উপন্যাস       :         তোমায় ঘিরে
লেখিকা        :         জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         ০৬ অক্টোবর, ২০২২ ইং

লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “তোমায় ঘিরে” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের অক্টোবরের ৬ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান

৬২ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ৬৩)

ডাক্টারঃকংগ্রেচেলেশন মিস্টার চৌধুরী। আপনি আবারো বাবা হচ্ছেন।
নিলয়ঃবাহ। আবারো ছক্কা মারলি।এইবার ও জমজ নাকি?
আরাফঃতোরে কি আমি ধরে রেখেছি।সব বের হয় নিজ নিজ বউ নিয়ে। যাও বলছি।
সবাই হাসতে হাসতে বের হয়ে গেলো।
নবনি চোখ খুলে আরাফ এর হাত ধরে।
নবনিঃকি হয়েছিলো আমার?
মেহরাবঃআম্মু আম্মু জানো। আম্মার ছুটো ভাই আসবে।
আদ্রিতাঃনা ছুটো বোন আব্বে।
নবনিঃকি বলছে ওরা?আরাফ।
আরাফঃঠিকিই বলছে।আমাদের আরো একটা ছোট্ট রাজকুমার বা রাজকুমারী আসছে।
নবনিঃসত্যিই?
আরাফঃহুম।
আরাফ নবনিকে জড়িয়ে ধরলো।
নিলয়ঃমিষ্টি খাওয়াবি না রে?
নবনি লজ্জা পেয়ে আরাফ থেকে সরে আসলো।
তানভীরঃহ্যা স্যার মিষ্টি না খাওয়ালে হবে না।
আরাফঃতোমরা আবার এসে পরেছো।কি চাই?
নিলয় আর ওয়ারদাঃনবনি ভাবীকে নিতে এসেছি।
ওয়ারদা আর বিথি নবনিকে টেনে নিয়ে চলে গেলো।
আরাফঃহচ্ছেটা কি?
রাজঃউফফ।আমি আসছি দেখছো না?চলো নিচে আড্ডা দিবো।
আরাফঃআচ্ছা চলো।
সবাই গোল হয়ে বসেছে। আদ্রিতা মেহরাব নূর এর সাথে খেলছে।
আরাফঃতো কি খেলবো? আমরা। 
রাজঃগানের কল খেলি।
আরাফঃআচ্ছা।
নিলয়ঃআমি আগে।
তানভীরঃআচ্ছা ঠিক আছে।আমরা দুইটা টিম হয়ে যাই।আরাফ স্যার আমি আমি রাজ স্যার। আর নিলয় স্যার ওয়ারদা ম্যাম নবনি ম্যাম আর বিথি। 
নিলয়ঃএটা কেমন টিম?সব মেয়ে আমার দলে!আরাফঃতোর দলে ৩ টা মেয়ে আর তুই। ৪ জন। আর আমরা ৩ জন।
নবনিঃএই না।হবে না।মেয়েরা এক টিম এ। ছেলেরা আর এক টিমে যাও।
আরাফঃএহ! পারবা নাতো। 
নবনিঃবলছে আপনাকে।
নিলয় চট করে উঠে আরাফ এর টিম এ চলে গেলো।
নিলয়ঃভাবি যেটা বলছে সেটাই।স্টার্ট।
তানভীর গান গাওয়া শুরু করলো।তারপর একে একে সবাই।শেষে দ দিয়ে গাইতে হবে।যে দল গাইবে সেই দল জিতবে।কেউক দ দিয়ে পারছে না।নবনি আরাফ এর মুখ চেপে ধরলো।
নিলয়ঃএটা কি হলো?
ওয়ারদাঃটিক টিক ১। টিক টিক ২। 
নিলয়ঃএগুলো ঠিক হচ্ছে না।আরাফকে গাইতে দেন ভাবী।এটা চিটিং।
নবনিঃকোনো চিটিং ফিটিং জানি না।
আরাফ নবনি হাতে কামড় দিয়ে দিলো।
নবনিঃআহহহ।রাক্ষস।
আরাফঃআমি রাক্ষস হলে তুমি রাক্ষসনী।আমাকে তুমি আটকাতে পারো না।আজকে আমি এটা গাইবোই।তিন বাচ্চার বাপ হওয়ার খুশিতে হলেও আমাকে এটা গাইতে হবে।আর গাইবো কি আজকেতো আমি নাচবোই।
আরাফ নবনির হাত ধরে টেনে এনে কোমরে এক হাত রাখলো আর এক হাতে নবনির হাত রেখে নাচতে লাগলো।

Dil Ibadat kar raha hai 
Dharkane meri sun 
Tujhko mai kar lu hasil lagi hai ye hi dhun 
Zindigi Ki Shak se lu 
Kuch hasi pal mai chun
Tujhko mai kar lu hasil lagi hai ye hi dhun 

আরাফঃনবনি পাখি।আই লাভ ইউ সো মাচ। এন্ড থ্যাংকস আ লট। আমাকে এতো গুলো ভালোবাসা দেয়ার জন্য।আমার বাবুদের মা হওয়ার জন্য।
নবনি~
ভালোবাসি আরাফ পাখিটা।
৬ মাস পানির স্রোতের মতো চলে গেলো।আজ নবনি আর বিথির ডিলেভেরি। দুইজনকে ভিতরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।আরাফ বাইরে পায়চারি করছে।
তানভীরঃস্যার।আপনি এমন করছেন কেন?আমার নাহয় প্রথমবার। কিন্তু আপনারতো দ্বিতীয় বার।
আরাফঃপ্রথম দ্বিতীয় বলে কিছুই নেই।সব বেবি তার আলাদা অনুভূতি নিয়ে আসে। সবাই স্পেশাল। তুই বুঝবি না চুপ থাক।
তানভীরঃএতক্ষন লাগছে কেনো?আমি কি একবার ভিতরে যেয়ে দেখবো?
আরাফঃআমারও মনে হয় একবার যেয়ে দেখে আসা উচিত।
নিলয় হো হো করে হেসে দিলো।যেমন স্যার তেমনই এসিস্ট্যান্ট। তোমরাতো ঘুরতে আসছো এখানে।তোমাদের যেয়ে দেখতে দিবে।চুপ করে বসে থাকো এখানে।
আরাফ পাত্তা না দিয়ে ভিতরে যেতে নিলে মেহরাব আদ্রিতাও জিদ করতে থাকে তারাও যাবে।
আরাফঃআহায়া।মহা মুসিবততো। বাচ্চাদের হাসপাতালেই আসতে দেয় না। কত কষ্ট করে নিয়ে আসলাম। এখন এরা ভিতরে যেতে চাচ্ছে।কেমনটা লাগে।
নিলয়ঃযা যা এখন যা ভিতরে।যাচ্ছিস না কেন!!
আরাফ কটমট করে নিলয়ের দিকে তাকায় যেন ওরে খেয়েই ফেলবে।
আরাফঃআচ্ছা বাবা।আমরা কোথাও যাবো না।আমরা অপেক্ষা করি। 
ডাক্টারঃআর অপেক্ষা করতে হবে না।এই নেন আপনার ছেলেকে।
আরাফ বেবিকে কোলে নেয়।মেহরাব আদ্রিতাও কোলে।নিতে চাচ্ছে।
তানভীরঃআমারটা কই।
অন্য একটা নার্স নিয়ে আসলো।এই নিন আপনার মেয়ে হয়েছে।
নিলয়ঃকংগ্রেচলেশন বোথ অফ ইউ।
আরাফঃনবনির সাথে দেখা করতে পারবো।
ডাক্টারঃহ্যা। যান।
আরাফ বাবুকে নিয়ে নবনির কাছে চলে গেলো।মেহরাব আদ্রিতাও যেয়ে নবনিকে জড়িয়ে ধরলো।
মেহরাবঃআম্মু তুমি কিমন আছো?
নবনিঃআমি ভালো আছি।বাবাই। 
আদ্রিতাঃআম্মু।আব্বু নূরকে ভাইয়ার কাছে দিয়েছে বলে ভাইয়া আমাকে নূরকে ধরতেও দেয় না।নতুন ভাইকে আমার কাছে দিবে।
আরাফঃআচ্ছা। এই নাও। 
আদ্রিতা বাবুকে কোলে নিয়ে অনেক খুশি।
মেহরাবঃআব্বু।ভাইয়ের নাম কি?
মেহরাব নবনি একে অপরে দিকে চাওয়া চাওয়ি করছে।
আরাফঃওর নামতো ভাবিই নাই আমরা।তোমরাই বলো।
আদ্রিতাঃআদ্রিয়ান রাখি?
আরাফ স্তব্ধ হয়ে গেলো। 
আরাফঃমা তুমি এই নাম এই কই পেলে?
আদ্রিতাঃআমার নাম এর সাথে মিল করে বলেছি আব্বু।আদ্রিতা আদ্রিয়ান। কিনো?
নবনিঃকি হয়েছে আরাফ?নাম পচ্ছন্দ হয় নেই?
আরাফঃআদ্রিয়ান নামটা আমি আমার প্রথম ছেলের জন্য রাখতে চেয়েছিলাম।কিন্তু মেহরাব নাম রাখায় আমি এই নাম এর কথা ভুলেই গিয়েছিলাম।
আদ্রিয়ান নাম এর অর্থ যোদ্ধা।
তাই এই নামটা আমার অনেক প্রিয় ছিলো।
নবনিঃযাক তাহলেতো ভালোই হলো। বাবা মেয়ের পচ্ছন্দমতো নাম আমাদের ছোট্ট বাবুটার। 
আদ্রিয়ান চৌধুরী। 
আরাফঃধন্যবাদ। আদ্রিতা প্রিন্সেস। 
মেহরাবঃআম্মাকে দাও। আদ্রিয়ানকে এখন আম্মাকে দাও।
আদ্রিতাঃনা না। আমি দিবো না।
মেহরাব কান্না করতে লাগলো।
আরাফঃআহা।কান্না করতে হবে না চলো।আমরা তানভীর এর বাবুকে দেখে আসি।
মেহরাবঃআচ্ছা চলো।
নবনিঃযান আপনারা। আদ্রিতা আদ্রিয়ান আমার কাছে থাক।
আরাফঃআচ্ছা।চলো বাবাই।
তানভীরঃবিথি আমি বাবা হয়ে গিয়েছি।বিশ্বাস হচ্ছে না।
বিথিঃমেয়েকে এখন পযন্ত আমার কোলে দিলেন না। তারপর ও বলছেন যে বিশ্বাস হচ্ছে না।এটা কেমন কথা।
তানভীরঃনা আমার মেয়েকে আমি কারো কাছে দিবো না।
আরাফঃদিতেতো হবেই।
তানভীরঃস্যার আপনি।নবনি ম্যাম কেমন আছে?
আরাফঃভালো।এখন মেহরাব এর কোলে বাবুকে দাও তো। ও কান্না করছে।আদ্রিয়ান কে আদ্রিতা ছাড়ছেই না।
তানভীরঃআদ্রিয়ান কি নিউ বেবির নাম?
আরাফঃহ্যা।আমার ছোট্ট আদ্রিতা রেখেছে? কেমন বলোতো?
তানভীরঃঅনেক সুন্দর।
আরাফঃতোমরা কি নাম ভাবছো বাবুর?
বিথিঃআমরা ভাবছি যে ওয়ারদা আপুর বেবির নাম নবনি আপু রেখেছে।এখন আমাদের বেবির নামটা আপনি রাখবেন ভাইয়া।
আরাফঃআমিইই!!আমি এগুলোতে নেই ভাই।আমার নিজের বাচ্চাদের নাম ভাবতেই আমার অর্ধেক জীবন চলে গিয়েছে।এখন আবার আরো একটা নাম।
মেহরাবঃতিথি মনি। বাবুকে আমাকে দাও।
আরাফঃকি বললে? 
মেহরাবঃবাবা।তিথি মনি আমাকে বাবু দিচ্ছে না কেন?
আরাফঃযাক বিথি। ভালোই হয়েছে। মেহরাব তোমাকে বিথির জায়গায় তিথি বলে ডাকে।এখন তোমার মেয়ে নামও পেয়ে গেলাম।
বিথিঃতিথি!!!
আরাফঃহ্যা।তানভীর + বিথি~তিথি।
মেহরাবঃআমি চলে গেলাম নূর পাখির কাছে।তোমরা আমাকে বাবুকে দিচ্ছো না।
তানভীরঃআর এ আর কোথাও যেতে হবে না।আমার মেয়ের নাম রেখেছেন আপনি। এই নিন ওকে। 
মেহরাবঃওর নাম কি?আব্বু।
তানভীরঃতিথি। তিথি রহমান।তুমি ওকে তিথি পাখি ডাকতে পারো।
মেহরাবঃতিথি তো মনির নাম। ওর নাম কেন হবে?
বিথিঃআমার নাম তিথি না। বিথি। তুমি আমাকে বিথি মনি বলবে। আর ওকে তিথি পাখি। ঠিক আছে?
মেহরাবঃআচ্ছা বিথি মনি।
মেহরাব বাবুকে কোলে নিয়ে অনেক খুশি।
মেহরাবঃবিথি মনি। ও অন্নেক ছোট। একদম নূর পাখির মতো।
বিথিঃহুম।নূরকে ও তুমি সবার আগে কোলে নিয়েছিলে।মনে আছে?ওকে ও তানভীর এর পর তুমিই কোলে নিয়েছো।
৪ বছর ৯ মাস এর মেহরাব তিথির সাথে খেলতে লাগলো। 
ওয়ারদা আর নিলয় বিথির সাথে দেখা করতে আসে।তাদের কোলে ছোট্ট ৯ মাস এর নূর।মেহরাব নূরকে এক পলক দেখে তিথির সাথে খেলতে লাগলো।অন্য সময় হলে কোলে নেয়ার জন্য পাগল হয়ে যেতো।এখন তিথির সাথেই খেলছে।
নিলয়ঃবাহহ।মেহরাব দেখি নূর এর কথা ভুলেই গেলো।
আরাফঃতোর তো খুশি হওয়া উচিত। তুইতো মেহরাবকে নূর এর আশেপাশে ঘেষতেই দিতি না।এখন আমার ছেলে তিথিকে নিয়েই থাকবে। তোর আর মেহরাব এর সাথে হিংসে করতে হবে না।
ওয়ারদাঃএকদম ঠিক।এতো সুন্দর মেয়ে জামাই হাত ছাড়া করলেন।আগেই বলেছিলাম সম্মান করেন সম্মান করেন শুনোই নাই।
আরাফঃহা হা হা।
নূর হুট করে কান্না করতে লাগলো।
নিলয়ঃকি হয়েছে।মাই প্রিন্সেস কান্না করছো কেন।
নিলয় ব্যাকুল হয়ে গেলো নূর এর কান্না দেখে।সে এদিক ওদিকে পায়চারী করতে লাগলো কিন্তু থামাতেই পারছে না নূর এর কান্না।এখানে মেহরাব নূর এর কান্নার আওয়াজ শুনে ছটপট করতে লাগলো।
মেহরাবঃতানভীর চাচ্চু।তিথিকে নাও না।নূর পাখি কান্না করছে।ওকে নাও আমার কাছ থেকে আমি নূর পাখিকে নিবো। 
তানভীর তিথিকে কোলে নিতেই মেহরাব নিলয়ের কাছে ছুটে গেলো।
মেহরাবঃবাবাই।আমার নূর পাখিকে দাও।ও কান্না করছে তোমার কোলে। দাও আমাকে। 
নিলয়ঃতুমি পারবে নাতো ওকে চুপ করাতে। মেহরাব বাবা।আমি কান্না থামিয়ে দিচ্ছি তোমাকে।
মেহরাবঃনা দাও।
মেহরাব ও কান্না করতে লাগলো।
নিলয় কোনো উপায় না পেয়ে মেহরাব এর কোলে দিয়ে দিলো নূরকে।
নূর মেহরাব এর কোলে আসতেই চুপ হয়ে গেলো।মেহরাব এর ফর্সা নাক লাল হয়ে গিয়েছে কেদে কেদে।নূর মেহরাব এর দিকে তাকিয়ে হাসছে।
মেহরাবঃতুমি কাদছিলে কেন?নূর পাখি?তুমি জানো না তুমি কাদলে আমার কষ্ট হয়।
মেহরাব নূরের কপালে চুমু খেলো।একটুও কাদবে না।আমার নূর পাখি।
সবাই অবাক হয়ে দেখছে মেহরাব নূরকে।সব থেকে বেশি অবাক নিলয়।এতক্ষন কত কিছু করলো নূর এর কান্না থামাতে। আর মেহরাব এর কোলে যেতেই সে চুপ হয়ে গেলো।
আরাফ নিলয়ের কানের কাছে যেয়ে বললো।
আরাফঃযে গয়না নিন্দায় সেই গয়নাই পিন্দায়।
কথাটা বলে আরাফ মুচকি হেসে চলে গেলো।
নিলয় আরাফ এর বলা প্রবাদ বাক্যটা ভাবতে লাগলো।
নিলয়ঃআরাফ কি বলে গেলো। কিছুই বুঝলাম না।
আরাফ নবনির কাছে যেয়ে নবনিকে জড়িয়ে ধরে।আদ্রিয়ান আদ্রিতার কোলে ঘুমিয়ে পড়েছে।
নবনিঃকি হয়েছে। আরাফ।
আরাফঃআচ্ছা।তুমি ছেলে বউ হিসেবে কাকে বেছে নিবে?নূরকে নাকি তিথিকে?
নবনিঃতিথিটাকে?
আরাফঃতানভীর বিথির মেয়ে।
নবনিঃওহ?আপনার এমন কেনো মনে হলো?মেহরাব কি নূর এর জন্য যেমন পাগলামি করে তেমন তিথির জন্যও করে?
আরাফঃজানি না বউ।আমার ছেলে ভাগ্যে কি আছে।
নবনিঃযেই আছে আপনার ছেলে ঠিকই তাকে বেছে নিবে তা নিয়ে আপনার এতো ভাবতে হবে না।
আরাফঃহুম। আমি আমার বউ নিয়ে ভাববো।
নবনিঃতিন বাচ্চার বাবা হয়েছেন।এখনো হুটহাট জড়িয়ে ধরেন।এটা কি ঠিক?
আরাফঃআমার বাচ্চাদের বাচ্চা হয়ে গেলেও তো এভাবেই আদর করবো আমার নবনি পাখিকে।
নবনিঃপাগল জামাই আমার।
মেহরাব ছুটে এসে নবনিকে জড়িয়ে ধরলো।
নবনিঃবাবার ফটোকপি। তোমার আবার কি হলো?
মেহরাবঃআমাদের বাসায় এখন থেকে দুইটা বাবু।একটা আমার নূর পাখি আর একটা তিথি বাবু।
ইয়েএএএএ।
নবনি মেহরাব এর কপালে চুমু খেলো।
নবনিঃআদ্রিয়ানকে ভুলে গেলে বাবা?
মেহরাবঃওহ নো।আমিতো ভুলেই গিয়েছিলাম।
নবনিঃহি হি হি।
আদ্রিতাঃতুমি তিথিকে নিয়েই থাকো।আমি আদ্রিয়ানকে একটুও দিবো না।
মেহরাব এবার কাদো কাদো হয়ে বললো।
মেহরাবঃআব্বু।আমি একবার ও নেই নাই।
আরাফ এই বার আদ্রিয়ানকে মেহরাব এর কোলে দিলো।
আদ্রিতাঃআব্বু!!
আরাফঃমিলেমিশে থাকতে হয় মা।বড় ভাইয়া কাদলে তোমার ভালো লাগে?
আদ্রিতাঃনা।
আরাফঃতাহলে?
আদ্রিতাঃঠিক আসে।আদ্রিয়ানকে আমরা দুইজন মিলে আদর করবো। ঠিক আসে মেহরাব ভাইয়া?
মেহরাবঃহ্যা। ঠিক আসে।
আরাফ মেহরাব আদ্রিতা আদ্রিয়ান আর নবনিকে জড়িয়ে ধরলো।
আরাফ~
আজকে আরাফ আর নবনিপাখির ভালোবাসা তোমাদের ঘিরে পরিপূর্নতা পেলো।

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 

সমাপ্ত


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন