উপন্যাস       :        তোমায় ঘিরে - ২
লেখিকা        :         জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         ২৯ নভেম্বর, ২০২২ ইং

লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “তোমায় ঘিরে - ২” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। লেখিকা এটি “তোমায় ঘিরে” উপন্যাসের দ্বিতীয় সিজন হিসেবে লিখেছেন। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হল। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের নভেম্বরের ২৯ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
তোমায় ঘিরে - ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান Bangla Golpo - Kobiyal - Love Story
তোমায় ঘিরে - ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান


৫০ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

তোমায় ঘিরে- ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ৫১)

আদ্রিয়ান এর চোখের দিকে তাকিয়ে তিথি শিহরিত হয়ে উঠে।।সব সময় শান্ত শীতল প্রফুল্ল থাকা নয়নগুলো আজ উত্তপ্ত অগ্নিগিরির রূপ ধারন করেছে। এ যেন কোনো বিনাশের পূর্বাভাস।এমন রাগ আদ্রিয়ান এর মাঝে আরো একবার দেখা গিয়েছিলো।সেইদিন যেদিন নূরকে আজেবাজে কথা বলেছিলো তিথি।আজ মিরাকে কটু কথা বলায় আদ্রিয়ান এর সেই রূপ পুনরায় ফিরে এসেছে।
তিথিঃআদ্রিয়ান।তুই আমাকে এটা বলতে পারলি?
আদ্রিয়ানঃকেন বলতে পারবো না?
তিথিঃতুই আমাকে মারবি?তাও এই মেয়ের জন্য?
আদ্রিয়ানঃতিথি।অনেক হয়েছে।আমি আর পারছি না।ব্যাস!!

আর নাটক নাটক খেলতে পারবো না আমি।এগুলো তোকেই মানায় আদ্রিয়ান চৌধুরীকে না।
তিথিঃনাটক?কিসের নাটক?কি বলছিস?
আদ্রিয়ান কিছু বলতে নিলে মেহরাব থামিয়ে দেয়।
মেহরাবঃআদ্রিয়ান!ঘুমাতে যা।অনেক রাত হয়েছে।
আদ্রিয়ানঃভাই!

মেহরাবঃনো মোর টক।বাকি কথা কালকে হবে।
মেহরাব নিজের রুমের দিকে পা বাড়ায়।নূর ও মেহরাব এর সাথে চলে যায়।তিথি নিজের রুমে যেয়ে দরজা আটকে দেয়।আদ্রিয়ান এর ব্যবহারে কষ্ট পেয়েছে।আরিয়ান আদ্রিতা ও চলে যায় ঘুমাতে।
মিরাঃঘুমাবেন না?
আদ্রিয়ানঃভাবীর কাছে যাবো।
মিরাঃআচ্ছা।


আদ্রিয়ান নূর মেহরাবের রুমের বাইরে যেয়ে নক করে।
মেহরাবঃআমার রুমে আসার জন্য কবের থেকে নক করতে শুরু করলি?
আদ্রিয়ানঃভাবী।তোমার জামাইকে বলে দাও।আমি তোমার রুমে আসার জন্য নক করছি উনার জন্য না।
মেহরাব উঠে ওয়াশরুমে যেয়ে ধুম করে দরজা আটকে দিলো।
নূর একবার ওয়াশরুমের দরজার দিকে তো আরেক বার দরজায় দাঁড়ানো আদ্রিয়ান এর দিকে তাকাচ্ছে।
আদ্রিয়ানঃচলে যাবো?

নূরঃমাইর খাবি।আয় আমার কাছে।
আদ্রিয়ান ভিতরে ঢুকে দরজা আটকে দিতে নিলে মিরা চট করে ঢুকে পড়ে।আদ্রিয়ান কিছু বলে না।চুপচাপ নূর এর সামনে যেয়ে বসে।নূর নিকাবটা সরিয়ে ফেলে।
আদ্রিয়ানঃঅনেক দিন পর এই চেহারাটা দেখলাম।আই মিসড ইউ লট।
নূরঃআমিও অনেক মিস করেছি আমার দেবরটাকে।
আদ্রিয়ানঃএখনতো কোলে মাথা রাখতেও পারবো না।
নূরঃকেন পারবা না?
আদ্রিয়ানঃবড় হয়ে গেছি যে তাই।
নূরঃআমার কাছে তো এখনো সেই ছোট্ট আদ্রিয়ানই রয়েছিস।ভাইটা।
আদ্রিয়ান চট করে নূর এর কোলে বালিশ রেখে সেটাতে শুয়ে পড়ে।নূর আদ্রিয়ান এর মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।
নূরঃভাইয়ের উপর অনেক রাগ আদ্রি?

আদ্রিয়ানঃআমাকে কেন কিছু বলতে দিলো না৷বলোতো?
আমি ওই মেয়েকে আর এক মিনিট ও সহ্য করতে পারছি না।
মিরাঃআমিও।
নূরঃতুই তো আরেক জিনিস।
মিরা আদ্রিয়ান এর পাশ দিয়ে নূর এর কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়লো।
আদ্রিয়ানঃএই মেয়ে কি করছো?উকুন সব আমার মাথায় চলে আসবে তো।
মিরাঃআমার মাথায় মোটেও উকুন নেই।আর আপনি আমার বেস্টির ভাগ নিচ্ছেন কেন?বলুন তো।নেহার কোলে শুধু আমিই মাথা রাখবো আর ও আমার মাথায় তেল দিয়ে দিবে।আপনি কেন শুয়েছেন?
আদ্রিয়ানঃএটা নেহা না নূর।আমার নূর ভাবি।
মিরাঃআমার বেস্টি।
আদ্রিয়ানঃআমার ভাবী।
নূরঃথাম তোরা।দুইজনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি।
আদ্রিয়ানঃওকে।
মিরাঃওকে।
নূর মুচকি হাসলো।


নূরঃআদ্রিয়ান আসার আগে কি প্ল্যান করেছিলাম আমরা?বলোতো?
আদ্রিয়ানঃআমি আর মিরা এজ আ কাপাল অভিনয় করবো। আর তুমি নেহা হয়ে ভাইয়ার সাথে সংসার করবে।
নূরঃতাহলে ভুলে যাচ্ছো কেন?
আদ্রিয়ানঃকারন আমি পারছি না ওকে এই বাসায় এক মূহুর্ত সহ্য করতে।
নূরঃকরতে হবে। মেহরাব এর প্ল্যান মাফিক চলতে হলে আমাকে নেহা হয়েই থাকতে হবে। আর তোমাকে তিথির স্বামী হয়ে মিরার সাথে প্রেম করতে হবে।
মিরাঃআচ্ছা জিজু এই প্ল্যান কেন করছেন সেটাইতো জানলাম না এখন পর্যন্ত।
নূরঃআমিও ঠিক জানি না উনার মাথায় কি চলছে।
আদ্রিয়ানঃআমি জানতে ও চাই না তোমার জামাইয়ের মাথায় কি চলছে।শুধু এতটুকু জানি আমি ওই মেয়ের সাথে এক মূহুর্তও থাকবো না।
নূরঃআমার জামাই তোমার কি হয়?
আদ্রিয়ানঃজানিনা।

মেহরাব খট করে ওয়াশরুমের দরজা খুললো।নূর এর দৃষ্টি মেহরাব এর উপর।কারন পুরো খাট জুড়ে আদ্রিয়ান আর মিরা বিরাজ করছে।মেহরাবের শোয়ার মতো কোনো জায়গাই অবশিষ্ট নেই।
মেহরাব টাওয়েল দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে বের হয়।খাটের দিকে তাকিয়ে চোখ গুলো বড় বড় হয়ে যায়।
আদ্রিয়ানঃতোমার জামাই এভাবে তাকাচ্ছে কেন ভাবী?চোখতো বেড়িয়ে আসবে।
মেহরাবঃবেয়াদ্দপ।আমার খাটে আমার বউয়ে কোলে মাথা রেখে আমাকে খোচা মেরে কথা বলছিস?
আদ্রিয়ানঃদেখছো দেখছো?একটু শুয়েছি বলে কেমন করছে?
নূরঃখবরদার আমার দেবরকে কিছু বলবেন না।৩ বছর পর বাচ্চাটা আমাকে পেয়েছে।আপনার বোঝা দরকার।

মেহরাবঃসবই বুঝলাম আমি কোথায় ঘুমাবো?
মিরাঃজিজু আপনি আপনার ভাইকে আমার বেস্টির   কোল থেকে সরান।আমি ও চলে যাবো।
আদ্রিয়ানাঃআমি কোথাও যাবো না।ভাবীপুকে ছেড়ে।যার যাওয়ার যেতে পারে।
মেহরাবঃযাবি না মানে?আর কতকাল পালবো? বড় হয়েছিস না?এইবার আমাকে আমার বউয়ের সাথে থাকতে দে। যা এখান থেকে।
আদ্রিয়ানঃকই যাবো আমি?ওই তিথির কাছে?!!জীবনেও না।আমি এখানেই থাকবো।তুমি সোফায় ঘুমাও যাও।
মেহরাবঃনূর এর ঘাড় ব্যাথা করবে সারা রাত বসে থাকলে।
মিরা একটু বুঝাও ওকে।
মিরাঃক্যাপ্টেন এত বড় হয়ে বাচ্চাদের মতো বিহেভ কেন করছেন?চলুন এইবার অনেক হয়েছে।


আদ্রিয়ান না শোনার ভান করে চোখ বুঝে নিলো।মেহরাব টাওয়েলটা রেখে সোফায় যেয়ে শুয়ে পড়লো।মিরা আহম্মক হয়ে গেলো মেহরাব এর চুপি দেখে।আদ্রিয়ান চোখ বুঝার পর কেউই কোনো কথা বলছে না।পাক্কা ৫ মিনিট পর আদ্রিয়ান একটু একটু করে চোখ খুলে দেখে মেহরাব চোখের উপর হাত রেখে সোফায় শুয়ে আছে।লম্বা পা গুলো সোফায় আটছে না বলে পা ভাজ করে রেখেছে।পাশ ফিরে দেখে মিরা ঘুমিয়েই পড়েছে।উপরের দিকে তাকিয়ে দেখে নূর এখনো মাথায় হাত বুলাচ্ছে।চোখে চোখ পড়তেই মুচকি হাসি উপহার দেয়।
আদ্রিয়ানঃতোমরা এতো ভালো কেন ভাবীপু?
নূরঃতুমি এতো ভালো যে তাই।
আদ্রিয়ানঃআমি কই ভালো বলো?আমিতো আমার ভাতিজীকে বাচাতে পারি নেই।তোমাদের বাচ্চাটা নেই তোমাদের কাছে।

নূরঃকে বলছে নেই?এই যে আমাদের বাচ্চা।আমাদের আদ্রিয়ান। 
আদ্রিয়ানঃতুমি ভাই থাকলে আম্মু আব্বুর অভাব মনে হয় না।
নূরঃমামনি বাবাইয়ের জায়গায় কখনো নিতে পারবো না কিন্তু তাদের মতো খেয়াল রাখার চেষ্টা করবো। 
আদ্রিয়ানঃচলে যাচ্ছি আমি।তোমরা ঘুমিয়ে পড়ো।
আদ্রিয়ান উঠে পড়ে কিন্তু মিরার কোনো হেলদোল নেই।মেয়েটা সত্যিই সত্যিই ঘুমিয়ে পড়েছে।
আদ্রিয়ানঃও তোমার কোলে এত স্বাচ্ছন্দ্য কি করে ঘুমিয়ে পড়লো ভাবীপু?
নূরঃতিন বছর ধরে আমার কোলেই ঘুমায়।এটাই ওর বালিশ তাই।
আদ্রিয়ানঃকিহ!!তার মানে আমার সব আদর তুমি ওকে দিয়ে দিয়েছো তিন বছরে?
নূরঃহুম।পুরোটা না।কিছু কিছুটা।
আদ্রিয়ানঃএটা একদমই ঠিক না ভাবীপু।তুমি এটা করতে পারো না।
নূরঃও খুব আল্লাদী রে।মায়া আদায় করে নেয়।কেউ না দিতে চাইলেও দিয়ে দিবে।এমন এমন কান্ড ঘটাবে।


আদ্রিয়ানঃতাও ঠিক।আচ্ছা আমি গেলাম।
আদ্রিয়ান মিরাকে চট করে কোলে তুলে নিলো।মিরার ঘুম ভেঙে গেলো।
মিরাঃআপনার কি শান্তি নাই?কথায় কথায় কোলে তুলে নেন কেন?
আদ্রিয়ানঃগুড নাইট ভাবীপু।
আদ্রিয়ান মিরাকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে।নূর দরজা আটকে দেয়।
নূরঃদুটোই বাচ্চা।
মেহরাব এর চোখ লেগে গেছে।সারাদিন খাটুনির পর একটু শুইলেই মেহরাব ঘুমিয়ে পড়ে।আজ ও তার ব্যাতিক্রম হয় নেই।নূর মেহরাবের বুকে আলতো করে মাথা রাখতে মেহরাব এর ঘুম ভেঙে যায়।
মেহরাবঃচলে গেছে ওরা?
নূরঃহুম।

মেহরাবঃকালকে আর যাওয়া হবে না আমার।ঘুমাতেই পারলাম না।এখনই আযান দিবে।
মেহরাব এর বলার মধ্যেই আযান দিয়ে দিলো।
মেহরাবঃওযু করে নামায পড়ে নাও।আমি পড়ে আসি।আর বিচ্ছুটাকেও নিয়ে যাচ্ছি।আমাকে ঘুমাতে দেয় নাই।ওকেও দিবো না।
মেহরাব উঠে বেড়িয়ে গেলো।নূর ওযু।করতে চলে যায়।
আদ্রিয়ান তিথিকে গেস্ট রুমের বিছানায় এনে নামায়।
মিরাঃবেয়াদ্দপ লোক দেখেন নাই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম? কেন উঠালেন?
আদ্রিয়ানঃএখন কিসের ঘুম?আযান দিচ্ছে যাও নামায পড়ো।
মিরাঃএখন না।ঘুম পাচ্ছে।
আদ্রিয়ানঃএখন নিয়ে যেয়ে ঝরনার নিচে দাড় করিয়ে দিবো।সাঝসকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে সব ঘুম পালিয়ে যাবে।

মিরাঃযাচ্ছিইইইই।ইনাকে ভালো ভেবেছিলাম আমি!!ইনি যদি ভালো হয় তাহলে দুনিয়ায় ভালো মানুষের স্টক শেষ হয়ে গিয়েছে।
মিরা বিড়বিড় করতে করতে ওয়াশরুমে চলে যায়।আদ্রিয়ান আড়মোড় ভেঙে নিজের রুমের দিকে হাটা ধরে।মাঝরাস্তায় মেহরাব আদ্রিয়ানের ঘাড়ে হাত রেখে চেপে ধরে।
আদ্রিয়ানঃআরে আরে! এইভাবে চোরের মতো ধরছেন কেন?ভাবীপুর জামাই।
মেহরাবঃনূরের দেবর।নামাজ পড়তে চল। 
আদ্রিয়ানঃআমি একাই যেতে পারবো ছাড়েন আমাকে।
মেহরাবঃআমি থাকতে একা ছাড়বো না আপনাকে।চলুন। 
আদ্রিয়ান আর কিছু বলে না।দুইভাই নামায পড়ে বাসার দিকে রাওনা দেয়।
মেহরাবঃতিথিকে এখনই এক্সপোজ করে দিবি?
আদ্রিয়ানঃতো? কেন করতে দিচ্ছো না ভাইয়া?


মেহরাবঃও তো আমার ছোট বোনের মতো আদ্রিয়ান। ওকে শাস্তি দিতে হাত কাপছে আমার।
আদ্রিয়ানঃএর আগেও এক বার ক্ষমা করেছিলে আবারো সেই ভুল করতে চাচ্ছো?
মেহরাবঃকি করবো আমি?
আদ্রিয়ানঃযা করার আমাকে করতে দাও।আমার কাছে ওর বিরুদ্ধে সব প্রমান আছে।
মেহরাবঃকি প্রমান?
আদ্রিয়ানঃমিরার রুমের সিসিটিভি ক্যামেরা।ওটাতে সব রেকর্ড হয়েছিল।আমি ফুটেজ সাথে করে নিয়ে আসছি।
মেহরাবঃপুলিশ ডাকো।এমনিতে ইলেকশন মাথায় ভর করছে।আর প্যারা নিতে পারছি না।
আদ্রিয়ানঃওহ নো!
মেহরাবঃকিহ!?

আদ্রিয়ানঃইলেকশন সামনে।এখন ওকে পুলিশে দিতে গেলে মিডিয়া সেটাকে নিয়ে অনেক বড় সিন ক্রিয়েট করবে।তোমার রেপুটেশন এ প্রশ্ন উঠবে।
মেহরাবঃআমি জানি সেটা।এইজন্যই তোকে কিছুদিন নাটক করতে বলেছিলাম।যতদিন না ইলেকশনটা হয়। কিন্তু তুই তো একদিন ও সহ্য করতে পারছিস না।
আমার কাছে তোর থেকে বড় রাজনীতি না।যা হওয়ার হবে।পুলিশ ডাক।
আদ্রিয়ানঃআই এম সরি ভাইয়া।আমি তোমাকে ভুল বুঝলাম।আমার মাথায় এটা একদমই আসে নাই যে এখন তিথিকে শাস্তি দিতে গেলে আমাদের উপর দিয়ে প্রথম ঝড় বইবে।
মেহরাবঃহুম।যা হওয়ার হবে।তুই পুলিশ ডাক।
আদ্রিয়ানঃনা বাসায় চলো।যা যেভাবে চলছে চলতে দাও।
মেহরাবঃকিন্তু?
আদ্রিয়ানঃনো মর টক ভাইয়া।ঘুম পাচ্ছে।বাসায় চলো।

মেহরাব বাসায় ফিরে নিজের রুমে যেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।আদ্রিয়ান তিথির রুমের দিকে এগোয়।তিথির চোখ ফুলে গিয়েছে কাদতে কাদতে।দেখে বোঝা যাচ্ছে সারা রাত ঘুমায় নাই।আদ্রিয়ান যেয়ে সোফায় ঘুমিয়ে পড়ে।


তিথি আদ্রিয়ানকে যতই দেখছে ততই অবাক হচ্ছে।আগের আদ্রিয়ান থাকলে তিথিকে এভাবে দেখে অস্থির হয়ে যেতো।আর এই আদ্রিয়ান এর মাঝে কোনো টনকই নড়ছে না।
তিথিঃআদ্রিয়ান হুট করে এমন বদলে গেলো কেন?কি হলো এমন?মিরাকে ভালোবেসে ফেলেছে?ওকে ভালোবাসলে আমার সাথে এমন আচরন করবে?
নাকি অন্য কোনো কারন আছে?

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 

সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।


চলবে ...

৫২ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন