উপন্যাস : তোমায় ঘিরে
লেখিকা : জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ০৬ অক্টোবর, ২০২২ ইং
লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “তোমায় ঘিরে” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের অক্টোবরের ৬ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান |
৮ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
তোমায় ঘিরে || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ০৯)
আরাফ হাসপাতাল থেকে নিলয় এর বাসায় আসলো।নিলয় সকাল থাকে কল ধরছে না।
আরাফঃএখানে আমি বিপদে আসি।আর এই ছেলে কলই ধরছে না।
আরাফ নিলয়ের বাসার বেল বাজাচ্ছে তো বাজিয়েই যাচ্ছে। কিন্তু খোলার নাম নেই।
আরাফ এর মনে এবার ভয় ভর করলো।
আরাফঃআমি কি সিয়ামকে ছেড়ে কোনো ভুল করলাম।সিয়াম ওয়ারদা বা নিলয়ের কোনো ক্ষতি করলো না তো।
আরাফ নিলয়কে কল দিলো।এইবার নিলয় কল কেটে দিলো।
আরাফঃনিলয়তো কখনো আমার কল কাটে নেই তাহলে এখন কাটছে কেন।তার মানে নিলয় বিপদে আসে। না নিলয়ের কিছু হতে পারে না।
আরাফ নিলয়দের দরজা ধাক্কাতে শুরু করলো।প্রায় দরজাটা ভেঙেই ফেলবে তখনই কেউ দরজা খুলে দিল।আরাফ একটা মেয়ের উপর যেয়ে পরলো।
নবনিঃআরাফ বুঝি রাগ করে আসে আমার উপর।না বলে আসাটা ঠিক হয়নি।কিন্তু কি করতাম বাবার উপর কিছু বলার সাধ্য আমার নেই।একটা কলতো দিতে পারতো নাকি।এইবার অভিমান করে মুখ ফুলিয়ে রাখলো।
আরাফঃOh No Shet . I m Sorry . Miss . I am really very sorry .
তিশাঃIt's Ok.(বলে ড্যাব ড্যাব করে আরাফের দিকে তাকিয়ে আসে।)
আরাফঃআপনি দরজার বাইরে কি করছিলেন।সেই কবের থেকে কলিং বাজাচ্ছি।কানে যায় না।বাসার সবাই কোথায়।
তিশাঃসবাই দেরী করে ঘুমিয়েছে।তাই উঠে নেই এখনো।আর আমি খুলতেই আসছিলাম।আর আপনি!
আরাফঃOh! আপনি কে নিলয় কোথায়।
তিশাঃনিলয় ভাইয়া উপরে তার রুমে। আর আমি...
(আরাফ শোনার প্রয়োজন মনে করলো না।সে নিলয়ের রুমের দিকে দৌড় দিলো।)
তিশা থম মেরে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলো।
তিশাঃকে ছিল এই ছেলে।লম্বা, ফর্সা,চওড়া বুক।ফসা গালে খোচা খোচা দাড়ি গুলো চেহারাকে আরো মায়াবি করে তুলেছে।Red কালারটা বুঝি একটু বেশি Suit করে।Red কালার এর T-Shirt এ খুব মানিয়েছে।এর জায়গায় অন্য কালার হলে কি মানাতো।হয়তো। ইশ আমি কি না কি ভাবছি। (লজ্জা পেয়ে গেল মেয়েটা।)Oh no.ইনি তো নিলয় ভাইয়ার রুমে গেল।উনাকে আটকাতে হবে।
বলেই উপরে আরাফের পিছনে পিছনে উপরে নিলয়ের রুমে ছুটে গেল।
আরাফঃনিলয় নিলয় বলে চেচাতে লাগলো।
নিলয়ঃকি রে। ফোন ধরছি না বলে সপ্নে এসে পরলো নাকি।ধুর ভাল্লাগেনা বলে ওয়ারদাকে জড়িয়ে ধরে আর এক পাশ ঘুরে ঘুমালো।
ওয়ারদাঃএই যে। ছাড়েন আমাকে।আরাফ ভাইয়া আর একটু পর দরজা ভেংগে ফেলবে।উঠুন জলদি।
নিলয় হকচকিয়ে উঠলো।
নিলয়ঃকিহ!!!Oh No shet.আল্লাহগো কি পাপ করছিলাম এমন বন্ধু দিলা।যে জন্য না জানিয়ে বিয়েটা করলাম যে বাসররাতটা না নষ্ট করে এই দেখি বাসরসকাল নষ্ট করে দিলো।তুমি ওয়াশরুমে যাও বাকিটা আমি দেখছি।
ওয়ারদা উঠে ওয়াশরুমে চলে গেল।আর আরফ দরজা ভেঙে নিলয়ের উপর যেয়ে পরলো।নিলয় মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে।
আরাফঃকি রে তুই হারিয়ে গিয়েছিলি!!বলেই নিলয়কে জরিয়ে ধরলো।আরাফ মনে হয় প্রান ফিরে পেল।
তিশা এদেরকে কথা বলতে দেখে নিচে চলে আসলো।আরাফ এর জন্য চা নাস্তা বানাতে।
নিলয়ঃকি হইসে তোর।এত Emotional হচ্ছিস কেন?!!আমি কি মরে গেসিলাম। (রেগে)
আরাফ ধুম করে পিঠে একটা কিল বসিয়ে দিল।আরাফঃমরুম তোর দুশমন।এসব উলটাপাল্টা কথা বলবি না।খবরদার।
নিলয়ঃতোর এই জীবনে বাসর হচ্ছে না আরাফ। দেইখা নিস। তোর বউকে আমি লুকিয়ে ফেলবো।
আরাফঃএমন করিস না দোস্ত।এমনেই পেরায় আসি।আর দিস না।
ওয়ারদা গোসল করে শাড়ি পরে বের হলো।
ওয়ারদাঃআসসালামু আলাইকুম।ভাইয়া।
আরাফঃঅলাইকুম আসসালাম।কেমন আসো?
ওয়ারদাঃজি ভালো।বলে নিলয়ের দিকে তাকালো।(নিলয় চোখ দিয়ে গিলে ফেলা চোখে তাকিয়ে আসে।)
ওয়ারদাঃআমি নিচে গেলাম।
নিলয়ঃনা না তুমি কেনো যাবা।যাবেতো আরাফ।আরাফ একটু পর আয় কেমন?
আরাফঃদোস্ত! আমি বিপদে পড়ে এসেছি আমাকে এভাবে তাড়িয়ে দিস না।🥹🥺
ওয়ারদাঃকি হইসে ভাইয়া নবনি ঠিক আসে?
আরাফঃকি আর বলবো।তুমি এক কাজ করো নবনিকে কল দিয়ে ডেকে নাও।এখানে তোমাদের কাহিনিটাও শুনতে হবে।তোমরা একসাথে একই রুমে কি করছো।
ওয়ারদা লজ্জা পেয়ে চলে গেল।
তিশাঃআপনার জন্য নাস্তা।
আরাফকে চা টা এগিয়ে দিলো।আরাফ কাপটা নিতে গেলে ইচ্ছে করে আরাফের হাত ছুয়ে দিল।আরাফ সাথে সাথে হাত সরিয়ে ফেলে।
নিলয়ঃদোস্ত আমি ফ্রেশ হয়ে আসি।তোরা কথা বল।
আরাফঃআমি একা কি করবো!?
নিলয়ঃতিশা আছেতো আমি আসছি।বলেই ওয়াশরুমে চলে গেল।
তিশাঃআমি তিশা। এই বার ক্লাস 10 এ।আমি ওয়ারদা আপুর বোন আর নিলয় ভাইয়ার একমাত্র শালী।
আরাফঃOh I see.কেমন আসো পিচ্চি।
তিশাঃআমি মোটেও পিচ্চি না।
আরাফঃহা হা হা।হাসতে হাসতে চা ফ্লোরে পরে গেল।
তিশা খেয়াল না করেই আরাফের দিকে আগায়।
তিশাঃখবরদার।আপনি....
বলতে বলতেই চায়ের উপর পা দিয়ে পিছলে পরে গেল।আর আরাফ ধরতে যেয়ে দুইজনই বিছানায় পরে গেল।
নবনি এমন সময় রুমে আসে।এসে যা দেখে ওর চোখ থেকে পানি পরতে থাকে।নবনি দেখে আরাফ একটা মেয়ের কোমর পেচিয়ে ফুলের বিছানায় শুয়ে আছে।
নবনিঃআরায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়াফ।
চলবে ...
১০ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন