গল্প : সেদিন গেছে ভেসে
লেখিকা : আভা ইসলাম রাত্রি
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ ইং
লেখিকা আভা ইসলাম রাত্রির “সেদিন গেছে ভেসে” শিরোনামের এই গল্পটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য এটি হুবহু প্রকাশিত হল। লেখিকা অনবদ্য এ গল্পটি ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে লিখেছেন।
![]() |
সেদিন গেছে ভেসে || আভা ইসলাম রাত্রি |
সেদিন গেছে ভেসে || আভা ইসলাম রাত্রি
মাধ্যমিকের সময় যেদিন আমার বেস্ট ফ্রেন্ড সামির আমাকে পুরো ক্লাসের সামনে প্রপোজ করে বসে, সেদিন থেকে সামিরের প্রতি আমার ধারণাই বদলে গেছে। সামির তেমন ছেলে ছিল না যেমনটা আমার কিশোরী মন কল্পনায় চেয়েছিল। ক্লাসের সবসময় প্রথম হওয়া সামির মেধাবী হলেও, খুব একটা সুন্দর ছিল না। বেশ মোটাসোটা, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা, আর ছিল প্রচন্ড আঁতেল। আমি তখন সদ্য কিশোরী। চোখে মুখে নিদারুণ কিছু স্বপ্ন ভেসে বেড়াত। সামিরের মত মোটা এবং আঁতেল ছেলে আমার বন্ধু হিসেবে ভালো লাগলেও প্রেমিক হিসেবে আমি তাকে মেনে নিতে পারলাম না। সামির সেদিন সারাদিন আমার পেছনে ঘুরে বেড়াল। একপর্যায়ে আমি বিরক্ত হয়ে বললাম,
' সামি, তুই অনেক ভালো একটা ফ্রেন্ড। আমার বেস্ট ফ্রেন্ড তুই। কিন্তু লাভার হিসেবে আমি কখনোই তোকে দেখিনি। বুঝার চেষ্টা কর। '
সামির তখন নাছোড়বান্দার মত বলল,
' ক্যান দেখিস না? সিনেমায় দেখিস নি, একটা ভালো বন্ধুই ভালো লাভার হতে পারে। প্লিজ মেনে যা না। সোনা বন্ধু আমার! '
বলে সামির আমার গাল টেনে ধরল। এর আগেও সামির কথার ছলে আমার সঙ্গে নানারকম মজা করে এভাবেই গাল টেনে দিত। আমি বিষয়টা তখন খুব স্বাভাবিক ভাবে নিলেও এখন সামিরের অনুভূতি জানার পর সেটা আগের মত নিতে পারলাম না। আমি সরে গেলাম তার থেকে। অস্বস্তিতে জমে উঠে বললাম,
' সামির, দোস্ত। বুঝ। আমি তোকে সেই চোখে দেখিনি কখনো রে। '
সামির অধৈর্য্য হল। আমার দিকে দুই কদম এগিয়ে এসে বলল,
' এই যে তোর সামনে আছি। এখন দেখ। চোখ খুলে ভালো করে দেখ। আমি তোর জন্যে পারফেক্ট। ক্লাসের সবাইও সেটা বলে। সেদিন নিতু ম্যামও বলল শুনিস নি? '
সামিরের বারবার অনুরোধে আমি একপর্যায়ে বিরক্ত হয়ে গেলাম। চেঁচিয়ে উঠে বললাম,
' আমি তোকে ভালবাসি না ,কারণ তুই সুন্দর না, তুই মোটা। তুই তো ভালো করেই জানতি আমার সুন্দর ছেলে পছন্দ। তাহলে আজ কেন এসব বলে আমাদের বন্ধুত্বকে অপমান করছিস? সর সামনে থেকে। তোর সঙ্গে আমার আর কোনো কথা নেই। তুই থাক তোর এসব লাভ সাভ নিয়ে। আমার সঙ্গে আর কথা বলবি না। '
ক্লাসের সবাই সেদিন দেখেছিল কেমন করে একটা সুন্দর বন্ধুত্বের সম্পর্ক সৌন্দর্য্যর দোহাই দিয়ে শেষ হয়ে গিয়েছিল। সামির সেদিন শুধু আমার যাবার দিকে চেয়ে ছিল অপলক। মুখ ফুটে কিছুই বলে নি। অথচ তার ছলছল, অবিশ্বাস্য চোখ আমার নজর থেকে পালাতে পারল না।
তারপর এক সপ্তাহ কেটে গেল। ক্লাসে আমি আর সামির দুইজন দুই পাশে বসতাম। আমাদের মাঝখান থাকত লম্বা ফাঁক। সামির না নিজে থেকে আমার সঙ্গে কথা বলত, আর না আমি যেচে তার সঙ্গে কথা বললাম। আমি শুধু দেখলাম, সামির ভেতর থেকে কেমন গুঁড়িয়ে যাচ্ছে। আত্মবিশ্বাসী একটা ছেলে কি করে হুট করেই নিজের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলল। সামিরের এই করুন অবস্থা আমার চোখ সইতে পারল না। বন্ধু ছিলাম আমরা। কেমন কলে নিজের বন্ধুকে এভাবে কষ্ট পেতে দেখি?
অতঃপর আমি নিজেই এগিয়ে গেলাম। কথা বললাম। সামির প্রথমে কোনো কথা বললো না। চুপ করে থাকল বেশ কিছুক্ষণ। আমি তাকে হাসানোর চেষ্টা করলাম। সম্পর্ক পূনরায় স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলাম। সামির একসময় মৃদু হেসে বলল,
' ইমা, চিন্তা করিস না। আমি আর তোকে ভালোবাসি বলে বিরক্ত করব না। আমরা ভালো বন্ধু আছি, সেটাই ঠিক। '
আমি আশ্বস্ত হলাম।
সম্পর্ক স্বাভাবিক হলেও আসলেই কি সেটা স্বাভাবিক ছিল? না, ছিল না। আর আমি সেটা বুঝতে পারলাম একই ভার্সিটিতে দুজন একসঙ্গে ভর্তি হবার পর।
সামির আর আমি দুজন একসঙ্গে বড় হয়েছি। ভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে হুট করেই আমাদের মধ্যে ম্যাচিউড়িটি এলো। সামির সেদিনের পর থেকে আর আমার সঙ্গে তেমন কোনো কথাই বলে নি যেসব শুনলে আমার খারাপ লাগবে বা সে অপমানিত হবে। আমরা আগের মতি হাসি ঠাট্টা করতাম। কিন্তু সামির নয়, বদলে গেলাম আমি। বয়সের সঙ্গে আমার কল্পনার পরিবর্তন হয়েছে। সেই সঙ্গে পরিবর্তন হয়েছে ভালোবাসা, সৌন্দর্য্য,মনের পুরুষ নিয়ে নিজের অনুভূতি। ধীরে ধীরে একসঙ্গে থাকতে থাকতে আমি সেই মোটাসোটা সামিরের প্রতিই আকর্ষিত হলাম। যে সামিরকে একসময় মোটা বলে আমি অপমান করেছি, সেই সামিরের প্রতি আমার প্রেম তীব্র ভাবে প্রকাশ পেল। এখন আমার চোখে সে মোটা কিংবা অসুন্দর নয়। আমি তাকে খুব গভীর ভাবে লক্ষ্য করেছি। সে মোটা। কিন্তু আল্লাহ তার চেহারার সর্ব মায়া ঢেলে দিয়েছেন। তার চোখের দিকে এখন আর আমি আগের মত তাকিয়ে থাকতে পারিনা। ঘোরে চলে যায়। তার হাতের স্পর্শ এখন আমি আগের বন্ধু হিসেবে স্বাভাবিভাবে নিতে পারিনা। মনের মধ্যে অদ্ভুত কিছু অনুভব হয়। সে এখন আমার চোখে দেখা সবচেয়ে সুন্দর এবং ভালো একটা ছেলে।
নিজের এই নতুন অনুভূতি আমি এড়িয়ে যেতে চাইলেও পারলাম না। সামিরের সামনে এখন কিভাবে দাড়াব, এই ব্যপারটা আমাকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল। আমি অপরাধী, সামিরের ভালোবাসা, তার অনুভূতিকে আমি অপমান করেছি। আমার যোগ্যতা নেই তাকে ভালোবাসার কথা বলার। আমি দমে গেলাম।ভাবলাম কষ্ট করে নতুন জন্মানো এই অনুভূতি চেপে যাব। একতরফা নাহয় ভালো বেসেই যাব তাকে। সামির বড় হয়েছে এখন। এখন আমার মত তারও পছন্দ বদলে গেছে হয়ত। তার চোখে হয়ত এখন আর আমি আগের মত নই। অনেক কিছু ভেবে বসে আমি নিজে থেকেই পিছিয়ে এলাম।
তারপরের একদিন আমার এই কঠিন সিদ্ধান্ত নির্মূল হতে বাধ্য হল।
কদিন পর আমাদের ভার্সিটিতে নববর্ষ উপলক্ষ্যে একটা অনুষ্ঠান হবে। সামির গান গাইবে সেই অনুষ্ঠানে। সামিরের গানের গলা ভীষন সুন্দর। আমি প্রায়সময়ই শুনি। তার গান আমার মন ভালো করার উপায় ছিল। আমার সমস্যা সেখানে না। আমার সমস্যা হচ্ছে সামিরের সঙ্গে একটা মেয়ে ডুয়েটে গান গাইবে। ক্লাসের কিছু মেয়ের মুখে শুনেছি, এই মেয়ে নাকি সামিরকে কিছুটা পছন্দ করে। আর তার সঙ্গে আমার সামির ডুয়েটে গান গাইবে, এই ব্যপারটা যেন আমার মাথায় আগুন জ্বালিয়ে দিল।
আমি হনহন করে ক্লাস থেকে বের হলাম। ওই তো অদূরে মাঠে সামির আর ওই মেয়ে দাড়িয়ে আছে। একে অন্যের সঙ্গে হেসে হেসে কথা বলছে। আমার মাথায় এবার শুধু আগুন নয়। বরং আগ্নেয়গিরি জ্বলে উঠল। আমি দ্রুত এগিয়ে গেলাম তাদের দিকে।
সামির আমাকে দেখে মৃদু হেসে আবারও ওই মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করল। সামিরের ওই মেয়ের প্রতি আলগা প্রেম আমার ঠিক সহ্য হল না। আমি চট করে সামিরের হাত ধরলাম। সামির চমকে উঠল। ভ্রু উচুঁ করে আমার দিকে ইশারা করে চাইল। আমি দাঁতে দাত চেপে বললাম,
' কথা আছে তোর সঙ্গে। সাইডে আয়। '
' আরে, আমি তো একটা….'
সামির আরো কিছু বলতে চাইল। আমি সেসব শুনতে ইচ্ছুক নই।তাই সামিরের এক হাত ধরে মেয়ের সামনে থেকে তাকে টেনে নিয়ে এলাম।
সামির পেছন থেকে বারবার বলছে,
' কি হয়েছে তোর? এভাবে টানছিস কেন? আরে, আস্তে রে বাবা। আমার হাত ছিঁড়ে চলে আসবে। কই নিয়ে যাচ্ছিস আমাকে, এই বলদ। '
আমি কিছুই শুনলাম না। মেজাজ আমার ৩৬০° অ্যাঙ্গেলে চটে আছে। আমি সামিরকে টানতে টানতে আমাদের দুজনের বহুল পরিচিত জায়গায় সেই কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচের এসে দাঁড়ালাম।
সামিরের হাত ছেড়ে দিয়ে রাগান্বিত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
' মেয়েটা কে? ওর সঙ্গে তুই এত কিসের কথা বলছিলি? হুঁ? '
সামির ভ্রু কুচকে বলল,
' ওর সঙ্গে আমি গানে ডুয়েট করব, জানিস না? সেদিন না তোকে বললাম। ভুলে গেছিস? '
আমি অধৈর্য্য হয়ে বললাম, ' গানে ডুয়েট করবি পাঁচ দিন পর। আজকে এত কিসের কথা? আর ওই মেয়ের সঙ্গে কথা বলার সময় দাত গুলো এত বের কর হাসছিলি কেন, বেদ্দপ? দাত খুলে হাতে নিয়ে আসবে একদম। '
সামির বোকা বনে গেল। বিষ্ময় নিয়ে বলল, ' তুই এত রেগে আছিস কেন, আগে সেটা বল। ওই মেয়ে কিছু করছে তোর সঙ্গে? '
আমি এই কেঁদে দেব ভাব। ভাঙা কণ্ঠে বললাম, ' ওই মেয়ে আমার বুকে যন্ত্রণা দিচ্ছে। আমার মাথার ভেতর খেয়ে নিচ্ছে। আমি ওই মেয়েকে আর সহ্য করতে পারছি না। তুই প্লিজ ওর সঙ্গে আর কথা বলবি না, সামির। নাহলে আমি তোকে জাস্ট পিটিয়ে মেরে ফেলব। '
সামির আমার কথা শুনে কি বুঝল কে জানে? রেগে গেল হঠাৎ। এক হাত তার কোমরে রেখে, ওপর হাতের আঙ্গুল দিয়ে কপাল চুলকাল। তারপর রেগে বলল,
' আমি হান্ড্রেট পার্সেন্ট শিউর, ওই মেয়ের সঙ্গে তোর বড় কোনো ঝামেলা হইসে। নাহলে তুই এমন করতি না। ভার মে যায় ডুয়েট। তোর সঙ্গে বাজে ব্যবহার করছে, ওকে তো আমি কাঁচা চিবিয়ে খেয়ে ফেলব। '
সামির ওই মেয়ের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে চলে যাওয়ার জন্যে উদ্যত হল। তবে আটকে গেল সে। কারণ আমি ততক্ষনে এক হাত দিয়ে ত কোমরের কাছের শার্ট চেপে ধরে রেখেছি। সামির অবাক হল। পেছন ফেরে তাকাল। আমি মাথা নত করে দাঁড়িয়ে আছি। এতটাই নত যে আমার মুখ যেন আবার বুক ছুয়ে যাবে। সামির অবাক চোখে আমার দিকে চেয়ে রইল কিছুক্ষণ। আমি দাঁত দিয়ে আমার নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে রেখেছি। বুক উপচে কান্না বেরিয়ে আসতে চাইছে। আমি কি করব, কি বলব কিছুই ভেবে পাচ্ছি না। মা হাতের চাপ আরো শক্ত হল। আমি সামিরের শার্ট ভেদ করে তার চামড়া চেপে ধরে রেখেছি এবার। সামির হয়ত ব্যথা পেয়েছে। পাওয়ারই কথা। তবুও সে কিছুই বলছে না। শুধু আমি কি করছি সেটাই চেয়ে দেখছিল।
আমি অনেক্ষন পর তার চোখের দিকে মাথা তুলে তাকালাম। আমার ছলছল দৃষ্টিতে সামিরের বিস্মিত দৃষ্টি আটকে গেল। আমি চেঁচিয়ে বললাম,
' ফাজিল, বলদ, ইতর, একটা মেয়ে তোকে ভালোবাসে, পছন্দ করে এটা তুই এত কাছে থেকেও বুঝলি না। তুই কি পাগল? '
সামিরের চোখ দুটো বড়বড় হয়ে গেল। তবে পরপরই সে নিজের বিষ্ময় সামলে বলল,
' কিভাবে বুঝতাম? আমি তো সুন্দর ছেলে নই। মোটা ছেলেদের কে ভালোবাসে? '
আমি লজ্জা পেলাম। মনে পরল সেদিনের কথা। আমি নত কণ্ঠে বললাম, ' সরি! সবকিছুর জন্যে। '
সামির বলল, ' তোর সুন্দর ছেলের আশা শেষ? এত দ্রুত? '
বুঝতে পারলাম, সামির আমাকে খোঁটা দিতে চাইছে। দেক না। তার সব কথা, সব অপমান, সব খোঁটা আমি মুখ বুজে মেনে নেব। এই একটা মানুষের সবকিছু আমার দারুন ভালো লাগে। সবকিছু, এভরিথিং!
সামির আরো কিছু বলতে চাইল। বলতে দিলাম। আমি এগিয়ে গেলাম। ঝাপটে ধরলাম তাকে। ফিসফিস করে বললাম,
' সুন্দর ছেলের আশা বহুকাল আগেই মিটে গেছে। এখন আমার তোর আশা পেয়েছে। তোকে পাবার তৃষ্ণা পেয়েছে। '
সামির জড়িয়ে ধরল না আমাকে। ওভাবে স্থির থেকেই বলল,
' আমি মোটা ছেলে এখনো আছি। শুকিয়ে বডি বিল্ডার হয়ে যাইনি। আবারো ভেবে দেখ। '
আমি তাকে আরো জোরে জড়িয়ে ধরলাম। তার বুকে মাথা রেখে উম নেবার চেষ্টা করে বললাম,
' মোটা ছেলেদের জড়িয়ে ধরতে ভীষন আরাম। এই যে তোকে জড়িয়ে ধরে আছি, বিশ্বাস কর। আরামে আমার চোখ বুঁজে আসছে। কি যে শান্তি লাগছে বলে বুঝাতে পারব না। '
সামির কিছু বলল না। আমি অপেক্ষা করে রইলাম। মিনিট পর নিজের পিঠে পুরুষালি হাতের স্পর্শ অনুভব করলাম। খুশিতে আমার চোখে এবার জলের বর্ষন নেমেছে। সুখে পাগল হয়ে যেতে ইচ্ছে করছে। সেদিন গেছে ভেসে। এখন এই সামির আমার! একান্তই আমার প্রেমিক। আমার সবকিছু, এভরিথিং!
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
....সমাপ্ত....
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা আভা ইসলাম রাত্রি সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। জানতে পারলে তা অবশ্যই কবিয়াল পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হবে। তবে তিনি তার ফেসবুক পেজে নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, “গল্প লেখে সে, কলমের কালিতে কল্পনার চিত্র আঁকিবুকি করা তার নেশা! অক্ষরের ভাজে লুকায়িত এক কল্পপ্রেয়সী!”
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন