উপন্যাস        :         বৌপ্রিয়া
লেখিকা        :          আভা ইসলাম রাত্রি
গ্রন্থ             :         
প্রকাশকাল    :         
রচনাকাল      :          ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ইং

লেখিকা আভা ইসলাম রাত্রির “বৌপ্রিয়া” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি তার ফেসবুক পেজে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ২১ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
বৌপ্রিয়া || আভা ইসলাম রাত্রি
বৌপ্রিয়া || আভা ইসলাম রাত্রি

১৮ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

বৌপ্রিয়া || আভা ইসলাম রাত্রি (পর্ব - ১৯)

দুপুরের খাবার পর্ব শেষ হলে, বসার ঘরে মেহমানদের দারুন হইচই চলতে লাগলো। চায়ের আসর ইতিমধ্যে খুব জমে উঠেছে। এই ফাঁকে উচ্ছ্বাস বসার ঘর থেকে বেরিয়ে নিজের রুমে চলে এসেছে। একটা প্রেসক্রিপশনের ছবি এসেছে হোয়াটসঅ্যাপে। বসার ঘরে এত হইচই এর কারণে সেটা নিয়ে মাথা ঘামানো যাচ্ছে না। শান্তি পরিবেশ পেতে নিজের রুমে এসে বিছানায় বসে। কুসুম বসে গল্প করছিল ভাবির সঙ্গে। উচ্ছ্বাসকে উপরে যেতে দেখে ভাবি কুসুমকে ইশারা করে বললেন,
' উচ্ছ্বাস নিজের রুমে গেছে, কুসুম। '

কুসুম বুঝতে পারলো না ইশারা। ও বলল, ' দেখেছি আমি। '
ভাবি বললেন, ' তুমিও যাও। দেখো কিছু লাগবে কিনা। '
কুসুম উত্তর দিল, ' লাগলে তো ডাকবেন। ডাকেন নি এখনো। '
ভাবি বিরক্ত হলেন। বললেন, ' গতকাল রাতে কিছু হয়েছে তোমাদের মধ্যে? '
কুসুম আচমকা এমন প্রশ্নে অস্বস্তিতে পরে গেল। এদিক ওদিকে চেয়ে আবার ভাবির দিকে তাকালো। মৃদু কন্ঠে বলল, ' জানি না আমি। '

ভাবি ভ্রু কুচকে তাকালেন। বললেন, ' মানে? গতকাল রাতে তোমাদের মধ্যে কি হয়েছে তুমি জানো না? '
কুসুম কিছুক্ষণ চুপ থাকে। তারপর থেমে থেমে বলে, ' গল্প হয়েছে। '
ভাবি অবাক হয়ে বললেন, ' শুধু গল্প? আর কিছু নয়? '
কুসুম মাথা দুলিয়ে বলল, ' না। '


উচ্ছ্বাসের ভাবি ভাবলেন অনেক কিছু। উচ্ছ্বাসকে বাচ্চা না নেবার কথা বলেছে তার মানে এই নয় যে, দুজন দুজনের থেকে এতটা দুরত্ব বজায় রেখে চলবে। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দুরত্ব যত কম হবে, ভালোবাসাটাও বাড়বে। আজকাল সংসার ভাঙন সেটা হাতের ময়লার ন্যায় হয়ে গেছে। যে যেভাবে পারছে, সংসার ভাঙছে, গড়ছে। আজকাল বাচ্চারা সম্পর্কের মূল্য দিতে জানে না। 

উচ্ছ্বাসের ভাবি দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। হাত বাড়িয়ে কুসুমের মাথায় আঁচল তুলে দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করে বললেন,
' শুনো কুসুম। তুমি আমার ছোট বোনের মত। তাই আমি যা বলছি, তোমার ভালো ভেবেই বলছি। মন দিয়ে শুনবে। উচ্ছ্বাস আর তোমার বয়সের তফাৎ কত জানো? ১০ বছর! এটা একটা স্বাভাবিক পার্থক্য হলেও এই পার্থক্য তখনই স্বাভাবিক থাকে, যখন উচ্ছ্বাস তোমাকে নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট থাকবে। হোক সেটা শারীরিক কিংবা মানসিক। উচ্ছ্বাস পুরুষ মানুষ। তার যেমন মানসিকতা,বিয়ের পর তুমি না এগিয়ে আসলে সে কখনোই তোমাকে জোর করবে না। কিন্তু পুরুষ মানুষ যতই ভালো হোক না কেন, একটা জায়গায় সে দূর্বল। সেটা হচ্ছে তার স্ত্রী। তুমি যথেষ্ট বড় হয়েছ। একজনের বউ তুমি। তোমার স্বামীর সুবিধা অসুবিধার দিকটা তোমাকেই দেখতে হবে। সে যেন ঘরের বাইরে সুখ খুঁজতে না যায়, সেদিকটা তোমাকেই নজরে রাখতে হবে। আশা করি, এর বেশি খুলে তোমাকে কিছু বলতে হবে না। আমার কথা কি তুমি বুঝতে পেরেছ? '

কুসুম এতক্ষণ ভীষন মনোযোগ দিয়ে ভাবির কথা শুনল। পুরুষ মানুষ কেমন হয় সাধারণত, সেটা কুসুমের জানা। সকল পুরুষ মানুষ উচ্ছ্বাসের মত ভালো হয় না, সেটাও কুসুম জানে। ভাবি কি বোঝালেন? কুসুম কি তবে উচ্ছ্বাসের ভালো হওয়াটার ফায়দা নিচ্ছে! অবশ্যই না। কুসুম উচ্ছ্বাসকে বিয়ের এক বছরের মাথায়ই ভালোবেসেছে। চেয়েছে মনেপ্রাণে। বিয়ের পর সেই চাওয়া আরো দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু এখন তাদের সম্পর্ককে পরিণতি দিতে উচ্ছ্বাস নিজে এগিয়ে না এলে, কিভাবে কুসুম মুখ ফুটে বলবে? কুসুম তো একজন মেয়ে। মেয়েদের কি এভাবে নির্লজ্জ হওয়া মানায়? উচ্ছ্বাস যদি কুসুমকে ভালোবাসত, তবে কুসুম নয়। উচ্ছ্বাস ইশারা করে হলেও কুসুমকে বোঝাত যে কুসুমকে সে চায়। শারীরিক, মানুসিক দুইভাবেই। কিন্তু উচ্ছ্বাস কিছুই বলে নি, বোঝায় নি। বরং ভালো মানুষ সেজে বসে আছে। কুসুম এতে কি করবে? মেয়ে মানুষ কতটুকুই বা এগিয়ে যেতে পারে? 


ভাবি কুসুমকে নাড়ালেন। কুসুম তাকাল। ভাবি বললেন,' কফি বানাতে পারো? উচ্ছ্বাসের জন্যে বানিয়ে নিয়ে যাও। মাথা ব্যথা থাকলে সেরে যাবে। যাও।'
কুসুম মৃদু হেসে রান্নাঘরে গেল। ঝটপট কফি বানিয়ে সিড়ি ভেঙে উপরে চলে গেল। উচ্ছ্বাস বিছানায় বসে একটা বড় মোটাসোটা বই ঘাটছে। বারবার হাত উচু করে কপাল চেপে ধরেছে। হয়ত মাথা ধরেছে তার। কুসুম ধীর পায়ে উচ্ছ্বাসের পাশে এসে দাঁড়াল। একটু ঝুঁকে উচ্ছ্বাস কি করছে দেখার চেষ্টা করল। তারপর জিজ্ঞেস করল,
' কি করছেন? '

উচ্ছ্বাস বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টাতে উল্টাতে জবাব দিল, ' একটা নতুন কেইস সামনে এসেছে। রোগটার ড্রাগ, মেকানিজম দেখছি। '
কুসুম হাতে থাকা কফির কাপ এগিয়ে দিয়ে বলল, ' আপনার কফি।'
উচ্ছ্বাস মাথা তুলে তাকালো। কফির কাপ হাতে নিয়ে চমৎকার হেসে বলল, ' সত্যি, এই সময়ে এককাপ কফির খুব দরকার ছিল। থ্যাংক ইউ, কুসুম।  '

কুসুম হালকা হাসলো। উচ্ছ্বাস কফির কাপে চুমুক দিয়ে চোখ বন্ধ করে নিল। তারপর কুসুমের দিকে চেয়ে বলল,
' কুসুম, তুমি কি জানো যে তুমি চমৎকার কফি বানাও? '
কুসুম হেসে উঠে বলল, ' জানতাম না। এখন জেনে গেছি। '

কুসুম আয়নার সামনে এসে দাঁড়ায়। ভেজা চুলে এতক্ষণ আঁচল তোলা ছিল বিধায় আঁচলটা নামিয়ে ফ্যান ছেড়ে দেয়। শুকানোর জন্যে চুলের খোঁপা খুলে দেয়। উচ্ছ্বাস কফি খেতে খেতে সেদিকে চেয়ে ভ্রু কুচকে বলে, 
' ভেজা চুল খোঁপা করে রেখেছিলে নাকি? '
কুসুম বাতাস খেতে খেতে বলল, ' হ্যাঁ। সকাল সকাল ভেজা চুল ছেড়ে বাইরে যেতাম নাকি?'


উচ্ছ্বাস কিছুটা গম্ভীর হয়ে বলল,' শুনো কুসুম, কখনোই ভেজা চুল বেঁধে রেখো না। চুল পড়ে যাবে, তাছাড়া মাথায় উকুন ধরতে পারে। তোমার চুল খুব সুন্দর। চুলের যত্ন নাও। বুঝেছ? '
উচ্ছ্বাসের কথা শুনে কুসুম মাথা দুলাল। তারপর বলল,
' সকাল সকাল ভেজা চুলে বাইরে গেলে সবাই উলটাপালটা ভাববে। আমার লজ্জা লাগবে দেখে বেধে রেখেছিলাম। নাহলে আমি বাঁধি না সচরাচর। '

কুসুমের কথা শুনে উচ্ছ্বাসের একবার জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে হল, বিয়ের পর বৌ ভেজা চুলে বের হওয়া খুবই স্বাভাবিক কুসুম। সবাই জানে, নতুন বিয়ে হওয়া স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কি ঘটতে পারে। কার এত মাথা ব্যথা থাকবে যে, বউ ভেজা চুলে বেরিয়েছে নাকি শুকনো চুলে? কিন্তু উচ্ছ্বাস জিজ্ঞেস করল না। থাক না, শুধুশুধু কুসুমকে লজ্জা দেবার কি দরকার? 
উচ্ছ্বাস বই পড়ে রিপোর্ট লিখে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দিল। বিছানা থেকে উঠে বই শেলফে রেখে টিশার্ট টেনেটুনে ঠিক করে শার্ট প্যান্ট গায়ে দিতে লাগলো। উচ্ছ্বাসকে রেডি হতে দেখে কুসুম অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, ' কই যাচ্ছেন? '

উচ্ছ্বাস শার্টের বোতাম লাগাতে লাগাতে বলল, ' ওয়ার্ডে একটা প্যাশেন্ট এসেছে, ক্রিটিক্যাল। স্যার বলেছে যেতে। পরে প্র্যাকটিস করতে কাজে লাগবে। '
কুসুমের মন খারাপ হয়। এইতো দুপুরে সবে এলো বাড়িতে। এক্ষুনি আবার যেতে হবে? বিয়ের পরদিনই যদি বরকে সারাদিন পাশে না পায়, সারাজীবন কি করে পাশে পাবে? উচ্ছ্বাস কি সারাজীবন এভাবেই ডাক্তারি করতে, শিখতে ব্যস্ত থাকবে? কুসুমকে কি সময় দেবার সুযোগ হবে না তার। কুসুম মুখ লটকাল। বিড়বিড় করে কিছু কথা বলে চুল আর শুকাল না। মাথায় আঁচল তুলে চলে যেতে চাইল। উচ্ছ্বাস বোধহয় বুঝতে পেরেছে কুসুমের মন খারাপের বিষয়টা। তাই কুসুম চলে যাবার জন্যে পা বাড়াতেই উচ্ছ্বাস পেছন থেকে কুসুমের হাত খপ করে ধরে বলল, ' অ্যাই, কই যাচ্ছ? '


কুসুম তাকাল না। মৃদু স্বরে বলল, ' নিচে। '
উচ্ছ্বাস কুসুমের হাত টেনে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিল। কুসুম তখনো মাথা নত করে দাঁড়িয়ে আছে। লম্বায় উচ্ছ্বাসের বুক বরাবর কুসুম। লম্বায় মেয়েটা কাধের সমানও না, অথচ অভিমান, রাগ, দুঃখ এসব যেন আকাশছোঁয়া। কী হবে এই মেয়েকে নিয়ে? 
উচ্ছ্বাস কুসুমের গালে হাত রাখলো। নরম কণ্ঠে বলল, ' রাগ করেছ নাকি? আমি আসব আর যাব। এই ধরো, এক ঘন্টা! তারপরই চলে আসবো। হুঁ? মন খারাপ করো না। '
কুসুম মাথা নেড়ে বলল, ' সাবধানে যাবেন আর দ্রুত আসবেন। '
উচ্ছ্বাস হেসে বলল, ' ঠিকাছে। এবার যাই? '

কুসুম সম্মতি দিল। উচ্ছ্বাস কুসুমকে ছেড়ে ঘুরে দাঁড়াতেই কুসুম ব্যথাতুর চিৎকার দিয়ে উঠলো। উচ্ছ্বাস চমকে উঠে পেছনে ফিরলো। কুসুম কানে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে। চোখে জল টলমল করছে। উচ্ছ্বাস নিজের শার্টের হাতার দিকে তাকায়। শার্টের হাতের বোতাম ছিঁড়ে মাটিতে পরে আছে। কুসুমের কানের দুল খুলে সেটাও বোতামের সঙ্গে নিচে পরে। উচ্ছ্বাস আঁতকে উঠল। কুসুমের দিকে দ্রুত এগিয়ে গিয়ে কানে হাত রেখে বলল,
' সরি, সরি। অ্যাই, ব্যথা পেয়েছ? হায় আল্লাহ! লাল হয়ে গেছে কানের লতি। দেখি, দেখতে দাও আমাকে। '

কুসুম হাত সরালো কান থেকে। চোখের থেকে পানি বেরিয়ে গেছে তার। কান গরম হয়ে ভনভন করছে। জ্বালাতন করছে কানের লতি। উচ্ছ্বাস কানের মধ্যে ফু দিল। পানিপূর্ণ টাওয়াল দিয়ে কান ভেজাল। জ্বালাতন কমে এলে, কুসুম কিছুটা শান্ত হয়েছে। উচ্ছ্বাস ভীষন খারাপ লাগা নিয়ে বলল, ' সরি কুসুম। তাড়ার মধ্যে ছিলাম। খেয়াল করি নি। এখনও কি ব্যথা করছে? '

কুসুম উত্তর দিল, ' না, কমেছে আগের থেকে। '
উচ্ছ্বাস শান্ত হয়েছে এ কথা শুনে। কুসুমের কানের দুল মাটি থেকে তুলে বলল, ' দুলটা আমি যেহেতু খুলে ফেলেছি, তাই আমিই আবার পরিয়ে দিয়ে শোধবোধ করে দেই? '
কুসুম মৃদু হেসে লাজুক কণ্ঠে বলল, ' হু। '


উচ্ছ্বাস হেসে এগিয়ে এলো। খুব যত্ন নিয়ে কুসুমের কানে দুল পরিয়ে দিতে লাগলো। উচ্ছ্বাসের মুখ ভীষন কাছাকাছি কুসুমের। কুসুম আজকে খুব কাছ থেকে উচ্ছ্বাসকে খেয়াল করছে। উচ্ছ্বাস পুরু ঠোঁট, খাড়া নাক, আর কানের পেছনে থাকা একটা ছোট্ট তিল। তিলটা দেখেই কুসুম কেমন ছন্নছাড়া হয়ে গেল। কুসুমের চোখে কী সুন্দর ঝলমল করছে তিলটা। কুসুমের ইচ্ছে হয়, ঠোঁট ছুঁইয়ে দিতে ওই তিলে। পরপরই লজ্জায় নিজেকে আটকায়। 
' ও আল্লাহ গো। আমি কিছু দেখি নাই গো। আমারে মাফ কইরো গো। তওবা তওবা। '

আচমকা ফুলির চিৎকারের শব্দ শুনে কুসুম কেপে উঠে। উচ্ছ্বাসও ঘাড় উচু করে সামনে তাকায়। ফুলির মুখে হাত চেপে তওবা করতে করতে দরজার সামনে থেকে সরেছে। কুসুম হতভম্ব হয়ে যায়। কী দেখেছে ও, যার জন্যে এমন অদ্ভুত স্বরে চিৎকার করল? উচ্ছ্বাস কিছু একটা ভেবে হেসে উঠল। হাসতে হাসতে বলল,
' কুসুম, আজকে তুমি শেষ। ফুলি তোমার লজ্জাকে গুলি করে মেরে দেবে সবার সামনে। '
কুসুম বোকা বোকা কণ্ঠে উচ্ছ্বাসকে জিজ্ঞেস করল, ' কিন্তু কেন? আমরা তো কিছুই করছিলাম না। '

উচ্ছ্বাস হেসে বলল, ' আমরা কিছু করিনি এটা আমরা জানি। কিন্তু ফুলি ভেবেছে,আমরা শুধু কিছু নয়, অনেক কিছু করেছি। আহারে! কই লুকাবে তুমি আজকে? '


কুসুম বুঝতে না পেরে জিজ্ঞেস করল, ' অনেক কিছু বলতে? '
উচ্ছ্বাস কিছুটা ঝুঁকে এলো কুসুমের দিকে। কানের কাছে ফিসফিস করে বলল, ' লাইক লিপ-কিস!'

আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যটি কমেন্ট বক্সে জানান

সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।


চলবে.....

২০ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা আভা ইসলাম রাত্রি সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। জানতে পারলে তা অবশ্যই কবিয়াল পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হবে। তবে তিনি তার ফেসবুক পেজে নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, “গল্প লেখে সে, কলমের কালিতে কল্পনার চিত্র আঁকিবুকি করা তার নেশা! অক্ষরের ভাজে লুকায়িত এক কল্পপ্রেয়সী!”

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন