কবিতা : আর্তনাদের পুকুরে পাহাড়ি বালিকার স্নান
কবি : শিমুল চৌধুরী ধ্রুব
গ্রন্থ : নিষিদ্ধ পাণ্ডুলিপি
প্রকাশকাল : বইমেলা ২০২০ ইং
রচনাকাল : ০৬ মে, ২০১৯ইং
বহুল পরিচিত কবি ও সাংবাদিক শিমুল চৌধুরী ধ্রুবর “আর্তনাদের পুকুরে পাহাড়ি বালিকার স্নান” তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ 'নিষিদ্ধ পাণ্ডুলিপি' থেকে নেয়া হয়েছে৷ কবি এই কবিতাটি ২০১৯ সালের ০৬ মে ভোর রাতে বাংলাদেশের বরিশালে বসে লিখেছেন।
![]() |
আর্তনাদের পুকুরে পাহাড়ি বালিকার স্নান || শিমুল চৌধুরী ধ্রুব |
আর্তনাদের পুকুরে পাহাড়ি বালিকার স্নান || শিমুল চৌধুরী ধ্রুব
সেদিনের ধুলোবালির কাদাটে মুখটা
আজো যেনো আঁধার গুলো অবিরাম
কেটে যাচ্ছে খণ্ডকালীন আলোর রেখায়
চৌকাঠে সেই মুখের আলতো আভা ছড়িয়ে
পড়ার কথা ছিল, অথচ কৃত্রিম উত্তাপে
প্রতিনিয়ত সেঁকে নিতে হয় প্রেমহীন ভারপ্রাপ্ত শরীর
শোকাভিভূত শহরটার ধূসর রঙের
ব্যামোগুলো ভুল করে গুজে দেয়া চুলের
খোঁপার তুলি দিয়ে ধীর নীরবতায় যেন
রুটিন মাফিক মুছে দিচ্ছে নিবিড় উচ্ছাসে।
রোজ নিয়ম করে কান পেতে দেখো সড়ক
দ্বীপের বুকে, নিঃসঙ্গ সোডিয়াম বাতির বুকে,
তারও আছে বিশাল গভীর আর্তনাদের পুকুর।
শহুরে ফুটপাতের বিবর্ণ কুকুর গুলোও
কিঞ্চিৎ উষ্ণতা খোঁজে দূর পাহাড়ি বালিকার চোখে
মানুষ হয়ে সেই দাবিটা কোন অন্যায় নয় নিশ্চয়!!
লেখক সংক্ষেপ :
কবি শিমুল চৌধুরী ধ্রুব তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ 'নিষিদ্ধ পাণ্ডুলিপিতে' নিজের পরিচিতি সম্পর্কে লিখেছেন ❝নাম, ধাম, বয়স, জন্ম, সময়-বিবিধের বেড়াজালে আমি কোনোদিন হারাতে চাইনি এবং ভবিষ্যতেও চাইনা। বইয়ের শেষ পৃষ্টা উল্টিয়ে কবি'র পরিচয় পাওয়া কি আদৌ সম্ভব! কবি যুবক নাকি বৃদ্ধ, ধনী নাকি দরিদ্র, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত কিনা, এসব আমার কাছে বরাবরই অপ্রাসঙ্গিক। কবির পরিচয় নিহিত থাকে মূলত তার সন্তানসম কবিতায়।আমার পরিচয়ের কথা যদি বলতেই হয়, সেক্ষেত্রে আমি অতি সাধারণ এবং নগন্য এক মানুষ। এর বাইরে দেবার মতো পরিচয় আমার নেই।❞
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন