উপন্যাস         :         শরম 
লেখিকা          :         তসলিমা নাসরিন
গ্রন্থ               :         শরম 
প্রকাশকাল      :       

জনপ্রিয় লেখিকা তসলিমা নাসরিনের বহুল আলোচিত উপন্যাস 'লজ্জা'। ১৯৯৩ সালে এটি বাংলাদেশে প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রকাশের প্রথম ছয় মাসেই বইটি পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি বৈধ কপি বিক্রি হয়। এরপর ধর্মীয় মৌলিবাদিদের একতরফা বিতর্কের মুখে উপন্যাসটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তৎকালিন বাংলাদেশ সরকার। পরবর্তীতে 'লজ্জা' উপন্যাসটি বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন দেশে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসটি লেখার কারণে দেশ ছাড়তে হয়েছিল লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে। 

পরবর্তীতে 'লজ্জা' উপন্যাসের নায়কের সঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দেখা হয়েছিলো লেখিকা তসলিমা নাসরিনের। সেই অনুভূতিকে পুজি করে তিনি লিখলেন নতুন উপন্যাস 'শরম'। এ উপন্যাসটি কবিয়াল পাঠকদের জন্য ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হলো।
শরম || তসলিমা নাসরিন
শরম || তসলিমা নাসরিন

১২ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

শরম || তসলিমা নাসরিন (পর্ব - ১৩)

যতই সে মামার বাড়িতে মাথা গুঁজে লুকিয়ে থাকুক না কেন, ছড়িয়ে ছিটিয়ে যে আত্মীয়রা ছিল দেশে, যারা বিয়েতেও আসেনি, বিয়ের পর খবরও নেয়নি একদিন, সব একেবারে আচমকা উদয় হয়ে ছিছিকারে মেতে উঠলো। জুলেখার আত্মীয় তারা, কাকা-কাকি, মামা-মামি, খালা-খালু, ফুপু-ফুপা কেউ বাদ যাচ্ছে না, এমনকি তাদের ছেলেমেয়েরাও ছিছি, এ কী করলো জুলেখা। বংশের মুখে চুনকালি দিল। জুলেখা এর আগে বংশ গৌরবের এত কথা শোনেনি। তার বংশ নিয়ে যে গৌরব করার কিছু আছে, সে জানতো না। আশ্চর্য, কেউ মহব্বতের নিন্দা করছে না, সবাই জুলেখার নিন্দা করছে। জুলেখাকে ধরে নিয়ে গিয়ে ইজ্জত নষ্ট করেছে, তারপরও মহব্বতের মহব্বত কত বেশি থাকলে তালাক দেয়নি, তারপর কিনা বাড়িতে এক হিন্দু ছেলে এনে ফস্টিনস্টি করছে! মামা জায়গা দিয়েছে বটে, তবে দিনরাতই বলছে, অসম্ভব, পাড়ায় আমার থাকা যাবে না। এ মেয়ের না হয় লজ্জা শরম নেই। আমার তো আছে! পাড়ায় কসাই মামার এত যে সুনাম তাও জুলেখা জানতো না।

জুলেখার জ্বালা ওই বিএ পাসটা। এটা তাকে আশা দেয়, যে, দুনিয়া তাকে দূর দূর করে তাড়ালেও সে বাঁচতে পারবে একা। জুলেখার ওই ওটাও জ্বালা, মনটা, যে মনটা মনে করে আমি যদি কোথাও এ শহরে একটা ঘর ভাড়া নিতে চাই আমার জন্য, পারবো না কেন? জুলেখার শিক্ষাটা আর মনটা না থাকলে সে যে কোনও আত্মীয়র বাড়িতে যে কোনও স্বামীর বাড়িতে, যে কোনও বেশ্যাবাড়িতে নিশ্চিন্তে বাস করতে পারতো। অথবা ময়লা তোলার, মাটি কাটার, রাজমিস্ত্রির জোগালির, আয়ার কাজ সবই করতে পারতো। বিএ পাসটা তাকে বলে, ওসবে যাস না, তুই আরও ভালো কাজ পাবি। বলে বটে, পাওয়াটা তো যায় না। তার ইচ্ছে করে মামার বাড়ির ভর্ৎসনা ত্যাগ করে সে যদি চলে যেতে পারতো, কিন্তু যাবে কোথায়? যাওয়ার কোনও জায়গা থাকলে সে কসাইয়ের বাড়িতে প্রতিদিন নিজেকে জবাই হতে দিত না, প্রতিদিন ফালি ফালি করে কারও জিভের ছুরিতে নিজের সম্মান কাটতে দিত না কাউকে।

এত সহজে নিজেকে সে মরতে দিতে চায় না। চায় না বলেই গণধর্ষণ সওয়ার সময়ও প্রতিবাদ করেনি। নিজের কোনও দাঁড়াবার কিছু ছিল না বলে, স্বামীর ঠাণ্ডা শীতল অধিকারের ধর্ষণ সে সয়ে গেছে বছরের পর বছর। রুখে ওঠেনি। তাহলে যাবে কোথায়? এই প্রশ্নটা সবসময় তাকে ভয় দেখিয়েছে। যাওয়ার জায়গা উদ্বাস্তু না হলে কেউ খুঁজে বের করে না। রাস্তা হারালেই রাস্তা খুঁজে বের করার তাগিদ মানুষ অনুভব করে। তাই স্বামী ত্যাগ করার পর একটা যেনতেন হলেও আশ্রয় আর চাকরি সে তো জোগাড় করে ফেলতে পেরেছে। জুলেখার জন্য অনেক কিছু কাল হলেও মন্দের ভালো কিছু আছে। তার বাবা পঙ্গু, এবং আত্মীয়রা কেউ তেমন তার পরিবারের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ নয়। নয় বলেই কেউ আগ বাড়িয়ে সাহায্য করতে অথবা ফেলে দিতে আসেনি। নিরাপদ দূরত্ব থেকেই যা বলার বলেছে।

বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতেও সারাদিন ছি ছি হচ্ছে। সুলেখাকে সে ফোন করেছিল, ফোনেই জানায় সুলেখা যে, জুলেখার খবর আর কিছুই চাপা থাকেনি। লোকে ঘেন্না দিচ্ছে তাদের সব আত্মীয়দের। মুসলমান স্বামীর বাড়িতে বসে কোনও মুসলমান মেয়ের হিন্দু ছেলের সঙ্গে প্রেম করার ইতিহাস গোটা ভারতবর্ষে নেই। মহব্বত নেহাত ভালো লোক বলে কেবল তালাক দিয়েছে, অন্য লোক হলে কেটে গঙ্গায় ভাসিয়ে দিত।

সুলেখার স্বামী সুলেখাকে উঠতে বসতে গালাগাল করছে। বলছে, এমন বাজে মেয়ের বোন হয়েছো, তুমিই বা আর কী ভালো হবে! শ্বশুরবাড়ির কলঙ্কের জন্য লোকের কাছে নাকি মুখ দেখাতে পারছে না। 

জুলেখা বলে দিয়েছে, আমি আর ফিরবো না সিউড়িতে। তোরা বাবার খবরাখবর নিস। ভাবিস যে আমি হারিয়ে গেছি। যায় না মেয়েরা? কত কত মেয়েরা তো গ্রামগঞ্জ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। অচেনা জায়গায় বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। জুলেখা বুথ থেকে ফোন করছিল আর হাতের পিঠে চোখ মুছছিল। 

জুলেখা সুরঞ্জনকে কিছু বলে না দুর্নামের কথা। বলা মানেই ওর ওপর কিছু একটা করার চাপ দেওয়া। পরিবার আত্মীয়স্বজন সমাজ এসব রক্ষা করার একটা উপায়ই এখন আছে, সে হল সুরঞ্জন যদি মুসলমান হয়, এবং দুজন বিয়ে করে। কিন্তু বিয়ে, এই শব্দটাই কখনও সুরঞ্জনের মুখ থেকে উচ্চারিত হয়নি। যে যে কাজটা করতে আগ্রহী নয়, তাকে সেই কাজ করতে বাধ্য করিয়ে সুখ নিতে জুলেখা পারে না। 

সুরঞ্জনকে জুলেখা চেনে একটি সন্ত্রাসী হিসেবে। যে সন্ত্রাসী একটি নিরপরাধ মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে কোনও লোকের ওপর শোধ নেয়। এই সুরঞ্জনকে বিয়ের কথা জুলেখাই বা কী করে ভাবতে পারে! আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে সুরঞ্জন তার প্রতি আকৃষ্ট। এই আকর্ষণ কি সত্যিই প্রেমে পড়েছে বলে, নাকি অপরাধবোধের কারণে। যদি সে প্রায়শ্চিত্য করতে চায় এভাবে যে তোমাকে আমার কারণে অসহ্য প্রেমহীন সঙ্গম সইতে হয়েছে, সেগুলোর আমি শোধ দেব অসংখ্য প্রেমপূর্ণ সঙ্গমে। তাহলে মধুর একটা প্রায়শ্চিত্ত হয় বৈকি, কিন্তু দুজনের মধ্যে সত্যিকার কোনও সম্পর্ক তৈরি হয় না- না প্রেমের, না বন্ধুত্বের। এমনকি সত্যিকার শত্রুতারও কোনও সম্পর্ক গড়ে ওঠে না।

জুলেখা নিজেকেও মাঝে মাঝে প্রশ্ন করে, সুরঞ্জনকে সে সত্যিই ভালোবাসে কি না। সে টের পায় ভালো সে বাসে, কিন্তু তাকে নিয়ে সংশয় তার আছেই, সুরঞ্জনকে সে বিশ্বাস করে না। বিশ্বাস না থাকলে কাউকে ভালোবাসা যায় কি! না বিশ্বাস করেও তো সে ভালোবাসছে। তাহলে যায়। এই ভালোবাসাটি কি কেবলই শরীরের জন্য? জুলেখা তা মনে করে না। কারণ শরীরের হলে মহব্বতের সঙ্গে কখনও সে শীর্ষসুখ পায়নি কেন! যেহেতু মহব্বতকে কোনওদিন মহব্বত করেনি সে। দুজনের মধ্যে একটুখানিও আবেগের একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি প্রথম দিন থেকেই। 

মহব্বত প্রথম দিন থেকেই জুলেখার কাছে একটা যন্ত্রের মতো। স্বরে কোনও ওঠানামা নেই, মুখে কোনও হাসি নেই। ডাকবে এভাবে, যেন যন্ত্রের মুখের ফুটো দিয়ে কিছু শুধু শব্দ বেরোচ্ছে। এই এদিকে এসো তো বলছি। ডাকছি তো, শুনছো না? শুয়ে পড়ো। শুয়ে পড়লে, মহব্বত শাড়ি পরা জড়োসড়ো জুলেখার শরীরটা কতক্ষণ তাকিয়ে দেখতো, তারপর শাড়ি পরা অবস্থাতেই শাড়িটা ওপরের দিকে তুলে, নিজের লুঙ্গিটা উপরের দিকে তুলে জিভ লম্বা করে ডান হাতের তেলোয় জিভের লালাটা নিয়ে লালা নিজের শিশ্নের মাথায় লাগিয়ে দিয়ে জোরে ঢুকিয়ে দিত। জুলেখা প্রতি রাতেই কঁকিয়ে উঠেছে। এক-দু-মিনিট ওভাবেই মহব্বত নিজের মনে বাচ্চাদের খেলনাগাড়ি চালাবার মতো ভেতরে নিজের অঙ্গ চালিয়ে গায়ের ওপর থেকে নেমে যেত।

জুলেখা তার মেয়ে হওয়ার প্রায়শ্চিত্ত এভাবেই করতো। সইতো। মেয়ে হলেই ধরে বেঁধে বিয়ে দেওয়া হয় যার তার সঙ্গে, আর যার তার শরীর তার ওপর যা ইচ্ছে তাই করে গেলেও মুখে রা টি করা যাবে না। জুলেখা তো এর বাইরে কিছু করতো না। 

বিপ্লবী হওয়ার কোনও সাধ যদি তার থাকতো, তাহলে একটা বাসনকোসনের ব্যবসায়ীকে বিয়ে করতে রাজি হতো না। বাবার কাছে প্রস্তাব এসেছে, বাবা তাই নিয়ে জোর করছিলেন। অন্যান্য আত্মীয়রা তখন তো কেউ এসে বলেনি যে, না এই ছেলে যোগ্য নয়। তারা তো পেশায় শিক্ষক, বা ডাক্তার, বা ইঞ্জিনিয়ার এমন কোনও ছেলের প্রস্তাব আনেনি, যদি এতই ওদের যোগ্য পাত্র বলেই মনে করে। 

জুলেখা কলেজে কাউকে এমন পায়নি, যার সঙ্গে প্রেম করতে পারে। জুলেখার কলেজে পড়াও হয়তো বন্ধ হয়ে যেত যদি না নলহাটি স্কুলের শিক্ষিকা সুলতানা কবীর তাকে দিনের পর দিন না বোঝাতেন যে, মেয়েদের লেখাপড়া করাটা খুব দরকার, বিশেষ করে মুসলমান মেয়েদের। লেখাপড়া না শিখলে স্কুল-কলেজ না পাস করলে দাসী-বাঁদির জীবনই মেনে নিতে হবে। জুলেখার বাবা মেয়েদের অত লেখাপড়া করার দরকার নেই, 'ভালো ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়ে যাওয়াই ভালো' নীতিতে বিশ্বাস করতেন, কিন্তু নিজের মেয়ে দাসীবাঁদির জীবন কাটাবে তাও তিনি চাইতেন না। সুলতানা কবীরের সঙ্গে তার পরিচয় রবিউল ইসলামের মাধ্যমে।

মাথা উঁচু করে বাঁচার প্রেরণা জুলেখা পেয়েছিল বটে, কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। বিয়ে দিয়ে দেওয়া হল। বিয়ে দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না মনিরুদ্দিনের। পাড়ার লোকে কথা বলছিল। মেয়ে আইবুড়ো হচ্ছে, বিয়ে দেবে না নাকি। অপেক্ষা তো অনেক করা হল, আর কত? কোনও ঘটকচুড়ামণির দেখা নেই। কোনও শুভাকাঙ্ক্ষীর খোঁজ নেই। তাই মহব্বতের প্রস্তাব এলে বড় বোনের স্বামী মাথা নাড়লো- বর ঠিক আছে, দু-একজন কাকা মাথা নাড়লো। ব্যস কাজি ডেকে কবুল বলানো হয়ে গেল।

জুলেখার কাছে জীবন খুব অদ্ভুত লাগে। সোহাগ দেখতে মহব্বতের মতো হবে। চরিত্রটাও, জুলেখার আশঙ্কা হয়, মহব্বতের মতো হবে। এই যে মা চলে গেল বাড়ি থেকে, হাত পা ছুড়ে একদিনও কাঁদেনি। মায়ের সঙ্গে যাবে বলে চিৎকার করেনি। মহব্বতের বুকের ধন সে। মায়ের চেয়ে বাবার দিকে টান বেশি। বাবার প্রতাপ আছে, ক্ষমতা আছে। ক্ষমতার দিকেই তো বাচ্চা বয়স থেকেই মানুষ আকৃষ্ট হয়। কেউ কি চায় দুর্বল হতে? ম্রিয়মাণ, জবুথবু, অন্ধকার জীবন কে চায়! বাচ্চারা বুঝে যায়, কার মতো হলে বেশ সুযোগ সুবিধে ভোগ করা যায়। তার প্রতি টানটা তারা ছোটবেলা থেকেই অনুভব করে। 

সোহাগকে জিজ্ঞেস করেছিল জুলেখা, - তোমার আব্বার বউকে কী বলে ডাকো বাবু?
- আম্মা বলে।
- ওকে আম্মা বল কেন? ও তো তোমার আম্মা না। আম্মা তো আমি।
- আব্বা বলেছে আম্মা বলে ডাকতে। তাই ডাকি।
সোহাগ যুক্তি দেয়।
- এই যে আমি বললাম আম্মা বলে ডাকবে না। আমার কথা মানবে না?
সোহাগ চুপ করে থাকে। জুলেখা বোঝে যে সে মানবে না। তার আব্বুর আদেশই সে পালন করবে।
- আমার কথা তোমার মনে পড়ে?
সোহাগ মাথা নাড়ে। মনে পড়ে।
- আমার সঙ্গে থাকবে? চল তুমি আমি একসঙ্গে থাকি।
সোহাগ বলে, - আব্বু থাকবে না?
- না আব্বু না, তুমি আর আমি।
সোহাগ চুপ করে থাকে।
- আব্বুকে ছাড়া থাকবে না?
মাথা নাড়ে সোহাগ। না।

হঠাৎ জুলেখার বন্ধন সরিয়ে সোহাগ দৌড়ে মামার বাড়ির চৌকাঠ পেরিয়ে ভোঁ দৌড়। মহব্বতের বাড়ির কাজের মেয়েটি সোহাগের হাত ধরে হেঁটে যায়। যতক্ষণ না ছেলেটি অদৃশ্য হয়, ততক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে জুলেখা। তার মনে হতে থাকে ধীরে ধীরে সোহাগ আর তার সঙ্গে হয়তো দেখাও করতে আসবে না। হয়তো কাজের মেয়ে মরিয়মের কাছেই সে শুনেছে তার মার চরিত্র খারাপ, হিন্দু ছেলের সঙ্গে ভেগে গেছে এই সব কথা। নিশ্চয়ই মহব্বত আর তার নতুন বউ তার কাছে জুলেখার বদনাম গেয়েছে। বাচ্চা ছেলের মাথায় ঢুকে যাচ্ছে সব। এই ছেলে যত বড় হবে, তত ঘৃণা করবে নিজের মাকে। 


চলবে.......

১৪ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ: 
জনপ্রিয় প্রথাবিরোধী লেখিকা তসলিমা নাসরিন ১৯৬২ সালের ২৫ আগষ্ট ময়মনসিংহ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৬ সালে ময়মনসিংহ রেসিডেন্সিয়াল স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও ১৯৭৮ সালে আনন্দ মোহন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে ১৯৮৪ সালে এমবিবিএস পাস করেন। তসলিমা নাসরিন ১৯৯৪ সাল অবদি চিকিৎসক হিসেবে ঢাকা মেডিকেলে কর্মরত ছিলেন। 

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে লেখালেখি নয়তো চাকুরি ছাড়তে বললে তিনি লেখালেখি ছাড়েন নি। বরং সরকারি চিকিৎসকের চাকুরিটিই ছেড়ে দেন তিনি। তখন এই লেখিকাকে কেন্দ্র করে উগ্র মৌলবাদীদের আন্দোলনে উত্তাল ছিলো পুরো দেশ। বেশ কিছু মামলাও হয়েছিলো তার বিরুদ্ধে। শেষে এককথায় বাধ্য হয়েই দেশত্যাগ করেন নারীমুক্তির অন্যতম অগ্রপথিক তসলিমা নাসরিন। এরপর তিনি নির্বাসিত অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। 

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন