উপন্যাস        :         বজ্রমেঘ
লেখিকা        :          ফাবিয়াহ্ মমো
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         ১৩ই এপ্রিল, ২০২৪ ইং

লেখিকা ফাবিয়াহ্ মমোর “বজ্রমেঘ” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হল। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি  ২০২৪ সালের ১৩ই এপ্রিল থেকে লেখা শুরু করেছেন। 
বজ্রমেঘ || ফাবিয়াহ্ মমো Bangla Golpo
বজ্রমেঘ || ফাবিয়াহ্ মমো

বজ্রমেঘ || ফাবিয়াহ্ মমো (পর্ব - ১)


বাতাসে অশনি গর্জন। ধূলোর ঝড়ে চোখ মেলা যাচ্ছে না। দিগ্বিদিক ছাপিয়ে কালো মেঘের দল বুনো জন্তুর মতো জড়বৎ মুখিয়ে আছে। যেন এক্ষুণি ভয়াল তীব্র আক্রোশে ফেটে পড়বে আকাশ থেকে। একপলক দৃষ্টি তুলে আকাশের অমন ভীতিকর মূর্তিটা দেখতে পেল রোজা। বুক ধুকপুক করা উর্ধ্বশ্বাসে চিৎকার দিয়ে ডাকলো,
- সামনে যাস না! প্লিজ থাম। ওদিকটায় বিপদ!
রোজার আতঙ্ক ভরা চিৎকারে থমকে দাঁড়াল শ্রেষ্ঠা। চট করে মাথা ঘুরাতেই কিছুটা দূরে পিছিয়ে পড়া রোজার দিকে ভ্রুঁ খিঁচিয়ে চাইল। রোজা যেন বিরক্তিসুলভ ভাবটা টের পেতেই আকাশের দিকে ডান তর্জনী তাক করে বলল,
- আকাশের অবস্থা ভালো না। খারাপ একটা ঝড় উঠবে। এক্ষুণি ওদের থামতে বল! আজকের মতো ভ্লগ অফ করে হোটেলে ফিরে যাই। মন বলছে আমরা বোধহয় বাজেভাবে বিপদে পড়ব! ভয়াবহ একটা বিপদ বোধহয় সামনে এখন ওঁত পেতে আছে!
রোজার অমন বুজরুকি কথা শুনে চরম বিরক্ত হলো শ্রেষ্ঠা। ওসব ফাঁকা ফাঁকা কথা এসব জায়গায় মানায়? কোমরে দুহাত রেখে খ্যানখ্যানে গলায় বলে উঠল সে,
- একদম ঢঙ করবি না! তোর কাছ থেকে আমরা ওয়েদার ফোরকাস্ট চেয়েছি? আমরা তোকে একবারও বলেছিলাম সঙ্গে আয়? আসলি কেন! হোটেলে থাকতে বলা হয়নি? [বা ট][পা র] কোথাকার! দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ফালতু কথা বলবি না।
- শ্রেষ্ঠা প্লিজ! সন্ধ্যা হচ্ছে ভাই। আরেকটু পর অন্ধকার হয়ে যাবে। আকাশটাও কেমন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। চল না!
শ্রেষ্ঠা একটুও পাত্তা দিল না। মুখটা ভোঁতা করে কঠোরভাবে জানান দিল,
- ফালতু কথাবার্তা একদম বন্ধ! কেউ ওসব শুনতে চায়নি। অ্যাডভেন্ঞ্চারাস ভ্লগে এমনটাই হবে এটাই স্বাভাবিক। ফটাফট নিজের পা চালান! নয়তো ওভাবেই খাম্বার মতো দাঁড়িয়ে থাকেন। আপনার আজাইরা ঢঙ দেখার একটুও ইচ্ছে নেই। বোঝা গেছে?
কোমর থেকে হাত ঝাড়া দিয়ে আবারও হাঁটতে শুরু করেছে শ্রেষ্ঠা। পড়ণে হাঁটুস্পর্শী আসমানি রঙের কূর্তি। নেভি ব্লু পাজামা। মাথায় এলোমেলো গোছের উঁচু একটা খোঁপা বেঁধেছে ও। দু এক গুচ্ছ চুল কানের দুপাশ থেকে গাল ছুঁয়ে দুলছে। শ্রেষ্ঠার মেজাজটা আজ তিতিবিরক্ত। করুণ। ওরা রোজাকে হোটেলে থাকার জন্য কী পরিমাণে অনুরোধ করেছে, কিন্তু এই [ফা] [জি] [ল] মেয়েটা সেখানে একটুও থাকল না! অসুস্থ আরেক বান্ধবিকে সঙ্গই দিল না [জো]চ্চোর মেয়েটা! এখন কিনা আঙুল কেটে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছে। একদম ঠিক হয়েছে। বরাবরের মতোন এক উচিত শিক্ষা!
বেশ ক'হাত সামনে দলের আরো চারজন সদস্য বেশ আমোদে প্রমোদে হইচই করে ভ্লগের ভিডিয়ো ক্যাপচার করতে ব্যস্ত। বাংলাদেশের বুকে এমন এক পাহাড়ি অঞ্চলে ওরা এক্সপ্লোর করতে এসেছে, যেখানে আগে কখনো পা মাড়ায়নি ওরা। ভীষণ জঙ্গুলে জায়গা। চারিদিকে কবরের মতো নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে। একটা গা ছমছমে ভয় বুকের ভেতর মোচড়ে উঠছে বারবার। পায়ের তলায় শিরশিরে ঠাণ্ডা অনুভূতি। শীতল বাতাসে কেমন আতঙ্ক মেশানো গন্ধ। যেন আগপিছে কোনো অদৃশ্য চোখ ক্ষণে ক্ষণে লক্ষ রাখছে ওদের ওপর। শ্রেষ্ঠা আবারও পা থামিয়ে রোজার অবস্থাটা পরোখ করতে লাগল। একটু দূরে অসহ্য ব্যথায় চোখ খিঁচিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছে রোজা। ডানপায়ের বুড়ো আঙুলের নখটা ওর নেই। পাথরের সাথে হোঁচট খেয়ে চিতপটাং পরে যেতেই বাজেভাবে নখটা উঠিয়ে ফেলেছে। তুমুল ব্লিডিং বন্ধ করে বুড়ো আঙুলটা ব্যাণ্ডেজ করা দিয়েছে। কিন্তু ওকে দেখে একটুও করুণা বোধ করছে না শ্রেষ্ঠা। হোটেলের একাকী কক্ষে ওদের আরেক দলসঙ্গিণী প্রচণ্ড জ্বরে ভুগছে। অথচ সেই অসুস্থ মেয়েটাকে সামান্য একটু দেখভাল করবে তা না; চরম এক নিষ্ঠুরের মতো ঢ্যাঙ ঢ্যাঙ করে চলে এসেছে এই রোজা। স্বার্থপর, [বা ট] [পা র], [ধ] ড়ি বা [জ] একটা মেয়ে। অসহ্য! কেন যে বাকি বন্ধুরা এর মতো ফালতু মেয়েটাকে গণায় ধরে! শ্রেষ্ঠা বিরক্তি ডোবা মুখটা সামনে ফেরাতেই হঠাৎ চমকে উঠল! এ কী! এ কেমন সর্বনেশে অমঙ্গল ধেয়ে আসছে! সামনে ওসব কেমন কাণ্ড!
হাতের প্রিয় ক্যামেরাটা খামচে ধরতেই প্রচণ্ড রকম থমকে গেছে জিদান। তার পাশে পাথরের মতো দাঁড়িয়ে পরেছে সেলিম। সেলিমের ঠিক এককদম সামনে হাঁটা থামিয়েছে নাযীফ। কেউ একবিন্দু নড়তে পারছে না। চারধার ভয়াবহ রকম কালো অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। বাতাসের দাপুটে ঝাপটায় চোখের কাছে হাত তুলে চোখ বাঁচাতে ব্যস্ত ওরা। তবু সরুচোখে দেখতে পেল চারটে ষণ্ডাদেহী পুরুষমূর্তি আশপাশের ঝোঁপ থেকে বেরুল। চোখগুলো রক্তলাল। দুটো গনগনে লাল অগ্নিকুণ্ড যেন ওই চোখ থেকে ঠিকরে বেরুচ্ছে। গায়ের চামড়া কুচকুচে কয়লাবর্ণ। মাথায় ময়লা গামছা বাঁধা। পড়ণে নোংরা জীর্ণ পোশাক। নৃশংস [হ] [ত্যা] কা রী দে র মতো ঠাণ্ডা দৃষ্টি ছুঁড়ে সর্দার গোছের একজন গম্ভীর স্বরে বলে উঠল,
- ওডা, তোরার সাহস দেহি তো আঁই অবাক অই গেই। যেই এলাহাত তোরা ঠ্যাঙ দিয়ুস এন্ডে কুত্ত বিলেইও [জা ন] [হ ব জ র] ডরে ঠ্যাঙ ন দেয়।
অপরিচিত ভাষাটা বুঝতে না পেরে তিন বন্ধুই কপাল কুঁচকে ফেলল। তবে যে ব্যক্তিটি সমস্ত কথা বুঝতে পারল, এক লহমায় তার সুন্দর সুশ্রী মুখটা আতঙ্কে কালো হয়ে গেছে। নাযীফের ডানহাতটা খামচে ধরে ঢোক গিলল সোহানা। ওর দাদাবাড়িটা চট্টগ্রাম বিভাগে পরেছে বলে স্থানীয় ভাষাটা একটু আধটু বুঝতে পারে। নাযীফ কণ্ঠ নীচু করে একদম ফিসফিস স্বরে বলল,
- সোহা, তাড়াতাড়ি ট্রান্সলেট কর! বল্ ওই লোকটা কি বলেছে?
সোহানা তীব্র ভয়ে কথাই বলতে পারছে না। ওই লোকগুলোর হাতে ধারালো সব অস্ত্র। ওগুলো দিয়ে সম্পূর্ণ একটি মানুষকে চার টুকরো করা সম্ভব! পিঠের শিরদাঁড়া বেয়ে শীতল স্রোতটা ছুঁয়ে যেতেই সোহানা আঁটকে আঁটকে বলল,
- না-না-নাযীফ, ওরা ...ওরা আমাদের সাহস দেখে অবাক হয়েছে। এই... এই এলাকায়... এই এলাকায় সামান্য কুকুর বিড়ালও নাকি [জা] ন [ক] ব জে র ভয়ে পা মাড়ায় না!!
জান কবজ শব্দটা শুনেই আঁতকে উঠল সবাই! নিরীহ প্রাণটা শেষমেশ ওদের হাতে খোয়াতে হবে নাকি? এই জনশূন্য বিরান এলাকায় কে ওদের উদ্ধার করবে? কেউ কী বাঁচাতে পারবে? পুলিশ? সোহানা জানে এসব [দু] র্বৃ ত্ত দে র সামনে পুলিশও ব্যর্থ! কয়েক সেকেণ্ডের ভেতর কুপিয়ে এরা পালিয়ে যাবে। সোহানা ওদের বারবার বলেছিল এমন জঙ্গুলে জায়গা এড়িয়ে চলতে। কেউ শোনেনি। উল্টো সামান্য একটু বেশি ভিউসের জন্যে এমন জঘণ্য আবহাওয়াতেও ভিডিয়ো শ্যূট করতে বেরিয়েছে এরা। জিদান আপনমনে দ্রুত কিছু একটা ভাবতেই পাশে থাকা সেলিমের দিকে চতুর ইশারা দিল। সুক্ষ্ম কৌশলটা ধরতে পেয়ে কিঞ্চিত মাথা দোলাল সেলিম। একটুও সময় নষ্ট না করে চটজলদি সোহানার উদ্দেশ্যে ফিসফিসিয়ে বলল,
- সোহা, এ্যাই সোহা! শোন আমার কথা। তুই ওদের জিজ্ঞেস কর ওরা আমাদের কাছে কী চায়? কী পেলে খুশি হবে? কুইক আস্ক কর সোহা! কুইক!
সোহানা বুঝতে পারল বিপদের মুখে ওর বন্ধুরা ঠেলে দিচ্ছে। কিন্তু কথাগুলো জিজ্ঞেস করা খুবই প্রয়োজন। এখান থেকে উদ্ধার পাবার জন্য মন এখুনি আকুলিবিকুল করছে! মনের সমস্ত ভয়কে শিকল পড়িয়ে সোহা একটু সাহস কুড়িয়ে বলল,
- আপনারা আমাদের কাছে কি চান? আমরা তো আপনাদের ক্ষতি করিনি। দেখুন আমরা ওরকম কেউই না! আমরা ভার্সিটির স্টুডেন্ট। এখানে শুধু প্রকৃতি দেখতে এসেছি। ঘুরতে এসেছি। আর কিচ্ছু নয়! সত্যি করে বলছি। বিশ্বাস করুন!
সোহানা [দু] র্বৃ ত্ত দে র ভাষায় কথাগুলো জানাতেই সর্দার গোছের লোকটা কী যেন বলল ওকে। সোহানা সেই কথাগুলো শুনতেই বরফের মতো নিশ্চল হয়ে দম বন্ধ করে ফেলেছে। অজান্তেই একপা একপা করে পিছিয়ে যাচ্ছে ও। নাযীফের খামচানো হাতটা ছেড়ে দিয়েছে অলক্ষে। নাযীফ 'কী হয়েছে' ব্যাপারটা জানতে উদ্যত হবে, ঠিক তখুনি দেখল ষণ্ডাদেহিরা ধারালো [অ] স্ত্র উঁচিয়ে এগোচ্ছে। হঠাৎ সবাই মৃ ত্যু র ভ য়ে নুইয়ে পরতেই ছেড়ে দেবার জন্য আকুতি মিনতি শুরু করল। মৃ [ত্যু] র পয়গাম সমস্ত শরীরে শীতল কাঁপুনি ছড়িয়ে দিচ্ছে। রোজা, শ্রেষ্ঠা, জিদান, সেলিম, সোহানা ও নাযীফ নিঃশ্বাস বন্ধ করে পিছাচ্ছিল। হঠাৎ আকাশ ফেটে গগনবিদারী বজ্রপাতের শব্দ হলো একটা! মেয়েরা কানে হাত চেপে কুঁকড়ে উঠতেই দ্বিতীয় বজ্রপাতে কেঁপে উঠল ভূমি! প্রকৃতির অশনি গর্জনে অশান্ত পরিবেশ উন্মাতাল হয়ে গেছে। দুপাশের সমস্ত গাছগাছালি আছাড়িপিছাড়ি করে তাণ্ডব চালাতে মহা-ক্ষুব্ধ! ষণ্ডাদেহি [জা] নো য়া র গু লো [অ] স্ত্র হাতে হা হা করে তেড়ে এলে ছয়জনই উর্ধ্বশ্বাসে মা র ণ ছুট লাগাল। বাতাসকে তেড়েখুঁড়ে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে পালিয়ে গেল সেলিমরা! কিন্তু ডান পায়ের চোটে আবারও উষ্টা খেয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ল রোজা। হাতের কনুই ছিলে, কপাল ফেটে দরদর করে তরল স্রোত চুইয়ে পড়ল ওর। রাস্তা থেকে বহুকষ্টে মাথা তুলতে গিয়ে দেখল চোখের সামনে সব বন্ধুরা দৃষ্টির বাইরে চলে যাচ্ছে। দূর অন্ধকারে মিশে যাচ্ছে পাঁচটি। তবু যেন আসমানি কূর্তিটা কয়েক পলকের জন্য থেমেছিল। কিন্তু সেটিও আর [মৃ] ত্যু পিছু রেখে দাঁড়াল না। আহত [র] ক্তা ক্ত রোজা ছলছল চোখে সবটুকু দৃশ্য দেখতেই একবার শুধু মাথাটা পিছু ফেরালো। বজ্রপাতের ফরসা আলোয় দেখল খুব কাছে চলে এসেছে লোকগুলো। বিশ্রীভাবে হাসছে। উল্লাস করছে। সর্দার লোকটা নোংরা শার্টের বোতাম খুলছে। সমাসন্ন [মৃ] ত্যু কে চোখের সামনে দেখে অঝোর ধারায় চোখের অশ্রু ছাড়ল রোজা। মাথাটা রাস্তার ওপরই আস্তে আস্তে নেতিয়ে পড়ল ওর। কানে কুৎসিত ইঙ্গিতগুলো ভেসে আসতেই হঠাৎ আকাশ ফেটে বজ্রকম্পন হলো! সেই বজ্রনাদের মধ্য দিয়ে বিকট এক গর্জন যেন ভেসে এলো। চমকে উঠল রোজা! অজানা অদ্ভুত সোচ্চারে আবার মাথাটা তুলে তাকাল রোজা। ঝমঝম করে বৃষ্টি পড়তে শুরু করেছে। সেই ঝাপসা তীব্র মুষলধারার ভেতর দুটো হেডলাইটের আলো ফরসা বারুদের মতো জ্বলছে। যেন সাক্ষাৎ মেঘগর্ভ থেকে উঠে এসেছে ও-দুটো! বজ্রমেঘের মতো হেডলাইটের চোখদুটো কাছাকাছি হতেই ধুপধাপ আওয়াজগুলো শুনতে পেল রোজা। তৎক্ষণাৎ মাথা পিছু করে দেখল, ষণ্ডাদেহী, দানব [শ] য় তা ন গু লো কেন যেন পালাচ্ছে! যেন ওদের মৃত্যু-যম স্বয়ং হাজির হয়েছে এখানে! রোজা শরীরের অবসাদে ভারাক্রান্ত হয়ে মাথাটা আবারও ধীরে ধীরে সামনে ঘুরাল। অসহন শারীরিক যন্ত্রণায় মাথা ঘুরাচ্ছে। দৃষ্টি ঘোলা। অস্পষ্ট চোখে আবছা মতোন দেখতে পেল কে যেন এগিয়ে আসছে। হঠাৎ ঝিমঝিমানি মাথাটা ঠাস করে বৃষ্টির পানিতে নেতিয়ে পরতেই রোজা জিন্সের পকেট পর্যন্ত হাত নাড়াল। অবশিষ্ট শক্তিটুকু ব্যয় করে ছোট্ট এক টুকরো রিসিট বের করেছে। রিসিটে নাম ও নাম্বারের জায়গায় ছোট্ট ছোট্ট দুটো তথ্য লেখা। রোজা জানে এই একটা মেয়ে সবচাইতে ভরসাযোগ্য মানুষ। হোটেলে জরাক্রান্ত অসুস্থ পরে থাকলেও বাকিদের মতো ফেলে চলে যাবে না। পালাবে না। ঘোর বিপদেও ছুটে আসবে! আসবেই আসবে ও!
কিন্তু আগন্তুক এই ব্যক্তিটি কে? কেন তার সামান্য আগমনে সবগুলো [জা] না [য়া] র পড়িমরি করে ছুটল? সে কী ওদের গুরুতুল্য মানুষ নাকি ওদের মনে ত্রাস ছড়ানো পুরুষ? এর পেছনে ঘটনা কি? সূত্রটা কীসের?
মানি রিসিট .
নাম : শেহজানা আলম শাওলিন।
নাম্বার : ...............

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 

 Follow Now Our Google News

সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।


চলবে ...

২য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা ফাবিয়াহ্ মমো সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। জানতে পারলে অবশ্যই তা কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হইবে।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন