উপন্যাস : অনন্ত প্রেম
লেখিকা : আরশি আয়াত
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ১১ই জুন, ২০২৪ ইং
লেখিকা আরশি আয়াতের “অনন্ত প্রেম” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশ করা হলো। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২৪ সালের ১১ই জুন থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
অনন্ত প্রেম || আরশি আয়াত |
৮ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
অনন্ত প্রেম || আরশি আয়াত (পর্ব - ৯)
দিশা জুইয়ের ছবি দেখলো।মেয়েটা আসলেই ভীষণ সুন্দরী।একদম জুই ফুলের মত।বুকের ভেতর কেমন একটা বেদনা অনুভব করলো ও।কতইবা হবে বয়স মেয়েটার?এই বয়সে এত দুঃখ,কষ্টের সম্মুখীন কেন করেছেন বিধাতা ওকে?কেন এই প্রস্ফুটিত ফুলটি বাসি ফুলে পরিণত হলো?যারা এর পেছনে দায়ী তাদের কেন শাস্তি হয় না?
আজ সারাদিনে অনেকবার ফোন করেছে সায়েম কিন্তু একবারও রিসিভ করার রুচি হয় নি দিশার।ওইরকম একটা অ'মানুষের সাথে কথা বলতেও ঘেন্না হয় আর সারাজীবন সংসার করা তো অসম্ভব ব্যাপার।বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে এখন পর্যন্ত কোনোরকম আফসোস হয় নি ওর,ভবিষ্যতেও হবে না।আর ওই লোকটাকে শাস্তি দিতে যতোটা সম্ভব আহাদকে সাহায্য করবে।দিশা মনে মনে এটাই প্রতিজ্ঞা করলো।
সকালের নাস্তার সময় দিশা বলল,'আপু,আমি আজকে মহিলা হোস্টেলে উঠবো।'
আয়শা বিচলিত কন্ঠে বলল,'কেন বোন?এখানে কোনো সমস্যা হলে আমাকে বলো।'
'না না আপু।কোনো সমস্যা হচ্ছে না।তবে ওইখান থেকে আমার ভার্সিটি,টিউশনিগুলো কাছে।'
আয়শা মন খারাপ করে বলল,'তবুও,,,তুমি এখানে থাকলে আমার ভালো লাগতো।রুমি তো তোমাকে খুব পছন্দ করে।এখন শুনলে খুব কান্না করবে।'
'আমি আপনাদের সাথে,রুমির সাথে দেখা করতে আসব।'
আয়শা একটু ভেবে বলল,'তুমি রুমিকে পড়াতে আসতে পারবে?ওর জন্য টিচার খুঁজছিলাম।কিন্তু কাউকেই ওর পছন্দ হয় না।মেয়েটা এত আহ্লাদী হয়েছে!কি যে করি ওকে নিয়ে।আমার মনে হয় ওর তোমার কাছে পড়বে।তুমি কি আসবে ওকে পড়াতে?'
দিশা একটু ভাবলো।পরে বলল,'আপু চারদিন আসতে পারব।'
আয়শা খুশি হলো।বলল,'চলবে,চলবে!তাতেই আমি খুশি।'
দিশা হাসলো।রুমি আসলেই ওকে অসম্ভব রকমের পছন্দ করে।বাচ্চা মেয়েটা অনেক মন খারাপ করবে ওর চলে যাওয়ার কথা শুনে।
মইনুল ইসলাম প্রচন্ড অসম্মানিত বোধ করলেন মেয়ের কান্ডে।এখন আর বেয়াই বাড়িতে কোনো মুখ রইলো না।ছোটো মেয়েটার জন্য বড়ো মেয়েটারও ভুগতে হবে এখন।ফরিদা বেগম তো ভুলেই গেছেন তার ছোটো আরেকটি মেয়েও আছে।যে মেয়ে বাবা মায়ের মানসম্মানের কথা চিন্তা করে না ওমন মেয়ে না থাকাই ভালো।
তিনদিনের ট্যুর কোনরকম একদিনেই শেষ করে ফিরে এলো সায়েম।বাকিরা সবাই নির্দিষ্ট সময়ে আসবে।ওরও তাই আসার কথা কিন্তু দিশার জন্য বড় অসময়ে ফিরে আসতে হলো।তাছাড়া দিশাকে ছাড়াও এনজয় করছিলো।গতকাল রাতে যে মেয়েটি সার্ভিস দিয়েছিলো আজও তারই আসার কথা ছিলো কিন্তু দুপুরের ফ্লাইটেই সায়েম চলে আসে।মেজাজ প্রচন্ড উগ্র হয়ে আছে।দিশা কোথায় গেছে সেটা ওর বাবা,মাও জানে না।উষাকে বলেছিলো ওর থেকে জানতো কিন্তু সেও পারে নি।এখন আরেকটা রাস্তা আছে সেটা হলো ওর ইউনিভার্সিটি।আজ ক্লাস না থাকলেও কাল আছে।এটাকেই মাধ্যম হিসেবে ব্যাবহার করার কথা ভাবলো সায়েম।
আসাদ সন্ধ্যার সময় মহিলা হোস্টেলের সামনে এসে ফোন করলো দিশাকে।রিসিভ করতেই বলল,'বের হতে পারবেন এখন?'
'হ্যাঁ।আপনি কোথায়?'
'আমি আপনার হোস্টেলের নিচেই আছি।'
'আচ্ছা।দশমিনিট অপেক্ষা করুন।আসছি।'
'ঠিকাছে।'
আহাদ আর দিশা ধানমন্ডি লেকে বসলো।সন্ধ্যার সময় জায়গাটা আরো সুন্দর লাগে।আহাদ জানতে চাইলো,'সায়েম চলে এসেছে আজ দুপুরে।সম্ভবত কালকের মধ্যে যেভাবেই হোক আপনার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবে।'
'সেট আমি জানি।ও আমাকে এত সহজে রেহাই দিবে না।'
'হ্যাঁ।ম্যানুপুলেটিং,ব্ল্যাকমেইলিং যেভাবে পারে হেনস্তা করার চেষ্টা করবে।তবে আপনাকে শক্ত থাকতে হবে।'
'সমস্যা নেই।ওকে ভয় পাই না আমি।'
'ভালো লাগলো শুনতে।তারপর আপনার পরবর্তী প্ল্যান কি?বিয়ে তো ভাঙলো এখন কি করবেন?'
'জবের চেষ্টা করছি।এই সপ্তাহে দু'টো ইন্টারভিউ আছে।'
'বাহ!বেশ ভালো।'
'হ্যাঁ একটা জব হয়ে যাওয়া জরুরি।'
বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে আহাদ দিশাকে আবার পৌঁছে দিলো হোস্টেলে।
দিশা জানে আজ সায়েমের মুখোমুখি হতে হবে তাই ও আগে থেকেই প্রস্তুত হয়ে আছে।ক্লাস শেষে ক্যাম্পাস থেকে বের হতেই সায়েম সামনে এসে দাঁড়ালো।চোখে আগুনের স্ফুরণ!হুকুমের স্বরে বলল,'আমার সাথে আসো।কথা বলব।'
'যা বলার এখানে বলুন।আমি কোথাও যাব না।'
'আসতে বলেছি আসবে।বেশি কথা আমার পছন্দ না সেটা তোমাকে আগেই বলেছি।'
'বলেছেন।তখন আমি আপনার ফিয়ন্সে ছিলাম।কিন্তু এখন নেই।'
'কে বলেছে নেই?তুমি বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলেই সব পাল্টে যায় না।'
'যায় কারণ আমি আপনাকে বিয়ে করব না বলেই বেরিয়ে এসেছি।'
'আমি মানি না।তোমার আমাকেই বিয়ে করতে হবে।'
'না করলে কি করবেন?এ'সিড দিয়ে মুখ ঝ'লসে দিবেন?'
কথাটা শুনেই সায়েম হতভম্ব হয়ে গেলো।এসব কি শুনছে?অতীত কি সামনে আসছে?
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
Follow Now Our Google News
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
চলবে ...
১০ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা আরশি আয়াত সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। জানতে পারলে অবশ্যই তা কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হইবে।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন