উপন্যাস : তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ
লেখিকা : মাধুর্য মাধুরী
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ১৬ নভেম্বর, ২০২২ ইং
লেখিকা মাধুর্য মাধুরীর “তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের ১৬ই নভেম্বর থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ || মাধুর্য মাধুরী |
1111111111111111111111
০৪ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ || মাধুর্য মাধুরী (পর্ব - ০৫)
আর্যর পাঁচ আঙুলের দাগ আরণ্যার শ্যামলা গালে বসে গেছে। গালে হাত দিয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে আরণ্যা। আরণ্যার গাল হাত দিয়ে চেপে ধরে আর্য শাসালো,
-'দ্বিতীয়বার আমার ফোনে হাত দেওয়ার দুঃসাহস না হয় যেন তোর। সস্তা মেয়ে, বড়োলোক ছেলে দেখে গলায় ঝুলে পড়েছে! ভেবেছে, আমার জীবনের সর্বত্র দখলদারি করবে! শুনে রাখ, আর্যর এখনো এমন দিন আসেনি যে তোর মত একটা মেয়ের সাথে সংসার করবে! নেহাৎ বাবা-মায়ের চাপে পড়ে তোর সাথে এক ঘরে আছি। নয়তো তোর মত মেয়েকে টাচ করার পর্যন্ত আমার বিন্দু মাত্র ইচ্ছে নেই।'
গাল'টা ছেড়ে দিতেই আরণ্যা শব্দ করে কাঁদতে লাগলো। ওকে কাঁদতে দেখে আর্য আরণ্যার ঠোঁটে আঙুল রেখে আরেকবার শাসালো,
-'এই ঘরের ইতিহাস যেন এই ঘরেই চাপা পড়ে। ঘরের বাইরে কোনো শব্দ গেলে, আমার চেয়ে খারাপ কেউ হবে না!'
আরণ্যা মুখে আঁচল চাপা দিয়ে আরেকবার ফুঁপিয়ে উঠলো।
-'চুপ, একদম চুপ!'
আরণ্যা চোখ মুছে ঘরের বাইরে বেরিয়ে গেল। এই মানুষটা কি কখনোই বদলাবেন না, আরণ্যা বারবার নিজেকে প্রশ্ন করতে লাগলো।
আর্যর রিংটোন শুনে আরণ্যা ঘরে ঢুকেছিল। আর্য হয়তো ফোন রেখে বাইরে কোথাও গেছেন। কল'টা কেটে যাওয়ার আগেই ফোনটা রিসিভ করলো সে।
-'হ্যালো, আর্য আমি নিপা বলছি। ঋধিমা তোর সাথে একবার মিট করতে চায়। প্লিজ, ওকে একটা সুযোগ দে। আমি তোকে এড্রেসটা....'
পুরোপুরি কথা শেষ হওয়ার আগেই আর্য রুমে এসে আরণ্যাকে তার ফোন হাতে দেখে একটা ঠাটিয়ে চড় লাগায়। কল'টা ততক্ষনে আরণ্যার হাত লেগে কেটে গেছে।
আর্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কিছু পরেই অঞ্জলি'কে শপিং করতে যাওয়ার কথা বলে আরণ্যাও বেরিয়ে যায়। মাঝ রাস্তায় আর্যর পার্সোনাল গাড়িটায় কিছু সমস্যা হওয়ার কারণে সেখানে বেশ খানিকটা সময় ব্যায় হয়। আর্য ঠিক করেছে ঋধিমার সাথে একটা বোঝাপড়ায় যাবে। সে এখন বিবাহিত। স্ত্রী যেমনই হোক না কেন, সে পরকীয়ায় জড়াতে পারবে না। এটা ঋধিমাকে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে হবে। যানজটে রাস্তায় গাড়িটা আটকে যাওয়ার সময় আর্য দেখতে পায় পাশের শপিং মলের সামনে দাঁড়িয়ে আরণ্যার মতোই দেখতে একটা মেয়ে কথা বলছে এক অবাঙালি ভদ্রলোকের সাথে। মেয়েটা পিছন ঘুরে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য মুখটা স্পষ্ট দেখতে পায় না আর্য। যানজট কাটতেই আর্যর গাড়িটা হু হু করে বেরিয়ে যায়। বিষয়টাকে বিশেষ পাত্তা দেয় না আর্য।
-'শোনো ঋধিমা, আমি এখন বিবাহিত। জানি, আমার স্ত্রী টিপিক্যাল বাঙালী হাউজ ওয়াইফের মতন। তবে, আর যাই হোক না কেন, সে আমার বর্তমান বেটার হাফ। আর্য চৌধুরী আর যাই করুক না কেন, পরকীয়া করে বাবা মা'র অবিশ্বাসের পাত্র হতে পারবে না। সো, আগে যা হয়েছে ভুলে যাও। নিজের লাইফে রাহুলের সাথেই মুভ অন করো।'
-'তুমি এতো সহজে কীভাবে সব কিছু ভুলে যেতে বলতে পারছো, আমি জানি না। আমাকে আরেকটা সুযোগ দাও আর্য। দেখবে, আমি তোমাকে স্যাটিসফাই করবো।'
-'ফিমেলদের বাইরের চাকচিক্যে আমার বিশেষ ইন্টারেস্ট নেই ঋধিমা। তোমার সাথে কিছুটা কোয়ালিটি টাইম স্পেন্ড করলেও, তোমাকে কখনো জোরাজুরি করিনি আমি। যা হয়েছে দুজনের সম্মতিতে হয়েছে। এছাড়াও, তুমি যে কিছুদিন আগেই রাহুলের সাথে সহবাস করেছো, সে খবরও আমার কাছে আছে।'
-'কিন্তু আর্য, আজকাল এটা খুব কমন ব্যাপার। তুমি বললে আমি রাহুলের সাথে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেবো।'
-'সেটার আর দরকার নেই। আমি কোনোভাবেই তোমার সাথে এক্সট্রা ম্যারেটাল অ্যাফেয়ারে জড়াতে পারবো না। জাস্ট গেট লস্ট।'
ঋধিমা এবার বেশ রেগে যায়। চিৎকার করে বলে,
-'এটার ফল কিন্তু ভালো হবে না আর্য। আমি কিছুতেই তোমাকে ভালো থাকতে দেবো না। আমাকে রিজেক্ট করার রেজাল্ট কিন্তু খুবই খারাপ হবে। আমি তোমাকে দেখে নেবো। জাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ।'
-'আর্য কাউকে ভয় পায় না ঋধিমা! যা করার করে নিও, তবে আমার পাওয়ার কিছু কম আছে ভেবো না। তুমি আমার দিকে ফণা তুললে আমিও তোমাকে ছেড়ে দেবো না। ছোবল তোমাকেও খেতে হবে। '
আর্য ঋধিমাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যায়। আরণ্যার ব্যাপারটা ততক্ষনে তার মাথা থেকে পুরোপুরি মুছে গেছে।
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
চলবে ...
০৬ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা মাধুর্য মাধুরী তার সামাজিক মাধ্যম প্রফাইলে নিজের সম্পর্কে লিখেছেন - “নিজেকে প্রকাশ করতে চাই না। পৃথিবীর সব রহস্যের মধ্যে আমি অধিকতর রহস্যময়।” এছাড়া তার সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে জানতে পারলে তা অবশ্যই কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হবে।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন