শান্ত মিষ্টি মুখে বলল -

‘বস বলেছেন, আপনাকেও যেতে হবে। প্রিন্সেস আপনাকে কাছে পেলে কম্ফোর্টেবল ফিল করে।’

রোযা আশ্চর্য হলো। হবে না? আদিল মির্জা প্রায়শই হৃদিকে নিজে স্কুলে দিয়ে আসেন। কখনো রোযাকে সাথে যেতে হয়নি, বলা হয়নি। বডিগার্ডস ব্যতীত কাজের লোকের কাউকেই নেয়া হয় না। তবে আজ? হঠাৎ এমন আদেশ শুনে সে হতবাক বটে। শান্ত ফের বলে -

‘ব্রেকফাস্ট করার জন্য নিচে বস অপেক্ষা করছেন প্রিন্সেসের। সে রেডি?’
‘হু…কিন্তু…’

শান্ত আরও চমৎকার হেসে বলল -

'তাহলে তাকে নিয়ে নামুন? আপনাকে ছাড়া প্রিন্সেস আনকম্ফোর্টেবল ফিল করবে।’

রোযা এবারে আশ্চর্য হয় না। শুধু নির্বিকার ভাবে চেয়ে আছে,

‘বডিগার্ড শান্ত…’
‘বলুন মিস রোযা?’

রোযা হাসার চেষ্টা করে, ‘আর ইউ জোকিং উইদ মি?’

শান্তর হাসি মুছে যায়। সে ফ্যালফ্যাল চোখে কিছুক্ষণ রোযার রুষ্ট মুখের দিকে চেয়ে থাকল। বসের আর মিস রোযা্র — আর ইউ জোকিং উইদ মি, একসাথে প্রতিধ্বনি তুলল! রোযা থমথমে গলায় বলে গেলো -

‘স্যার পাশে থাকলে হৃদি সবচেয়ে বেশি খুশি হয়। জগৎ-সংসার ভুলে বসে আর আপনি বলছেন ও আনকম্ফোর্টেবল ফিল করে? আমাকে এসব লেইম কথাবার্তা বলবেন না। ও রেডি আছে, আমি আনছি… নিয়ে যান।’

রোযা ভেতরে চলে গেলো। শান্ত তখন অশান্ত। বারবারে তাকাল ফাঁকা দরজায়! আওড়াল -

‘মিস রোযা, তিনি…তিনি ভীষণ.. ভীষণ চমৎকার তো।’

বলতে বলতে হেসে ফেলল। সে পরিষ্কার তার বসের কালো মুখ কল্পনা করতে পারছে। সারাজীবন তাদের মুখ কালো করে রেখেছে না? এখন কেউ এসেছে তার মুখ কালো করতে। শান্তর মনের ভেতরের পাখি উত্তেজনায় দিশেহারা প্রায়।

———

আদিল ভেবেছিল হৃদিকে নিয়ে মিস রোযা আসবে। অথচ মিস রোযার চিহ্ন মাত্র নেই কোথাও। মেয়েকে কোলে নিয়ে আদিল আড়চোখে শান্তর দিকে তাকালে শান্ত অসহায় মুখ করল। এই বিষয়ে কোনো প্রশ্ন করতে পারল না আদিল। কী প্রশ্ন করবে?

‘ড্যাড…’

আদিল তাকাল তার কোলে বসা সাতসকালের স্নিগ্ধতায় মোড়ানো মেয়ের দিকে। হৃদির চুলের স্টাইলটা কী দারুণ! দুটো বিনুনি করা। শুরু হয়েছে কপালের চুল থেকে। ছোট্ট রঙবেরঙ ক্লিপস বিনুনি জুড়ে। হাত বাড়িয়ে গাল ছুঁয়ে বলল -

‘বলো সোনা…খাচ্ছো না কেনো?’

হৃদি একটু সংকোচ করল। পরমুহূর্তেই বাবার চোখের আস্থা দেখে বিড়বিড় করে বলল -

‘আমার স্নো-হোয়াইট এখনো ব্রেকফাস্ট করেনি। ক্যান ইউ সেন্ড সাম ফুড ফর…’

হৃদি আবদারটুকু পুরোপুরি বলতেও পারেনি। আদিলের অধৈর্য্যে কণ্ঠের আদেশ পড়ল -

‘মিস রোযাকে আসতে বল।’

শান্ত আর এলেন চাওয়াচাওয়ি করে নিলো নিজেদের মধ্যে। শান্ত ভেতরে ভেতরে চিৎকার করে উঠল, ‘বস, আপনি স্বীকার করুন আপনি মিস রোযাকে দেখতে চাইছেন। আফসোস, মিস রোযা আপনাকে মোটেও দেখতে চায় না। চায় কী? সামনে আসতেই চায় না। সো স্যাড…’

রোযা গোছাচ্ছিল হৃদির রুমটা। হঠাৎ আদেশে হতভম্বও হতে পারেনি। দ্রুতো পা চালাল। ভেতরে সমগ্র পৃথিবীতে অবশিষ্ট চিন্তাভাবনা বিরাজ করলেও, মুখে সাবলীল হাবভাব। বেশ ভদ্র ভাবে এসে দাঁড়াল ডাইনিং-এর পাশে। দৃষ্টি জমিনে রাখল। ঘরভরতি কাজের লোক, বডিগার্ডসের মধ্যে তাকে কোন কাজে লাগল? মরিয়ম বেগম মাথা নুইয়ে দাঁড়িয়ে আছেন কিছুটা দূরে।

‘আ ভেরি গুড মর্নিং, স্যার।’

আদিল মাথা তুলে তাকাল সঙ্গে সঙ্গে। হাতের নাইফ আর ফোর্কের কাজ থামাল। কাছ থেকে দেখা গেল রোযার সুন্দর মুখখানি। একটু সময় নিয়ে মুখ খুলল -

‘মর্নিং মিস –রোজ আ….’

গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল রোযার। ভেতরের ওমন দুঃশ্চিন্তা, কুইঙ্গিতটা আবার উঁকি দিল। কেমন অদ্ভুত সম্বোধন! রোযা সরাসরি কেনো ডাকল না? নামই তো ডাকার প্রয়োজন নেই। দৃষ্টি তুলে তাকাল। আদিল চেয়েইছিল। তার ধূসর চোখের ওমন গাঢ় দৃষ্টিতে দৃষ্টি রেখে রোযা ঘাবড়াল…. বাজেভাবে! ধড়ফড়িয়ে উঠল হৃৎপিণ্ডের।

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 


 Follow Now Our Google News



চলবে ...

৭ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:

তরুণ লেখিকা নাবিলা ইষ্ক সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। জানতে পারলে অবশ্যই তা কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হইবে।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন