উপন্যাস        :         ভিলেন
লেখিকা        :          মনা হোসাইন
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         

লেখিকা মনা হোসাইনের “ভিলেন” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০১৯ সালে লিখেছেন।
ভিলেন || মনা হোসাইন Bangla Golpo - Kobiyal
ভিলেন || মনা হোসাইন

1111111111111111111111

২৬ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

ভিলেন || মনা হোসাইন (পর্ব - ২৭)

ভাইয়ার এমন আচারনের কারন বুঝলাম না. .এমন কেন করল আর করলই যখন  সরি কেন বলল মাথায় ঢুকল না?আমি শাওয়ারের নিচে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভিজজি আর ভাইয়ার কথা ভাবছি কি ঘটে গেল কিছুক্ষন পর ভাইয়া আসল। 

এক মুহুর্তেই সে একদম বদলে গিয়েছে,আবারো সেই আগের ভয়নাক রুপে ফিরে গিয়েছে
আকাশঃ কিরে তুই এখনো আমার ওয়াশরুমে কি করছিস?বের হ বলছি বলতে বলতে টেনে বের করে দিল। আর কখনো তুই আমার রুমে আসবি না...
এবার আর চুপ থাকতে পারলাম না।

মেঘলাঃ নিজেই ডাকবি আবার বের করেও দিবি..আমাকে কি তর পুতুল মনে হয় যে যখন যা মন চায় আমার সাথে করবি...??
আকাশঃ কি করেছি...??
মেঘলাঃ কি করেছিস জানিস না?

আকাশঃ চোখের সামনে লোভনীয় জিনিস থাকলে শুধু আমি কেন যে কেউ মুখ দিবে... এটা আমার না বয়সের দোষ..বড় হয়েছিস নিজেকে সামলে রাখতে পারিস না?
মেঘলাঃ আমি সামলে রাখব মানে?আমি কি এসব করতে চেয়েছি?
আকাশঃ হ্যা অবশ্যই চেয়েছিস...আমার হাত ভাংগা ছিল তুই চাইলেই আমাকে আটকাতে পারতি তুই বাঁধা দিস নি তার মানে তোর ইচ্ছা ছিল।

ভাইয়ার কথা শুনে নিজের উপড়েই নিজের ঘৃনা হতে শুরু করল।আমাকে একটা ছেলে খারাপ চোখে দেখেছে ভেবেই গা ঘিন ঘিন করছে...
মেঘলাঃ তোর লজ্জা করছে না এগুলি বলতে..???ছি মানুষ কতটা খারাপ হতে পারে তোকে না দেখলে জানতেই পারতাম না।
আকাশ এবার আর কিছু না বলে মেঘলাকে সোজা ঘর থেকেই বের করে দিল।

মেঘলাঃ যদি ঠোঁট ২ টি শরীর থেকে বাদ দিতে পারতাম  শান্তি পেতাম চরিত্রহীন দুশ্চরিত্র লুচ্চা...মেয়ে দেখলে মাথা ঠিক থাকে না তাই না? 
কথাগুলি বলতে বলতে মেঘলা নিজের ঘরে যাচ্ছিল তখন রাস্তায় নাবিলের সাথে ধাক্কা খেল...
নাবিলঃ ধ্যাত কি করলি ভিজে গেলাম তো..

মেঘলাঃ তুই ও দেখবি, হ্যা দেখবিই তো... তুইও তো ছেলে আয় দেখ দেখ মজা নে...
নাবিলঃ আজব কি দেখব কিসের মজা...??
মেঘলাঃ আরে কি করছি একজনের রাগ অন্যজনের উপড় দেখাচ্ছি কেন?(মনে মনে)
কিছু না সরি বলে চলে গেল...!!
নাবিলঃ কি হল ব্যাপার টা..??? কি দেখাতে চাইল আর মেঘলা এভাবে ভিজে কোথা থেকে আসছে? 

নাবিল দেখল ভিজা পায়ের ছাপ আকাশের ঘর থেকে শুরু হয়েছে.
নাবিলঃ তারমানে ও আকাশের সাথে এভাবে ভিজেছে আর আকাশ ওর সাথে উল্টা পাল্টা কিছু করেছে  সেটার রাগ আমার উপড় ঝেড়েছে তাই তো...ভাল।




রাত হয়ে গিয়েছে,সবাই খেতে বসেছে কিন্তু মেঘলার খোঁজ নেই কাওকে খাবার দিতে আসি নি নিজেও খায় নি।
নাবিলঃ মা মেঘলাকে ডাকলে না?
শায়রা বেগমঃ ওর মন খারাপ,মার কথা মনে পড়ছে তাই খাবে না আমিও জোর করি নি. 
আকাশঃ যতসব ঢং...
নাবিলঃ আকাশ কিসব বলছিস...
আকাশঃ তুই তোর খাবার টা খা...

কে খেল কে খেল না সেটা দিয়ে তোর কি দরকার...??
নাবিল আর কথা বাড়াল না।
খেয়ে সবাই যে যার নিজের ঘরে চলে গেল...সারা বাড়ি নিস্তব্ধ।
মেঘলাও ঘুমাচ্ছিল তখন মেঘলার শুভাকাঙ্ক্ষীর আগমন ঘটল।
মেঘলা তাকে দেখেই চিৎকার করতে চাইল কিন্তু ছেলেটি মেঘলার মুখ চেপে ধরল...
ছেলেটিঃ শুধু শুধু ঝামেলা করো কেন? তোমার বাসার কারোর ক্ষমতা আছে আমাকে আটকানোর? না নেই আমি চাইলে সবার সামনে দিয়ে তোমাকে নিয়ে চলে যেতে পারি বুঝেছো তাই আমাকে রাগিও না।

এই কথাগুলি লিখা চিরকুট টা মেঘলার হাতে দিয়ে ছেলেটি একটা gun ( বন্দুক) বের করে মেঘলার সামনে রাখল।
ভয়ে মেঘলার হাত পা কাঁপছে...
ছেলেটিঃ আরে তুমি ভয় পাচ্ছো কেন?  আমি তোমাকে কিছু করব নাকি বোকা.. তুমার গায়ে তো একটা ফুলের টুকাও লাগতে দিব না। 
এটা তাদের জন্য যারা আমাদের মাঝ খানে আসবে 
এবার তোমার যাকে মন চায় ডাকতে পারো আসুক দেখি আমাদের মাঝখানে কে কে আসতে পারে...
( বিঃদ্রঃ ছেলেটি মুখে কিছু বলে না সবি চিরকুটে লিখে)

ছেলেটি মেঘলার মুখ ছেড়ে দিল...
মেঘলাঃ আ আ আপনি আমার সাথে এমন করেন কেন...??যখন তখন চলে আসেন একটু ঘুমাতেও দেন না।
ছেলেটিঃ কারন ছাড়া আসিনা...
মেঘলাঃ কি কারন।
ছেলেটিঃ কারন টা পানিতে গুলে তোমাকে খাওয়ালেও তুমি বুঝবে না যাক গভীরে না যাই সহজে বুঝাই কাল নিলিমার জন্য এসেছিলাম আজ তুমাকে খাওয়াতে এসেছি..রাতে না খেলে শরীর খারাপ হয়...

মেঘলাঃ অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি ছেলেটার দিকে.
ছেলেটা একটা প্যাকেট বের করে এসে মেঘলার সামনে বসল ততক্ষনে ছেলেটি মেঘলার হাত বেঁধে দিয়েছে..তাকিয়ে না থেকে সিধান্ত নাও তোমার মুখ চলবে নাকি আমার হাত...???
মেঘলাঃ ছেলেটা কি বলছে ঠিক বুঝতে পারলাম না।
ছেলেটাঃ তোমার ফেবারিট বিরিয়ানি খাও.. 
ছেলেটা মেঘলার মুখে খাবার তুলে দিল।
কিন্তু মেঘলা খাচ্ছে না।

ছেলেটি এক হাতে মেঘলার মুখ চেপে ধরে জোর করে খায়িয়ে দিল..
তারপর শেষ চিরকুট টা দিয়ে চলে গেল।
শেষ চিরকুটে লিখা, তুমি যখন চাও না তখন ঠিক আছে আমি আর আসব না। আমি তোমার ভয়ের কারন হতে চাই না তবে একটা কথা মাথায় রেখো আমার মেঘলাকে কষ্ট দেয়ার অধিকার আমি ছাড়া আর কারোর নেই এমন কি তোমারও নেই।তাই নিজের খেয়াল রেখো যদি তুমি ভাল থাকো কথা দিচ্ছি আমি আর আসব না কিন্তু নিজের খেয়াল যদি নিজে রাখতে না পারো তাহলে আমি অবশ্যই আসব। 



পরদিন সকালে,মেঘলা রান্না বান্নার কাজে ব্যাস্ত তখন নিলিমা আসল,
মেঘলাঃ আপু কিছু লাগবে...??
নিলিমাঃ না এমনি আসলাম কি করছো..?
মেঘলাঃ আমার একফ্রেন্ড অসুস্থ ত ওর জন্য একটু খাবার রেডি করছিলাম আসলে ওর এখানে কেউ নেই হাসপাতালে ভর্তি আছে কিন্তু খাবার দেয়ার মত কেউ নেই তাই আর কি...
নিলিমাঃ ও আচ্ছা তুমি যাবে..??
মেঘলাঃ হ্যা ওকে বলেছি সকালে আমি খাবার নিয়ে যাব এতক্ষনে হয়ত অপেক্ষাও করছে.. জানো আমি যখন অসুস্থ ছিলাম ও আমার খুব যত্ন নিয়েছে এখন ওর সেবা করাও তো আমার দায়িত্ব  তাই না..

নিলিমাঃ হুম হুম একদম... উপকারীর উপকারের কথা ভুলতে নেই সুযোগ যখন পেয়েছো অবশ্যই ঋন পরিশোধ করা উচিত।
ঠিক আছে তাহলে তুমি রান্না করো আমি যাই।
এটাই তো সুযোগ আকাশের সাথে মেঘলার ঝামেলা লাগানোর...তুমার ভালবাসা নিয়ে আকাশের খুব অহংকার আমি সেই অহংকার ভেংগে চুরমার করে দিব মেঘলা অনেক অপমান হয়েছি তোমার জন্য এবার তুমার পালা...
যেমন ভাবনা তেমন কাজ নিলিমা আকাশের ঘরে গেল..
আকাশঃ তুমি আমার ঘরে..??
নিলিমাঃ কেন আসতে পারি না..??
আকাশঃ পারো তবে আমার পছন্দ না...যাই হোক কিছু বলবে..??
নিলিমাঃ হুম

আকাশঃ কি..??
নিলিমাঃ তুমি আমাকে এখানে কেন নিয়ে এসেছো..
আকাশঃ আসার আগেই বলে এনেছি
নিলিমাঃ আবার বলো না প্লিজ
আকাশঃ মেঘলাকে কষ্ট দেয়ার জন্য...
নিলিমাঃ কিন্তু তুমি ওকে কষ্ট দিতে চাও কেন..
আকাশঃ বলতে বাধ্য নই... 
নিলিমাঃ না বললে কি হবে আমি জানি মেঘলা নীরবের সাথে মিশে তাই তোমার হিংসা হয় আর আমি আজ সেই হিংসার আগুনে ঘী ঢালতে এসেছি আমি তোমাকে কিছুতেই মেঘলার হতে দিব না আকাশ।

একদিন মেঘলার ফোন রিসিভ করেছিলাম জন্যে তুমি আমাকে অনেক অপমান করেছিলে থাপ্পড় পর্যন্ত মেরেছিলে আমি সেসব ভুলি নি এর শোধ আমি তুলবই।জানি তোমরা ২ জনেই ২ জনকে ভালবাসো কিন্তু এই ভালবাসা আমি ঠিকতে দিব না। (মনে মনে) 
আকাশঃ আর কিছু বলার না থাকলে যেতে পারো...
নিলিমাঃ তোমার কি মনে হচ্ছে না তুমি মেঘলার সাথে যেমন আচারন করছো তাতে মেঘলা তোমার কাছ থেকে দুরে সরে যাচ্ছে...

আকাশঃ পাগলের সংলাপ বন্ধ করো মেঘলা আমাকে নিজের চেয়েও বেশি ভালবাসে ওকে আমি মারতে মারতে মেরে ফেল্লেও আমাকে ছেড়ে যাবেনা সেই বিশ্বাস আমার আছে..
মেঘলা আমাকে ছেড়ে যাওয়ার আগে নিজেকে শেষ করে দিতে পারে কিন্তু আমাকে  ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবতেও পারে না
তুমি নিজেই তো সেটার প্রমান,
তুমি যখন বলেছিলে আমি ওকে ভালবাসি না তোমাকে ভালবাসি তখন নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল।তারপরেও এসব কি করে বলছো..???

নিলিমাঃ ও হয়ত তুমাকে ভালবাসত কিন্তু এখনো কি ভালবাসে?
আকাশঃ অবশ্যই বাসে সারাজীবন বাসবে...
নিলিমাঃ ভুল ভাবছো তুমি...মেঘলা তোমাকে এখন আর ভালবাসে না আকাশ এখন যেটা আছে সেটা শুধুও ভয় ভালবাসা না।
আকাশঃ পাগল হয়ে গিয়েছো তুমি আমার আর মেঘলার সম্পর্কের ব্যাপারে তুমার কোন ধারনাই নেই...
নিলিমাঃ তাহলে হয়ে যাক চ্যালেঞ্জ...
আকাশঃ কিসের চ্যালেঞ্জ..??

নিলিমাঃ আজ তুমি মেঘলাকে নীরবের কাছে যেতে মানে বাসা থেকে বের হতে নিষেধ করবে তবে জোর করে বা ভয় দেখিয়ে নয় হাসতে হাসতে বলবে যদি মেঘলা তোমার কথা শুনে না যায় তাহলে বুঝব ও সত্যিই তোমাকে ভালবাসে....
আকাশঃ এ আর এমন কি গ্যারেন্টি দিয়ে বলতে পারি মেঘলা আমার কথার বাইরে এক পা ও রাখবে না।
নিলিমাঃ ঠিক আছে দেখা যাক।ওর কাছে কে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তুমি নাকি নীরব..??তুমি ডাকো মেঘলাকে আমি যাই...
আকাশঃ তুমি থাকো তুমার সামনেই বলছি...
নিলিমাঃ হুম বলো বলো মেঘলা যেমন নরম মনের মানুষ ও না গিয়ে থাকতেই পারবে না ও না গেলে একজন অসুস্থ মানুষ না খেয়ে থাকবে সেটা ও কিছুতেই মানতে পারবে না আজ তুমি হারবে আকাশ (মনে মনে)

আকাশঃ মেঘলা...শুনে যা তো...
মেঘলাঃ আসছি...
মেঘলা এসে বলল হুম বল।
আকাশঃ আজ স্কুলে যাস না কেমন, আমার কাছেই থাক কখন কি দরকার হয়...
মেঘলাঃ আচ্ছা যাব না..
আকাশঃ মনে থাকবে...??
মেঘলাঃ হু..
আকাশঃ কোথাও যাস না কিন্তু
মেঘলাঃ আচ্ছা বলে চলে গেল।

মেঘলাঃ ভাইয়া ত বলল ওর কাছে থাকতে কিন্তু নীরবের জন্য যে রান্না করলাম ওর কাছে তো কেউ নেই আমি ওকে বলে দিয়েছি আমি সকালের খাবার মিয়ে যাব। ও ত নিশ্চুই অপেক্ষায় থাকবে আমি খাবার না নিয়ে গেলে হয়ত খাওয়াটাই হবে না।
আমার অসুস্থতার সময় ও আমার পাশে ছিল আমার কত সেবা করেছে। আমার যাওয়া উচিত আবার ব্যাথাও তো আমার জন্যই পেল।

আচ্ছা নাস্তা খাওয়ার পর তো ভাইয়া বিশ্রাম নিবে তখন গেলে কেমন হয় ভাইয়া ত স্কুলে যেতে বারন করেছে কারন স্কুলে অনেক সময় থাকতে হবে কিন্তু এখানে ত শুধু যাব আর আসব বেশি দেরি হবে না ততক্ষনে ভাইয়ার নিশ্চুই কোন অসুবিধে হবে না বাসায় ত সবাই আছে এইটুকু সময় ওর খেয়াল রাখার মত অনেকেই আছে আমি যাব আর আসব তাতে ভাইয়া মনে হয় না রাগ করবে...

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 

সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।


চলবে ...

২৮ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা মনা হোসাইনের মূল নাম গাজী পিংকি হোসেন। তিনি লেখালেখির ক্ষেত্রে ছদ্মনাম হিসেবে ‘মনা হোসাইন’ নামটি বেছে নিয়েছেন। বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলার বাসিন্দা এই লেখিকা অনলাইন ডিজিটাল মার্কেটার ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে কাজ করছেন।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন