উপন্যাস : বৌপ্রিয়া
লেখিকা : আভা ইসলাম রাত্রি
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ইং
লেখিকা আভা ইসলাম রাত্রির “বৌপ্রিয়া” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি তার ফেসবুক পেজে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ২১ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
বৌপ্রিয়া || আভা ইসলাম রাত্রি |
১৭তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
বৌপ্রিয়া || আভা ইসলাম রাত্রি (পর্ব - ১৮)
সারারাত ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামার পর সবে আকাশ পরিষ্কার হয়েছে। আকাশের মেঘলা ভাব কেটে রোদ নেমেছে। গতকাল প্রায় ভোর অব্দি গল্প করে ঘুমিয়েছিল উচ্ছ্বাস-কুসুম। কুসুম ঘুমানোর সময় দুজন এক বিছানায় ঘুমানো নিয়ে ভীষন অস্বস্তি বোধ করছিল। তাই
উচ্ছ্বাস কুসুমের থেকে একটু সরে বিছানার এক পাশে ঘুমিয়েছে। কিন্তু উচ্ছ্বাস নিজের জায়গায় ঠিকঠাক ঘুমালেও, ভোরের দিকে বৃষ্টির কারণে ঠান্ডা লাগায় কুসুম নড়তে নড়তে একদম উচ্ছ্বাসের গায়ের সঙ্গে মিশে গেছিল। উচ্ছ্বাসও ঘুমের ঘোরে উম পাবার জন্যে কুসুমকে বুকে জড়িয়ে নিয়েছে। দুজন দুজনের আলিঙ্গনে পুরো একটি রাত কাটিয়ে ফেলল, সেই সম্পর্কে দুজনকেই বেখেয়াল। সকালের দিকে রোদ চোখে মুখে লেপ্টে গেল দুজনের। উচ্ছ্বাস চোখ খিচে বালিশ তুলে মুখে চেপে ঘুমিয়ে গেল। তবে কুসুমের ঘুম ছুটে। চোখ খুলে আশপাশ বোঝার চেষ্টা করে। মনে পরে তখন, আজ কুসুমের বাসর রাত ছিল। কুসুম নিজের বাড়িতে নয়, বরং উচ্ছ্বাস বাড়িতে তার ঘরেই তার সঙ্গে শুয়ে আছে। কুসুম পাশ ফিরে তাকাল। উচ্ছ্বাসের গায়ের সঙ্গে একদম লেপ্টে আছে কুসুম। উচ্ছ্বাসের একটা হাত কুসুমের কোমড় ছুঁয়ে রেখেছে। প্রথমবারের মত উচ্ছ্বাসকে নিজের এতটা কাছে অনুভব করতেই কুসুম কেমন যেন হাসফাঁস করে উঠল। অস্বস্তিতে জমে গেল সর্বাঙ্গ। নিশ্চয়ই রাতে সে নড়তে নড়তে উচ্ছ্বাসের সঙ্গে জড়াজড়ি করে ঘুমিয়েছে। এটা নতুন কিছু নয়। ঊষা কুসুমের পাশে ঘুমালে, কুসুম সকালে উঠে ঠিক এই দৃশ্যটাই দেখে। ঊষা বারবার কুসুমকে ঠিক করে দিলেও,সেই কুসুম নড়তে নড়তে ঊষার সঙ্গে লেগে ঘুমায়। উচ্ছ্বাস জেগে যাবার আগেই কুসুম আলগোছে উচ্ছ্বাসের হাত নিজের কোমড় থেকে ছাড়িয়ে নিল। পাতলা শাড়ি ঠিক করে বিছানা থেকে উঠে বাথরুমে চলে গেল।
গতরাত ঠান্ডার কারণে গোসল করা হয়নি। তাই আজ গোসল করে ফ্রেশ হয়ে নিল। বাথরুম থেকে বেরিয়ে নজর গেল উপুড় হয়ে ঘুমন্ত উচ্ছ্বাসের দিকে। সে নির্বিঘ্নে, আরাম করে ঘুমুচ্ছে। কুসুম মৃদু হাসল। ড্রেসিং টেবিলের সামনে যাবে পা বাড়িয়েও থেমে গেল। পিছিয়ে উচ্ছ্বাসের পাশে এসে বসল। ঘুমন্ত উচ্ছ্বাসকে দেখতে ভীষন ভালো লাগছে কুসুমের। কুসুম আলগোছে হাত বাড়িয়ে উচ্ছ্বাসের চুল টেনে দিল। আরামে উচ্ছ্বাস গুঙিয়ে উঠলো। কুসুম হাসল। উচ্ছ্বাসের চুল এলোমেলো করে দিয়ে বিছানা থেকে উঠে আয়নার সামনে দাঁড়ালো। গতকাল উচ্ছ্বাসের টাওয়াল দিয়ে চুল ঝাড়তে লাগল। এই টাওয়ালের মধ্যে একটা উচ্ছ্বাস উচ্ছ্বাস গন্ধ আছে। কুসুমের প্রিয় গন্ধ! কুসুম নাক ভরে টেনে নেবার চেষ্টা করল এই গন্ধ। কুসুমের চুল ঝাড়ার কারণে, চুলের পানি ছিটকে পরল ঘুমন্ত উচ্ছ্বাসের মুখে শরীরে। ঘুমের মধ্যেই উচ্ছ্বাস বিরক্ত হয়ে চোখ খুলে তাকাল। আশপাশ লক্ষ্য করতেই নজর গেল আয়নার সামনে ভেজা অঙ্গে দাঁড়ানো কুসুমের দিকে। তাহলে কুসুমের চুলের পানিতেই উচ্ছ্বাসের ঘুম ভাঙলো? উচ্ছ্বাস হেসে উঠে বসল। মাথার বালিশ কোলের উপর রেখে সেটায় হেলান দিল। গালের উপর এক হাত চেপে ধরে বলল,
' চুলটা কবে ভালো করে ঝাড়তে শিখবে, কুসুম? তোমার চুলের পানির ছিটে আমার ঘুম ভাঙিয়ে দিয়েছে। '
কুসুম পেছনে ফেরে। নম্র কণ্ঠে জিহ্বা কেটে বলে, ' সরি, আর করব না। ঘুমিয়ে পড়ুন আবার। '
উচ্ছ্বাস মৃদু হাসে। মাথা তুলে দেয়ালে টানানো ঘড়ির দিকে চেয়ে দেখে। পরপরই বলে, ' শিট! নয়টা বেজে গেছে। আর তুমি বলছ আরো ঘুমাব। বিকেলে রিসেপশন। এত কাজ…ওহ, শিট! '
বলতে বলতে উচ্ছ্বাস দ্রুত কম্বল ছেড়ে বিছানা থেকে উঠে পরে। ঝড়ের গতিতে ড্রয়ার থেকে টিশার্ট ট্রাউজার নিয়ে বাথরুমে চলে যায়। অল্পক্ষণের মধ্যেই গোসল সেরে বেরিয়ে আসে। কুসুম তখন হাতে পায়ে লোশন লাগাচ্ছে। উচ্ছ্বাস কুসুমের পেছনে দাঁড়িয়ে চুল আঁচড়ে, তৈরি হয়ে নেয়। কুসুম গয়না পড়ছিল। গয়নাগুলো ভারী দেখে উচ্ছ্বাস বলল, ' এত ভারী গহনা পড়ার দরকার কি? সিম্পল কিছু পড়ো। সামলাতে পারবে না এসব। '
কুসুম হাত থামিয়ে আয়নায় উচ্ছ্বাসের প্রতিবিম্বের দিকে চেয়ে বলে,
' কেউ কিছু বললে? '
' কে বলবে? আম্মা? তোমার কি মনে হয়, আম্মা তোমাকে এসব ব্যাপারে কিছু বলবে? '
কুসুম মাথা দুলিয়ে মানা করে বলে, ' খালামনি না। আপনার ফুপু বা দাদি। ওরা? '
উচ্ছ্বাস কুসুমের হাত থেকে গয়নার বাক্স সরিয়ে আলগোছে ড্রয়ারে লক করে রেখে দেয়। লক করার সময় বলে,
' দাদি বা ফুপু বলবে না কিছু। আর বললেও আম্মা বা আমি ম্যানেজ করে নেব। এখন দ্রুত রেডি হও। দুজন একসঙ্গে বের হব। '
____________________
নতুন বর বধূ ঘর থেকে বেরিয়ে এলে, সবাই মিলে সকালের নাস্তা সেরে ফেলে। উচ্ছ্বাস নাস্তা করে বেরিয়ে পরে রিসেপশনের প্রস্তুতি নিতে। কুসুম উচ্ছ্বাসের বোনদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছে। শিউলি কুসুমের পাশে বসে বিয়েতে অস মেহমানদের সঙ্গে কুসুমের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। কুসুম খুব নম্র ভাবে কথা বললো তাদের সঙ্গে। বিয়েতে আসা সবার একটাই কথা,
' উচ্ছ্বাসের বয়সের তুলনায় বৌ বড্ড কমবয়সী। ছেলে তাদের বাল্যবিবাহ করেছে নাকি? '
কুসুম এই কথার জবাবে চুপ থাকলেই, শিউলি তাদের বুঝিয়ে বলল বিষয়টা। কুসুমের কাবিন অল্পবয়সে হলেও, বিয়ে সংসার এখন প্রাপ্তবয়সে হচ্ছে। কুসুমের বয়স এখন উনিশ। সংসার, বিয়ে এসবের জন্যে সে যথেষ্ট প্রাপ্তবয়স্ক। মেহমানরা কেউ এই কথা শুনে সন্তুষ্টিতে মাথা দুলালেও, কেউ কেউ আড়ালে কথা বাড়ালো। আড়চোখে কুসুমকে শোপিজের ন্যায় পরখ করল। কুসুম এদের এসব বিভ্রান্তকর আলোচনায় অতিষ্ট হয়ে গেল। কিন্তু মুখ বুজে সহ্য করা ছাড়া আর কিইবা করার আছে তার।
উচ্ছ্বাস বাড়িতে এলো, তখন প্রায় মধ্যদুপুর। সবাই খেতে বসেছে। উচ্ছ্বাস বাইরের শার্ট পাল্টে ঘরের টিশার্ট পরে ফ্রেশ হয়ে নিচে এল। কুসুমের পাশে চেয়ার টেনে বসার সময় ফিসফিস করে জিজ্ঞেস করল,
' ঠিক আছো তুমি? এখানে অসুবিধা হচ্ছে কোনো? '
কুসুম মাথা দুলিয়ে মানা করল। উচ্ছ্বাস কুসুমের পাশে বসে প্লেট উল্টো থেকে সোজা করল। একটু ঝুঁকে ফিসফিস করে বলল,
' কোনো অসুবিধা হলে বলবে, ঠিকাছে? '
কুসুম মাথা দুলিয়ে সম্মতি দিল। আজকের সকালের ঘটনা চেপে গেল উচ্ছ্বাসের সামনে। উচ্ছ্বাস নিজে নাস্তা কুসুমের প্লেটে তুলে দিল। একটু বেশি করে পোলাও প্লেটে তুলে দিতে চাইলে, কুসুম উচ্ছ্বাসের হাত চেপে ধরে। বলল,
' এর বেশি খেলে আমি মরে যাব। '
উচ্ছ্বাস ভ্রু কুচকে কুসুমের দিকে তাকায়। পোলাও আর দেয়না। কিন্তু কুসুমকে বলে, ' এরকম চড়ুই পাখির মত খাবার খাওয়া এই ঘরে চলবে না। আমরা সবাই পেটুক। সো, তোমাকেও পেটুক হতে হবে। খালামনির বাড়িতে প্রেশার লো হয়ে পরে থাকা এই বাড়িতে চলবে না। আজকের মত কম খাও। কালকে থেকে খাবারে যেন অনীহা না থাকে। ঠিকাছে? '
কুসুম কি বলবে আর। উচ্ছ্বাসের গরম চোখ দেখে কিছু কথা বলার সাহস নিভে এলো। চুপ করে প্লেটের খাবার খেয়ে নিল। তবুও ফাঁকফোকরে উচ্ছ্বাস গরুর কলিজার টুকরো, বোরহানি এসব খাওয়ালো কুসুমকে। এই প্রথমবার কুসুমের মনে হল, তার পেটের ভেতরের নাড়িভুঁড়ি সব খাবারে হয়ত পেঁচিয়ে গেছে। এত এত খাবার খেয়ে সে নড়তে অব্দি পারছে না। আজকে কম খাবে বলে ঠিকই খাইয়ে খাইয়ে তার পেট ফাঁপিয়ে দিয়েছে। নিষ্ঠুর লোক!
বসার ঘরে মেহমানরা সবাই গল্প করছে। কুসুম একপাশের সোফায় বসে। সামনে বাচ্চারা ছুটোছুটি করছে। মানহা কিছু ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে খেলছে। খেলার ফাঁকে ফাঁকে বারবার চোখ ঘুরিয়ে কুসুমকে দেখছে। কুসুম অনেকক্ষন ধরে ওকে লক্ষ্য করে একসময় হাত বাড়িয়ে ডাক দিল ওকে। মানহা উঠে এলো। কুসুমের সামনে দাঁড়িয়ে আবারও চোখ বড়বড় করে ওকে দেখছে। কী এত দেখছে কুসুম সেটা জানে না। কুসুম হেসে বলল,
' কোলে বসবে আমার, বাবু? '
মানহা কিছুই বললো না। শুধু চেয়ে রইল। আগের চেয়ে কিছুটা বড় হয়েছে মানহা। বয়স চারবছর। কুসুমকে যেদিন দেখতে গেছিল তখন ওর বয়স ছিল মাত্র একবছর। বড় হওয়ায় মানহার চেহারাতেও পরিবর্তন এসেছে। আরো সুন্দর হয়েছে। হাত বাড়িয়ে মানহার ফুলো গাল টেনে দিল কুসুম। মানহা এখনো চেয়ে আছে। একদমই মানহা বলল,
' আমাকে কোলে নিবে? '
কুসুম হেসে উঠল। মানহাকে টেনে নিজের কোলে বসিয়ে দিল। মানহার কপালে চুমু খেয়ে বলল,
' কেন নিব না, মেয়ে? এত কিউট একটা মেয়েকে কোলে না নিয়ে পারা যায়? আজকে তোমাকে কোল থেকেই আর নামাব না। ঠিকাছে? '
মানহা কি বুঝল কে জানে? ঠোঁট উল্টে কেঁদে ফেললো। এত বড় একটা মেয়ে কোলে উঠে এমন হাউমাউ করে কাদতে দেখে কুসুম বোকা বনে গেল। ব্যস্ত ভঙ্গিতে মানহাকে শান্ত করার চেষ্টা করল। মানহা শান্ত তো হলোই না, উল্টো কুসুমকে খামচে, কামড়ে দিতে লাগল। কুসুম ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল। কোল থেকে নামাবে, তার আগেই দূরে থেকে উচ্ছ্বাস ছুটে এসে মানহাকে কোলে নিয়ে নিল। মানহার গলা বসে গেছে কাদতে কাদতে। মানহা উচ্ছ্বাসের ঘাড়ে মুখ গুঁজে ফুপিয়ে উঠল। উচ্ছ্বাস মানহার পিঠে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল,
' কাদে না, কাদে না। বড় হয়েছ না তুমি। বড় মেয়েরা কাদে? ছিঃ, মানহা। এটা ব্যাড হ্যাবিট। কান্না থামাও। '
মানহা উচ্ছ্বাসকে ভীষন মানে। ছোটবেলা থেকেই ও উচ্ছ্বাসের জন্যে একপ্রকার উন্মাদ। তাই উচ্ছ্বাস দুইবার বলার পরই মানহা কান্না থামাল। কুসুম ওকে আবার কোলে নিতে চাইলে, মানহা আবার ঠোঁট ভেঙে কাদতে চাইল। চট করে কুসুম হাত সরিয়ে নিল। উচ্ছ্বাসের দিকে অসহায় চোখে চাইলে উচ্ছ্বাস চোখের ইশারা করে বললো,
' ছোট মানুষ। তোমাকে চিনতে সময় লাগবে। '
কুসুম কথা বাড়ালো না। মানহার কান্না থামলে উচ্ছ্বাস জিজ্ঞেস করল,
' কেঁদেছিল কেন, মানহা? নতুন বউ তোমাকে আদর করেছে না? কেউ আদর করলে কাদতে হয়? '
মানহা আড়চোখে কুসুমের দিকে চেয়ে বলল,
' উনি আমাকে বেচে দেবে ঝালমুড়িওয়ালার কাছে। তাই আমি ভয় পেয়েছি। ভয় পেলে আমার কান্না আসে, জানো না তুমি? '
উচ্ছ্বাস ভ্রু কুচকে তাকাল কুসুমের দিকে। তারপর হেসে মানহাকে বলল, ' নতুন বউ তোমাকে কেন বেচে দেবে, মানহা? ও তোমাকে কত আদর করে। আমি তোমাকে আদর করি না, আমি কি তোমার বেচে দেব, হু? '
' তুমি দিবে না জানি। কিন্তু নতুন বউ দেবে। আমাকে বলেছে। '
' কী বলেছে নতুন বউ? '
' কোল থেকে নামাবে না আমাকে। কোলে তুলে বেচে দেবে ঝালমুড়িওয়ালার কাছে। '
কুসুম ভ্রু কুঁচকে চেয়ে হঠাৎ করে হেসে ফেললো। হাসতে হাসতে চোখে পানি চলে এলো তার। উচ্ছ্বাস নিজেও হাসলো। কুসুমকে বলল, ' ও শুধু ঝালমুড়ি খায় দেখে ফুপু ওকে ঝালমুড়িওয়ালার ভয় দেখিয়েছে। ওর উইক পয়েন্ট এটা। কথা অমান্য করলেই, ঝালমুড়িওয়ালার ভয় দেখালেই শান্ত হয়ে যায়। তাই ও ভেবেছে তুমিও ওকে ঝালমুড়ি ওয়ালার কাছে দিয়ে দেবে। '
কুসুম হাসলো। মানহার কাছে গিয়ে ওকে মানানোর চেষ্টা করল। উচ্ছ্বাসও কিছুটা সাহায্য করল এতে। মানহা একটু পরই কুসুমের সঙ্গে মিশে গেল। উচ্ছ্বাস মানহাকে কুসুমের কোলে দিল। কুসুম কোলে নিয়ে গল্প শুনাতে লাগল মানহাকে। উচ্ছ্বাস কুসুমের পাশে বসে মোবাইলে কিছু করছে। একপর্যায়ে কুসুম জিজ্ঞেস করল,
' আপনার বাচ্চা খুব পছন্দের, তাইনা? '
উচ্ছ্বাস মোবাইলে অন্যমনস্ক হয়ে বলল,
' বাচ্চাদের কার ভালো লাগে না? তবে আমার একটু বেশিই ভালো লাগে। বাচ্চা ঘরে থাকলে, ঘর ভরা ভরা লাগে। নাহলে তো ভূতের ঘরের মত হয়ে থাকে ঘর। '
কুসুম শুনে। ভাবে কতকিছু। পরপরই উচ্ছ্বাসের দিকে চেয়ে রয় নির্নিমেষ। একটা বাচ্চা…. বাচ্চা এলে কি আসলেই ঘর ভরে উঠে খুশিতে?
আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যটি কমেন্ট বক্সে জানান
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
চলবে.....
১৯তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা আভা ইসলাম রাত্রি সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। জানতে পারলে তা অবশ্যই কবিয়াল পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হবে। তবে তিনি তার ফেসবুক পেজে নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, “গল্প লেখে সে, কলমের কালিতে কল্পনার চিত্র আঁকিবুকি করা তার নেশা! অক্ষরের ভাজে লুকায়িত এক কল্পপ্রেয়সী!”
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন