উপন্যাস       :        তোমায় ঘিরে - ২
লেখিকা        :         জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         ২৯ নভেম্বর, ২০২২ ইং

লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “তোমায় ঘিরে - ২” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। লেখিকা এটি “তোমায় ঘিরে” উপন্যাসের দ্বিতীয় সিজন হিসেবে লিখেছেন। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হল। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের নভেম্বরের ২৯ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
তোমায় ঘিরে - ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান - Bangla Golpo - Kobiyal - কবিয়াল
তোমায় ঘিরে - ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান

1111111111111111111111

০৩ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

তোমায় ঘিরে- ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ০৪)

আদ্রিতা তিথি আদ্রিয়ান এর দৃষ্টি কেবিন এর দরজায় দাঁড়ানো নূর আর আরিয়ান এর দিকে।
আদ্রিতাঃএই পাগল লোক নূর এর পাশে কি করে!
আদ্রিয়ানঃআপুনি। দেখো না নূর ভাবী তার পাশে থাকা লোকটার হাত ও ধরে আছে।আল্লাহ বাচাইছে ভাইয়া অজ্ঞান। নাহলে আগুন লেগে যেতো হাসপাতালে।
আদ্রিতাঃহ্যা রে।ভাইয়া চোখ না খুললেই হলো।নাহলে এই ছেলে বিনা দোষে মারা পড়বে।
আদ্রিয়ান আর আদ্রিতা ফিস ফিস করে কথা বলছে।
আরিয়ানঃনূর এমনিতে আমাকে এক বিন্দু পরিমান পাত্তা দেয় না।আজকে যেই আমি একটু ক্রাশ খাইলাম সেই মেয়ের সামনেই আমাকে হাত ধরে নিয়ে এসে পরলো।হায় রে কপাল আমার।মানসম্মান সব পাঞ্চার হয়ে গেলো। (মনে মনে)
নূরঃএটা কি হলো!আমি তো ভাবছিলাম মেহরাবকে সজাগ পাবো।আমাকে আর আরিয়ানকে একসাথে দেখে মেহরাব রেগে জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু এই লোক এর তো চোখ বন্ধ।ধ্যাত। (মনে মনে)
তিথি নূরকে জড়িয়ে ধরলো।
তিথিঃকেমন আসো নূর আপি।আরিয়ান ভাইয়া কেমন আসেন?
আরিয়ানঃএইতো ভালো তিথি মনি।তুমি ভালো আছো?
তিথিঃহুম।অনেক ভালো।
আদ্রিয়ান জ্বলে পুড়ে গেলো।
আদ্রিয়ানঃতিথির এতো কি আদিখ্যেতা এই লোক এর সাথে।এই লোকতো মোটেও সুবিধার না।আমাদের দুই ভাই এর বউ এর উপর তার নজর।(মনে মনে)
আরিয়ানঃকি যে হচ্ছে আজকে আমার সাথে।যার পাত্তা চাই সে বাদে বাকি সবাই আজকে আমাকে পাত্তা দিচ্ছে। (মনে মনে)
আদ্রিয়ানঃকে ভাই আপনি?
নূরঃউনি আমার হবু স্বামী। ডক্টর আরিয়ান চৌধুরী কালকে আমার উনার সাথেই বিয়ে।
আদ্রিতাঃআর ছেলে পাও নাই?
আরিয়ানঃকি বলতে চান আপনি?পাত্র হিসেবে আমার মধ্যে কি খারাপ দেখলেন আপনি?দেশের নামকরা হাসপাতাল এর ডক্টর আমি।দেখতেও যথেষ্ট সুন্দর আছি।কথা বার্তা চাল চলন ও যথেষ্ট ভালো। যেকোনো মেয়ে আমার জন্য পাগল হয়ে যাবে।কিন্তু আমি কাউকে পাত্তা দিবো না।কারন আমি খুবই ভদ্রলোক।আর মেয়েতো কি মেয়ের বাবাও আমার জন্য পাগল।যেমন নিলয় আংকেল।
কথাটা বলে ও আরিয়ান জীভে কামড় দিলো।
ইতিমধ্যে আদ্রিয়ান মেহরাব এর সিটে বসে চিপস খেতে শুরু করেছিল।বেচারার চিপস গলায় আটকে গেলো।
নূর রেগে আরিয়ান এর দিকে তাকায়।
আরিয়ান ভ্যাবলা মার্কা হাসি দেয়।
আদ্রিতাঃমানুষ যে নিজেকে কি মনে করে!!
আরিয়ানঃনূর। আমার পরিচয়টা তো দিলাম। এইবার বলোতো এই বেশি বক বক করা মেয়েটা কে?
আদ্রিয়ান ভ্রু উচু করে তাকালো আরিয়ান এর দিকে।
আদ্রিতা চোখ দিয়েই আরিয়ানকে গিলে খাচ্ছে।
নূরঃউনি আমাদের বড় আপু।আদ্রিতা চৌধুরী।এক্স আর্মী অফিসার এন্ড দেশের টপ বিজনেসম্যানদের একজন আরাফাত চৌধুরীর এক মাত্র মেয়ে।আপু এখন আরাফ বাবাই এর বিজনেস দেখাশোনা করেন।আর অনেক রাগী।
আরিয়ানঃOh i see.এইজন্যই বলে সুন্দরি মেয়েদের রাগ নাকের ডগায় থাকে।
আদ্রিয়ানঃতা নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে না। ডক্টর আরিয়ান।আমার আপুনিকে নিয়ে ভাবার জন্য আমি আর মেহরাব ভাইয়া আছে।
আরিয়ানঃতা তো আছেই কিন্তু বিয়ে তো দিবে না কি?তখন তো তোমার দুলাভাই ভাববে তোমার বোনকে নিয়ে। 
আদ্রিতাঃআপনাকে বলছি আমি বিয়ে করবো। যে এটা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন?
আরিয়ানঃআপনার সাথে পরে ঝগড়া করছি মিস আদ্রিতা চৌধুরী।নূর আপনি কি সবার সাথে পরিচয় করাবেন আমাকে?
নূরঃহ্যা।ও আমার ছোট ভাই আদ্রিয়ান চৌধুরী আর বেডে যিনি শুয়ে আছে তিনি মেহরাব চৌধুরী। আদ্রিতা আপুনির আপন দুই ভাই উনারা দুইজন।
আরিয়ানঃOh I see.
আদ্রিতাঃআমি ডক্টর এর সাথে দেখা করে আসি।ভাইয়ার এখন ও জ্ঞান ফিরছে না কেন!
আরিয়ানঃআমি ও যাবো চলেন।
আদ্রিতাঃআপনি কেন যাবেন?
আরিয়ানঃআমিও কিন্তু ডক্টর। আপনার থেকে ভালো আমি বুঝবো মিস্টার মেহরাব এর কন্ডিশন।
আদ্রিতা কিছু বলতে যাবে তখনই আদ্রিয়ান চোখ টিপি দিলো। আদ্রিতা কিছু না বলে বেড়িয়ে গেলো। আরিয়ান ও আদ্রিতার পিছু নিলো।
আদ্রিতা আরিয়ান যেতেই আদ্রিয়ান উঠে দাড়ালো।
আদ্রিয়ানঃআমার চিপস শেষ হয়ে গিয়েছে। নিয়ে আসি সারা রাত থাকতে হবে। আমার আবার চিপস ছাড়া চলে না।
আদ্রিয়ান তিথির হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো।
তিথিঃআর এ আমাকে টানছেন কেন?
আদ্রিয়ানঃআমি আর তিথি চিপস নিয়ে আসি।তুমি থেকো কিন্তু ডক্টর ভাইয়াকে একা ছাড়তে নিষেধ করেছে।
কথাটা বলে আদ্রিয়ান তিথিকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লো।
তিথিঃআমাকে কেন নিয়ে যাচ্ছিস?
আদ্রিয়ানঃতুই জানিস এক এক টা চিপস এর ওজন কত?এতো ওজন আমি একা কি করে নিবো? তাই তোকেও নিয়ে যাচ্ছি।হাফ তুই নিবি হাফ আমি।
তিথিঃআমার কি ঠেকা লাগছে তোর চিপস বহন করবো?
আদ্রিয়ানঃতোরে কিট ক্যাট কিনে দিবো। যা।
তিথিঃসত্যিই দিবি তো?
আদ্রিয়ানঃতোরে ছুয়ে বললাম দিবো।
তিথিঃশয়তান সব আমাকে মেরে ফেলার ধান্ধা। আমি মরে গেলে তোর বিয়ে হবে না দেখিস।
আদ্রিয়ানঃআমি জানি। হুহ
তোরে তো আমি তিথি আদ্রিয়ান এর পেছনে দৌড় দিলো মারার জন্য।আদ্রিয়ান ভৌ দৌড় লাগালো।
সবাই চলে যেতেই নূর মেহরাব এর পাশে থাকা টুল এ যেয়ে বসলো।মেহরাব এর চেহারা দেখে বুক টা ধক করে উঠলো।ফর্সা চেহারাটা লাল হয়ে আছে।কপালের রক্ত গুলো শুকিয়ে লাল হয়ে গিয়েছে।ঠোঁট এর নিচের অংশ থেতলে গিয়েছে।ব্যাথার জন্য ফুলে আছে চেহারাটা।
নূর এর চোখে পানি জমে গেলো।কপালে ব্যান্ডেজ এর উপর এসে পড়া চুল গুলো হাত দিয়ে সরিয়ে দিলো।
নূরঃচার বছর পর আপনাকে দেখছি।কিন্তু এভাবে দেখতে হবে তা কখনো চাই নাই আমি।কেন করেন আমাকে ঘিরে এতো পাগলামী?কেন?
ভালো তো বাসেন না তাহলে?ভালোবাসলে তো আর ছেড়ে যেতে পারতেন না।তাহলে কেন এমন করেন?বলেন কেন করেন?এখন কথা বলছেন না কেন!!
ধ্যাত আপনার সাথে কথা নেই।আপনি খুব খারাপ। খুব খুব খুব।
নূর উঠে চলে যেতে নিলে মেহরাব হাত ধরে টান দেয়।নূর ছিটকে মেহরাব এর বুকে এসে পড়ে।মেহরাব অনেক জোরে ব্যাথা পায়। বুকে থাকা ব্যান্ডেজ থেকে রক্ত পড়তে লাগে।
_অনেক অভিমান জমেছে নূর পাখি?
নূর ছল ছল নয়নে মেহরাব এর দিকে তাকায়।মেহরাব নূরকে দুই বাহুর মাঝে আবদ্ধ করে নেয়।
নূর কিছুক্ষন এর জন্য সবকিছু ভুলে মেহরাব এর বুকে মাথা ঠেকায়।চারটা বছর পাগলের মতো অপেক্ষা করেছিল এই মানুষটার।আজ তাকে এতো কাছে পেয়ে মন কোনো বাধাই মানছে না।
মেহরাবঃআমি তো বেচে গেলাম নূরপাখি।তোমার তো আর বিয়ে হবে না।
নূরঃআপনি খুব পচা মেহের। কি দরকার ছিলো ইচ্ছে করে এক্সিডেন্ট করার?আপনার যদি কিছু হয়ে যেতো!!
মেহরাবঃতাতে তোমার কি?
নূরঃআমার না তো কার? হ্যা?আমেরিকাতে বউ ঠিক করে এসেছেন?
মেহরাবঃতার মানে আমি না থাকলে তোমার আসে যায়?
নূর আবেগে সব ভুলে গেলেও মনে পড়তেই মেহরাবকে নিজের থেকে এক ধাক্কায় সরিয়ে দিলো।মেহরাব কিছুটা ব্যাথা পেল।
নূরঃআপনার সামনেইতো আমি আরিয়ানকে বিয়ে করবো। এখন আপনি অসুস্থ হয়ে পড়লে হবে বলেন?বিয়ে দিবেন না ছোট বোনকে? 
মেহরাব রেগে আগুন হয়ে গেলো।
মেহরাবঃতুমি আমার কোন জন্মের বোন?
নূরঃকেন?তিথি আপনার যে জন্মের বোন সেই জন্মের। ছোট কালে আমি আপনাকে ভয় পাইতাম বলে ভাইয়া ডাকতে পারতাম না। কারন আপনি আমাকে মারের ভয় দেখাতেন। কিন্তু এখনতো আমি ভয় পাই না আপনাকে। মেহের ভাইয়া।
মেহরাব বাকা হাসলো।
মেহরাবঃতা তো ঠিক।আচ্ছা বড় হয়েছো যখন তখন তাহলে আমাকে মেহরাব বলতেও শিখে নাও।কারন ছোট থাকতে মেহরাব উচ্চারণ করতে পারতে না বলে মেহের বলতে।এখন তো যথেষ্ট বড় হয়েছো।তাহলে আজ থেকে আমাকে মেহরাব ভাইয়া বলে ডাকবে।ঠিক আছে নূর।
নূর এর বুকে চিনচিনে ব্যাথা অনুভব হলো।একতো মেহের তাকে মেহরাব ভাইয়া ডাকতে বলছে। তার উপর নূর পাখি না বলে নূর বলছে।এই নূর শব্দটা শেষ আমেরিকা যাওয়ার আগে একবার উচ্চারণ করেছিলো।আর দ্বিতীয়বার আজ উচ্চারণ করলো।
তার মানে মেহরাব আবারো আমার থেকে দূরে চলে যাবেন!!
নূরঃআপনি আমাকে নূর কেন বলছেন?আপনি তো আমাকে 
বলতে গিয়েও থেমে গেলো।
মেহরাবঃতোমাকে কি?
মেহরাব উঠে বসতে নিলে ব্যাথা পায়।নূর এর চোখ মেহরাব এর ব্যান্ডেজ এর উপর লেগে থাকা রক্তে যায়।
নূর সাথে সাথে ব্যান্ডেজ খুলতে লাগে।
মেহরাবঃএই এই কি করছো?আমার উদম বুক দেখার এতো তীব্র ইচ্ছা। আল্লাহহহহ 
কথাটা বলে মেহরাব মুখে হাত দিলো।
নূরঃএতো বদ কবে হলেন আপনি?চার বছর আগে তো এমন ছিলেন না।
মেহরাবঃচার বছর আগে তো কিশোর ছিলাম। যুবক না।
নূর লজ্জা পেলো।
মেহরাবঃইশশ।
নূরঃকি হলো?ব্যাথা লাগছে?
মেহরাবঃআর এ না।আমি ভাবছি তোমার দোয়াতো কবুল হলো না। বেচে গেলাম আমি। এখন তোমার বিয়ের কি হবে?
নূরঃবিয়েতো কালকেই হবে।আর আজকে হলুদ আর  আংটি বদল।
মেহরাব নবনির কোমড় জড়িয়ে কাছে আনলো।
মেহরাবঃআমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলো তুমি নিজ ইচ্ছায় এই বিয়েতে মত দিয়েছো। আমি এক বিন্দু পরিমান বাধা দিবো না বিয়েতে।
নূরঃবলবো।তার আগে আপনি আমাকে বলেন। আপনি কেন সেদিন আমাকে ছেড়ে চলে গেলেন মেহের?কেন আমার চোখের পানি আপনাকে আটকাতে পারলো না?
মেহরাবঃকিছু রহস্য গোপন থাকাই শ্রেয় নূর পাখি।রহস্যের উন্মোচন হলে যে তুমি মেনে নিতে পারবে না।আমি চাই না সেই কষ্টটা তোমাকে দিতে।
এর থেকে ভালো তোমার ঘৃণা সহ্য করে হলেও তোমার সমস্ত রাগ অভিমান আমি ভেংগে চুড়ে আমার আগের নূর পাখি কে জিতে নিবো।
আমাকে একটা সুযোগ দাও।
নূরঃসুযোগ চাওয়ার সময় শেষ করে এসেছেন।কালকেই বিয়ে। এমন কিছু করবেন না যে আমার বাবার মান সম্মান নষ্ট হয়।
নূর মেহরাব এর বুক এ ব্যান্ডেজ করতে লাগলো।
মেহরাব মুচকি হেসে গান ধরলো~
Teri Baahon Mein Mili
Aisi Rahat Si Mujhe
Ho Gayi Jaan-E-Jahaan
Teri Aadat Si Mujhe
Dekhun Main Jab Tujhko Toh
Tab Mera Din Ye Dhale
নূর মেহরাব এর চোখের দিকে তাকায়।মেহরাব এর চোখে এক সমুদ্র পরিমান ভালোবাসার ঢেউ খেলা করছে ।এই ভালোবাসা ফিরিয়ে দেয়ার সাধ্য নূর এর নাই।
Deewana Kar Raha Hai
Tera Roop Sunehra
Musalsal Khal Raha
Mujhko Ab Ye Sehra
Bata Ab Jaayein Toh Jaayein kahaaaan
Deewana Kar Raha Hai
Tera Roop Sunehra
Musalsal Khal Raha
Mujhko Ab Ye Sehra
Bata Ab Jaayein Toh Jaayein Kahaan
কেবিন এ আদ্রিতা আর আরিয়ান প্রবেশ করলো।
আরিয়ান মেহরাব আর নূরকে একে অপরে দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে।
আদ্রিতাঃব্যান্ডেজ হয়ে গিয়েছে নূর?
নূর ছিটকে সরে আসতে নিলে পড়ে যেতে নেয়।মেহরাব ধরে ফেলে।
মেহরাবঃআস্তে এখনইতো ব্যাথা পেতে।
নূরঃআমি ঠিক আছি।
আরিয়ান আদ্রিতার কানে ফিস ফিস করে বললো।
আরিয়ানঃAny How এরা কি একজন আর একজনকে ভালোবাসে?
আদ্রিতাঃনা তো।
আরিয়ানঃআমি তো এটাই দেখছি। 
আদ্রিতাঃডাক্টারি বাদ দিয়ে জোতিষ্যীই শুরু করলেন নাকি?
আরিয়ানঃসব সময় কাটতে দৌড়াও কেন?কখনো ভালোবেসে ও কথা বলো।
আদ্রিতাঃআমার তো খায়া কাজ নাই অন্যের জামাইকে ভালোবাসবো।
আরিয়ানঃতুমি বললে তোমার জামাই হয়ে যাই?তারপর ভালোবাসবে?
আদ্রিতা রেগে তাকায় আরিয়ান এর দিকে। 
আরিয়ানঃI m joking.
মেহরাবঃকি রে!! কি ফিসফিস করছিস!! তোর সাথে কে?
আদ্রিতাঃকেউ না।কেউ না ভাইয়া।
আরিয়ানঃকি কেউ না!!আর এ আমি নূর এর হবু জামাই। 
আদ্রিতাঃগেল মোরগ হালাল হতে!!(বিড় বিড় করে)
মেহরাব রেগে আগুন হয়ে গেলো।কপালে রগ গুলো ফুলে উঠলো।
আরিয়ানঃকি হলো?
মেহরাব কিছুই বললো না।
মেহরাবঃআজকে নূর না থাকলে তোর খবরই আছিলো।(মনে মনে)
আরিয়ানঃআজিব তো। এই তিনটা ভাইবোনই আজব। যাকে দেখো আমার উপর রেগে যায়।প্রথমে আদ্রিতা তারপর আদ্রিয়ান আর এখন মেহরাব।কেন রে ভাই!!আমার মাসুম চেহারা দেখে তোদের এতো রাগ আসে কি করে!! না জানি এদের বাপ কেমন হবে!

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 

সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।


চলবে ...

৫ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন