উপন্যাস       :        অনন্ত প্রেম
লেখিকা        :         আরশি আয়াত
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         ১১ই জুন, ২০২৪ ইং

লেখিকা আরশি আয়াতের “অনন্ত প্রেম” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশ করা হলো। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২৪ সালের ১১ই জুন থেকে লেখা শুরু করেছেন।
অনন্ত প্রেম || আরশি আয়াত
অনন্ত প্রেম || আরশি আয়াত

৯ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

অনন্ত প্রেম || আরশি আয়াত (পর্ব - ১০)


সায়েমের একমুহূর্তের জন্য অতীতের কথা মনে পড়ে গেলো?এই মেয়েটার তার অতীতের সাথে কিসের সম্পর্ক?নাকি সে-ই বেশি ভাবছে?হয়তো রাগ এমন কথা বলে ফেলেছে।কিন্তু রাগে এটাই কেন বলতে হবে?মনের খচখচানি কোনো যুক্তিই মানছে না।
কথাটা বলার পর সায়েম যখন অন্যমনস্ক হয়ে গেলো তখন আর ওর সামনে দাঁড়ালো না দিশা।কিছুটা এগিয়ে রিকশা নিয়ে নিলো।রিকশার চাকা যখন ঘুরতে শুরু করলো তখন হুঁশ হলো সায়েমের।কিন্তু ডাকার বা পিছু নেওয়ার ইচ্ছা হলো না।ইতিমধ্যে সে খবর পেয়েছে দিশা কাছেরই মহিলা হোস্টেলে থাকে।
সায়েম সারাক্ষণ অস্থিরতা অনুভব করলো।নাহ!মনের সন্দেহ দূর না করা পর্যন্ত শান্তি হবে না।দিশার সাথে নিজের কালো অতীতের আদৌ কোনো সম্পর্ক আছে কি না সেটা খুঁজে বের করতেই হবে।
টিউশনি থেকে ফিরতি পথে আহাদের ফোন এলো।রিসিভ করতেই আহাদ বলল,'মাত্রই অফিস থেকে বের হলাম।কোথায় আপনি?'
'টিউশনিগুলো শেষ করলাম।আয়শা আপুর বাসায় যাব।'
'আপুর সাথে দেখা করতে?'
'আপনাকে বলা হয় নি আপু আমাকে বলেছে রুমিকে পড়াতে।'
'ও আচ্ছা।ঠিকাছে যান।'
ফোন রেখে আহাদও বড়বোনের বাসার দিকে রওনা হলো।
রুমিকে পড়িয়ে আয়শার বাসা থেকে বের হলো দিশা।ও ভেবেছিলো আহাদও আসবে কিন্তু এতক্ষণ অপেক্ষা করেও আসলো না।আজকে সায়েমের সাথে দেখা হওয়ার কথা জানানো দরকার।এসব ভাবতে ভাবতেই দিশা কিছুটা এগুলো আর তখনই সামনের দিক থেকে আহাদকে হেঁটে আসতে দেখা গলো।দিশা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো,'আপনি এখন এলেন?'
'না,আপনি আসার আগেই এসেছি।'
'তাহলে আপুর বাসায় আসেন নি কেনো?'
'সেখানে আমরা যে বিষয়ে কথা বলব তা বলা যেত না।একবার যদি আপু বুঝতে পারে তাহলে বাবা-মা কে বলে দেবে।আর বাবা-মা জানলে তারা কখনোই আমাকে কিছু করতে দেবে না।প্রচন্ড শান্ত স্বভাবের আমার পরিবারের মানুষগুলো।একদমই সাতেপাঁচে থাকে না,থাকতে চায়ও না।ঝামেলা দেখলেই সরে পড়ে সেখান থেকে।'
'ও আচ্ছা।আপনার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম।আমাকে একটা টেক্সট করলেই পারতেন।'
আহাদ হেসে বলল,'একটু অপেক্ষা করলে কিছু হয় না।চা খাবেন?'
'হ্যাঁ,লেবু চা খাব।'
'স্বাস্থ্যসচেতনতা?'
'নাহ!অন্য সব চায়ের থেকে এটার স্বাদটা আলাদা লাগে আমার কাছে।'
'ও আচ্ছা।আমি আবার দুধ,চিনি ছাড়া চা খেতে পারি না।'
দিশা হাসলো আহাদের কথা শুনে।ওর পাশেরই একটা টং দোকানে ঢুকলো।পছন্দমত দুকাপ চা অর্ডার করে দোকানের পাশের খালি জায়গাটায় দিশার পাশে এসে দাঁড়ালো।
'আপনার কাল ইন্টারভিউ আছে?'
'হ্যাঁ।আপনি জানলেন কি করে?'
আহাদ রহস্য করে হেঁসে বলল,'কাল জানতে পারবেন।'
দিশা বুদ্ধিমানের মত মাথা নেড়ে বলল,'আমি জানি।'
'কি জানেন?'
'আমি আপনার অফিসেই ইন্টারভিউ দিতে যাব।তাই না?'
আহাদ আফসোসের সুরে বলল,'আহারে হলো না!চমকে দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু আগেই বুঝে ফেললেন।শুনেছি মেয়েদের বুদ্ধি নাকি হাঁটুর নিচে থাকে।আপনারটা মাথায় কিভাবে?'
'আমার আর আপনারটা চেন্জ হয়েছে।সেইজন্য আমার বুদ্ধি মাথায় আর আপনারটা হাঁটুতে।'
আহাদ হেঁসে ফেললো।বলল,'আপনি ভালোই কথা বলতে পারেন।'
'জানি সেটা আমি।তারপর কোম্পানিতে আপনার পোস্ট কি?'
'দারোয়ান।'
'মজা না।সিরিয়াসলি বলেন।'
'সিরিয়াসলি।সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ডিউটি করে এসেছি।এখন আরেকজন এসেছে।কাল আবার রাতের শিফট।'
দিশাকে দ্বিধান্বিত দেখা গেলো।ও আহাদের কথাগুলো বিশ্বাস করতে পারছে না আবার এমন সিরিয়াসলি বলছে যে ফেলাও যাচ্ছে না।দিশা ভাবুক হয়ে বলল,'তাহলে বিদেশ থেকে পড়ে এসে লাভ কি হলো?'
'কোনো লাভ নেই।আগে জানলে তো আমি পড়াশোনাই করতাম না।যাক বাদ দিন আমার দুঃখের কথা।চা নিয়ে আসি আসি আপনার জন্য।'
আহাদ দু'হাতে দু'টো কাপ এনে একটা দিশাকে দিলো আরেকটা নিজে নিলো।খেতে খেতে হাঁটা ধরলো দু'জনে।এবার দিশা বলল,'সায়েম এসেছিলো।'
'জানি।'
'কিভাবে জানেন?'
'যাকে বিনাশ করতে নেমেছি তার সম্পর্কে খবর রাখব না?'
'ও কি আপনাকে চেনে?'
'না,এখনও চেনে না তবে আপনার সাথে দেখলে খোঁজ নিয়ে পরে জানতে পারবে।'
'তাহলে আমাদের এভাবে না দেখা করাই ভালো।'
'না,আমি চাই ও আমার সম্পর্কে জানুক।'
'তাহলে তো ও সতর্ক হয়ে যাবে।'
'একটা কথা মনে রাখবেন পাপ কাউকে ছাড়ে না।এবার সে যতই সতর্ক হোক।'
আহাদ দিশাকে হোস্টেলের গেটে পৌঁছে দিলো।দিশা গেট দিয়ে ঢুকার সময় পেছন থেকে আহাদ বলল,'আমি ম্যানেজার পদে আছি।'
দিশা চোখজোড়া কোণা করে ভেঙচিয়ে বলল,'আমি বিশ্বাস করি না।আপনিই দারোয়ানই।আমাকে আসতে যেতে ম্যাডাম বলবেন।'
আহাদ হাসলো।বলল,'আচ্ছা ম্যাডাম কৃষ্ণলতা!

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 

 Follow Now Our Google News

সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।


চলবে ...

১১ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

লেখক সংক্ষেপ:

তরুণ লেখিকা আরশি আয়াত সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। জানতে পারলে অবশ্যই তা কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হইবে।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন