উপন্যাস : ভিলেন
লেখিকা : মনা হোসাইন
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল :
লেখিকা মনা হোসাইনের “ভিলেন” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০১৯ সালে লিখেছেন।
![]() |
ভিলেন || মনা হোসাইন |
1111111111111111111111
২৭ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
ভিলেন || মনা হোসাইন (পর্ব - ২৮)
আকাশকে না বলেই মেঘলা নিরবের কাছে চলে গেল. নিলিমাও মেঘলার পিছু পিছু গেল।
নীরবঃ এসবের কি দরকার ছিল মেঘলা... হাসপাতাল থেকে ত খাবার দিতই...
মেঘলাঃ আমি থাকতে হাসপাতালের খাবার কেন খাবে? আমি বুঝি তোমার কেউ নই..
নীরবঃ কেউ নও মানে? তুমিই তো আমার সব..আমার সবচেয়ে আপনজন।
মেঘলাঃ মানে...
নীরবঃ বাড়ে...তুমি ত আমার বউ.. ১০ টা না ৫ টা না ১ টাই বউ আমার।
কথাটা শুনে মেঘলা একটু বিচলিত হয়ে গেল।
নীরব ব্যাপার টা বুঝতে পেরে হা হা করে হেসে মেঘলাকে চিন্তা মুক্ত করার চেস্টা করতে লাগল,
নীরবঃ আরে মেঘলা কি চিন্তা করছো...??? আমি ত মজা করছিলাম আমি খুব ভাল করেই জানি, আমি হাজার চাইলেও তুমি কখনও আমার হবে না কারন তুমার মনে আকাশ বাস করে তাই আমার সেখানে কো৷ জায়গা নেই আর আমি সেখানে ঢুকতেও চাই না তোমাকে আমার ভাল লাগে এটা সত্যি কিন্তু তুমার বিরুদ্ধে গিয়ে কখনো কোন দাবি করব না তুমি আমার খুব ভাল একজন বন্ধু এর বেশি কিছু না ঠিক আছে? এবার ত একটু হাসো প্লিজ।
মেঘলাঃ এমন মজা কেউ করে আমি তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।
নীরবঃ থাক থাক আর ভয় পেতে হবে না...
মেঘলাঃ তুমি তাড়াতাড়ি খেয়ে নাও তো আমাকে যেতে হবে।ভাইয়া অসুস্থ জানই তো।
নীরবঃ আচ্ছা তুমি রেখে যাও আমি খেয়ে নিব।
মেঘলাঃ রেখে যেতে হবে কেনো এখনী খেয়ে নাও না..
নীরবঃ আমি মানে... আসলে আমার হাতে ত বেন্ডেজ মেঘলা আমি কি করে খাব?
মেঘলাঃ তারমানে তুমি কাল থেকে কিছু খাও নি?
নাবিলঃ না মানে আসলে... আমার পরিচিত কেউ এখানে নেই ত তাই আর কি...তুমি রেখে যাও আমি অফিসের কোম স্টাফ কে আসতে বলি, আসলে আসলে খেয়ে নিব...
মেঘলাঃ কে কখন আসবে সেই আশায় বসে থাকবে
.???
নীরবঃ আচ্ছা দাও আমি খাচ্ছি.
হাতের বেন্ডেজ খোলার চেস্টা করতে করতে বলল নীরব...
মেঘলাঃ আরে আরে কি করছ...??
নীরবঃতুমি রান্না করেছো আর আমি সেটা খাব না তা কি করে হয় তুমি দাও আমার যত কষ্টই হোক খাব।
মেঘলাঃ আরে থামো খেতে হবে না...
নীরবঃ না না তুমি কষ্ট করে রান্না করেছো...
মেঘলাঃ তুমাকে না খায়িয়ে আমিও যাব না কিন্তু তার জন্য তোমার বেন্ডেজ খুলতে হবে না। আমার কি হাত নেই নাকি?
নীরবঃ মানে..??
মেঘলাঃ তোমাকে আমি খায়িয়ে দিব..
নীরবঃ কিন্তু...
মেঘলাঃ একটু আগেই ত বললে আমরা ভাল বন্ধু তাহলে বন্ধু কি বন্ধুকে খায়িয়ে দিতে পারে না?
নীরবঃ অবশ্যই পারে
মেঘলাঃ হুম এখন আর কথা না বাড়িয়ে খেয়ে নাও তাড়াতাড়ি।
মেঘলা নিজের হাতে নীরবকে খায়িয়ে দিল।
ততক্ষনে নিলিমা তা ফ্রেমবন্দী করতে ভুলে নি...
মেঘলা বাসায় ফিরার আগেই...নিলিমা ফিরে এলো
নিলিমা আকাশের ঘরে গেল।
নিলিমাঃ আসতে পারি..
আকাশঃ মানা করলেও আসবে জানি, তাই ভনিতা না করে যা বলার আছে বলে ফেলো
নিলমা; তুমি হেরে গিয়ে ছো আকাশ মেঘলা...
আকাশঃ আমার চোখ আছে মেঘলা যে বাইরে গিয়েছস সেটা দেখেছি. ..
নিলিমা মেঘলার আর নাবিল একটা ছবি দেখিয়ে বলক,
নিলিমাঃ কিন্তু এটা নিশ্চুই দেখ নি
..
আকাশ ছবিটা দেখে বলল তুমি এখন যাও নিলিমা..
নিলিমাঃ যা করার করে ফেলেছি বাকি টা আকাশ নিজেই করবে আজ তো তুমার কপালে দুঃখ আছে মেঘলা ভাবতে ভাবতে নিলিমা চলে গেল।
কিছুক্ষন পরেই মেঘলা চলে আসল..
মেঘলা এসেই আকাশের ঘরে গেল...
আকাশ চুপচাপ বসে আছে...
মেঘলাঃ তুই বসে আছিস কেন ভাইয়া ডাক্তার তোকে বেড রেস্টে থাকতে বলেছে...
আকাশ খুব শান্তভাবে বলল সেটা তোর না ভাবলেও চলবে...
মেঘলাঃ কিছু কি হয়েছে...??
আকাশঃ না কিছু হয় নি তুই এখান থেকে যা মেঘলা
মেঘলাঃ তোর মন খারাপ কেন..??
আকাশঃ ক্ষুদা পেয়েছে তাই,
মেঘলাঃ আমি এখনী খাবার নিয়ে আসছি।
মেঘলা গিয়ে খাবার নিয়ে আসল...
আকাশঃ খায়িয়ে দে...
মেঘলাঃ তুই আমার হাতে খাবি...
আকাশঃ এক কথা বারবার বলি না আমি খায়য়ে দিতে না চাইলে যেতে পারিস জোর করব না।
মেঘলাঃ কেন দিব না অবশ্যই দিব এই নে খা...
আকাশ মেঘলার দিকে তাকিয়ে খাবার টা মুখে নিল..
মেঘলাঃ এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন..??
কথাটা বলার সাথে সাথেই আকাশ মেঘলার হাতে কামড় বসিয়ে দিল...
মেঘলাঃ আহ... কি করছিস আমার লাগছে ত ছাড় ভাইয়া...
আকাশের কানে যেন মেঘলার কথ ঢুকছে না।সে হাতে কামড় দিয়ে ধরে আছে...
মেঘলা ব্যাথা সহ্য করতে না পেরে কেঁদে দিল।আকাশ এবার হাত টা ছেড়ে বলল,আমার ঘর থেকে বের হ
..আর কখনো আমার ঘরে আসবি না আমি তোর মুখ দেখতে চাইনা।
মেঘলা আকাশের আচারনে অবাক হল হাতে প্রচুর ব্যাথা হচ্ছে তবুও সে ব্যাথা যেন মেঘলাকে ছুতে পারল না কারন সে আকাশের চিন্তায় ব্যাস্ত।
আকাশ মেঘলার ধ্যান ভাংগিয়ে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিল...
সেই থেকে আকাশ মেঘলার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে...মেঘলা অনেক চেষ্টা করেও কথা বলতে পারল না...
কেটে গেছে অনেক গুলি দিন নীরব ততদনে সুস্থ হয়ে গিয়েছে আকাশের হাত ও ভাল হয়ে গিয়েছে কিন্তু আকাশ মেঘলার সাথে কথা বলে নি।এই কয় দিনে ভিলের কথা ভুলেই গিয়েছে,
প্রতিদিনের মত মেঘলা আজও নির্ভয়ে ঘুমিয়েছিল,
এর মধ্যে সেই ভিলেনেরও আগমন ঘটে নি কোনদিন।
তবে আজকের ব্যাপার টা প্রতিদিনের মত ঘটল না মেঘলা ঘুমাচ্ছিল হঠাৎ কেউ মেঘলাকে টেনে তুলল।
মেঘলা ঘুম ঘুম অবস্থায় ঠিক বুঝতে পারল না কি হচ্ছে।চোখ খুলে কিছু বোঝার আগেই ছেলেটি মেঘলার মুখ আর হাত বেঁধে দিল।
ছেলেটিঃ ছটফট করে লাভ নেই এর আগেও নিয়ে গিয়েছি এবারো নিয়ে যাব বাঁধা দেয়ার চেস্টা করে নিজের কষ্ট বাড়িও না।কথার অবাধ্যতা আমার পছন্দ না।বলেই ছেলেটি মেঘলাকে কোলে তুলে নিল।
মেঘলা কিছু বলতে পারছে না কিছু করতেও পারছে না। শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখ দেখছে,
ছেলেটি মেঘলাকে কোলে নিয়ে নির্ভয়ে বাসার মেইন দরজা দিয়ে বের হল...
মেঘলাঃ এর ভাব ভংগী দেখে ত কোনভাবেই মনে হচ্ছে না যে তার মনে কোন প্রকার ভয় আছে..
কারোর বাসায় এসে এভাবে কি করে এসব করছে? তাকে কেউ দেখে ফেলার ভয়ও কি করে না? এত নির্ভয়ে বাইরের কেউ কি বাসায় ঢুকতে পারবে তাও একটা মেয়েকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে এত সাহস..?? তাহলে কি ও কি আমার বাসারেই কেউ?
ছেলেটি মেঘলাকে নিয়ে গাড়িতে বসিয়ে দিল...
মেঘলাঃ এবার ছটফট করছে...
ছেলেটিঃউফফ শুরু করে দিলে?আচ্ছা খুলে দিচ্ছি কি বলবে বলো...
ছেলিটি মেঘলাকে সীট বেল্ট পড়িয়ে দিয়ে মুখ খুলে দিল তবে হাত বাঁধা..
মেঘলাঃ আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন ছাড়ুন বলছি আমি কিন্তু চেঁঁচাব...
ছেলেটিঃ আমাকে ভয় দেখাতে চাইছ ব্যাপার টা হাস্যকর।
ছেকেটি ড্রাইভ করছে মেঘলা বাঁচাও বাঁচাও বমে চেঁচাচ্ছে কিন্তু গাড়ির গ্লাসে জন্য আওয়াজ বাইরে বের হচ্ছে না।
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
চলবে ...
২৯ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা মনা হোসাইনের মূল নাম গাজী পিংকি হোসেন। তিনি লেখালেখির ক্ষেত্রে ছদ্মনাম হিসেবে ‘মনা হোসাইন’ নামটি বেছে নিয়েছেন। বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলার বাসিন্দা এই লেখিকা অনলাইন ডিজিটাল মার্কেটার ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে কাজ করছেন।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন