উপন্যাস : তোমায় ঘিরে - ২
লেখিকা : জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ২৯ নভেম্বর, ২০২২ ইং
লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “তোমায় ঘিরে - ২” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। লেখিকা এটি “তোমায় ঘিরে” উপন্যাসের দ্বিতীয় সিজন হিসেবে লিখেছেন। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হল। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের নভেম্বরের ২৯ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
তোমায় ঘিরে - ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান |
1111111111111111111111
০৬ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
তোমায় ঘিরে- ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ০৭)
নূর নিলয় এর রুমে আসে।
নূরঃবাবা।ডেকেছিলে?
নিলয়ঃহুম।বসো।
নূর নিলয়ের পাশে বসে।
নিলয়ঃবিয়েটা ১ সপ্তাহ পিছাবো ভাবছি।মেহরাব সুস্থ না হলে বিয়েতে মজা হবে না।সবার মন খারাপ থাকবে।
নূরঃতুমি যা ভালো বুঝো।
নিলয়ঃরেগে আছো?
নূরঃনা।
নিলয়ঃআমি থাপ্পড় মারতে চাই নাই নূর।
নূর এর চোখ ছলছল করে উঠলো।মনে পড়ে গেলো সেই কালো দিন এর কথা।আরিয়ান সেদিন প্রথমবার নূর এর বাসায় এসেছিলো।আরিয়ান নিলয় এর বন্ধুর ছেলে।নিলয় এর বন্ধু আর আরিয়ান এক দিন নিলয়ের বাসায় ঘুরতে আসে।আর ঘুরতে এসেই আরিয়ান এর বাবা নূরকে পচ্ছন্দ করে ফেলে।আর সে থেকে বিয়ে ঠিক হয়ে যায়।
নূরকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় সে এই বিয়েতে রাজি কি না নূর সাথে সাথেই মানা করে দেয়।যার জন্য নিলয় নূরকে একা রুমে নিয়ে এসে অনেক বুঝায়।কিন্তু নূর একটাই জেদ ধরে বসে মেহরাবকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করবে না।নূর মেহরাবকে ভালোবাসে।
নিলয় কথাটা শুনে এতোটাই রেগে যায় যে থাপ্পড় মেরে দেয় নূরকে।নিলয় এর শেষ কথা একটাই ছিল এই বিয়ে না করলে নিলয় বাসা ছেড়ে চলে যাবে।নূর সেইদিন অনেক কষ্ট পায় নিলয়ের ব্যবহারে। কারন নিলয় কখনো তার গায়ে হাত উঠায় নাই।সে থেকে নূর ভয়ে বিয়েতে রাজী হয়ে যায়।
বর্তমান~
নিলয়ঃনূর।
নূরঃহ্যা।
নিলয়ঃমেহরাব থেকে দূরে থাকবে।এখন রুমে যাও।
নূর নিজের রুমে এসে কাদতে লাগলো।কাদতে কাদতে ঘুমিয়ে পড়ে।
সকালবেলা~
পরের দিন সকালে আরিয়ান এর কল আসে।নূর এর কাচা ঘুমটা ভেঙে যায়।নূর বিরক্তি নিয়ে কলটা রিসিভ করে।
নূরঃহ্যা বলেন?
আরিয়ানঃশপিং এ যাবে? চলো। তোমার বাবা কল দিয়ে বললো তোমার নাকি কি লাগবে নিয়ে আসতে। আর বিয়ে নাকি ৭ দিন পর হবে?কারনটা কি?
নূরঃমেহের মানে মেহরাব অসুস্থ তাই।উনি ডিসচার্জ ৭ দিন পর পাবেন। তাই বিয়েটা পেছানো হয়েছে।
আরিয়ানঃওহ।আচ্ছা চলো আমরা শপিং এ যাই।রেডি হও।
নূরঃআমি আদ্রিতা আপুকে পাঠাচ্ছি।উনি ভালো জানেন আমার কি কি লাগবে।আপনি উনাকে নিয়ে যান। আমার প্রচুর মাথা ব্যাথা।
আরিয়ানঃওহ। আচ্ছা।আমাকে উনার এড্রেস পাঠাও। আমি রিসিভ করছি।
নূরঃআচ্ছা।
নূর আদ্রিতাকে অনেক বার কল দেয় আদ্রিতা কল ধরে না।আদ্রিয়ান এর ফোনও সুইচড অফ।
নূরঃআমি তো উনাকে কথা দিয়ে ফেলেছি।এখন না গেলেতো উনি খারাপ মনে করবেন।
মেহরাবকে দিবো!!আচ্ছা।দিয়ে দেখি।
নূর মেহরাবকে কল দিতেই মেহরাব এর ফোনের স্ক্রিনে নূর পাখি নামটা জ্বলে উঠে। মেহরাব কল ধরতে যেয়ে মনে পড়ে গেলো আরাফ এর বলা কথাগুলো।মেহরাব কল কেটে দিলো।
নূরঃএটা কি হলো!! আমার কল কাটলো কেন!!
নূর রেগে গেলো আর কল দিতেই লাগলো।মেহরাব নূর এর ফোন গুলো ইগনোর করে আদ্রিতা আদ্রিয়ান এর সাথে দিব্যি আড্ডা দিচ্ছে।আদ্রিয়ান আর আদ্রিতা রাতে হাসপাতালেই ছিলো।
আদ্রিয়ানঃভাইয়া।
মেহরাবঃহুম।
আদ্রিয়ানঃকলটা ধরো ভাবীর কোনো সমস্যা হয় নাই তো!!
আদ্রিতাঃদেখো ভাইয়া।কেন কল দিচ্ছে।
মেহরাব ও এইবার চিন্তায় পড়ে যায়।এতো বার কল দিচ্ছে।কোনো সমস্যায় পড়লো নাকি।মেহরাব কলটা ধরে।
মেহরাবঃকে বলছেন?
নূরঃএতো তাড়াতাড়ি ভুলে গেলেন?আপনি না আমার এই নাম্বার এ কল দিয়েছিলেন। এখন না চেনার ভান ধরছেন?
মেহরাব ভাব বজায় রেখে কথা বললো।
মেহরাবঃআজব তো।আমাকে কল করে আমার সাথেই এভাবে কথা বলছেন।বেয়াদব মেয়ে।মে আপনি।
নূর রেগে আগুন হয়ে গেলো।
নূরঃআমি বেয়াদপ?আপনি বদের হাড্ডি।
মেহরাবঃআমি বদের।হাড্ডি হলে আপনি চামচিকা।
নূরঃআর আপনিতো গিরগিটি সেকেন্ডে সেকেন্ডে রং বদলান।
মেহরাবঃলজ্জা করে না অন্যের স্ত্রী হয়ে একজন পরপুরুষকে ফোন দেন।
নূরঃআমি আবার কবে কারো স্ত্রী হোলাম।বিয়েতে পিছিয়ে গিয়েছে। জানেন না?
মেহরাবঃবিয়ে কেন পিছাবে?আরিয়ান কি বুঝে ফেলেছে আপনাকে বিয়ে করে জীবন ধ্বংস হয়ে যাবে।
নূরঃসামনে থাকলে এখনি হাত পা ভেঙে দিতাম।বেডা মানুষ।
মেহরাবঃকল রাখলাম।
নূরঃনা না না।আদ্রিতা আপুর সাথে কথা আছে।উনাকে ফোন দিন।
মেহরাবঃআমি কেন দিবো?আমার কি ঠেকা লাগছে?
নূরঃনা দিলে এখনি হাসপাতালে এসে আগুন লাগিয়ে দিবো।দিন বলছি।
মেহরাবঃনা।কোনো দরকার নাই।আমি আপনার মতো বেয়াদব মেয়ের চেহারাও দেখতে চাই না।
কথাটা বলে মেহরাব ফোনটা আদ্রিতাকে দিয়ে দিলো। নূর শেষ কথাটায় কষ্ট পায়।
নূরঃআমার জীবনে কি খালি তিরস্কারই লিখা আছে।ভালোই হয়েছে এই লোক এর সাথে আমার বিয়ে হয় নাই।না হয় আমার জীবন শেষ করে দিতো তিরস্কার করতে করতে।(মনে মনে)
আদ্রিতাঃহ্যা নূর বলো।
নূরঃআপু। আমার কিছু জিনিস লাগবে বিয়ের জন্য।তুমি একটু আরিয়ান এর সাথে যাবে?প্লিজ।আমি তাকে কথা দিয়ে ফেলেছি।প্লিজ আপু। মানা করো না।
আদ্রিতা বলতে চেয়েছিলো যে ওই সাইকোর সাথে আমি কোথাও যাবো না। কিন্তু বলতে পারলো না।মেহরাব আর আদ্রিয়ান এর সুক্ষ চাহনি তার দিকে।এরা যদি একবার ব্যাপারটা আচ করতে পারে ৩য় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু করে দিবে।
আদ্রিতাঃআচ্ছা। আমাকে এড্রেস পাঠাও।আমি আসছি।
নূরঃহাসপাতাল এর বাইরেই আসছে। কল দিয়ে বলে দিচ্ছি তুমি রেডি থেকো। তোমাকে রিসিভ করবে।
আদ্রিতাঃআচ্ছা।
আদ্রিতা কল কাটতেই মেহরাব আদ্রিয়ান আদ্রিতার দিকে জিজ্ঞাসাসুচক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
আদ্রিতাঃওই নূর এর বিয়েতে কিছু জিনিস লাগবে। আমাকে নিয়ে আসতে বলেছে।
মেহরাবঃওহ।আচ্ছা ভালো করে শপিং করিস।
মেহরাব পকেট থেকে কার্ড বের করে দিলো।
কোনো কিছুর কমতি রাখবি না।সব টাকা আমার কার্ড থেকে পে করবি।যত ইচ্ছে তত কেনা কাটা করবি।
আদ্রিতা হা করে তাকিয়ে রইলো।
আদ্রিয়ানঃভাইয়া বিয়েটা কিন্তু তোমার সাথে হচ্ছে না।তুমিই এতো টাকা খরচ করবে কেন?
মেহরাবঃবিয়ে যার সাথে হউক।নূর এর বিয়েতে কোনো কমতি থাকবে না।আমি নিজে সব কিছু পাচটা পুরা করে ওকে বিয়ে দিবো।
আদ্রিতাঃএক্স এর বিয়েতে যে মানুষ এমন খরচ করে তা জানলে প্রত্যেক মেয়ে এমন এক্স চাইবে।
মেহরাবঃযা তো। তোরা দুইটা বিদায় হ।
আদ্রিয়ানঃযাওয়ার তো দরকার আছে।আমার ফোনে চার্জ নাই।চার্জারটাও আনি নাই।
আদ্রিতাঃনা তুই কোথাও যাবি না।একজন এর এখানে থাকতেই হবে ভাইয়ার সাথে।ভাইয়াকে একা রাখা যাবে না।
মেহরাবঃকেন আমাকে কি বাঘ ভালুক এসে খেয়ে ফেলবে?
তখনই নূর কেবিনে প্রবেশ করলো।
মেহরাব এখনো দেখে নাই।
আদ্রিয়ানঃবাঘ না কিন্তু বাঘিনি ঠিকই খেয়ে ফেলবে।
মেহরাবঃকি বললি?!কিসের বাঘি
কথাটা শেষ করার আগে নূর এর দিকে চোখ পড়ে।
মেহরাবঃইয়া আল্লাহ। কতো জোরে ড্রাইভ করলে মানুষ এইটুকু সময়ের মধ্যে হাসপাতালে আসতে পারে?
আদ্রিয়ানঃভাইয়া নূর আদ্রিতা আপুকে কিন্তু আব্বু গাড়ি চালানো শিখিয়েছে।এরা তোমার মতো কচ্ছপ না।
নূরঃকি বললেন আমার চেহারা দেখবেন না?চেহারাতো আপনার দেখতেই হবে।
মেহরাবঃআজব জোবরদস্তিতো।কেন দেখবো আমি তোমাকে?
নূরঃদেখতেই হবে। কেন দেখবেন না?
আদ্রিয়ান চিপস এর প্যাকেট খুলে এদের মারামারি দেখছে যেন সিনেমা চলছে।
আর আদ্রিতার উপর থেকে সবার মনোযোগ সরতেই আদ্রিতা সেখান থেকে আস্তে করে কেটে পড়ে।
আদ্রিতা নিচে একটা কালো গাড়ি দেখতে পায়। ভিতরে আরিয়ান বসে আছে।আদ্রিতা গাড়িটাতে উঠে পড়ে।
আরিয়ান গাড়ি টান দেয় শপিং মলের দিকে।
নূর আর মেহরাব এর পাক্কা ১৫ মিনিট ঝগড়া চলার পর আদ্রিয়ান বোর হয়ে যায়।
আদ্রিয়ানঃথামো তোমরা এইবার।আমার চিপস ও শেষ হয়ে এসেছে।ইয়া আল্লাহ মানুষ এতো ঝগড়া করে।তোমাদের না দেখলে বুঝতামই না।
মেহরাব নূর একসাথে বলে উঠে কি বললি তুই?!!
আদ্রিয়ানঃকে আমিইই???হ্যা। আমি বলছিলাম কি আমার ফোনটা মরে পড়ে আছে।ওকে জীবিত করে নিয়ে আসি।তোমরা থাকো।
মেহরাবঃতোরে না আদ্রিতা বলে গেলো আমাকে ছাড়তে মানা?
নূরঃহ্যা।দুধের বাচ্চাকে একা ছাড়ে নাকি মানুষ?
মেহরাবঃনিজেই শুক্র শুক্র আষ্টো দিন হয়েছে দুনিয়াতে আসছে। আমাকে বলে।এই মেয়ে তোমাকে আমি কোলে করে বড় করেছি।তুমি দুধের বাচ্চা বলো কাকে??
নূরঃহ্যা।আমার আগে দুনিয়াতে এসে অনেক উপকার করেছেন।বুইড়া দামড়া বেটা।
মেহরাব কিছু বলতে যাবে আদ্রিয়ান বলে উঠলো।
আদ্রিয়ানঃভাই।তুমি একা না। ভাবি এখানে আছে।আর আমি গেলে তোমরা ফুল প্রাইভেসি নিয়ে ঝগড়া করো।
মেহরাবঃওই তোর কোন ভাইয়ের বউ যে ভাবী বলিস? নূর আপি বলবি ওরে।
নূরঃএকদম শুনবে না উনার কথা।যা বলবো তার উল্টাটা করবে।তুমি আমাকে ভাবিই বলবে।যে আমার জামাই হবে তুমি তারেই ভাই ডাকবে।আর আমাকে ভাবী।
আদ্রিয়ানঃছোটকাল থেকে ভাবি শিখিয়েছে এখন বলে আপু ডাকতে। ধুর ভাল্লাগেনা।
আদ্রিয়ান বেরিয়ে গেলো।
মেহরাবঃএই দাড়া কি বললি?আবার বল।
নূরঃওর পিছনে লেগেছেন কেন?ঠিকই তো বলছে।আপনিতো ওকে ছোটকাল থেকে ভাবীই শিখিয়েছেন। আর আমাকে যে বউ বানাবেন ভুলে গিয়েছেন?
নূর কথায় বলে ফেললো।বুঝতে পেরে চুপ হয়ে গেলো।
মেহরাবঃতুমি তো অন্য কারো বউ হচ্ছো তো আমি কি করে বানাবো?আর ওই বা কেন ভাবী ডাকবে?
তুমি তো আমাকে চাও নাই।এখন যা চেয়েছো তাই হবে।
নূর এর খুব করে ইচ্ছে করলো বলতে আমি তো আপনাকেই চেয়েছি মেহরাব।আপনার জন্যতো।মার ও খেলাম।কিন্তু আপনাকে পাই নাই আমি।কিন্তু বলতে পারলো না।
নূর মেহরাব এর পাশে বসলো।
নূরঃনাস্তা করেছেন?
মেহরাবঃনা।
নূর পাশেই রাখা বেড এ জেলি লাগাতে লাগলো।
মেহরাবঃএতো আদিখ্যেতা করো না।তোমার হবু বর এর কাছে যাও।
নূরঃতা নিয়ে আপনার ভাবতে হবে না।আপনি আগে খেয়ে দেয়ে সুস্থ হোন। আমার বিয়ের সব আয়োজন তো আপনাকেই করতে হবে।
মেহরাব কিছুই বললো না।
কিছু কথা যা মুখে বলা যায় না।তা গানের শব্দে ভেসে উঠে।
মেহরাব কানে ফোন ধরলো।
মেহরাবঃহ্যা।বেবি। গান শুনবে?হ্যা।দাঁড়াও শুনাচ্ছি।
নবনি আড়চোখে তাকালো মেহরাব এর দিকে কিন্তু মুখ দিয়ে টু শব্দ ও করলো না।
Dard Ka Aalam Hai Hardum
Tere Bin O Mere Humdum
Aankhon Mein Dikhti Hai Maayusiyan
Jahaan Bhi Jaaun Tere Bin
Badi Mushqil Se Guzre Din
Chubti Hai Dil Ko Teri Khamoshiyan
Raaz Gehra Jo Hai Tera
Darr Hai Kaisa Tu Hai Mera
Deewana Kar Raha Hai
Tera Roop Sunehra
Musalsal Khal Raha
Mujhko Ab Ye Sehra
Bata Ab Jaayein To Ja ye kahaaan
মেহরাব এর ফোনটা বেজে উঠলো।নূর বুঝে গেলো মেহরাব গানটা তার জন্য গেয়েছিলো।
নূরঃবেডটা খেয়ে নিয়েন।আমি গেলাম।
নূর উঠে চলে গেলো।
মেহরাবঃকেন আমার জন্য দাড়াও না নূর?তুমি একবার আমার জন্য দাঁড়াও আমি তোমার জন্য সবার সাথে লড়ে যাবো।
আদ্রিতা আরিয়ান শপিং মলে ঢুকলো।আদ্রিতা নূর এর যতগুলো কাপড় কিনছে সব পেমেন্ট মেহরাব এর দেয়া কার্ড থেকে করছে।
আরিয়ানঃএটা কি হচ্ছে বলুন তো?আমাকে টাকা পে কেন করতে দিচ্ছেন না?আমাকে দেখে কি আপনার ফকির মনে হয়?
আদ্রিতা পা থেকে নিয়ে মাথা পর্যন্ত আরিয়ানকে দেখলো।
আদ্রিতাঃনা মানে ওতোটাও না।
আরিয়ান পুরো ক্ষেপে গেলো।
আরিয়ানঃকিহহহ!!কি বললেন আপনিইইই??
আদ্রিতাঃগলা নামিয়ে কথা বলুন।এটা আপনার বাসা না পাবলিক প্লেস।
আরিয়ান এবার আদ্রিতার কানের কাছে ঠোঁট নিয়ে আস্তে আস্তে বললো আমি মোটেও ফকির নায়ায়ায়ায়াআয়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া।
আদ্রিতা কান চেপে ধরলো।
আদ্রিতাঃআল্লাহ গো। আমাকে বয়রা বানিয়ে দিলো।
আরিয়ানঃবেশি জোরে বলে ফেলসিই?আর ইউ ওকে?
আদ্রিতা রেগে তাকালো।
আদ্রিতাঃতোকে তো আমি আজকে একদিনে সাইজ করে ফেলবো।আজকে বুঝাবো তোরে আদ্রিতা চৌধুরী কি জিনিস!! (মনে মনে)
আরিয়ানঃকি হলো বয়রা হয়ে গেলেন নাকি?কানে শুনতে পাচ্ছেন না?
আদ্রিতাঃআপনি যে ফকির না আমাকে প্রমান দেন দেখি।
আরিয়ানঃহ্যা। বলেন কি করে প্রমান করতে হবে?আমি এক পায়ে রাজি।
আদ্রিতাঃঠিক আছে।নূর এর সবকিছুতো কেনা কাটা শেষ। এখন আপনি আমার কেনা জিনিসগুলোর বিলে দিবেন।
আরিয়ানঃহ্যা।আমাকে তো বোকা পেয়েছেন।আমি আপনারটা কেন কিনে দিবো?
আদ্রিতাঃএই তো দেখিয়ে দিলেন তো আপনি যে ফকির।
আরিয়ানঃকি বললেন?ঠিক আছে কিনেন আজকে প্রমান করেই ছাড়বো।কিন্তু শর্ত আছে আমার ও।
আদ্রিতাঃকি শর্ত?
আরিয়ানঃআপনার মন ভরার আগ পর্যন্ত আমি সবই নিয়ে দিবো কিন্তু তা হবে আমার পচ্ছন্দের।
আদ্রিতাঃআমি আপনার পচ্ছন্দের কেন কিনবো?
আরিয়ানঃতাহলে আমি কেন কিনে দিবো?
আদ্রিতাঃঠিক আছে চলুন।
আরিয়ান আদ্রিতাকে একটা লাল বিয়ের বেনারসি কিনে দিলো।
আদ্রিতাঃএটা তো বিয়েতে পরে। আমি এটা দিয়ে কি করবো?
আরিয়ানঃবিয়েতে পরবেন।
আদ্রিতাঃমানে?
আরিয়ানঃশিসসসস।কথা কম।।
এইবার আরিয়ান আদ্রিতাকে কালো রংয়ের নেট এর শাড়ি কিনে দিলো।
আদ্রিতাঃআমি নেট এর শাড়ি পড়ি না।
আরিয়ানঃবললাম না সব কিছু আমার চয়েস এর থাকবে?
আদ্রিতা আর কিছুই বললো না।সে জানে এই সাইকো লোককে কিছু বলে কোনো লাভ নাই।
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
চলবে ...
৮ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন