উপন্যাস       :        প্রেমের জোয়ারে ভাসলো দুকূল
লেখিকা        :         আরশি আয়াত
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         ১২ই ডিসেম্বর, ২০২২ ইং

লেখিকা আরশি আয়াতের “প্রেমের জোয়ারে ভাসলো দুকূল” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশ করা হলো। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের ১২ই ডিসেম্বর থেকে লেখা শুরু করেছেন।
প্রেমের জোয়ারে ভাসলো দুকূল || আরশি আয়াত Bangla Golpo - Kobiyal
প্রেমের জোয়ারে ভাসলো দুকূল || আরশি আয়াত

1111111111111111111111

০৩ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

প্রেমের জোয়ারে ভাসলো দুকূল || আরশি আয়াত (পর্ব - ০৪)

পাখি কাঁপা গলায় বলল,'আপনার আম্মা ফোন করেছিলো।
এতটুকু শুনেই শয়ন বুঝে নিলো কি হয়েছে।পাখি ক্ষীণ কন্ঠে আবার বলল,'আপনি সবই জানেন।আমি আপনাকে আমার সাথে জোর করে থাকতে বলবো না।আমি কাল সকালেই চলে যাবো এখান থেকে।'
'কোথায় যাবেন?'
'জানি না।'

'আবেগে সিদ্ধান্ত নেবেন না।আপনি ভালো করেই জানেন আপনার কোথাও যাওয়ার যায়গা নেই।আপনার ফ্যামিলিও আপনাকে রাখবে না।বললেই বের হয়ে যাওয়া যায় না।আর আমি কিন্তু বলি নি আমি আপনার সাথে থাকবো।তবে আপনার ভার্সিটিতে চান্স হওয়ার আগ পর্যন্ত আপনি এখানেই থাকবেন।এরপর নিজেরটা নিজে দেখবেন আমি কিছু বলবো না কিন্তু এখন যেহেতু আইনত আপনি আমার স্ত্রী আমি চাইবো না আপনার খারাপ কিছু হোক।যখন আমাদের রাস্তা কাগজে কলমে আলাদা হয়ে যাবে তখন থেকে আপনার বিষয়ে আমি চিন্তাও করবো না।তাই এখন কথা না বাড়িয়ে রেডি হোন।বের হবো আমরা।'
শয়ন কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই উঠে গেলো।পাখি তৈরি হলো।হালকা সবুজ সুতি শাড়ি আর সাধারণ খোঁপাতে বেশ সুন্দর লাগছে ওকে।
শয়ন রেডি হয়ে এসে পাখিকে ডাক দিলো।তৎক্ষনাৎ ঘর থেকে বেরিয়ে এলো পাখি।যেন এই ডাকের ই অপেক্ষা করছিলো।পাখিকে দেখে শয়ন কিছু একটা ভেবে বলল,'কাজল ছাড়া নয়ন খালি লাগে।কাজল পরেন নি কেন?'
'আনি নি তো।'
'ওহ হো!আচ্ছা চলুন বের হই।'

প্রথমে ওরা কয়েকটা কোচিং ঘুরলো।তারপর সবকিছু দেখে একটায় ভর্তি করিয়ে শয়ন।এরপর ওরা শপিংমলে গেলো।পাখির না বলা স্বত্বেও বেশ কিছু ড্রেস আর কসমেটিকস কিনলো।কেনাকাটার সময় পাখি বুঝলো ছেলেটার পছন্দ খুবই ভালো।সব কেনাকাটা শেষ করে একটা ড্রেস হাতে দিয়ে শয়ন বলল,'এটা পরে আসুন।'
পাখি ড্রেস'টা পরে ট্রায়াল রুম থেকে বেরিয়ে শয়নের সামনে অস্বস্তি নিয়ে দাঁড়ালো।ওর মনে হচ্ছে ওকে খারাপ দেখাচ্ছে।শয়ন ওপর থেকে নিচে একবার দেখে নিলো।ঠিকই আছে ওর অনুমান।এই লং স্কার্ট আর টপসে দারুণ লাগছে।শুধু খোঁপা'টা খুলে দিলেই হয়ে যাবে।শয়ন পাখির পেছনে এসে খোঁপা খুলে দিয়ে বলল,'এখন ঠিক আছে।আর ইউ কম্ফোর্ট?'
পাখি মাথা নাড়লো।শয়ন মৃদু হেসে বলল,'চলুন।'
পাখি ওর সাথে হাঁটতে হাঁটতে বলল,'এখন কোথায় যাবো?'
'রেস্টুরেন্টে।'

'না বাসায় চলুন।আমি রান্না করে ফেলবো।বেশি সময় লাগবে না।'
'কিন্তু আমি আজকে বাইরে খাবো।'
এবার পাখি আর কিছু বলল না।সাথেই হাঁটতে লাগলো।
বাইরে থেকে ফিরে শয়ন বলল,'কাল সকাল দশটা থেকে ক্লাস শুরু।সময়মত চলে যাবেন।আর এখন ঘুমিয়ে পড়ুন।'
বলেই শয়ন নিজের ঘরে চলে গেলো আর পাখিও।ঘুমানোর আগে শয়ন মেইল চেক করছিলো তখনই ফোন এলো।বড় ভাই অয়ন ফোন করেছে।রিসিভ করে ও ই প্রথম বলল,'কেমন আছো ভাইয়া?আম্মুর কি অবস্থা?'
'আমরা ভালোই আছি।রেগে আছে তোর ওপর।আমাকে আর সাজুকে বলছে ওনাকে তোর বাসায় দিয়ে আসতে।'
'আচ্ছা ঠিকাছে তাহলে আমি পরশু একবার বাড়ি আসার চেষ্টা করবো।'
'মেয়েটাকে আনবি সাথে?'
'নাহ!আনলে কুরুক্ষেত্র বাঁধবে।'

'হ্যাঁ তা যা বলেছিস আর আমি সব খোঁজ নিয়ে দেখেছি মেয়েটা যা বলেছে সব সত্যি।তোকে যে এসব বলেছে ওটা স্বয়ং ওর এক্স হাজবেন্ড।চাইছিলো না ওর বিয়ে হোক।তাই গত তিনবছরে বিভিন্ন বার বিয়ে ভেঙেছে।এবার কোনোভাবে বিয়ের আগে কিছু জানতে পারে নি তাই যখন বিয়ের পর জেনেছে।রাগে তোকে এসব বলেছে।ওর সাথে পাখির সংসার ছিলো মাত্র সাত মাসের।তাহলে দুই বছরের বাবু আসবে কোথা থেকে।এবার বুঝেছিস সব?'
'হ্যাঁ বুঝতে পেরেছি।'
'তো কি ভাবলি?সংসার করবি নাকি ছেড়ে দিবি?'
'জানি না সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না তবে এই অবস্থায় মেয়েটাকে একা ছাড়তেও ইচ্ছে করছে না।ওর কোনো একটা ব্যাবস্থা করে তারপর দেখি কি করা যায়।'
'হ্যাঁ ভেবে দেখে কি করবি।আর পরশু কিন্তু আসিস তা নাহলে আমার আর সাজুর বাড়ি থেকে পালানো লাগবে।'
শয়ন হেসে ফেললো ভাইয়ের কথা শুনে।এরপর ফোন রেখে শুয়ে পড়লো।ঘুমে চোখের পাতা এক হয়ে আসছে।
কালকের মত আজও সকালে উঠে নাস্তা বানিয়েছে পাখি কিন্তু শয়ন আজ দেরি করে উঠেছে আর নাস্তা না খেয়ে বেরিয়ে গেছে।আজ আবারও মন খারাপ হলো পাখির।একটু হলেও তো খাওয়া উচিত ছিলো।

সকাল দশটায় পাখি ক্লাসের জন্য বেরিয়ে গেলো।দশটা থেকে বারোটা দু'ঘন্টা ক্লাস করে বাসায় ফিরলো পাখি।আজ সকালেই এই ফ্ল্যাটের একটা এক্সট্রা চাবি শয়ন ওকে দিয়ে গেছে।বাসায় ফিরেই কিচেনে গেলো।শয়ন তো দুপুরে ফেরে না কিন্তু ওর তো খেতে হবে।কিন্তু রাঁধতে গিয়ে দেখলো বাসায় বাজার নেই।তাই আর কি করার নুডলস ই খেয়ে নিলো।এরপর পড়তে বসলো।অনেক দিন পর বই খুললো।পড়তে হবে অনেক।
বিকেলে হঠাৎ ফ্ল্যাটের দরজায় কলিং বেল বাজলো।পাখি দরজার পকেট গ্লাস দিয়ে দেখলো কালোমত,জল্লাদ দেখতে দু'টো লোক।দেখে ভয় পেয়ে গেলো ও।দরজা কি খুলবে?যদি কোনো বিপদ হয়?শয়নকে ফোন করা উচিত কিন্তু ওর নাম্বার ই তো নেওয়া হয় নি।পাখি ঢোক গিললো ভয়ে।এদিকে লোকগুলো কলিংবেল বাজিয়েই যাচ্ছে।

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 

সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।


চলবে ...

৫ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:

তরুণ লেখিকা আরশি আয়াত সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। জানতে পারলে অবশ্যই তা কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হইবে।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন