উপন্যাস : তোমায় ঘিরে
লেখিকা : জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ০৬ অক্টোবর, ২০২২ ইং
লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “তোমায় ঘিরে” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের অক্টোবরের ৬ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান |
তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ০১)
দোস্ত তুই কি সত্যি অই মেয়েকে propose করতে চাস? দেখ এখনও সময় আসে ভেবে নে।
আর এ কিসের ভাবা ভাবি তুই ত কখন প্রেম করবি না সালা আমাকেও single মরতে হবে।আচ্ছা বলতো তুই প্রেম করতে চাস না কেন?
আমি আরাফাত চৌধুরী ।দেশের বিখ্যাত রাজনিতিবিদ আদর চৌধুরীর একমাত্র মাত্র ছেলে কি না প্রেমে পরবে।হা হা হা।
(এতক্ষণ যারা কথা বলছিলো তাদের মধ্যে একজন হলো আমাদের গল্পের নায়ক দেশের বিখ্যাত রাজনীতিবীদ ও এমপি মেস্টার আদর চৌধুরীর একমাত্র সন্তান মিস্টার আরাফ চৌধুরি। ইনি বাবার থেকে ২ টা জিনিস পেয়েছেন।১.রাগ।২.জেদ।কিন্তু একটা ভালো গুনও আসে।পরিস্থিতি যেমনই হয় না কেনো ঠান্ডা মাথায় হ্যান্ডেল করতে পারে। আর একজন হলো নিলয়।আরাফাত চৌধুরীর একমাত্র বেস্ট ফ্রেন্ড আর Trust জায়গা।)
Excuse me.রাস্তাটা কি আপনার বাবার? গল্প করার আর জায়গা পান না?
Hey you?How dare you to talk to me like that?Who are you?
পরিচয় দেয়ার মত কেউ আপনাকে মনে করছি না।
তুমি জানো আমি কে?
আপনি কি এই দেশের প্রধামন্ত্রি??
What!!
ওহ আপনি তাহলে কানেও কম শুনেন?
তুমি কি পাগলাগারদ থেকে ছাড়া পেয়েছো?
জি না।কিন্তু আপনাকে কিন্তু সেখান কার পাগলদের সরদার মনে হচ্ছে।
আর তোমাকে সরদারনি।
একটু রাস্তাটা ছারুন।বলেই মেয়েটা হন হন করে চলে গেল।
রাগে মাথা ছিরে যাচ্ছে। আজ versity তে প্রথম দিন।বাস এ করে এত দূর থেকে আসার সময় কিছু ছেলে রাস্তায় tease করে।ইচ্ছে করছিল মেরে কুটি কুটি করে ফেলি কিন্তু বাস ছেরে দিচ্ছিল তাই কিছু বলতে পারি নাই। তাই বাইরে অই ছেলেটাকে দেখে সব রাগ বের হয়ে গেল।
(আমি নবনিতা খান।আসাদ খান এর প্রথম সন্তান।আর একজন আমার ভাই।রাজ খান।মা ১ বছর হল আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন।আমার সহজেই রাগ উঠে যায়।আবার সহজেই নেমেও যায়।)
নিলয়ঃমেয়েটার সাহস কত!আরাফাত এর সাথে এভাবে কথা বলে গেল!ওকে তো
আরাফাতঃথাম নিলয়। চল ক্লাসে জাই।
আরাফাত( মনে মনে ) মেয়েটা নিজেকে পুরোটা আড়াল করলেও মায়বি চোখ দুইটায় খোলা রেখে দিল।চোখ জোড়া খুব চেনা মনে হচ্ছে।আমি কি ওকে চিনি?! কেনো এতো টান ফিল হচ্ছে??!এই চোখগুলাতে কি সাহস। সে কিনা আরাফাত চৌধুরীর সাথে এভাবে কথা বলে।I Like It. আমি যে আপনার সা্হসের প্রেমে পড়তে চলেছি। I(ঠোঁটে মুচকি হাসি) তোমাকেতো আর ছাড়ছি না। এর শেষতো আমি দেখে ছাড়বো।আরাফাত বাকা হেসে ক্লাসে চলে গেল।
ওয়ারদাঃকিরে দোস্ত এতো দেরি হল যে।
নবনিতাঃআর বলিস না রাস্তায় এক পাগলের সাথে দেখা হয়ে গেল।
ওয়ারদাঃপাগল। প্রথম দিনেই পাগলের পাল্লায় পরলি।হাইরে।
নবনিতাঃধুর বাদ দে ওর কথা।
(ওয়ারদা নবনিতার বান্ধুবি। এদের বন্ধুত্ত বেশি পুরানো না হলেও। নবনিতা ওয়ারদাকে অনেক ভালোবাসে)
ক্লাস শুরু হলো।
ওয়ারদাঃক্লাস এর পর বাইরে ঘুরতে যাবি দোস্ত?
নবনিতাঃআগে ক্লাস শেস হতে দে।নাহলে প্রথম দিনেই ক্লাস থেকে বের করে দিবে।
ওয়ারদাঃহুম
_আসতে পারি স্যার?
সবার চোখ দরজায়।
স্যারঃআর এ আরাফ যে আসো। কিছু বলবা?
আরাফঃজি স্যার।নবিন বরনের আয়োজন করা হচ্ছে সেটার নাম নিতে এসেছিলাম।যারা যারা অংশগ্রহন করতে চায় তাদেরকে আমার কাছে নাম জমা দিতে হবে।
স্যারঃOH I See! আচ্ছা আজকের ক্লাস এই পর্যন্ত তোমরা যারা নাম দিতে চাও দিয়ে দোয়।আল্লাহ হাফেয।
ওয়ারদাঃ নবনি।ছেলেটা অনেক Handsome.কালো শার্ট এ ফরসা চেহারাটা ফুটে উঠেছে।
নবনিতাঃshut Up.আমি ক্যান্টিনে গেলাম।
আরাফঃ wait miss.আপনার নামটা এখনো লিখা হই নাই।
নবনিতাঃ আমি অংশ নিচ্ছি না।
আরাফঃ আপনাকে অংশ নিতেই হবে যে।বাকা হেসে।
নবনিতাঃwhat!
আরাফঃআপনি মঞ্চ সাজাবেন।এটাই আপনার কাজ।
নবনিতাঃOk Fine.
বলে চলে গেল।
তোমাকে যে দেখার পিপাসা মিটাতে হবে। মিস নবনিতা।ওরফে নবনি।আমার নবনি।মুচকি হেসে চলে গেলে আরাফ।
নবনিঃনিজেকে কি ভাবে।এই ছেলে। সব সময় হুকুম চালাতে থাকে।আমি কি তার কেনা সম্পত্তি নাকি।আজিব!
বাইরে কিছু ছেলেকে খুব মারধর করছে।আরাফাত এর গ্রুপ।
আরাফাত নামটা শুনে নবনি ভয়ে পেয়ে গেল।সে ছুটে বাইরে গেল।
আরাফ এর চোখ গুলা টকটকে লাল।ছেলেগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ।আরাফ এর বন্ধুরাও কেউ থামাতে পারছেনা।আরাফ এর রাগ আজ পর্যন্ত কেউ কমাতে পারে নাই যতখন না ও থামে।ভার্সিটির কেউ ভয়ে এগোচ্ছে না।নবনি ছুটে গেল আরাফকে থামাতে।
_থামেন।ছেলেগুলো মরে যাবেতো।
_মরুক।মরলেও এদের পাপ যদি কম হয়।
_ওরা মরলে সব পাপ আপনার কাধেই পরবে ছারুন বলছি।
আরাফ নবনির দিকে রাগি চোখে তাকালো।নবনি ভয়ে পিছিয়ে গেল।
নবনি প্রচন্ড ভয় পায় আরাফের এই রূপ দেখে।ভয়ে চোখ থেকে আপনা আপনি পানি পড়তে থাকে।
নিলয়ঃআরাফ নবনির চোখে পানি।ও ভয় পাচ্ছে।
আরাফ থেমে গেল। ছেলেদের কিছু টাকা দিয়া বলল চিকিৎসা করে নিস।আর কোনোদিন আরাফ চোখের সামনে ও আসবি না।বের হ।
আরাফ নবনির হাত ধরে উপরে ফাকা ক্লাস রুমে নিয়ে গেল।
নবনিতাঃআর এ কি করছেন!
আরাফ এর চোখে এখন ও রাগ। হুট করে নবনিকে জরিয়ে ধরলো।
চলবে ...
২য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন