উপন্যাস       :         তোমায় ঘিরে
লেখিকা        :         জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ             :         
প্রকাশকাল    :         
রচনাকাল     :         ০৬ অক্টোবর, ২০২২ ইং

লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “তোমায় ঘিরে” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের অক্টোবরের ৬ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান

১৫তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ১৬)

নবনি তার বাবার কাছেই গেলো।কারন একা এতো রাতে আর কোথাও যাওয়া সেফ হবে না।একটা মেয়ের তার স্বামীর পর বাবাই যে সবথেকে নিরাপদ স্থান।নবনি কলিংবেল দিলে তার বাবা দরজা খুলে।
আসাদ খানঃনবনি মা। তুমি এতো রাতে এখানে কি করছো?সব ঠিক আসে?!!
নবনিঃতোমাদের খুব মিস করছিলাম তাই চলে আসি।
আসাদ খানঃতাহলে একা কেন এসেছো।আরাফ কই?
নবনিঃআরাফ আমেরিকা গিয়েছে।আব্বু।তাই আমি এখানে এসে পরেছি।আরাফের গাড়ির ড্রাইভার আংকেল আমাকে দিয়ে গিয়েছেন।
আসাদ খানঃওহ। আচ্ছা তুমি যেয়ে শুয়ে পরো বাকি কথা কালকে হবে।
নবনি ঘটনাটা তার বাবার কাছে লুকালো।কারন তার বাবা এটা জানতে পারলে আর কখনো ওই বাসায় যেতে দিবে না।আর আরাফের সাথে তার সম্পর্কটা নষ্ট হয়ে যাবে।বাইরে স্বাভাবিক থাকলে ভিতরে নবনি সবটা দুমড়ে মুচড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে।
নবনি তার ঘরে যেয়ে নামাযে আল্লাহর কাছে কান্না করে।
আল্লাহ যার কেউ নেই তার আপনি আসেন।আপনি আমার সহায় হন।আমাকে ধৈয্য দান করুন।আমার আর আমার স্বামীর সম্পর্কটাকে সকল শয়তানি ওয়াসওয়াসা থেকে রক্ষা করুন।আমার আরাফের প্রতি যে বিশ্বাস আছে তা কখনো ভাংতে দিয়েন না আল্লাহ।
আমিন।
নবনি রাতে কাদতে কাদতে ঘুমিয়ে পরে।
আরাফ নবনিকে কল দিয়ে পায়না।তাই তার মাকে কল দেয়।
আরাফঃমা নবনি ফোন ধরছে না? ও কোথায়!!
নিলীমা চৌধুরীঃও তো ঘুমাচ্ছে বাবা।
আরাফঃআচ্ছা আমি ভিডিও কল দেই। আমাকে দেখাও।
নিলীমা চৌধুরীঃএখন আমি তোকে ভিডিও কলে বৌ দেখাবো।ও ঘুমাচ্ছে। ঘুমাতে দে কালকে উঠলে বলবো তোকে কল ব্যাক করতে।
আরাফঃকিন্তু মা
নিলীমা চৌধুরী কল কেটে দিলেন।
আরফের এখানে কিছুই ভালো লাগছে না।দম বন্ধ হয়ে আসছে।
আরাফঃবাবা ইমারজেন্সি ফ্লাইট বুক কর।আমি কালকেই চলে যাবো।
আদর চৌধুরীঃকি হয়েছে আরাফ?পাগলামি কেন করছো। তুমি জানো ডিলটা কত ইম্পরটেন্ট।
আরাফঃনবনির থেকে বেশি আর কিছুই না।তুমি কাজ টা শেষ করে আসো।আমার কেন জানি মনে হচ্ছে নবনি ভালো নেই।
আদর চৌধুরীঃঠিক আছে। সকালের ফ্লাইট ঠিক করছি।
পরের দিন।
আরাফ এয়ারপোর্ট থেকে বাসায় যেয়ে নবনি খোজে।
আরাফঃনবনি নবনিইইইইই।
নিলীমা চৌধুরীঃআরাফ তুই এতো তাড়াতাড়ি এসে পরলি।তোর না আরো কয়দিন পর আসার কথা ছিল।
আরাফঃনবনি কোথায়!!?
নিলীমা চৌধুরীঃও তো চলে গেছে বাবা।
আরাফঃচলে গেছে মানে!!কোথায় চলে গিয়েছে।
নিলীমা চৌধুরীঃতুই যাওয়ার পর আমি ওকে গরম পানি করতে বলেছিলাম বলে রাগ দেখিয়ে চলে গেছে।সে নাকি এই বাড়ির চাকর না তাই কিছু করবে না।
আরাফঃনবনি একথা বলেছে?
নিলীমা চৌধুরীঃহ্যা বাবা।বলে হু হু করতে কাদতে লাগলো।


আরাফ হাতের এক বাড়িতে সামনে রাখা টেবিলটা ভেঙে ফেলে।কাচ আরাফের হাতে ঢুকে পরে।হাত দিয়ে গরগর করতে রক্ত পরছে।নিলীমা চৌধুরি হতভম্ভ হয়ে দেখছেন।তিনি তার শাড়ির আচল দিয়ে হাত বাধতে চাইলে আরাফ ছাড়িয়ে নেয়।
আরাফঃকি করে পারলে মা?!!কি করে?!!
নিলীমা চৌধুরীঃকি করেছি আমি।ওহ। ওই মেয়ে সব বলে দিয়েছে।এখন আমার থেকে ওই মেয়ে কথা বিশ্বাস করছিস।আমি ওকে বের করিনি। ও নিজেই চলে গিয়েছে।
আরাফঃমা।তুমি নিজেই সব বলে দিলে?!!নবনি আমাকে কিছুই বলে নেই। আমাকে সবকিছু দারোয়ান আংকেল বলেছেন।যখন কালকে রাতে নবনিকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিচ্ছিলে।তখন দারোয়ান আংকেল সব দেখে ফেলে।
নিলীমা চৌধুরীঃআরাফ।দেখ আমি যা করেছি তোর ভালোর জন্য করেছি।ওই মেয়ে তোর জন্য ঠিক না তুই লিজাকে বিয়ে কর।ওই তোর যোগ্য। 
আরাফঃহ্যা।যাতে তুমি লিজার সম্পত্তি গুলো নিতে পারো তাই তো"!!?
নিলীমা চৌধুরীঃআমি এটা তোর জন্যই নিচ্ছি।আমি মরলে সব তোর ই।
আরাফঃআমার যা আছে তাতেই আমি খুশি।আর যে বাড়িতে বিয়ের পর আমার বউকে থাকতে দিলে না সে বাড়িতে আমি আর ফিরবো না।বলে আরাফ বেরিয়ে গেল।
নিলীমা চৌধুরী শূন্য চোখে ছেলের যাওয়ার পথে চেয়ে থাকে।সে কি সম্পত্তির জন্য ছেলেকে হারাতে বসলেন।তার ছেলে যে এক কথার মানুষ। সে ফিরবে না বলেছে মানে সে আর কখনোই ফিরবে না।ছেলে হারানোর চিন্তা তাকে দুমড়ে মুচড়ে দিচ্ছে।
আরাফ নবনির বাসায় যায়।রাজ গেটে খুলে দেয়।আরাফ কিছু না বলে নবনির রুমে চলে যায়।নবনি এখনো ঘুমে বিভোর। আরাফ নবনি কপালে ঠোঁট ছুয়ে দেয়।
আরাফঃমিস ইউ বউ।
নবনি ঘুমের ঘোরে আরাফকে জরিয়ে ধরে।আরাফ মুচকি হেসে নবনি জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরে।কাল সারারাত নবনির চিন্তায় নির্ঘুম কাটায়। তাই নবনির সংস্পর্শে এসে যেন শান্তি খুজে পায়।তাই ঘুমিয়ে পরে।
নবনি ঘুম থেকে উঠে দেখে সে কারো বুকে লেপ্টে আছে।এই বুকের ঘ্রাণটা খুব চেনা।নবনি দেখলো আরাফ নবনিকে বুকে নিয়ে দিব্যি ঘুমাচ্ছে।নবনি চমকে গেল।
নবনিঃআরাফ না আমেরিকায় ছিল।একরাতে কি করে আসলো।আমি কি স্বপ্ন দেখছি।
নবনি চিমটি কাটলো নিজেকে।
নবনিঃআউচ!না আমি স্বপ্ন দেখছি না।আরাফ এসে পরেছেন।ইয়েএএএএএ।
নবনি আরাফ এর বুকের ভিতরে আরো ঢুকে গেল।
আরাফ ব্যাথায় আহ করে উঠলো।নবনি আরাফের হাত ধরতে যেয়ে খেয়াল করে আরাফের হাতের রক্ত শুকিয়ে কালো হয়ে গিয়েছে।নবনি উঠে ফাস্ট এড বক্স আনতে গেয়েও থেমে যায়।আরাফ নবনির ওড়না অন্য হাতে পেচিয়ে রেখেছে।ওড়নার টানে আরাফ জেগে উঠে।বেচারার কাচা ঘুম ভেঙে যায়।চোখ গুলা লাল হয়ে আছে।মুখ খোলার আগ পর্যন্ত আরাফকে নিষ্পাপ শিশু মনে হচ্ছিল। কিন্তু যেই মুখ খুললো নবনির মাথায় চরচর করে রাগ উঠে গেল।
আরাফঃএকটু ঘুমাতেও দিবে না নাকি।তেলাপিয়া মাছের মতো ছটপট করো কেন??!!
নবনিঃআমি তেলাপিয়া মাছ!!!নবনি চোখে রাগ স্পষ্ট। আমি মোটেও ছটপট করি না।আপনি আমাকে আসামির মতো বেধে রেখেছেন কেন??না বাধলে তো আর ঘুম ভাংতো না।
আরাফঃতো কি করবো!!তুমি যে হারে ছুটে পালাও।আবার যদি তোমাকে না পেতাম।জানো কালকে রাত থেকে আমার কি অবস্থা???এয়ারপোর্ট থেকে গাড়ি উড়িয়ে বাসায় যাই। আর ওখানে তোমাকে না পেয়ে আমার জান যাই যাই অবস্থা। তোমাকে একা ছাড়া যাবে না।তুমি একটা আস্ত মহা বিপদ।আবার আমার এতো সুন্দর ঘুমটাও ভেঙে চুরমার করে দিলা।
নবনিঃহাতে কাচ ঢুকিয়ে দিব্যি ঘুমাচ্ছেন।ব্যাথা হয় না বুঝি।
আরাফঃআমার যে কিসে ব্যাথা হয় তা যদি তুমি বুঝতা।(মিনমিন করে বলে)
নবনি আস্তে আস্তে কাচ গুলো তুলে স্বযত্নে ব্যান্ডেজ করে দেয়।
নবনিঃকি করে হলো এটা।
আরাফঃবউ ভিটামিন এর অভাবে।
নবনিঃমানে।
আরাফঃমানে আমার এখন খুব আদর পাচ্ছে।
নবনিঃনাস্তা করবেন না।ছাড়ুন নাস্তা নিয়ে আসি।
আরাফঃআমার নাস্তাতো তুমি।(বলেই নবনির ঘাড়ে মুখ ডুবালো)
নবনিঃআরাফ।
আরাফঃহুম।
নবনিঃলিজার সাথে আপনার কি সর্ম্পক?!!
নবনি ভেবেছিল প্রশ্নটা আরাফকে বিচলিত করবে।কিন্তু আরাফ এখনো স্বাভাবিক।
আরাফঃআমাদের মাঝে লিজাকে কেন টানছো?এই সময়টা তোমার আমার। এসব কথা পরে বলা যাবে।
নবনিঃউত্তরটা যে আমার এখনি জানা দরকার।
আরাফঃমা বলেনি?
নবনিঃবলেছে কিন্তু আমি আপনার কাছে জানতে চাই।
আরাফঃমা যা বলসে তা পুরোটা না হলেও আংশিক সত্যি।
নবনি ধাক্কা দিয়ে আরাফকে সরিয়ে দিল।
নবনিঃমানে!!?আপনার লিজার সাথে ৪ বছরের সর্ম্পক?
আরাফঃহ্যা।
নবনিঃতাহলে আমাকে কেন বিয়ে করলেন?এত দিন যা করলেন সবই নাটক মিথ্যে?!!
আরাফঃনা।আমি তোমাকে সত্যিই ভালোবাসি।
নবনিঃভালোবাসেন!!হা হা হা।আপনি আমাকে নাকি ৪ বছর ধরে ভালোবাসেন!!?তাহলে লিজার সাথে ৪ বছরের সর্ম্পক কিভাবে রাখলেন?
আরাফঃসব কিছুরই কারন আসে।
নবনিঃআর কারনটা কি?!!
আরাফঃসেটা আমি তোমাকে বলতে পারবো না নবনি।শুধু এতটুকু জানো যে আমি তোমাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসি।
নবনিঃআপনি আমাকে রাতের আধারে কেন বিয়ে করলেন!!কেন আমাকে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিলেন না??!!
আরাফঃতুমি আমার স্ত্রীই। এখানে পরিচয় দেয়া না দেয়ায় সেটা পরিবর্তন হবে না।
নবনিঃআর আমাকে যদি কখনো প্রমান দিতে বলা হয়।আমি কি করে বলবো??!
আরাফঃতোমার প্রমাণ আমি নিজেই।
নবনিঃআর আপনি যদি কখনো অস্বীকার করেন?


আরাফঃএটার অস্বীকার করার আগে আমার মৃত্যু হউক বলে আরাফ বেরিয়ে গেল।
নবনিঃআমার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে আপনি পালাতে পারেন না।আমার সব প্রশ্নের উত্তর আপনাকে দিতেই হবে। (মনে মনে)
আরাফ রাগে কোনো গার্ড ছাড়াই বেরিয়ে পরে।নবনি  তা দেখতে পায়।তাই সেও দৌড়ে গিয়ে আরাফের গাড়িতে ঢুকে পরে।
আরাফঃনবনি।বাসায় যাও।
নবনিঃআপনি গার্ড ছাড়া যেতে পারেন না।
(আরাফ নবনির শেষ কথাটায় খুব কষ্ট পায়।নবনি কি করে ভাবতে পারলো আরাফ তাকে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করবে।এতোদিনে আরাফকে এই চিনলো!তার রাগে মাথা টনটন করছে।এই রাগের আচড় যাতে নবনির উপরে না পরে তাই সে নবনির থেকে দূরে চলে আসে।)
আরাফঃএই মেয়ে কি বুঝে না আমি তার থেকে দূরে থাকতে চাচ্ছি। (মনে মনে)
নবনিঃবাসায় চলেন।
আরাফঃআপনি যান। মিসেস নবনীতা চৌধুরী। 
(নবনি বুঝতে পারলো আরাফ ভীষণ রেগে আসে।)
নবনিঃআমি কোথাও যাচ্ছি না।
আরাফ রেগে গাড়ি টান দিলো। নবনি আরাফের এক হাত চেপে ধরে আল্লাহকে মনে প্রাণে স্বরণ করছে।আরাফ দিন দুনিয়ে ভুলে ড্রাইভ করছে যেন এই গাড়ি জান্নাতের গেট এ যেয়ে থামবে।
নবনিঃকরছেন কি!!?আমার এখনো বাচ্চাকাচ্চা হয়নি।তার আগে আমাকে মেরে ফেলবেন নাকি!গাড়ি থামান বলছি।
আরাফঃরোমান্স করার সময় তোমার লিজার কথা মনে পরে।আবার বাচ্চাকাচ্চাও চাও।এত শখ আনো কোথা থেকে।
নবনিঃযেখানে থেকে আপনি রিলেশন রাখেন লিজার সাথে সেখান থেকে।আমি তো ওইটাকে খুনই করবো।পায়া নেই সামনে।
আরাফঃকরো।অবশ্যই করো।সাহায্যে লাগলে আমি করবো।তুমি জেলে গেলে একটা বিয়েতো করতে পারবো।ওই বউ আর যাই করুক রোমান্সে ডিস্টার্ব করবে না।
নবনিঃআগে আমার জীবন বাচায়া নেই।তারপর তোকে বিয়ে করাচ্ছি খবিশ বেটা।
আরাফাঃ হা হা হা।

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 


চলবে ...


১৭তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন