উপন্যাস : প্রেমের জোয়ারে ভাসলো দুকূল
লেখিকা : আরশি আয়াত
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ১২ই ডিসেম্বর, ২০২২ ইং
লেখিকা আরশি আয়াতের “প্রেমের জোয়ারে ভাসলো দুকূল” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশ করা হলো। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের ১২ই ডিসেম্বর থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
প্রেমের জোয়ারে ভাসলো দুকূল || আরশি আয়াত |
১৪তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
প্রেমের জোয়ারে ভাসলো দুকূল || আরশি আয়াত (পর্ব - ১৫)
রেহানের ভালো লাগার কথা শুনে ওর বন্ধু আরিফ বলল,'ভাই,এটা কেমনে হয়?ওই মেয়ে বিবাহিত!ওর জামাই আছে।তুই কি পরকীয়া করতে চাস?'
'আরে না ব্যাটা।আমি তো ওর সাথে প্রেম করবো না।ওর জামাইটাকে সরাবো আগে এরপর ওকে আমার কাছেই আসতে হবে।'
'কিভাবে সরাবি?'
'ফাঁসায় দিবো মিথ্যা মামলায়।প্ল্যান করে ফেলছি অলরেডি।ঝিনুক'কে পাঠাবো ওদের ফ্ল্যাটে কাজের বুয়া হিসেবে।ও গিয়ে ইনফরমেশন দিবে আমাকে তারপর একদিন সুযোগ বুঝে ঝিনুক'কে দিয়ে ওর জামাইকে ফাসায় দিবো।'
'তোর মামাতো বোন ঝিনুক না?'
'হ্যাঁ।'
'মেয়েটা তো তোকে ভালোবাসে।'
'এইজন্যই তো ওকে কাজে লাগবো।কিন্তু ফাঁসানোর প্ল্যান'টা আগেই বলবো শুধু ইনফরমেশন দোওয়ার কথা বলবো।'
'তুই যে পাখিকে পছন্দ করিস এটা বলবি না?'
'পাগল মনে হয় আমাকে?এট বললে ও জীবনেও রাজি হবে না।'
'আঙ্কেল,আন্টিকে কি বলবি?'
'আব্বু,আম্মুকে ম্যানেজ করা কোনো ব্যাপারই না।আমি আজ পর্যন্ত যা চাইছি তাই পাইছি এটাও অপূর্ণ থাকবে না।'
এরপর আরিফ আর কিছু বলল না।দুই বন্ধু বাইকে উঠে চলে গেলো।
শয়ন আজকে হাফ ডে ছুটি নিয়েছিলে পাখিকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য তাই আগে থেকেই কিছু বলে নি কিন্তু এতটা সারপ্রাইজ হবে ভাবতে পারে নি।সেই মূহুর্ত মনে করে নিজের ডেস্কে বসে এখনও অজান্তেই মিটিমিটি করে হাসছে ও।পাশের ডেস্কের কলিগ মিজান বলল,'ভাই,হাসেন কেন?'
শয়ন থতমত খেয়ে বলল,'না তো ভাই।হাসি না তো!'
'আমি দেখছি ভাই আপনি কিছু মনে কইরা হাসতাছিলেন।কার কথা মনে করতাছিলেন?ভাবির কথা নাকি?'
শেষের কথাটা একটু রসিয়েই বলল মিজান।শয়ন উত্তর দিলো না নিজের কাজে মন দেওয়ার চেষ্টা করলো।এই লোকটা এত ফাজিল।সময় পেলেই মানুষের বিষয়ে নাক গলানো শুরু হয়ে যায়।হাসলে হেসেছে!ওর কি?ওর গলায় যে প্রতিদিন কামড়ের দাগ দেখা যায় সেটা নিয়ে জীবনেও কিছু বলেছে শয়ন?আবার নির্লজ্জের মত এসব দেখিয়েও বেড়ায়।
রেহানকে দেখেই ঝিনুক আনন্দে লাফিয়ে উঠলো।বাবা,মায়ের একমাত্র মেয়ে ঝিনুক।কোনো কিছুর কমতি নেই জীবনে শুধু ওর স্বপ্নের পুরুষটি ছাড়া।মানুষ'টা কেনো বোঝে না ওর ভালোবাসা?কেন আসে না কাছে?
এতদিন পর রেহানকে নিজেদের বাড়িতে দেখে আবেগে জড়িয়ে ধরলো।তারপর অভিযোগের সুরে বলল,'তুমি কেনো আসো না আমাদের বাড়িতে রেহান ভাই?'
'এই যে এসে পড়েছি।'
'এতদিন পর আসলে!আমার তো তোমাকে প্রতিদিন দেখতে মন চায়।'
'আমারও সেইজন্যই এসেছি।'
ঝিনুকের সাথে কথা অসমাপ্ত রেখে রেহান মামির সাথে কথা বলল।মামা এই সময় বাসায় থাকে না।মামির সাথে কথা বলে রেহান ঝিনুকের ঘরে গেলো।তখন ঝিনুক আয়নায় নিজেকে বারবার দেখছিলো কোথাও ওকে খারাপ লাগছে না তো দেখতে!সবার চোখে খারাপ লাগলেও নিজের মানুষ'টার চোখে যেন খারাপ না লাগে সেটা সবাই ই চায়।
রেহান ঘরে ঢুকেই বলল,'ঘুরতে যাবি ঝিনুক?'
'তোমার বাইকে ঘুরাবা?'
'হ্যাঁ।'
ঝিনুক খুশি হয়ে বলল,'সত্যিই!আচ্ছা তুমি বোসো।আমি রেডি হয়ে আসছি।'
'তাড়াতাড়ি আসিস।'
রেহান ঝিনুকের ঘর থেকে বেরিয়ে ড্রইংরুমে এসে বসলো।ঝিনুক'কে ঘুরতে যাওয়ার একমাত্র কারণ হলো ঘরে ওর প্ল্যান সম্পর্কে বলা যাবে না।বাইরে গিয়ে বলতে হবে বুঝিয়ে আর সত্যি তো বলাই যাবে না।'
ঝিনুক সুন্দর করে সেজে ড্রইং রুমে এলো।রেহেন ওকে দেখে প্রসংশা করে বলল,'তোকে তো ভিষণ সুন্দর লাগছে ঝিনুক!'
ঝিনুক লজ্জা পেলো না।বেচারি সহজ সরল মেয়েটা জানেও না এত তোষামোদের কারণ কত জঘন্য!
ওরা বেরিয়ে গেলো ঘুরতে।রেহান ওকে ওর পছন্দের জায়গায় নিয়ে গেলো।ঝিনুক তো মনে মনে ভেবে বসলো আজকে ওকে প্রপোজ করবে রেহান।সেইজন্য মনে মনে প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে।আর যখন ও গোলাপ কিনেছে তখন তো মনে ময়ূর পাখা মেলে নৃত্য করছে।রেহান গোলাপ গুলো নিয়ে এসে ঝিনুকের সামনে গেলো।ফুলগুলো বাড়িয়ে দিয়ে বলল,'তোকে আমি ভালোবাসি।আমাকে ফিরিয়ে দিস না।'
ঝিনুক চোখের পানি ধরে রাখতে পারলো না।এক ঝটকায় জড়িয়ে ধরলো।রেহান কিছু বলল না শুধু মুখে জঘন্য একটা হাসি ছিলো।
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
চলবে ...
১৬ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা আরশি আয়াত সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। জানতে পারলে অবশ্যই তা কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হইবে।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন