উপন্যাস        :         ভিলেন (সিজন ২)
লেখিকা        :          মনা হোসাইন
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         

লেখিকা মনা হোসাইনের “ভিলেন” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। এই উপন্যাসের প্রথম সিজনটি প্রচুর জনপ্রিয়তা পাওয়ায় লেখিকা এর দ্বিতীয় সিজন লেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর থেকে লেখা শুরু করেছেন।
ভিলেন (সিজন ২) || মনা হোসাইন
ভিলেন (সিজন ২) || মনা হোসাইন 

০২ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

ভিলেন (সিজন ২) || মনা হোসাইন (পর্ব - ০৩)

আকাশ একটানে মেয়েটার শাড়িটা খুলে নিয়ে ছবি তুলতে লাগল সাথে সাথে মেয়েটা বলে উঠল, 
"কি করছেন এসব? আপনি এভাবে আমার ছবি তুলতে পারেন না। 

-"কেন পারব না কেন একটু আগে তো তুমিই বললে আমি নাকি পারমিশন ছাড়া মেয়েদের ছবি তুলি আর সেজন্যে আমাকে থাপ্পরও মা*রলে তাহলে এখন পারব না কেন? 

-"আপনি আমার দিকে তাকিয়ে ছবি তুলছিলেব তাই ভেবেছি আপনি আমার ছবি তুলছেন।শাড়িটা দিন এভাবে ছবি তুলবেন না প্লিজ। আমি মানুষের সামনে মুখ দেখাব কি করে? 

বলে হাত দিয়ে শরীর ঢাকার বৃথা চেষ্টা করতে লাগল তে। কিন্তু মেয়েটার কোন কথায় যেন আকাশের কানে ঢুকছে না। সে ক্যামেরা হাতে নিয়ে একের পর এক ছবি তুলে যাচ্ছে। 
মেয়েটা প্রানপন চেষ্টা করে যাচ্ছে নিজেকে আড়াল করার কিন্তু পারছে না। আকাশ বিভিন্ন এ্যাংগেল থেকে ছবি তুলে যাচ্ছে।মেয়েটা এবার রেগে এগিয়ে এসে আকাশের সামনে দাঁড়াল শান্ত চোখে তাকিয়ে বলল, 
-"কি সমস্যা..? 

-"ক্যামারাটা দিন 
-"মানে...? 


-"আপনি এভাবে আমার ছবি তুলতে পারেন না বলেই তে আকাশের কাছ থেকে ক্যামেরাটা নিতে চাইল কিন্তু সাথে সাথে আকাশ শক্ত হাতে ক্যামেরা আঁখড়ে ধরল আর রেগে গিয়ে ধমক দিয়ে বলে উঠল, 
-" এই মেয়ে কি করছো এসব? ছাড়ো বলেছি... 

-"আপনি ছাড়ুন... 
"চুপ একদম চুপ আর একটাও কথা বলবা না বললে তোমার কপালে দুঃখ আছে বলে দিলাম। 

-" দুঃখ তো তোর কপালে লিখা আছে বেয়াদব ছেলে, ছাড়বি না তো ঠিক আছে দেখ তাহলে কেমন লাগে. বলেই আকাশের হাতে কামড় বসিয়ে দিল 

সে চোখ বন্ধ করে নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে আকাশের হাতে কামড়ে ধরে আছে কিন্তু আকাশের কোন রেসপন্স নেই দেখে অবাক হয়ে চোখ তুলে তাকাল। আর দেখল আকাশ শান্তভাবে ভ্রু কুঁচকে তার দিকে তাকিয়ে আছে...আকাশ গম্ভীর গলায় বলল, 
-" তোমার মাথায় কি প্রবলেম আছে? কি করছো এসব? 

মেয়েটা অবাক হয়ে বলল,
-"আপনি ব্যাথা পান নি...?? 


আকাশ তাছিল্যের হাসি দিয়ে বলল,
-"ও আচ্ছা তাহলে তুমি ব্যাথা দেয়ার জন্য কামড়ে ছিলে...??আমি ত ভাবলাম লাভ বাইট করছো 
-"লাভ বাইট আবার কি...?? 

-"কিছু না.. কা*মড় দেয়া শেষ হলে ছাড়ো... 
-" আপনি মানুষ নাকি গন্ডার?এত জোরে কা*মড় দিলাম তবুও একটুও ব্যাথা পেলেন না? 
-"চুপ, ইডিয়েট মেয়ে কোথাকার। একটুও বাড়াবাড়ি করবে না আর একটু বাড়াবাড়ি করলে, শুধু শাড়ি না বাকি সব খুলে নিতে বাধ্য হব। 

মেয়েটা এবার বেশ চেঁচিয়ে বলে উঠল,
-"বাসায় মা বোন নেই...?? আমি আপনার বোনের মত আমার সাথে এমন করতে লজ্জা করছে না? 

আকাশ গাছাড়া ভাব নিয়ে জবাব দিল, 
-" আমার কোন বোন নেই, আমি কোন দুঃখে তোমাকে বোন ভাবতে যাব? আর মা..?? হ্যা অবশ্যই আছে তবে সে তোমার মত যখন তখন যাকে খুশি থাপ্পড় মারে না।আকাশ চৌধুরীর গায়ে হাত তুলার সাহস হল কি করে তোমার? এর ফল কি হতে পারে জানতে না...?? 

মেয়েটা এবার কেঁদে ফেলল আকাশ রেগে বলল,
-" এই মেয়ে ন্যাকামি করবা না। আর একটুও ন্যাকামি করলে তোমাকে যে আমি কি করব নিজেই জানি না। 


-" ভুল হয়ে গিয়েছে আমি বুঝতে পারিনি
ক্ষমা করে দিন আর এমন করব না... 

-"আকাশের সিলেবাসে ক্ষমা শব্দ টা লিখা নেই।তাই এসব বলে কোন লাভ নেই তাছাড়া বেশি কিছু করব না জাস্ট কয়েক টা ছবি তুলব তারপর ছেড়ে দিব। যাতে ভবিষ্যতে এমন করতে ভয় করে।সো লক্ষি মেয়ের মত দাঁড়াও।বলে আকাশ আবার ছবি তুলতে শুরু করল। 

-" আমার সাথে এমন করবেন না প্লিজ।আমার ভয় লাগছে। মাম্মাম জানলে আমাকে খুব বকা দিবে... 
-" ভয় লাগছে সেটা আবার আমাকে বলছো? আমি কি তোমার আপন কেউ যে তোমার ভয় লাগছে বলে আদর করে দিব? 

-"আ আ আমি বাসায় যাব...আমাকে নিয়ে চলুন প্লিজ। 
মেয়েটার কথায় আকাশ অবাক হল, 
-"এই মেয়ে তোমার কি কমনসেন্স একেবারেই নেই? কার কাছে কী আবদার করছে? 
-" আমি কিন্তু এবার কেঁদে ফেলব। 

-"কাঁদার বাকি রেখেছো নাকি? 
আকাশের কথা শেষ হওয়ার আগেই তে গলা ছেড়ে দিল,এ্যা এ্যা এ্যা.... 
-"বাপরে কি ডেঞ্জেরাস কান্না আচ্ছা থাক থাক আর কাঁদতে হবে না ছেড়ে দিচ্ছি তবে কান ধরে বলো আর কখনো না জেনে কারো গায়ে হাত তুলব না। 


মেয়েটা সাথে সাথে কান ধরে বলল আর কখনো এমন করব না ছেড়ে দিন প্লিজ। আকাশ শাড়িটা কুড়িয়ে এনে মেয়েটার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল 
-"নাও আর বাসায় যাও। 

মেয়েটা শাড়িটা হাতে নিয়ে হাঁটতে শুরু করল সাথে সাথে আকাশ বলল, 
- এই মেয়ে দাঁড়াও এভাবে কোথায় যাচ্ছ? 

মেয়েটা গো বেচারা মুখ করে বলল,
- আপনি ত যেতে বল্লেন... 
-"যেতে বলেছি তাই বলে এভাবে যেতে বলি নি আরে ভাই শাড়িটা পরে যাও। 
-" আমি ত শাড়ি পরতে পারি না. মেলায় গিয়ে মিনি কে বলব পরিয়ে দিতে। 
-" কী তুমি এভাবে মেলায় যাবে....? 
-"তো কিভাবে যাব.? 

-"এত বড় মেয়ে শাড়ি পরতে পারো না মানে কি?তাছাড়া না পারলে আগে পড়েছিলে কি করে? 

-"আগে মিনি পড়িয়ে দিয়েছিল আমাদের ওখানে কেউ শাড়ি পরে না তাই শিখিনি। 
-" এমন ভাবে বলছে যেন ফরেন কান্ট্রি থেকে এসেছে (বিড়বিড় করে) 
-"কিছু বলছেন? 


-"না মানে খেতে পারো কিনা সেটাই ভাবছিলাম...?? 
-" হ্যা তা পারি কিন্তু সব সময় মাম্মাম খায়িয়ে দেয়। 
-"হয়েছে বুঝেছি এদিকে এসো আমি পরিয়ে দিচ্ছি এভাবে বাইরে গেলে লোকে খারাপ বলবে...ভাববে আমি তোমার সাথে না জানি কি করেছি। 
-"আপনি শাড়ি পড়াতে পারেন?কিভাবে শিখলেন? 

-" এটা না পারার কি আছে প্রতিবন্ধি ছাড়া সবাই পারবে। 
-" আপনি আমায় প্রতিবন্ধী বললেন? লাগবে না পরানো আমি এভাবেই যাব... 
-"অসহ্যকর,তোমার মানসম্মান না থাকলেও আমার আছে তোমার জন্য নিজের চরিত্রে দাগ লাগাতে পারব না। এদিকে এসো বলছি। 

আকাশ  শাড়িটা পরাতে পরাতে বলল,
-"তুমি জানো আজ আমার জায়গায় অন্য ছেলে থাকলে তোমার সাথে কি কি হতে পারত? আর কখনো জেনে বা নাজেনে কোন ছেলের গায়ে হাত তুলবে না। ছেলেদের থেকে দুরুত্ব বজায় রাখায় বুদ্ধিমতি মেয়ের লক্ষন। 

-"তারমানে বলতে চাইছো তুমি অন্য ছেলেদের চেয়ে ভাল ছেলে? 
-"একটু আগে ত আপনি ছিলাম এখন তুমি হয়ে গেলাম কি করে? 
-" কা*ম*ড় দেয়ার সময় তুই ও বলেছি...?? 
-"তাই নাকি...?? 


-"হুম, আচ্ছা আপনি সত্যি ব্যাথা পান নি? 
-"আবার আপনি কেন? 
-"যখন কাউকে আপন মনে হয় তখন তুমি বলি আপন মনে না হলে আপনি... 
-"অদ্ভুত.... 

-"বকা দিবা না বকা দিলে কেঁদে দিব। 
-"থাক থাক আমি কিছু বলিনি তবুও তোমার এই অদ্ভুত কান্নাটা শুরু করো না প্লিজ। 
আকাশ শাড়ি ঠিক করে দিয়ে বলল,
আচ্ছা নাও হয়ে গিয়েছে এবার যেতে পারো.. 

মেয়েটাও চলে গেল... 
মেয়েটা চলে যাওয়ার পর আকাশ ছবি গুলো ডিলিট করে দিয়ে হাঁটতে কিছুক্ষন হাঁটার পর বুঝতে পারল কেউ তাকে ফলো করছে। এটা নতুন কিছু না আকাশের শত্রুর অভাব নেই। যখন তখন তার উপড় আক্রমন হয়। বিশেষত যখন সে একা থাকে তারউপড় রাত আর জনমানবহীন জায়গা হলে তো কথায় নেই ।আকাশ সবসময় কান খাড়া করে চলে। এবারবও তার ব্যাতিক্রম হল না।কারোর উপস্থিতি টের পেয়ে আকাশ আর কোন কিছু না ভেবে পিছন ঘুরে সোজা পাঞ্চ করে বসল সাথে সাথেই তার চোখ কপালে উঠে গেল কারন তাকে যে ফলো করছিল সে অন্য কেউ না একটু আগের সেই মেয়েটাই। মেয়েটা তাল সামলাতে না পেরে পড়ে গিয়েছে সাথে কান্নাও শুরু করেছে।আকাশ তাড়াতাড়ি ছুটে গিয়ে তার পাশে বসল, 
-"কী আশ্চর্য! তুমি এখানে কি করছো? 


মেয়েটা চোখ মুছতে মুছতে জবাব দিল
-"সেসব পড়ে হবে আগে বলো তুমি আমায় মারলে কেন? 
-"আমি তোমাকে মারতে চাইনি আমি কি করে জানব তুমি আমায় ফলো করছো? বেশি ব্যাথা করছে? 

মেয়েটা মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানাল৷ 
-"উফফ...কি যন্ত্রনা এভাবে ভূতের মত আমাকে ফলো করার কি দরকার ছিল? 
-"আমি এখানকার কিছুই চিনি না তাছাড়া আপনি তখন টানতে টানতে কোন দিক দিয়ে নিয়ে এসেছেন বুঝতেই পারি নি তাই রাস্তা চিনতে পারছিলাম না। অন্ধকার আমার ভয় লাগে তাই আপনার পিছন পিছন যাচ্ছিলাম 

-"অদ্ভুত সেটা পিছন পিছন না এসে আমাকে বললে হত না? আমি রাস্তা দেখিয়ে দিতাম। আমি শর্টকাটে ছেলেদের হোস্টেলের ভিতর দিয়ে যাচ্ছি আর তুমিও আমার সাথে সাথে চলে এসেছো? আমি কি করে বুঝব আমার পিছনে মেয়ে আছে।এদিকে মেয়েরা আসে নাকি?
-"আমি কি চিনি নাকি? তাই বলে মারবে?


-"যা হওয়ার তাত হয়েই গেছে। আই এম এক্সট্রিমলি সরি চলো তোমাকে বাসায় পৌঁছে দেই। 

বলে মেয়েটাকে টেনে তুলল, উঠেই সে বলে উঠল  অনেক ব্যাথা করছে। 
-"লেগেছে যখন একটু ব্যাথা তো করবেই। পেইন কিলার নিলে ঠিক হয়ে যাবে এসো আমি কিনে দিচ্ছি।

মেয়েটা আকাশের পায়ে পা মিলাতে লাগল কিন্তু হটাৎই নাকের কাছে গরম কিছু অনুভব করে হাত দিল আর সাথে সাথেই চিৎকার করে উঠল, 
-"ব ব ব্লাড...!! 

আকাশ আর কিছু বলার সুযোগ পাইনি তার আগেই মেয়েটা সেন্সলেস হয়ে গিয়েছে। আকাশ তাড়াতাড়ি করে তাকে ধরেছে। আকাশের এবার নিজের উপড়েই নিজের রাগ হচ্ছে। কোন দুঃখে সে মেয়েটাকে এখানে নিয়ে এসেছিল ভেবেই রাগ বেড়ে যাচ্ছে।আকাশ বুঝতে পারছে মেয়েটার বিশেষ কোন সমস্যা হয়নি। আকস্মিক আঘাতে প্রায়শই নাকের কশেরুকা ফেটে ব্লিডিং হয় এটা জটিল কিছু না কিন্তু এই মেয়েকে সেটা কে বুঝাবে সে তো কিছু না বুঝেই অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে। আকাশ কি করবে ভেবে পাচ্ছে না এই অবস্থায় মেয়েটাকে নিয়ে সবার সামনে গেলে সবাই উল্টা পাল্টা ভাববে সন্দেহ নেই। এমনিতেই ওকে নিয়ে উল্টো পাল্টা নিউজের অভাব নেই। ভাবতে ভাবতে সে মেয়েটাকে কোলে নিয়ে সামনের দিকে হাঁটতে লাগল। 


এদিকে মেয়েটা পিটপিট করে আকাশের চিন্তামাখা মুখটা দেখছে আর মনে মনে বলছে, 
-"আমাকে কাঁদিয়েছিস না? এর শোধ যদি আমি তুলতে না পারি আমার নাম মেঘলা না। এই কয়েকবছরে বহুত জ্বালিয়েছিস হারামজাদা ভাইয়া এবার আমার পালা। তোকে তো আমি সোজা করেই ছাড়ব তার আগে অভিনয় হোক আর যাই হোক কিছু একটা করে তোদের বাসায় ঢুকতে হবে।

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 

চলবে ...


০৪ পর্ব পড়তে এখানে ট্যাপ/ক্লিক করুন


লেখক সংক্ষেপ : 
তরুণ লেখিকা মনা হোসাইনের মূল নাম গাজী পিংকি হোসেন। তিনি লেখালেখির ক্ষেত্রে ছদ্মনাম হিসেবে ‘মনা হোসাইন’ নামটি বেছে নিয়েছেন। বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলার বাসিন্দা এই লেখিকা অনলাইন ডিজিটাল মার্কেটার ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে কাজ করছেন।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন