উপন্যাস       :         তোমায় ঘিরে
লেখিকা        :         জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ             :         
প্রকাশকাল    :         
রচনাকাল     :         ০৬ অক্টোবর, ২০২২ ইং

লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “তোমায় ঘিরে” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের অক্টোবরের ৬ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান

১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ০২)

নবনিতা খানিকটা চমকে উঠলো।শরীর দিয়া ঠান্ডা শিহরন বয়ে গেল।হাত পা কাপতে লাগলো।নবনি নিজেকে ছাড়ানোর ব্যথ চেষ্টা করলো।না পেরে নখ দিয়ে আরাফ এর পিঠে আঘাত করায় রক্ত বের হয়ে আসলো তবুও তাকে একটুকু সরানো গেলোনা।উল্ট
আরাফ তাকে নিজের শরীরের সাথে আরও গভীরভাবে মিশিয়ে নিয়েছে।
আরাফঃআমার থেকে যত দূরে সরতে চাইবে ততটা কাছে নিয়ে আসবো নবনিপাখি।
নবনিতাঃ প্লিজ ছারুন।আমার কষ্ট হচ্ছে।
আরাফ ছেড়ে দিল।
আরাফঃকি দরকার ছিল। সেখানে যাওয়ার আর আমাকে কেন থামালে?বল?
নবনিতাঃআপনি কেন ওদেরকে মারছিলেন?ওরা যদি মরে যেত।আর আপনার যদি কিছু হয়ে যেত।
আরাফঃহয়ে গেলে হয়ে যেত। এতে তোমার কি?
নবনিতাঃআমাকে এখানে কেন এনেছেন?
আরাফঃতুমি ভয় পাচ্ছিলা তাই।
নবনিতাঃআমি ভয় পেলে আপনার কি?
আরাফঃআমারইতো সব কিচ্ছু।
নবনিতাঃকি বললেন?
আরাফঃকিছু না।নিকাব ঠিক করে বের হয়।আমি ছাড়া এই চেহারা যাতে কেউ না দেখে।বলে আরাফ চলে গেল।
_নিকাব কিছুটা সরে গিয়েছিল।খেয়ালই করি নাই।ধুর ভাল্লাগেনা।সবসময় জোর চালায়।
_রিকশা নিয়ে বাসায় এসে পরলাম।
_আব্বু আব্বু কই তুমি খাবার গরম করছি খেতে আসো।
_রাজ খেতে বস।
_জি আপু।তারাতাড়ি কর।খুব খুদা লেগেছে।
নিজেরে হাতে ভাইকে খাওয়াচ্ছে।
খাওয়া শেষে সব গুছিয়ে রেখে বের হয়ে গেল। বার বার ঘড়ি দেখছে।
আরাফ সিসিটিভিতে সব দেখছে।
আরাফ মাত্র খেতে বসেছিল।নবনি না খাওয়ায় সেও না খেয়ে বের হয়ে গেল।রাস্তায় কিছু খাবার কিনে নিল।
নবনিঃআজকে টিউশনিতে যেতে দেরি হয়ে গেল।
আরাফ পিছু নিয়েছে নবনির।
নবনি একটা বাসায় ঢুকলো।১ ঘন্টা পর বের হল।আরাফ এতক্ষন চায়ের দোকানে বসে ছিল।এইবার নবনি আর এক জায়গায় পড়াতে গেল।
আরাফ খেয়াল করল নবনি দুপুর ৩ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত পড়ায়।তারপর বাসায় যায়।এরপর রান্না করে ঘরে কাজ করে পরে ঠিক রাত ২ টা বাজে ফ্রি হয়।আরাফ দেখেই হাপিয়ে গেল আর এটা নবনির প্রতিদিনের রুটিন।


আরাফ ডায়রি তে লিখল_
প্রিয় নবনিপাখি।
প্রেম কখনও করি নাই।তাই জানি না এটা কেমন হয়।শুধু এতটুকু জানি।তুমি আমার অন্তরে মিশে আছো।তোমাকে প্রথম দেখেছিলাম ট্রেনে। তোমার বাবা মার সাথে ঘুরতে গিয়েছিলা।রাতে যখন সবাই ঘুমিয়ে গিয়েছিল তখন তুমি তোমার নিকাব খুলেছিলা।তোমাকে কিছুক্ষণের জন্য দেখে থমকে গিয়েছিলাম।টানা টানা মায়াবি চোখ। হাল্কা গোলাপি ঠোট।মুখে তৃপ্তির হাসি।এরপর তোমাকে পাগলের মত খুজেছি পাইনি। আজ ৪ বছর পর তোমাকে দেখলাম। প্রথমে তোমাকে চিনতে পারিনি। কিন্তু তোমার চোখগুলো খুব কাছে টানছিলো।কেন জানি মনে হচ্ছিল আমি তোমাকে চিনি।তুমি আমার খুব আপন কেউ। নিকাবে তোমার চোখ দুটো দেখে না চিনতে পারলেও আজ যখন তোমাকে দেখলাম। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।আজ যখন ক্লাসে নিকাবটা সরে গেল আমি আমার প্রিয়সীকে দেখে ফেলি।তুমি যে আমার হারিয়ে যাওয়া সেই ভালবাসা।যে চেহারা আমি আজও ভুলতে পারি নি। আর কখনও হারাতে দিবো না।।কখনোই না।
মুচকি হেসে ঘুমাতে চলে গেল।
সকালবেলা_
আরাফের ফোনটা বার বার বেজে উঠছে।
_উফফ সকাল সকাল কে জালাচ্ছে।কে বলুন।
_তোর বাবা।
_বাবা।তুমি কল দেয়ার আর সময় পাও না।এই সময় কেউ তার ছেলেকে কল দেয়।
_না না।কেউ দেয় না।আমি দেই। তা আমার ছেলে কি নিয়ে এত ব্যস্ত হয়ে গেল।অফিসও যাচ্ছে না।
_বাবা তুমি কি আসবা দেশে নাকি বিয়ের invitation pathiye dibo?
_বউমা পেয়ে গিয়েছো বুঝি।তা কই পেলে সেই মেয়ে যে এই বাঘকে পোষ বানিয়ে ফেলেছে। 
_সে যে এক বাঘিনি।তুমি তারাতাড়ি আসো বাবা।
_কালকেই আসছি।মাই সান।
আল্লাহ হাফেজ বাবা নিজের খেয়াল রাইখো।
আম্মু আমার কফি কই? বলতে বলতে নিচে নেমে আসলো।
_আপনি কোথায় ছিলেন  কালকে সারাদিন?
_এই একটু কাজে ছিলাম।
_তুই আর তোর বাবার কাজ।কবে যে বউমা আসবে।আমি একা একা খাটতে খাটতে শেষ হয়ে যাচ্ছি।
_দোয়া করো তোমার বউমা পটে যায়। মায়ের দোয়া কাজে দেয়।
_কি বললি। তার মানে মেয়ে ঠিক হয়ে গেসে?
_খাওয়া শেষ। Bye Bye...
কিছু না বলতে দিয়েই বের হয়ে গেল।
নবনিতা বের হয়ে দেখলো।বাইরে একটা কালো গাড়ি  দাড়িয়ে আচ্ছে।
সে হাটা ধরলে গাড়িটি তার পিছু নেই।হুট করে কেউ হাত টান দেই।আর গাড়ির ভিতরে থাকা মানুষটার উপর পরে যায়।
_আপনি!!


চলবে ...


৩য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন