উপন্যাস : তোমায় ঘিরে
লেখিকা : জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ০৬ অক্টোবর, ২০২২ ইং
লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “তোমায় ঘিরে” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের অক্টোবরের ৬ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান |
১৪তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ১৫)
আরাফঃ নবনি। তোমার কি মুড অফ!!
নবনিঃ না তো। (আরাফ কিভাবে বুঝলো আমি কষ্টে আছি।চোখের পানি ছাড়াও বুঝা যায় বুঝি)
আরাফঃ চলো বাইরে থেকে ঘুরে আসি।
নবনিঃ বিকেল হয়ে আসছে।এখন যাবেন।কালকে না ফ্লাইট।
আরাফঃ না। ফ্লাইট কিছু দিন পর।এখন চল।
আরাফ নবনি নিচে নামলো।নিচে আসাদ খান আর আদর চৌধুরী লুডু খেলছে।সাথে নিলয় আর রাজ ও আসে।ওয়ারদা আর নিলীমা চৌধুরী রান্না করছে।
আরাফঃকি রে!! তোমাদের কি বাড়িঘর নেই।আমার শশুর বাড়িতে কি কর?!!আমি জামাই আদর নিচ্ছি বলে কি তোমাদেরও সবাইকে এখানেই সেটেল হয়ে যেতে হবে!!?
আদর চৌধুরীঃতোর কি হিংসে হচ্ছে!!??
আরাফঃ😒 শশুর Father. এসব কি!!?
আদর চৌধুরীঃআমার সাথে কথা বল।এত দিন তোরে খাওয়ায়া পরায়া বড় করলাম।আমার বাসায় থেকে বড় হলি।আর আজকে একদিন এখানে ছিলাম বলে খোটা দিচ্ছিস হতচ্ছাড়া।
নবনিঃআমার বাবা আমার বাসায় থাকতেই পারে।তাতে আপনার কি!!আপনিও তো আমার বাসায় পরে আছেন।
আদর চৌধুরীঃএই যে আমার মেয়ে এসে পরেছে।
আরাফঃআমি মোটেও তোমার বাসায় পরে নেই।এটা আমার ও বাবার বাসা।তাই না বাবা!!?
আসাদ খানঃএকদম ঠিক।এই বাসা যতটা রাজ নবনির ততটা আরাফের ও।
আরাফঃতুমি আর তোমার বাবা আমার বাসায় থাকছো। বুঝলে!!
নবনিঃতাই না!!থাকেন আপনি।এখানেই আপনার বাসায়।আমি আমার বাবাকে নিয়ে চলে যাচ্ছি।আর বাবা খবরদার কোনো আজিরা মানুষকে ঢুকতেও দিবা না।
আদর চৌধুরীঃঠিক আসে মা।চলো আমরা চলে যাই।
আরাফঃওই তুমি আজাইরা কাকে বল!!?আর বাবা তুমি যাবা যাও ভালো কথা। আমার বউকে নিয়ে যাচ্ছো কেন!!?
আদর চৌধুরীঃতোর বউ আমার মেয়ে.
নবনি হনহন করে বাইরে চলে গেল।আরাফ পিছু পিছু ছুটছে।আর আদর চৌধুরী হাসছে।
আদর চৌধুরীঃনবনি পারবে তোকে শুধরাতে।হা হা হা।
নবনি যেয়ে আরাফের পিছনের সিটে বসলো।
আরাফঃতুমি পিছনে বসছো কেন!!আমাকে কি ড্রাইভার মনে হয়!!?
নবনিঃতার থেকে কম নয়।
আরাফঃকিহ!!আমি ড্রাইভার। এতো সুন্দর একটা ছেলে ড্রাইভার??
নবনিঃসুন্দর ছেলেরা ড্রাইভার হয় না বুঝি?!!
আরাফঃ😒 সামনে এসো নবনি।রাগ উঠতেছে।
নবনিঃ🥱আপনার রাগকে আমি ভয় পাই বুঝি।
আরাফঃজানো নবনি। লিজা ড্রাইভিং শিখতেসে।ও আমাকে বলেছে আমাকে নিয়ে লং ড্রাইভে যাবে।লিজা ড্রাইভ করবে।আর আমি পাশে বসবো কি মজা।
নবনিঃযাক ভালো।আমার একটা কলেজ ফ্রেন্ড আসে আয়ান।আমি ভাবতাসি আপনি আমেরিকা যাওয়ার পর ওর সাথেই ভার্সিটি যাওয়া আসা করবো।ওর বাইকে করে।
আরাফঃযাও আমার কি। আমি আর লিজা গাড়িতে ঘুরবো।আবার লিজা নাকি স্কুটিও কিনবে।উফ ওর পিছনে বসতে কি মজা হবে।
নবনিঃহ্যা তাই তো।গাড়িতে পাশাপাশি বসতে হয় কিন্তু বাইকে আয়ান সামনে আমি ওর পিছনে বসবো।আর আমারতো ওকে ধরেই বসতে হবে।না হলে যে পরে যাবো।
নবনি আয়ানকে মেসেজ করলো।আরফ পিছনে এসে ফোন কেড়ে নিল।
আরাফঃআয়ানকে ব্লক করে দিবো।
নবনি ফোন কাড়াকাড়ি শুরু করলো।
নবনিঃখবরদার। এমন কিছু করবে না।ওকে কেন ব্লক করবেন।ফোন দিন।
আরাফঃওরই দোষ। ওকেই ব্লক মারবো।
নবনিঃআপনি লিজার সাথে ঘুরতে পারেন।আর আমি ভার্সিটি গেলেই দোষ।
আরাফঃআমি তো এভাবেই বলছি। তুমি ওকে মেসেজ দিলে কেন!!?
নবনিঃআমি এভাবে কিছু বলি না। যা বলি করে দেখাই।
আরাফ রাগে ফুসফুস করতে লাগলো।
নবনি সামনে যেয়ে বসলো।আরাফ ড্রাইভ শুরু করলো।
আরাফঃখবরদার নবনি।এমন কিছুই করবা না।আমি যদি দেখছি না।তোমার খবরই আসে।
নবনিঃআপনিতো আমেরিকায় থাকবেন আপনি কি করে জানবেন।
আরাফঃতুমিই বলবা আমাকে।আর যদি শুনছি তা হলে খবরি আসে।
নবনি এবার হেসেই দিলো।হি হি হি।
আরাফঃহাসছো কেন!!!?
নবনিঃআপনি অনেক জেলাস ফিল করেন।জাল কুকড়া।😂😂
আরাফঃআর তুমি একটুও করো না।তার মানে তুমি আমাকে কম কম ভালোবাসো😞
নবনিঃহি হি হি।কম কম ভালোবাসো কি।বলেন ভালোইবাসি না।
আরাফঃ🥺তুমি কিন্তু ওই ছেলের সাথে বাইকে যাবে না।আমি তোমার জন্য গাড়ি পাঠিয়ে দিবো।
নবনিঃআচ্ছা।🥱
আরাফ নবনি নিয়ে ওই জায়গায় যায় যেখানে নবনিকে প্রপোজ করেছিল।নবনি জায়গাটাতে যেয়ে খুব খুশী হয়।
আরাফঃজায়গাটা আমার খুব প্রিয় নবনি।আমার খুব খারাপ লাগে তখন এখানে আসি।আবার আমি যখন খুব খুশি হই।তখন ও এখানে আসি।এই জায়গাটার নাম আরনীতা রাখি।ঠিক আসে?
নবনিঃআরনীতা মানে??
আরাফঃআরাফাত নবনিতা।আরনীতা।
নবনি হাসলো।
আরাফঃএখানে আসো।(কিছুদূর হেটে একটা ছোট বাসা দেখতে পেল নবনি)
নবনিঃএটা কার বাসা!!??
আরাফঃতোমার আমার বাসা।আমরা যখন একান্তে সময় কাটাতে চাইবো।তখন এসে পরবো।
নবনিঃওকে।
তারপর তারা একটা নৌকা নিয়ে নদীর মাঝামাঝি গেল।আরাফ নবনিকে নিজের কোলে বসালো।
নবনিঃআরাফ।
আরাফঃহুম।
নবনিঃএকটা কথার বলার ছিল।
আরাফঃহুম বলো।
নবনিঃভালোবাসি আরাফপাখি।
আরাফ এর মুখ হা হয়ে গেল।
নবনিঃমুখ বন্ধ করুন। মশা ঢুকবে তো।
আরাফঃভালোবাসি বলছো??শুনিনি আবার বলবা?
নবনিঃনা শুনলে নাই।
আরাফঃআমাকে পাখি বললা কেন"!? আমি কি পাখি?
নবনিঃআপনিও তো আমাকে পাখি বলেন।আর মেয়ে পাখিকে তো ছেলে পাখি ভালোবাসে।আর আপনি আমাকে ভালোবাসেন তাহলে আপনি আমার পাখি না?
আরাফ হো হো করে হেসে দিলো।
আরাফঃএই ডাক টা উঠিয়ে রাখো।কোনো দুঃসময় কাজ এ দিবে।
নবনিঃদুঃসময়!!
আরাফঃযখন কথা শুনবো না তখন।
আরাফ নবনির জন্য ফুচকা এনে দিয়েছিল।সেটা বানাতে লাগলো আরা নবনি খেতে লাগলো।
নবনি আরাফের ফিরতে রাত হয়ে যায়।আরাফ নবনিকে নিজের বাসায় নিয়ে যায়।
নবনিঃআমি এখন থেকে এখানে থাকবো!!?
আরাফঃতো কই থাকবা!!তুমি বিবাহিত না?ভুলে গেলে নাকি?
নবনিঃআপনি সাথে থাকলে কি আর ভুলতে পারি।বলে নেমে বাসায় গেল।
আরাফঃকালকে চলে যাবো।তখন কি ভুলে যাবে?!!
নবনি থেমে গেল।
নবনিঃকালকে চলে যাবেন মানে?!!
আরাফঃসকাল ৬ টার ফ্লাইট।
নবনিঃকিহ!!
নবনির হাত ধরে বাসায় নিয়ে গেল।
নিলীমা চৌধুরীঃতোমরা এসে পরেছো।
আরাফঃমা আমি সকালে বেরিয়া যাবো। আমার ফ্লাইট আসে সকাল ছয়টার।বলে উপরে চলে গেল।নবনি গেল শাশুড়ীর সাথে কথা বলতে।আরাফ নবনিকে ডাকতে লাগলো।
নিলীমা চৌধুরীঃযাও। বৌমা উপরে যাও।
নবনি চলে গেল।
আরাফঃকই ছিলা তুমি।এতক্ষন লাগে আসতে?
নবনিঃকিছু বলবেন?এভাবে ডেকেছেন যে!!মা কি মনে করলো।
আরাফঃকে কি মনে করলো সেটা তোমার দেখার বিষয় না।তুমি দেখবে তোমার জামাই কি মনে করলো।
নবনিঃকি মনে করলো আমার জামাই!?
আরাফঃঅনেক কিছু। আজকে কথাটা ভালোমতো কানে ঢুকিয়ে নাও।আমি আসলে সবসময় আমার আশেপাশে থাকবা।বাকি সারাদিন যাই করো না কেন।আমি বাসা থাকাকালীন তুমি আমার চোখের সামনে থাকবা।
নবনিঃএমন করলে তো মানুষ ভাববে আপনি আপনার বৌ কে চোখে হারান।
আরাফঃকে কি বলল তাতে আমার কোনো যায় আসে না সংসারটা যখন আমার তখন আমার ভালো আমাকেই বুঝতে হবে।অন্য কেউ তা বুঝবে না।
নবনিঃকেন?ডাকলেন বললেন না যে!!?
আরাফঃতোমার জামাই সকালে চলে যাবে।কবে আসবে ঠিক নেই।এখন জামাই সেবা করবে কি জিজ্ঞেস করছো কেন ডাকছি।এই মেয়ে তোমাকে বিয়ে দিল কে!! তুমি তো কিছুই জানো না।
নবনিঃআমাকে বিয়ে দেয় নি।এক পাগল আমাকে জোর করে আদায় করে নিয়েছে।
আরাফঃআদায় না অর্জন করে নিয়েছি।বলে টেনে কাছে আনলো।নবনির গালে নিজের খোচা খোচা দাড়ি ঘষলো।
নবনিঃআপনি আমাকে বললেন কালকে যাবেন না।এখন যাচ্ছেন।মিথ্যা বলেছেন কেন?
আরাফঃবউটার মন খারাপ ছিল।আর খারাপ করতে চাই নেই।আর বললে তো তুমি আজকের দিনটা ইনজয় করতে পারতানা।
আরাফ নবনি সারারাত একসাথে সময় কাটায়।ফজর নামায পরে নবনি ঘুমিয়ে পরে। কিন্তু আরাফ ঘুমায় না। সে তার ফ্লাইটের জন্য বেরিয়ে পরে।আরাফের সাথে নবনির শশুড় ও চলে যাবে।উনার ও নাকি কি কাজ আছে।দুইজনই বেরিয়ে পরে।নবনি এখন ও ঘুমে।সে জানেও না তার ওপর কি বিপদ আসতে চলেছে।আরাফ যে চলে গিয়েছে সে টেরই পায় নেই।নবনির ঘুম ভাংতেই সে আরাফকে খুজতে থাকে। কিন্তু পায় না।বালিশের নিচে চিঠি পায়।
আমি ফ্লাইট থেকে নেমে কল দিবো পাখি।তুমি চিন্তা কইরো না।তোমার এত সুন্দর ঘুম নষ্ট করতে চাই নেই।তাই না বলে চলে এসেছি।Sorry।
তোমার আরাফ পাখি।
নবনির মন খারাপ হয়ে গেল।সে আশেপাশে ঘুরে আরাফ এর রুমটা দেখতে লাগলো।আরাফের আলমারি খুলে শার্ট গুলো দেখছিল।তখনই আরাফের রিভোলবার টা পরে যায়।
নবনিঃআরাফের কাছে এটা কেন থাকে!!আচ্ছা আরাফ তো নেই।এটাই আমার কাছে ভালো সুযোগ।আমি সব জায়গাটা খুজে যদি কিছু পাই।
নবনি সবজায়গায় খুজে ফেলে। কিছুই পায় না।হয়রান হয়ে বেডে বসতে নিলে পায়ে বেজে পরে যায়।আর হাত বুক সেল্ফের একটা বাটনে লাগে।আর বুকসেল্ফ সরে যেয়ে একটা অদৃশ্য দেয়াল দৃশমান হয়।সেখানে একটা ডিজিটাল লক দেয়া থাকে।নবনি লক ট্রাই করে কিছুতেই খুলতে পারে না।৩ য় বার না হলে আরাফের কাছে মেসেজ চলে যাবে।
নবনিঃবিসমিল্লাহ।আল্লাহ এটা যাতে হয়ে যায়।
নবনিপাখি।
yes.i did it.
নবনি পাখি লিখার সাথে সাথে দরজা খুলে যায়।
নবনি রুমটাতে প্রবেশ করে।ভিতরটা সম্পূর্ণ অন্ধকার। নবনি ফোনের লাইট জ্বালিয়ে নেয়।কিছুদূর যাওয়ার পর নবনি কয়েকটা বক্স দেখতে পায়।বক্স খুলে যা দেখলো নবনির চোখ অক্ষিগোলক কোটর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম। বক্সগুলোতে বড় বড় রাইফেলস বন্ধুক দিয়ে ভরা।এ যেন বন্ধুক তৈরীর আরত।রুম জুড়ে এমন ২০০ এর উপরে বক্স রয়েছে।নবনি বক্সটি লাগিয়ে জায়গা মতো রেখে দিলো।তারপর আরো একটি দরজা দেখতে পেল।কিন্তু এটাতে আই স্ক্যান লক দেয়া।হয়তো আরাফের চোখ এর স্ক্যান এ এটা খুলবে।ওই রুমটা থেকে ক্যামিকেলের স্মেল আসছিল।নবনি আর থাকতে পারলো না। ছুটে বের হয়ে আসলো।
নবনিঃআরাফ কি কাজ করে যে। এমন বন্দুক এর আরত বাসায় রেখেছে।আরাফ কি কোনো ক্রিমিনাল।উফ ভাবতে পারছি না।
আরাফ কল দিল।
নবনিঃহ্যালো।
আরাফঃঘুম ভেঙেছে পাখি?
নবনিঃহুম।
আরাফঃকি হয়েছে?মন খারাপ?
নবনিঃনা।
আরাফঃকাল পরশু এসে পরবো।যত তাড়াতাড়ি কাজ টা শেষ করতে পারি।
নবনিঃআরাফ।
আরাফঃহ্যা পাখি বল?
নবনিঃতাড়াতাড়ি এসে পরেন।
আরাফঃহুম। আমার মনটা কেন জানি কু ডাক ডাকছে। তুমি সাবধানে থেকো।আর যাই হয় না কেন আমার উপর বিশ্বাস টা বজায় রেখো।
নবনিঃআচ্ছা।আপনি ভালোভাবে কাজ শেষ করে তাড়াতাড়ি এসে পরেন।
আরাফঃআচ্ছা রাখি।ফি আমানিল্লাহ।নিজের খেয়াল রেখো।
নবনিঃআপনিও।
নবনির কল কাটার পর নিলীমা রুমে আসে।
নিলীমাঃতো কিভাবে ফাসালে আমার ছেলেকে?!!
নবনিঃআপনি কি বলছেন মা!!আমি কেন ফাসাতে যাবো।
নিলীমাঃআমার ছেলের বিয়ে আমি আমার বোনের মেয়ে লিজার সাথে ঠিক করেছিলাম।লিজা আমাকে সব বলেছে যে কিভাবে তুমি আরাফকে নিজের করে হাসিল করেছো।
নবনিঃলিজা আপনার বোনের মেয়ে?আরাফের খালাতো বোন?
নিলীমা চৌধুরীঃহ্যা।ছোটকাল থেকে তারা একসাথে বড় হয়েছে। আমি সবসময় লিজাকে আরাফের আশেপাশে রাখতাম যাতে আরাফ ওর প্রেমে পরে।আর এমনটা হয়েও ছিল।আরাফ লিজার প্রতি দুর্বল হয়েও পরে। লিজার সাথে আরাফ এর ৪ বছরের সর্ম্পক ও থাকে।মাঝে তুমি এসে সব নষ্ট করে দাও।কি এমন ঢুকিয়েছো ওর মাথায় যে ও তোমাকে ছাড়া কিছু বুঝে না।ওর সবকিছু তোমায় ঘিরে। কেনওওওও!!?
নবনির মাথায় আকাশ ভেঙে পরলো।আরাফ আর লিজার ৪ বছরের সর্ম্পক ছিল।
নবনিঃআরাফ আমাকে ৪ বছর ধরে ভালোবাসলে লিজার সাথে সর্ম্পক কিভাবে থাকে!!আরাফ আমাকে মিথ্যা বলল।(মনে মনে)
নিলীমা চৌধুরীঃআরাফ তোমাকে ভালোবাসে না সে শুধু তোমাকে ব্যবহার করেছে।
নবনিঃএটা কি আরাফ আপনাকে বলেছে!!?
নিলীমা চৌধুরীঃনা। আরাফ বলে নাই কিন্তু আমি ওর মা। আমি জানি তোমার মধ্যে এমন কিছু নেই যেটার জন্য সে লিজাকে ছাড়বে।আর তোমাদের বিয়ের কথাও তো আরাফ গোপন রেখেছে।তোমাদের বিয়েটাও রাতের অন্ধকারে হয়েছে।সব কাগজ ও তো আরাফের কাছে।তোমার কাছে কোনো প্রমান আছে যে তুমি আরাফে বউ?!!
তাইতো নবনির বাবা আরাফকে এতোটা অন্ধ বিশ্বাস করলো যে তাদের কাছে কোনো প্রমান নেই। যে সে আরাফের সদ্য বিয়ে করা স্ত্রী।
নিলীমা চৌধুরীঃতুমি যদি এই বাসা না ছাড়ো। আমি তোমার বাবাকে অপমান করবো।যে তিনি তার অবিবাহিত মেয়েকে আরাফের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।হা হা হা।
নবনিঃআপনি এমনকিছু করতে পারেন না।আপনি যা বলবেন আমি তাই করবো।কি করতে হবে আমাকে।
নিলীমা চৌধুরীঃতুমি এখনি এই বাসা থেকে বের হয়ে যাবে।আরাফ আসলে তোমাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিবো।
নবনিঃআমাকে সকাল হওয়ার সময়টুকু দিন। মা।এতো রাতে আমি কিভাবে যাবো।
নিলীমা চৌধুরী নবনির হাত ধরে নিয়ে যেয়ে বাইরে ছুড়ি ফেলল।বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে।নবনি অনেক আকুতি মিনতি করলো।কিন্তু নিলীমা কিছু শুনলো না।
নবনিঃআমি এখন কোথায় যাবো।আব্বুর কাছে গেলে আব্বু ভেঙে পরবে।এক রাতে বিয়ে দিয়ে পরের রাতে এমনটা কোনো বাবা মেনে নিবে না।তারপর আরাফের ওপর এতো প্রশ্ন। এই উত্তর আমি কোথায় পাবো।
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
চলবে ...
১৬তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন