উপন্যাস       :         তোমায় ঘিরে
লেখিকা        :         জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         ০৬ অক্টোবর, ২০২২ ইং

লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “তোমায় ঘিরে” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের অক্টোবরের ৬ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।

তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান

২১তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ২২)

আজ আরাফ ভোরবেলা উঠতে পারে নেই।যার জন্য আরাফ নবনি দুইজন এর নামায কাযা হয়ে গেল।কিন্তু আরাফ এর স্পষ্ট মনে আছে ঘড়িতে এর্লাম লাগানো ছিল।কিন্তু বাজলো না কেন!
আরাফ বিছানা থেকে উঠতে নিলে দেখে নবনি গোসল করে বের হয়েছে।চারপাশ চেনা সুগন্ধে মৌ মৌ করছে।
আরাফঃএটাতো সেই সুগন্ধি যা আমি অশুভ শক্তির আগমনে পাই।কিন্তু এটা তো রাতে আসে।আজ সকাল সকাল কি করে এলো।নবনি আরাফের মাথায় হাত বুলিয়ে দিল।
নবনিঃতোমাকে আমার খুব ভালো লাগে।আরাফ।
আরাফ হতভম্ভ হয়ে গেল।নবনি আরাফকে তুমি করে বলছে।তার উপর নবনির শরির থেকে তীব্র মাত্রায় সেই সুগন্ধি আসছে।নবনির গায়ে শাড়ি জড়ানো।অথচ আরাফ এর মনে পরছে না আরাফ কখনো নবনিকে শাড়ি পড়তে দেখেছে।
নবনিঃআরাফ তোমার চা।কি খাবে আজকে।তুমি যেটা বলবা সেটাই রান্না করবো।
আরাফঃপানি। পানি খাবো।
নবনিঃআচ্ছা আমি নিয়ে আসছি।
নবনি যেতেই আরাফ ফোন খুজলো।ফোনটা নিচে পরে ছিল।আরাফ ফোন নিয়ে মাওলানাকে কল দিল।
মাওলানাঃকই ছিলে আরাফাত?আমি কালকে রাত থেকে চেষ্টা করছি যোগাযোগ এর।
আরাফঃসরি।বলেন কি জানতে পেরেছেন।
মাওলানাঃআরাফাত তুমি নবনির থেকে দূরে থেকো।কারন নবনির শরিরে একজন পরি জীন।আর পরিরা  মানুষ ছেলেদের প্রেমে পরে।আর পরি যদি একবার কারো প্রেমে পরে তাহলে আর তাকে সহজে ছাড়ে না। 
আরাফ মাথায় হাত দিয়ে বসে গেল।
মাওলানাঃতুমি যদি ওই পরি নবনির শরিরে থাকাকালীন নবনির সাথে স্বামী স্ত্রীর সর্ম্পক স্থাপন করো।পরিটা নবনির শরীর নিজের আয়ত্তে করে ফেলবে।ও না চাইলে ওকে নবনির শরির থেকে বের করা যাবে না।
আরাফঃআপনি আমাকে কথাগুলো কালকে বলেন নেই কেন?
মাওলানাঃআমি কালকে রাতেই আমার পালিত জীনদের দ্বারা ওই দিনের ঘটনা জানতে পারি।আর আমি তোমাকে বলেছিলাম তোমার ঘর বদ্ধ করতে করেছিলেতো?
আরাফঃOh no. আমি কি করে এটা ভুলে গেলাম।আমি না ভুললে নবনির সাথে কালকে ঘটনাগুলো ঘটতো না।Shet.
মাওলানাঃআরাফ শুনছো?
আরাফঃহ্যাঁ হ্যাঁ। আসলে আমি ভুল করে ফেলেছি।ওই পরি নবনির শরিরে প্রবেশ করে ফেলেছে।আর সব থেকে বড় কথা পরিটা আমার প্রেমে পরে গেছে।এখন আমি কি করবো?
মাওলানাঃএত বড় ভুল কি করে করলে আরাফাত!!এখন এই পরির মন থেকে তোমাকে বের করা প্রায় অসম্ভব।
আরাফঃসরি।ওইদিনের ব্যাপারে কি জানতে পারলেন ওইদিন কি হয়েছিল?
মাওলানাঃতোমার গাড়ির ধাক্কায় একটা মেয়ে মারা যায়। পরিটা ওই মেয়ের শরিরে ছিল।মেয়েটা মারা যাওয়ায় পরি থাকার জন্য দেহ খুজতে থাকে তখনই সে নবনির শরিরে প্রবেশ করে।কিন্তু নবনি নামাজি আর পবিত্র ছিল বলে সে বেশিক্ষন থাকতে পারে নাই।কিন্তু তোমার এক্সিডেন্ট এর পর নবনি ৩ দিন নামাজ পরে নেই।আর অপবিত্র ছিল।যে সুযোগ নিয়ে পরিটা নবনির শরিরে প্রবেশ করে।কিন্তু নবনি সজাগ থাকলে সে নবনির দেহে প্রবেশ করতে পারতো না।তাই রাতে নবনি ঘুমালে সে নবনির দেহ দখল করে নেয়।
আরাফঃকিন্তু এখনতো সকাল!এখন কি করে সে নবনির দেহে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে।
মাওলানাঃসুযোগটা তুমি করে দিয়েছো।তুমি কালকে নবনির সাথে না পরিটার সাথে মেলামেশা করেছো।তাই পরি নবনিকে আর সজাগ হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না।তোমার নবনিকে উঠাতে হবে তাহলেই পরিটা নবনির শরির থেকে বের হবে।আমি বাকিটা দেখছি।
নবনি পানি নিয়ে আসে।আরাফ নবনির দিকে তাকায়।নবনিকে খুব খুশি খুশি লাগছে।
আরাফঃতিশা লিজা তো ঠিক ছিল।কিন্তু এই পরি কই থেকে এসে জুটলো।কি দরকার ছিল আমার এত সুন্দর হওয়ার। যাকে দেখো আমার প্রেমে পরে যায়।তিশা লিজাকে তো নবনি থাপড়াইয়া ভাগাতে পারতো।কিন্তু এটাতো নবনিকেই ঘুম পারিয়ে রেখেছে।আমার বউ।
এই তোরা কি বুঝিস না আমি আমার আমার একমাত্র বউ নবনি পাখিকেই ভালোবাসি।তোরা কেন বিবাহিত ছেলের পিছনে পরেছিস।নবনি যদি জানতে পারে আমি পরির সাথে মেলামেশা করেছি।আমাকে তো গিলে খাবে।(মনে মনে)
নবনি আয়নায় দাঁড়িয়ে সাজুগুজু করছে।আর আরাফ এর দিকে মায়ার দৃষ্টিতে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে।\


আরাফঃএই মেয়ে এমন করে কেন!!রূপ বেয়ে বেয়ে পরছে।আবার কোমর দেখিয়ে শাড়ি পরেছে।সব আমাকে ফাসানের ধান্দা না!এসব করে কোনো লাভ নেই ভুত্নি পরি।আমি কালকে রাতে জানতাম না তাই তুই আমার সুযোগ নিয়েছিস।এবার তোরে ধারের কাছেও ঘেষতে দিবো না।ইয়া আল্লাহ।এই পরিতো আমাকে কাল রাতে রেপ করেছে।এখন আরাফ চৌধুরি পাঠকদের কাছে মুখ দেখাবে কি করে। এ বিচার আমি কোন আদালতের কাছে দিবো।আমার নিজের বউই আমাকে ঝাড়ু পেটা করবে এটা জানতে পারলে।ধুরো ভাল্লাগেনা।
[আপনারাই এর বিচার করুন]
নবনি আরাফের কোলে বসতে চাইলে আরাফ লাফ মেরে উঠে যায়।
নবনিঃকি হয়েছে তোমার?
আরাফঃকিছুনা।
নবনিঃআমার না খুব আদর পাচ্ছে।করবে না আদর?
আরাফঃঅবশ্যই।
আরাফ হাত দিয়ে চায়ের কাপটা ফেলে দেয়।
আরাফঃআদর লাগবে তোর করছি তোরে আদর। আমি আমার বউকে ওয়াদা করেছি কাউকে আমার আশেপাশে ঘেষতে দিবো না।এইবার তুই বুঝবি আরাফাত চৌধুরী কি জিনিস।(মনে মনে)
নবনিঃযা চা টা পরে গেল।আচ্ছা থাক বাদ দাও। আসো রোমান্স করি।
আরাফঃএহ শখ কত।করাচ্ছি তোরে রোমান্স।(মনে মনে)।নবনি তুমি তো জানোই আমার নোংরা কোনো কিছু ভালো লাগে না। এটা পরিষ্কার করে ফেলো।তারপর রোমান্স করবো।
নবনি ওরফে পরিঃএহ। এখন এগুলো পরিষ্কার করতে হবে।আরাফ না থাকলে তো চুটকি বাজিয়ে করে ফেলতাম।কিন্তু এখন এটা করলে তো আরাফ জেনে যাবে। আমি নবনি না।আর আমার কাছে আসবে না।আমাকেই পরিষ্কার করতে হবে।
পরিটা ফ্লোর পরিষ্কার করতে লাগলো।আরাফ সোফায় পায়ের উপর পা দিয়ে বসে আছে।
আরাফঃনবনি ভালো করে করো। দেখো ওই জায়গাটা রয়ে গিয়েছে।আচ্ছা এক কাজ করো এই পানি ফেলে আবার ভরে নিয়ে এসো।নাহলে ফ্লোর আঠালো হয়ে থাকবে।ঠিকভাবে পরিষ্কার হবে  না ।
নবনি (পরি) কে দিয়ে আরাফ ফ্লোর ৩ বার মুছালো।আরাফ সেই মজা পাচ্ছে।
আরাফঃআমার বউকে মেরেছিলে না।এইবার সব শোধ তুলবো।দাড়া।(মনে মনে)
নবনিঃহয়ে গিয়েছে।এখন রেখে আসি।
আরাফঃআচ্ছা।
নবনি রেখে আসার পর আরাফ এক গাদা কাপড় বের করে দেয়।
আরাফঃনবনি দেখো না। অনেক কাপড় জমে গেছে।এগুলো ধুয়ে দাও তো।আর ধোঁয়া শেষ হলে রান্নাটা ও করে ফেলো।আমি নিজে আজকে দাঁড়িয়ে থেকে তোমার সব কাজ দেখবো।আমার বউটা কত গুনি দেখতে হবে না।
নবনি ওরফে পরিঃকিহহহ!এত কাজ করতে হবে?
আরাফঃখুব শখ না নবনি হওয়ার এখন হও।(মনে মনে)এভাবে বলছো কেন নবনি তুমি তো প্রতিদিনই এইসব কাজ করো।আজকে এভাবে বলছো কেন?
নবনি ওরফে পরিঃওহ নো।আরাফ ডাউট করছে।আরাফকে ডাউট করতে দেয়া যাবেনা।আমি তো সব একাই করে ফেলতাম।কিন্তু আরাফ আমাকে পাহারা দিলে কি করে করবো।আচ্ছা এক কাজ করি আমি এখন নবনি শরির থেকে বের হয়ে যাই।রাতে সব কাজ শেষে ফিরবো।(মনে মনে)
আরাফঃকি ভাবছো?
নবনিঃআমার খুব ঘুম পাচ্ছে~বলেই নবনি ওরফে পরিটা শুয়ে পরলো।
পরিটা শুয়ে পরলো যাতে সে নবনির শরির থেকে বের হলে আরাফ বুঝতে না পারে।কিন্তু আরাফ ঠিকই বুঝতে পারলো।
পরিটা বের হওয়ার সাথে সাথেই আরাফ দরজা জানালা বন্ধ করে দিল।তারপর দেয়ালের চারপাশে তিন কুল পরে ফু দিলো।এরপর সোনা রুপার পানি ছিটিয়ে দিলো।হুজুরের দেয়া পানি আর সোনা রুপার পানি মিলিয়ে নবনিকে গোসল করালো।নবনির জ্ঞান ফিরে আসলো।আরাফ নবনিকে জড়িয়ে ধরলো।সে চোখ খুলেই বললো~
নবনিঃআরাফ।আপনি এত লুচু কেন?
আরাফঃআমি আবার কি করলাম?
নবনিঃআমাকে জড়িয়ে ধরার কোলে নেয়ার সুযোগ খুজেন খালি।এত আদর আসে কোথা থেকে আপনার।
আরাফ বুঝতে পারলো তার নবনি পাখি ফিরে এসেছে।
আরাফঃআই মিস ইউ বউ।ওই রোমান্টিক সুন্দরী পরি থেকে আমার আমার আনরোমান্টিক সাধারন বউই ভালো।আই লাভ ইউ নবনি পাখি।
নবনিঃএই কি সব বলছেন।আবার কোন মেয়ের পাল্লায় পরলেন।মেয়েটার নাম পরি বুঝি!?
নবনি রেগে আরাফ এর দিকে তাকিয়ে আছে।
আরাফঃইস ওই পরির মায়া মায়া চাহনী থেকে আমার বউয়ের রাগি রাগি চাহনি কত সুন্দর। ইচ্ছে করছে খেয়ে ফেলতে।বলেই টুকুস করে নবনির দুই চোখে চুমু খেল।
নবনি খিল খিল করে হাসছে।
আরাফঃহায়।এই হাসি দেখলেইতো আমি পাগল হয়ে যাই।না না।কন্ট্রোল আরাফ। কন্ট্রোল। আর ভুল করা যাবে না।
নবনিঃবমি পাচ্ছে। আরাফ।
আরাফঃবমিতো পাবেই।মরা লাশ খেয়েছো। (মনে মনে) যাও তাড়াতাড়ি বমি করে আসো।
নবনি বমি করে আসে।নবনির খুব খারাপ লাগছে।
আরাফঃনবনি।আমার কাছে এসো।
নবনি আরাফ এর কাছে গেলে আরাফ তাকে কোলে বসায়।
আরাফঃনবনি।তোমাকে কিছু কথা বলার আছে।
নবনিঃএটাইতো আপনার অন্য কারো সাথে রিলেশন আছে।
আরাফঃকিহ!!


নবনিঃতা নয়তো কি। আপনার গালে ঘাড়ে খামচির দাগ।অথচ আমার সাথে কালকে রাতে আপনার কিছু হয়েছে বলে মনে নেই আমার।তাহলে এগুলো কোথা থেকে আসলো?
আরাফঃইয়া আল্লাহ।পরি কোমর দেখিয়ে বেড়ায় আমি কিছু করি না। আর তুমি এমন ভোলাভালা জামাইয়ের উপর সন্দেহ করো?
নবনিঃ😒 পরি কি নতুন গার্লফ্রেন্ড আপনার?এতো পরি পরি করছেন কেন?
আরাফ নবনিকে সব ঘটনা বলে। 
নবনি আরাফ এর গলায় যেখানে গলা টিপে ধরে ছিল সেই স্থানে চুমু খায়।খামচির দাগগুলোতে হাত বুলিয়ে দেয়।নবনির খুব কান্না পাচ্ছে।
নবনি হাজার চেষ্টা করেও কেদে দেয়।
আরাফঃকাদছো কেন পাখি?
নবনিঃআমি আপনার গায়ে হাত তুলেছি।আপনাকে মারতে চেয়েছি।আমি এটা কি করে পারলাম।আমি কি করে এ মতো বড় গুনাহ করলাম।আমাকে মাফ করে দিয়েন আরাফ।আম আমি
আরাফ নবনি ঠোঁটে আংগুল দেয়। 
আরাফঃআমাকে ক্ষমা করে দাও।নবনি শরিরটা তোমার থাকলেও আত্মাটা তোমার ছিল না।আমি খুব বড় অন্যায় করে ফেলেছি।
নবনিঃআপনি ইচ্ছে করে করেন নেই।যে করেছে সে শাস্তি পাবে।কিন্তু আপনি তাকে আর কাছে আসতে দিবেন না।
আরাফ মুচকি হাসে।
আরাফঃআর ইউ জেলাস?
নবনিঃআপনার জন্য জেলাস হতে আমার বয়েই গেছে।বলে ভেংচি দিলো।
আরাফঃহা হা হা।
এমন সময় মাওলানা কল করে।
আরাফঃহ্যা হুজুর বলুন।
মাওলানাঃনবনি কেমন আসে?
আরাফঃনবনি ঠিক আসে।আমি আপনার বলা কাজ গুলো করেছি।ও আর প্রবেশ করতে পারবে না।
মাওলানাঃনা আরাফ।ও ১৫০ বছর পুরানো পরি।ও এতো সহজ এ হার মানবে না।আমি আসছি।তুমি লোহা দিয়ে নবনিকে বাধো।ওই পরি এসে পরতে পারে যেকোনো সময়।
নবনি সবই শুনলো।আরাফ অসহায় চোখে নবনির দিকে তাকায়।
নবনিঃআরাফ তাড়াতাড়ি করেন।বলে নবনি নিজে লোহার শিকল এনে দিলো।
আরাফঃআমি পারবো না নবনি।আমি তোমাকে কি করে বাধি?
নবনিঃকারন আমি বলছি।একটা কথা ভালো করে শুনে রাখেন আমি মরে গেলেও আমার।স্বামীর ভাগ কাউকে দিবো না।কাউকেই না।এর জন্য যা করতে হয় করবেন।বুঝতে পেরেছেন।
হুট করে রুমে দমকা বাতাস চালু হলো।দরজায় জোরে জোরে শব্দ হচ্ছে।
পরিঃআরাফ। আমার সাথে চালাকি করছো।দরজা খুলো।খুলো বলছি।
আরাফ তাড়াতাড়ি নবনি কে লোহার শিকল দিয়ে খাটের সাথে বেধে দিল।পরি দরজা ভেংগে ফেলছে।
নবনিঃআরাফ। যার থেকে যাই হয়ে যাক না কেন।আপনি কখনো ওই পরির হবেনা না।আমি মরে গেলেও না।
দমকা বাতাস রুমে প্রবেশ করলো।চারদিক সুগন্ধিতে মৌ মৌ করছে।
নবনির চোখের রং পালটে লাল হয়ে গেলো।চুল গুলো এলোমেলো করে সামনে এসে পরলো।
পরিঃআরাফ তুমি আমার থেকে দূরে কেন থাকতে চাও।তুমি কি বুঝো না আমার সবটুকু তোমায় ঘিরে? 


আরাফঃদেখ বইন। বোঝার চেষ্টা কর। আমি বিবাহিত।আর আমার বউকে অনেক ভালোবাসি।আমার কোনো পরি টরি লাগবে না।আমার সবটা নবনি পাখি কে ঘিরে।
পরিঃকেন আমাকে ভালোবাসা যায় না?আমি সারাজীবন নবনি হয়ে থাকবো।আমাকে ভালোবাসো আরাফ।আমি নবনি থেকে বেশী সুখে রাখতে পারবো তোমাকে।
আরাফঃএই তোমাদের রাজ্যে কি ছেলেদের অভাব পরেছে যে তোমার আমাকে ভালোবাসতে হবে?
পরিঃসবাইতো আর তোমার মতো ভালোবাসতে পারে না।আমার যে শুধু তোমার ভালোবাসাই লাগবে।আর কিছু চাই না আমার।
আরাফঃনবনিকে ছেড়ে দাও।আমি তোমাকে সারাজীবন ভালোবাসবো কিন্তু সেটা হবে বোন হিসেবে।নবনি তোমার ভাবী পরি।ছেড়ে দাও ওকে।
পরিঃঠিকই বলছো নবনি আমার ভাবি।কিন্তু তুমি আমার ভাই না।আমার হবু বর তুমি।আর আমার ভাইয়ের নবনি কে খুব পচ্ছন্দ হয়েছে।আমি নবনিকে তার কাছে নিয়ে যাবো।তুমি আমার না হলে আমি নবনিকে ভাইয়ার করে দিবো।এখন তুমি ভাবো তুমি নবনির শরিরে আমাকে ভালোবাসবা নাকি নবনির শরিরটাও হারাবা।
আরাফ এর চোখ গুলো লাল হয়ে গিয়েছে।
আরাফঃতোর এত বড় সাহস আমার কলিজা তোর ভাইকে দিবি।এইবার আর তোর ছাড় নেই।তোকে তোর ভাইকে আমি শেষ করে দিবো।
পরি হাসতে হাসতে লাগলো।বীভৎস সেই হাসি।
পরিঃ আমার সাথে শত্রুতা।হা হা হা।আসো খেলা দেখাচ্ছি তোমাকে আরাফ।

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 


চলবে ...


২৩তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন