উপন্যাস       :         অধ্যায়টা তুমিময়
লেখিকা        :         জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         ২৯ অক্টোবর, ২০২২ ইং

লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “অধ্যায়টা তুমিময়” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের অক্টোবরের ২৯ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
অধ্যায়টা তুমিময় || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
অধ্যায়টা তুমিময় || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান

1111111111111111111111111111111

১২ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

অধ্যায়টা তুমিময় || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ১৩)

সিমরান আফিফ আহসান এর ব্যাপার এ কিছুই জানে না।অনেকক্ষন যাবত কথা না হওয়ায় সিমরান মন খুব খারাপ।
কেয়াঃকি হয়েছে।তোর মুখ শুকিয়ে এতটুকু হয়ে আছে কেন?আফিফ এর সাথে কিছু হয়েছে?
সিমরানঃআফিফ না আহসান।
কেয়াঃআহসানতো ওর সারনেম। তুই ওকে আহসান কেন বলিস? 
সিমরানঃআহসান শব্দের অর্থ সুন্দর।উনার আচার আচরন এর সাথে আহসানই যায়। তাই আহসানই বলি। আর নাম তো নামই। আমার আফিফ নাম থেকে আহসান নামই বেশি ভালো লাগে।
কেয়াঃআচ্ছা। ঠিক আছে।এখন বল কি হয়েছে?
সিমরানঃজানি না।কি হয়েছে।বুকটা ধরফড় করছে।আহসান কল ধরছে না।মনটা কেমন জানি কুডাক দিচ্ছে। কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না।উনি কল ও ধরছে না।আল্লাহই ভালো জানেন উনি কেমন আছে।
কেয়াঃআরে টেনশন নিস না।হয়তো ব্যস্ত।ফ্রি হলেই কল দিবে। তুই খামাখাই এতো ভাবসছিস। চল ঘুমাতে। 
সিমরানঃআচ্ছা।
সিমরান ঘুমাতে গেলেও সারা রাত চোখের পাতা এক করতে পারে নেই।কেন জানি মন বলছে আহসান ভালো নেই।বুকটা প্রচন্ড ব্যাথা করছে।
দেখতে দেখতে সকাল হয়ে গেলো।দুপুর ১১ টা বেজে গেলো।আহসান এর কোনো খবর নাই।সারা রাত ১০০+ মেসেজ কল দেয়ার পর ও কোনো রেসপন্স আসলো না।দুপুর ১২ টায় একটা মেসেজ আসলো।মাত্র হাসপাতাল থেকে আসছি।ফ্রি হয়ে কথা বলছি।
সিমরানঃহাসপাতাল!!!হাসপাতাল কেন গেলেন!কি হয়েছে উনার! নাকি মাকে বা বাবাকে রেগুলার টেস্ট করাতে নিয়ে গেলেন?কি হলো"!
আহসান কিছু ছবি পাঠালো। ছবি গুলো দেখে সিমরান এর বুকে কেপে উঠলো।ছবি গুলো আহসান এর রক্তাক্ত অবস্থায় তোলা।ঠোঁট এর পাশে কেটে গিয়েছে।পা এর রান এ রক্ত। না জানি কি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।কেটে গিয়েছে অনেকটা।
ভাইয়া কালকে মেরে ছিলো। মাত্র হাসপাতাল থেকে আসলাম।একটু ঘুমাবো। পরে কথা বলছি।
সিমরানঃআচ্ছা।
মনটা ব্যাকুল হয়ে উঠছে।কি হলো এমন?কি জন্য এমন করে মারলো।
সিমরান না পেরে মিষ্টিকে কল দিলো।মিষ্টি কলটা কেটে দিলো।
ঘন্টাখানিক পর মিষ্টি কল ব্যাক করলো।
মিষ্টিঃহ্যালো।
সিমরানঃকি হয়েছে ওখানে? আকাশ ভাইয়া আহসানকে কেন মেরেছেন?
মিষ্টিঃএখন কথা বলতে পারবো না।আমি তোর বাসায় আসতেসি। তুই বাসায় থাক।
সিমরানঃমামার বাসায় এসো না।আমাদের বাসা হয়ে গিয়েছে।তোমাকে ঠিকানা দিচ্ছি। সেখানে আসো।
মিষ্টিঃআচ্ছা আসছি।
সিমরান কল রেখে ব্যাগ গোছাতে লাগলো।
পারভীনঃকোথায় যাও?
সিমরানঃআম্মু আমাদের নতুন বাসায় যাচ্ছি।মিষ্টি আপু আসছে তাকে দেখায়া আসি।
পারভীনঃআচ্ছা।
সিমরান এসে পরলো নতুন বাসায়।টাইলস এর কাজ শেষ।বাসা পুরো তৈরি। ২/৩ দিন এর মধ্যে এই বাসায় এসে পরবে সিমরানরা।
মিষ্টিঃআসবো?
সিমরানঃহুম।আহসান কেমন আসে?
মিষ্টিঃআসে। ভালোই ঘুমাচ্ছে।
সিমরানঃওহ। এখন বলো কি হয়েছে?
মিষ্টিঃকালকে আকাশ আর আহসান এর ঝগড়া লেগে গিয়েছিলো।পরে রাগে আহসান আমাকে মারতে আসে।অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আকাশ সহ্য না করতে পেরে ওর গায়ে হাত উঠায়।বটি দিয়ে মারে।
সিমরানঃকিহহহ!!এটা কেমন কথা।কোনো মানুষ কাউকে এভাবে মারতে পারে না।
মিষ্টি কিছু গালি গালাজ এর উল্লেখ করে বলে এগুলো আহসান কালকে তাকে দিয়েছিলো।
সিমরানঃনা।আমি এটা মানতে পারি না।আহসান এর সাথে আমার পরিচয় অল্প দিন এর হলেও আমি মানতে পারি না সে কখনো গালিগালাজ করতে পারে।আমি এটা মানতে পারবো না।
মিষ্টিঃআর এ আমিও ওরে ভালোই ভাবতাম।কিন্তু ওরা মা ছেলে কেউই ভালো না।সম্পত্তির লোভে আমাকে আকাশ এর সাথে বিয়ে করায়।এখন এটা ওটা দাবী করে।ঘরের সব কাজ আমাকে দিয়ে করাতে চায়।অভিনয় খুব ভালো পারে ওরা।বইন তুই আমার ছোট বোন এর মতো। তোর খারাপ আমি চাই না। আমি তোকে বলেছিলাম আহসান এর দিকে এগোতে এখন আমিই বলছি পা পিছে নিয়ে নে।ওই বাসায় তুই কখনো খুশি হতে পারবি না।
সিমরানঃআমি কিছুই বুঝতে পারছি না কি হচ্ছে।আহসান এমন কিছু করবে মানা যায় না।আমার মিষ্টি আপুকেও অবিশ্বাস করার কিছুই নেই।উনি তো আর আমাকে মিথ্যা বলবে না।(মনে মনে)
মিষ্টিঃআমিও  ভুল করে ফেলেছি।
সিমরানঃকি ভুল?
মিষ্টিঃআমি ভুলে বলে ফেলেছি।সত্যিই। সেখানে আমার পরিবার নিয়ে টানাটানি হচ্ছিলো। নিজেকে বাচাতে আমি তোর নাম নিয়ে নিয়েছিলাম।যাতে আমার উপর থেকে কথা ঘুরে তোর উপর চলে যায়।আমি যা করেছি নিজের সংসার বাচাতে করেছি। আমাকে ভুল ভাবিস না।
সিমরানঃকি করেছো তুমি?
মিষ্টিঃআমি সবাই বলে দিয়েছি তোর আর আহসান এর সর্ম্পকের ব্যাপারে।
সিমরানঃকিহহহ!!এটা তুমি কি করলে?কেন করলে?
মিষ্টিঃআমি ভুলে করে ফেলেছি।শুন তুই আহসান এর সাথে সর্ম্পক ভেংগে ফেল। তাইলে আর কোনো সমস্য হবে না।
সিমরান ঝাড়া দিয়ে নিজের হাত এর উপর রাখা মিষ্টির হাতটা সরিয়ে ফেললো।
সিমরানঃএকটা সর্ম্পক চাইলেই হয়ে যায় না আর চাইলেই ভেংগে ফেলা যায় না।আমি আহসানকে ভালোবেসেফেলেছি।নিজের থেকে বেশি আমি তাকে ভালোবাসি।উনি যদি দুনিয়ার সব থেকে খারাপ মানুষ ও হয় আমি পারবো না তাকে ছাড়তে। 
আর তুমি নিজেকে বাচাতে আমাকে সবার কাছে খারাপ করলে?আর এখন মাফ চাচ্ছো? মাফ চাইলেই কি আমার চরিত্রে যে দাগ লাগিয়েছো তা ধুয়ে যাবে?
আর তোমার জামাই আহসান কি করে এমন ভাবে আঘাত করতে পারে।আমি সব দেখেছি।একটা চোরকে আসামিকে এইভাবে মারা হয় না।ভাই না দাজ্জাল?কি করে পারলো এমন পশুর মতো আচরন করতে? 
মিষ্টিঃএভাবে বলিস না।মানলাম ও ভুল করেছে। কিন্তু সেটা রাগের মাথায় করেছে।
সিমরানঃরাগের মাথায় কি মানুষ খুন করে ফেলবে?
মিষ্টিঃচুপ কর।আমি শুনতে পারবো না।
সিমরানঃআমি কিছু বলায় তুমি সহ্য করতে পারছো না।আর আমি আমার ভালোবাসার মানুষটাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেছি।তোমার স্বামীকে অল্প কিছু বলায় তোমার এতো লাগছে।আর আমার ভালোবাসার সাথে এর থেকে ভয়ানক কিছু হয়েছে।তুমি কি করে ভাবলে আমি শান্ত থাকবো।
আমার সাথে করা অন্যায়ের জন্য আমি তোমাকে ক্ষমা করলেও আহসান এর গায়ে ফুলের টোকা কারীকেও আমি ক্ষমা করবো না।আহসান তার ভাইকে মাফ করলেও আমি কখনো মাফ করবো না।
মিষ্টিঃঠান্ডা হ।তুই জানিস না আহসান কেমন!সে বেয়াদবি করেছে আমার সাথে। তারপর ও তুই ওর দিকে থাকবি?
সিমরানঃআমি কিছু শুনতে চাই না।তুমি চলে যাও।
মিষ্টিঃআমাকে ক্ষমা করে দিস বোন।
সিমরানঃকরলাম ক্ষমা।আর মাফ চাইতে হবে না।আমার এখন যেতে হবে। আম্মু টেনশন করবে।
মিষ্টিঃআচ্ছা আমি যাই।
সিমরানঃযাও।
মিষ্টি যাওয়ার সময় বার বার পিছনে তাকালো। সিমরান সব সময় মিষ্টি চলে যাওয়ার সময় আবার এসো কথাটা বলে।আজকে বললো না।
মিষ্টি কষ্ট পেয়ে চলে গেলো।
মিষ্টি যেতেই সিমরান কান্নায় ভেংগে পরলো।
সিমরানঃআমার চিন্তা করেই হাত পা কেপে উঠছে।আপনি কি করে এতো গুলো আঘাত সহ্য করলেন?কেন করলেন??
আহসান ভিডিও কল দেয়। সিমরান চোখের পানি মুছে কলটা ধরে।
ভিডিও কলে আহসানকে দেখে ভিতরটা মোচড় দিয়ে উঠে। ঠোঁট নিচেরটা বাকা হয়ে আছে।
আহসানঃকি হয়েছে কলিজা।কাদছিলে কেন?
সিমরানঃকই নাতো। কাদি নাই ঠান্ডা লাগছে।
আহসানঃনা তুমি কান্না করছো বলো কি হয়েছে?
সিমরানঃআগে তুমি বলো কিভাবে এগুলো হলো?তুমি কেন মিষ্টি আপুকে গালাগালি করলে?
আহসানঃআমি মিষ্টি ভাবীকে গালাগালি করছি এটা তোমাকে কে বলেছে?
সিমরানঃআপু এখানে আসছিলো। একটু আগেই গেলো।
আহসানঃউনি এখানে কেন আসলেন?তুমি উনার থেকে দূরে দূরে থাকবে।
সিমরানঃকেন?
আহসানঃউনি মানুষ ভালো না।
সিমরানঃকি হচ্ছে আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।আমাকে বলবেন কিছু? 
আহসান এক এক করে সব বললো সিমরানকে।
সিমরানঃকিহহহ!!ছিহহহ।উনি কি করে পারলেন আমার চরিত্রে এমন দাগ লাগাতে। নিজেকে বাচাতে উনি এতো নিচে নামতে পারেন ছিহ।সে দিন এর এক্সিডেন্টকে এভাবে ব্যবহার করলেন।
আহসানঃতোমাকে এগুলো বলে নাই?
সিমরানঃনাহ।এখন বুঝলাম উনি আমার কাছে মাফ কেন চাইলেন।এজন্যই এতো বার মাফ চাইলেন।আর আমি বোকা তাকে ক্ষমা করে দিলাম।আমি বিশ্বাস করতে পারছি না উনি এমন!!
আহসানঃকালকের আগে আমিও তার এই চেহারা দেখি নাই কখনো। উনাকে আমি ৩ বছর ধরে চিনি। একসাথে পড়াশোনা করেছি।কিন্তু কখনো ভাবি নাই উনি এমন।আমি তাকে এই বাসায় নিয়ে আসলাম। আর উনি আমার বউয়ের দিকে আংগুল তুললেন।আমি কখনো মাফ করবো না তাকে।
সিমরানঃআপনি ওদের বিয়ে করিয়েছেন?
আহসানঃহ্যা।
সিমরানঃআমি কিছুই বুঝতে পারছি না।কাকে বিশ্বাস করবো। দুই জন ই আমার কাছে সমান।কিন্তু আহসান এর ভাষায় আপু অপরাধী।আর আপুর ভাষায় আহসান।(মনে মনে)
আহসানঃকি ভাবছো?
সিমরানঃআপনি আপুকে গালি দিয়েছেন?
আহসানঃনা।তুমি আমাকে কখনো গালই দিতে দেখেছো?
সিমরানঃনা।
আহসানঃতুমি কি ভাবিকে বিশ্বাস করছো?আমাকে না?
সিমরানঃএমনটা না।আচ্ছা আপনি আপুর কথা বললেন আপনার ভাইয়ে কথা বললেন না কেনো?
তার দোষ ঢাকছেন কেন?
আহসানঃভাইয়া যা করছে রেগে করছে।আমি তাকে ক্ষমা করি নাই।কিন্তু উনি আমার ভাই তাকে আমি কি বা বলবো?
সিমরানঃঅন্যায় অন্যায়ই।যেই করুক না কেন!আপনি তাকে ক্ষমা করলে আমি আপনার সাথে সর্ম্পক ভেঙে ফেলবো।
আহসানঃএভাবে বইলো না।আকাশ ভাইয়া আমার ভাই তার সাথে আমি কি করে মুখ ফিরিয়ে নেই।
সিমরানঃবটিতে ধার ছিলো না বলে শুধু কেটেছে আর ধার থাকলে তো পা টা আলাদা হয়ে যেত।তারপর আমার কি হতো ভেবেছেন?এতো ভালো হওয়া ভালো না।আপনি এতো ভালো হতে থাকলে আমি ও কঠোর হতে থাকবো। 
আহসানঃনা।তুমি কখনো আমার আর আমার ভাইয়ের মাঝে কথা বলবে না।
সিমরান রেগে কল রেখে দিলো।
আহসান এর মনটা বড্ড খারাপ।
আহসানঃযাক বাবা।কল দিলাম। কই একটু আদর করবে তা না করে উলটো রেগে গেলো।ধ্যাত ভালো লাগে না।
আহসান এর ফোনে আকাশ এর মেসেজ আসে।
আহসান মেসেজটা ওপেন করে সেখানে লেখা~
আমাকে ক্ষমা করে দিস ভাই।তুই ছোট হয়েও আমার থেকে বড় হয়ে গেলি।আর আমি বড় হয়েও ছোট হয়ে গেলাম।তুই চাইলেই আমাকে পালটা আঘাত করতে পারতি কিন্তু তুই করিস নাই।আমাকে মারলেও তো আমার গিল্ট টা কিছুটা কমতো। কিন্তু তুই তা করলি না।আমি জানি না এখন থেকে তোর সামনে কি করে আসবো।পারলে এই অধম ভাইকে মাফ করে দিস।
আহসান মেসেজটা পড়ে চোখ মুছলো।
আহসানঃছোট থেকে বড় হয়ে গেলাম আজ পযন্ত তুমি আমার গায়ে একটা ফুলের টোকাও দাও নাই।ভাইয়া।আজ যখন মারলে তখন আমার শরীর থেকে বেশি মনটা কষ্ট পেয়েছিলো তাই তুমি আমাকে মেরে ফেললেও তো আটকাতাম না।আমি জানি এটাতে তোমার দোষ নাই। ভাবী তোমাকে এমন ভাবে ব্রেনওয়াশ করেছিলো যে তুমি এমন হয়ে গিয়েছিলে।
ভাবির নাটকগুলো তুমি আর সিমরান বুঝতে পারছো না।
আহসান সিমরানকে মেসেজটা ফরওয়ার্ড করলো।
সিমরান মেসেজটা পড়ে কল ব্যাক করলো।
আহসানঃরাগ কমেছে?
সিমরানঃহ্যা।কেমন আছেন আপনি?
আহসানঃম্যাডাম এর বড্ড দয়া হলো আমার উপর।
সিমরানঃমাফ করে দেন ভাইয়াকে।
আহসানঃতুমি না বললে মাফ না করতে?
সিমরানঃক্ষমা চাইলে ক্ষমা করে দিতে হয়।
আল্লাহ তাকেই ক্ষমা করে যে তা বান্দাকে ক্ষমা করে। আপনার ক্ষমা করাতে যদি আল্লাহ খুশি হয় তাহলে করে দেয়া উচিত।
আহসানঃআচ্ছা।
আহসান আকাশকে মেসেজ দিলো।
আমি তোমার উপর রেগে নাই।বাসায় এসে খাওয়া দাওয়া করো। আমি জানি তুমি না খেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছো।বাসায় আসো।
আকাশঃহুম একটু পর আসবো।কাজে বাইরে আসছি।
আহসানঃআচ্ছা।
সিমরানঃকি করো?
আহসানঃভাইয়াকে মেসেজ দিলাম।এই তুমি আমাকে তুমি করে বলছো কেন?
সিমরানঃবলবো না কেন?
আহসানঃআজব তো। স্বামীদের সম্মান করে আপনি করে বলতে হয় জানো না?
সিমরানঃতুমি আমার স্বামী না।
আহসানঃহয়ে যাবো তো।
সিমরানঃআগে হও।
আহসানঃআচ্ছা।
সিমরানঃডাক্টার কি বলছে? ঠোঁট কি ঠিক হবে না?
আহসানঃনা হলে কি আর ভালোবাসবে না?
সিমরানঃনা তো কেন ভালোবাসবো?
আহসানঃ🥺🥺
সিমরানঃহি হি হি।
আহসান ও হাসলো।
আহসানঃঠিক হয়ে যাবে। জান পাখি।সেলাই করেছিতো তাই এমন।সেলাই খুললে আস্তে আস্তে করে ঠিক হয়ে যাবে।
সিমরানঃঅনেক ব্যাথা করছে?
আহসানঃহুম।
দিয়া আহসানঃআসবো?
আহসানঃহ্যা হ্যা। আসো।
কলটা কেটে দিলো।
সিমরানঃনা জানি। উনার মা আবার কি করেন?কালকে যেভাবে আমাকে ওই পরিবারে মিষ্টি আপু পরিচয় করালেন।তারপর তারা আমাকে মেনে নিবে কি না জানি না।আচ্ছা মেনে না নিলে কি উনি আমাকে ছেড়ে দিবেন?উনি তো আমার থেকে তার মা বাবাকে বেশী ভালোবাসেন।

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 


চলবে ...

১৪ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন