উপন্যাস        :         ভিলেন
লেখিকা        :          মনা হোসাইন
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         

লেখিকা মনা হোসাইনের “ভিলেন” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০১৯ সালে লিখেছেন।
ভিলেন || মনা হোসাইন Bangla Golpo - Kobiyal
ভিলেন || মনা হোসাইন

1111111111111111111111

১৫ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

ভিলেন || মনা হোসাইন (পর্ব - ১৬)

নীরবঃ এভাবে মুখ ভার করে বললে হবে একটু তো হাসো...আর শোন কেউ যেন আমাদের প্লেন সম্পর্কে না জানে ঠিক আছে? আংকেল বা আমার পরিবার যদি কোনভাবে এসব যেনে যায় তাহলে কি হবে বুঝতেই পারছো...
মেঘলাঃ না না আমি কাউকে বলব না...!!
নীরবঃ এই তো লক্ষি মেয়ে চলো তাহলে।

মেঘলা এবার হাসতে হাসতেই গেল আর এনগেইজমেন্ট হয়ে গেল...তারপর মেঘলা নিজের বাসায় চলে গেল...
এদিকে আকাশ বিভিন্ন ব্যস্ততায় মেঘলার জন্মদিনের কথা ভুলে গেলেও রাতে মনে পড়ল আর অনেক আফসোস করল...রাতে মেঘলার সাথে কন্টাক্ট করার অনেক চেষ্টা করল কিন্তু পারল না।
আকাশ নাবিল কে ফোন দিল,
নাবিলঃ বল...
আকাশঃ জানিস আজ মেঘলার জন্মদিন ছিল..
নাবিলঃ জানি...
আকাশঃ জানিস তবুও কিছু করলি না.?একটু কথা বলার ব্যবস্থা অন্তত করে দিতি..
নাবিলঃ আমি আরও অনেক কিছুই জানি একটা কথা মাথায় ঢুকিয়ে নে আকাশ মেঘলা যদি তোকে চায় আমি জান লড়িয়ে হলেও ওকে তোর জন্য নিয়ে আসব কিন্তু মেঘলা যদি তোকে না চায় আমি জোর করব না।
আকাশঃ ঠিক বুঝলাম না...
নাবিলঃ না কিছু না। আচ্ছা বাদ দে...
আকাশঃ মেঘলা আমাকে চায় না বলতে চাচ্ছিস?
নাবিলঃ চাইলে এতদিনে একবারো খোঁজ কেন নিল না।এই যুগে কি ফোনের অভাব? শোন এত ভাবিস না এবার তুই নিজেও একটু দেখে নে তুই  মেঘলার ভালবাসা ছিলি নাকি ওর অভ্যাস ছিলি? সময় নে যদি দেখিস মেঘলা তোর জন্য অপেক্ষা করছে তাহলে বুঝবি সেটাই সত্যি কারের ভালবাসা এখন থেকে যদি মেঘলা তোর খোঁজ না নেয় তুই ও নিস না।
আকাশ আর কিছু না বলে ফোন কেটে দিল।

নাবিলঃ আমি তো তোর কথামত মেঘলার উপড় নজর রেখেছিলাম রে আকাশ।কিন্তু যা দেখলাম সেটা তোকে কি করে বলব। জানি আমার কথাগুলি তোর খারাপ লেগেছে কিন্তু আমি তোকে কি করে বলব যে, তুই যেতে না যেতেই মেঘলা নিজের ইচ্ছায় হাসতে হাসতে অন্য ছেলে হাতে রিং পড়িয়ে এনগেইজমেন্ট করে ফেলেছে... আমি জানি আকাশ তুই এই ধাক্কাটা নিতে পারবি না.. তার চেয়ে এখন থেকে ওকে ছাড়ার চেষ্টা কর...(মনে মনে)
আকাশঃ নাবিল তো ঠিকি বলেছে,
হ্যা মেঘলা আজ থেকে তোর পরিক্ষা শুরু দেখি আমি তোর ভালবাসা ছিলাম নাকি অভ্যাস..???


পরদিন,মেঘলা স্কুলে যাওয়ার জন্য রেডি হল তখনি নীরব আসল...
মেঘলার বাবা নীরবকে দেখে খুশি হলেও মেঘলার মা একদমি খুশি হল না।
মেঘলাঃ আপনি এত সকালে??
নীরবঃ তুমি স্কুল যাবে তাই ভাবলাম ড্রপ করে দেই.. 
মেঘলার বাবাঃ এতো খুব ভাল কথা যা মা নীরব তোকে পৌছে দিবে। 
মেঘলার মার ব্যাপার টা ভাল লাগল না..
মেঘলার মাঃ বাবা দেখো মেঘলা তো স্কুলে পড়ে তুমি যদি ওকে নিয়ে যাও ওর ফ্রেন্ডরা হাসাহাসি করবে সেটা তো ভাল হবে না তাই না?
মেঘলার বাবাঃ চুপ থাকো তোমার মেয়ে যখন আকাশের সাথে এঁটে থাকত তখন হাসাহাসি করত না? আর একটাও কথা বলবে না একদম বাড়াবাড়ি করবে না... 
মেঘলা বুঝল এই নিয়ে বাসায় ঝামেলা হবে তাই বলল মাম্মাম চিন্তা করো না আমি নীরবের সাথেই যাচ্ছি।

নীরব আর মেঘলা বেরিয়ে গেল...
নীরব যেতে যেতে বলল,আচ্ছা হাজবেন্ড ওয়াইফ না হলেও আমরা তো ভাল বন্ধু হতেই পারি তাই না? 
মেঘলাঃ হ্যা পারিই তুমি অনেক ভাল আমার কোন আপত্তি নেই..এমনেতেও ভাইয়া ছাড়া আমার কোন ভাল বন্ধু নেই তাই ও চলে যাওয়ার পর একেবারে একা হয়ে পড়েছি।
নীরবঃ চলো বসে গল্প করি আজ স্কুল যেতে হবে না। তোমার আর আকাশের কথা শুনব...বলবে তো?
মেঘলাঃ ঠিক আছে চলো..
মেঘলা নীরব কে নিয়ে পার্কে গেল..
মেঘলাঃ জানো ভাইয়া আর আমি এখানে অনেক ঘুরেছি.. ভাইয়া তো একটু মোডি তাই আসতে চাইত না আমি জোর করে নিয়ে আসতাম। একবার তো বান্ধবীদের নিয়ে এসে ওকে ডেকেছিলাম জন্যে আমাকে সবার সামনে কান ধরে উঠবস করিয়েছিল।
নীরবঃআকাশের সাথে খুব দুষ্টমি করতে তাই না?

মেঘলাঃ খুব প্যারা দিতাম ওকে তবে ও না প্রথম দিকে রাগ করলেও পরে আমার সব ইচ্ছা পূরন করত খুব কেয়ার করত আমার...
এই পার্কেই ও আমাকে স্কুটি চালানো শিখিয়ে ছিল তারপর একবার পড়ে গিয়ে হাতে লেগেছিল তাই রাগে স্কুটি বিক্রি করে দিয়েছিল বলেছিল ও থাকতে আমার নাকি স্কুটি চালানোর প্রয়োজন হবে না সবসময় ও নিজেই নিয়ে ঘুরবে। কিন্তু এখন......বলেই মেঘলার মন খারাপ হয়ে গেল।
নীরবঃ কি হচ্ছে এই যে আবার মন খারাপ করছো...??? আকাশ নেই তো কি হয়েছে আমি আছি না?আমি তোমাকে নিয়ে ঘুরব, কয়েকটা দিনের তো ব্যাপার দেখবে দেখতে দেখতে কেটে যাবে।

মেঘলাঃ ওর শুন্যতা কখনো পূরন হবে না কত যে জ্বালাতাম ওকে, আমি যত উল্টাপাল্টা কাজ আছে সব করে ওর ঘাড়ে চাপিয়ে দিতাম।অনেক কষ্ট দিয়েছি রে ভাইয়া এবার একবার আয় তোকে আর জ্বালাব না খুব ভালবাসব কতদিন হয়ে গেল তোকে দেখি না।
নীরবঃ দুরত্ব ভালবাসা কমায় না মেঘলা বরং বাড়ায়,এই যে তুমি ওকে প্যারা দিতে ও যদি পাশে থাকত তুমি কি সেটা বুঝতে পারতে?এবার আসলে তোমাদের সব কিছু আরো সুন্দর হয়ে যাবে।

আর ওকে ছাড়া তুমি যেমন একা হয়ে পড়েছো আকাশ ও হয়ত তাই.
কিন্তু ওর তো নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে তাই না? তোমার ওকে সেই সময় টা দেয়া উচিত একবার ফিরে আসতে দাও দেখবে সব আবার আগের মত হয়ে গেছে।ও যতদিন না আসছে তুমার সব সমস্যা আমাকে বলতে পারো। জানি আকাশের মত পারব না তবে তোমাকে একটু হলেও সাপোর্ট দিব... 
মেঘলাঃ তুমিও খুব ভাল..
নীরব আর মেঘলা কথা বলছিল তখন তাদের সামনে এসে একটা গাড়ি থামল...
মেঘলা তাকিয়ে দেখল নাবিল আসছে...

মেঘলা নাবিল কে দেখে খুশি হল,
কিন্তু নাবিল, নীরব আর মেঘলাকে একসাথে দেখে রেগে গিয়েছে...
মেঘলাঃ কেমন আছিস ভাইয়া...
নাবিলঃ ভাল না থাকলে এখানে আসতে পারতাম কি?যাই হোক তোর বাবা মা আমাদের সাথে যেটা করেছে তারপর তোর সাথে আমার কোন কথা থাকতে পারে না তবুও আসলাম।
প্যাকেট টা রাখ এটা তোর জন্য।নাবিল প্যাকেট টা মেঘলার হাতে ধরিয়ে দিল..
নীরবঃ মেঘলা উনি কে?
মেঘলা কিছু বলতে যাবে তার আগেই নাবিল বলল কেউ না আমি ওর কেউ হই না বলেই চলে গেল।

নাবিল চলে যাওয়ার পর মেঘলা নীরবকে তার পরিচয় দিল...
নীরবঃ ও রাগ কেন করল? তুমি আমার সাথে আছো তাই?
মেঘলাঃ আমি তো সবার সাথেই মিশি এটা তো নাবিল ভাইয়া জানে এই নিয়ে রাগ করেনি আসলে ওদের সাথে আমাদের পারিবারিক কিছু সমস্যা হয়েছে।
নীরবঃ ওহ... আচ্ছা প্যাকেট টা খুলো দেখি কি দিল...
মেঘলা প্যাকেট টা খুলে খুব খুশি হল কারন এতে একটা নতুন ফোন আছে।
নীরবঃ বাহ ফোন টা খুব সুন্দর তো... 
মেঘলা ফোন টা অন করে দেখল তাতে একটা বিদেশি নাম্বার সেইভ করা আছে দেখেই বুঝল এটা আকাশের নাম্বার মেঘলা মনে মনে নাবিলকে হাজারটা ধন্যবাদ দিল...
মেঘলা খুশিতে আত্মহারা হয়ে বলল,ও গড আজ কতদিন পর ভাইয়ার সাথে কথা বলতে পারব আমার যে কি খুশি লাগছে..উফফ নাবিল ভাইয়াকে কি বলেছে ধন্যবাদ দিব...মেঘলা রীতিমতো লাফালাফি শুরু করেছে।

নীরবঃ থামুন থামুন লোকে দেখলে কি বলবে?চলুন যাওয়া যাক।
মেঘলাঃ আমার যে কি খুশি লাগছে বলে বুঝাতে পারব না।
নীরব হেসে বলল,পাগলি একটা আচ্ছা তাহলে তাড়াতাড়ি বাসায় যাও জানি তো ম্যাডামে আর সহ্য হচ্ছে না।
মেঘলাঃ☺☺
নীরবঃ চলুন চলুন বাসায় দিয়ে আসি।
মেঘলা বাসায় গিয়েই নিজের রুমের দরজা বন্ধ করে  আকাশকে ফোন দিল...
দুর্ভাগ্যবশত আকাশ তখন ওয়াশরুমে ছিল কয়েকবার কল দেওয়ার পরেও আকাশ ফোন ধরল না?

মেঘলার তাতে ক্লান্তি নেই সে একের পর এক ফোন দিতেই থাকল...
 আকাশ সেটা শুনল না কিন্তু নীলিমা তখন এদিক দিয়েই যাচ্ছিল এতবার ফোন বাজায় সে এসে ফোন ধরল,
ফোন ধরতেই,
মেঘলা নিলিমাকে সুযোগ না দিয়ে বলতে শুরু করল ভাইয়া কেমন আছিস তুই এতদিনে একটা বার আমার খোঁজ নিলি না কেন...??জানিস আমার কত খারাপ লাগছিল।
নীলিমাঃ কে আপনি..???
মেয়ের কন্ঠ শুনেই মেঘলার মেজাজ খারাপ হয়ে গেল...রাগি লুক নিয়ে বলল আমি কে মানে কি আপনি কে? এটা আকাশের নাম্বার না?
নীলিমাঃ হ্যা আকাশের নাম্বার আমরা একসাথেই থাকি...
মেঘলাঃ একসাথে থাকো মানে কি?
নীলিমাঃ মানেটা আপনাকে কেন বুঝাতে যাব?  আপনি কে সেটা বলুন...কেন ফোন করেছেন?

মেঘলাঃ তোমাকে কেন কয়ফত দিব হ্যা...ফোন টা আকাশকে দিয়ে বলো মেঘলা ফোন করেছে...
নীলিমাঃ ওহ আচ্ছা এই সেই মেঘলা যার জন্য আকাশ আমাকে পাত্তা দেয় না।বাহ বাহ এত সহজে ওকে পাব ভাবি নি তো... 
মেঘলাঃ কি হল দাও...
নীলিমাঃ ও কথা বলবে না...
মেঘলাঃ মানে কি?
নীলিমাঃ মানে কি সেটা তো আমি জিজ্ঞাস করব লজ্জা করে না একজনের হবু বর কে ফোন করে বিরক্ত করতে..??তোমার হাত থেকে বাঁচতেই তো আকাশ এখানে আসল তাও শান্তি দিচ্ছ না ফাউল,নির্লজ্জ বেহায়া মেয়ে কোথকার
মেঘলাঃ কে কার হবু বর?আর এসব কি বলছো?

নীলিমাঃ আমার সাথে আকাশের খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে হতে যাচ্ছে তাই তুমি ভুলেও আর কখনো ওকে ফোন দিয়ে বিরক্ত করব না।আকাশ আর আমি একেই বাসায় থাকি বুঝেছো।আকাশ আমার সাথেই আছে ও তোমার সাথে কথা বলতে চায় না তাই আমাকে ফোন ধরতে বলল।

মেঘলার মেজাজ এখন পুরাই খারাপ হয়ে গেল তাই বলল এই সাকচুন্নি তুই কিন্তু বেশি বলতেছিস.. একদম জুতা খুলে মারব ভালই ভালই আকাশকে ফোন টা দে।
নীলিমা এবার রেগে গিয়ে ফোন টা কেটে দিয়ে নাম্বার টা ব্লেক লিস্টে রেখে দিয়ে কল হিস্ট্রি ডিলেট করে দিল।

মেঘলা তারপর অনেকবার ফোন করেছি কিন্তু কল ঢুকে নি।
মেঘলা রাগে ভাংচুর শুরু করল,
মেঘলা; না তুই এটা কিছুতেই করতে পারিস না ভাইয়া,আমি বিশ্বাস করি না...একটা বার তো কল কর প্লিজ আমার সহ্য হচ্ছে না।
মেঘলা অনেক্ষন ট্রাই করার পর ফেসবুকে আকাশ কে খুঁজার চেস্টা করল কিন্তু দেখল সেখানেও মেঘলাকে ব্লক করা হয়েছে তাই আর সহ্য করতে না পেরে মেঘলা নিজের হাতে চুরি চালিয়ে দিল।

আকাশ আসলে মেঘলাকে অনেক আগেই ব্লক দিয়েছিল কারন মেঘলার ছবিতে অনেক ছেলেরা কমেন্ট করত যা আকাশের সহ্য হত না।তাই ব্লক করে রেখিছিল মেঘলার ফোন না থাকায় আকাশ ফেসবুকের ব্যাপারে ভুলে গিয়েছিল।
আকাশ জানতেও পারল না কি ঘটেছে বরং নাবিল আকাশকে বলল মেঘলাকে ফোন কিনে দিয়েছে নাম্বারো দিয়েছে।

আকাশ অনেকবার কল করেছে কিন্তু কেউ ফোন তুলে নি।দিনের পর দিন ফোন শুধু বেজেই চলেছে প্রথম কিছুদিন বাজলেও এখন ফোন সুইচ অফ. তবুও হাজার আশা নিয়ে আকাশ মেঘলার নাম্বারে কল করে আর প্রতিবারেই সুইচ অফ দেখায়।আকাশ চাতক পাখির মত মেঘলার ফোনের অপেক্ষায় তাকিয়ে থাকে। কিন্তু সেই কাঙ্ক্ষিত  কল আর আসে না...!!!
কারন মেঘলার অবস্থা সেদিন বেশ ক্রিটিকেল হয়ে গিয়েছিল তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ডাক্তার বলেন মেঘলার হাতের শিরা কেটে গিয়েছে,প্রচুর ব্লিডিং হয়েছে,ব্লিডিং এর জন্য শিরা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।শিরা খুঁজে না পাওয়া গেলে মেঘলাকে বাঁচানো সম্ভব না। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে পাঠাতে হবে...

হাজার হোক মেঘলা একমাত্র মেয়ে তাই তার বাবা মা মেঘলাকে নিয়ে দেশের বাইরে চলে গেলেন নীরবো তাদের সাথে গেল।
ব্যাপারটা এত দ্রুত ঘটেছিল যে কেউ কিছু জানতে পারল না।
বিদেশে নেওয়ার পর অপারেশন করা হল তাতে ব্লিডিং বন্ধ হলেও মেঘলা কোমায় চলে গেছে হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যায় তাকে রাখতে হবে আদো কখনো সুস্থ হবে নাকি তার গ্যারিন্টি নেই।

মেঘলার বাবা,
মেঘলার মা আর মেঘলাকে রেখে দেশে ফিরে আসলেন। কিন্তু নীরব ফিরল না সে মেঘলার কাছেই থেকে গেল।মেঘলার বাবা এসে কাউকে কিছু জানালেন না কারন মেয়ে suicide attempt করেছে এটা বেশ লজ্জাজনক ব্যাপার। এমন কি তুনি মেঘলার মাকেও কড়াকড়ি ভাবে নিষেধ করেছেন যেন কাউকে কিছু না জানায় তাই তিনি নাবিলদের জানাতে পারেন নি মেঘলার বাবা সবাইকে বলেছে মেঘলা নীরবের সাথে বিদেশে ঘুরতে গিয়েছে।
নাবিল এটা জেনে ধাক্কা খেলেও আকাশকে জানালো না কারন সে জানে মেঘলা অন্য ছেলের সাথে ঘুরতে গিয়েছে এটা আকাশ নিতে পারবে না।

এটা জানার পর মেঘলা,মেঘলার মার প্রতি নাবিলের একটা ঘৃনা জন্মালো। 
নাবিলঃ ছি মনি ছি সবটা জেনেও তুমি কি করে পারলে মেঘলাকে একটা ছেলের হাতে তুলে দিতে? একবারো আকাশটার কথা ভাবলে না?বিয়ের আগেই মেয়েকে নিয়ে হানিমুনে চলে গেলে ছি... আমি কখনো তোমাদের ক্ষমা করব নাম
 আকাশ রে....কার জন্য অপেক্ষা করছিস তুই? মেঘলা যে তোর যোগ্যই না। ও তোকে ভুলে গেছে আমি ফোন দেওয়ার পরেও তোর খোঁজ নিল না।যতই সমস্যা হোক ও চাইলে এত দিনে একবার হলেও তোকে কল দিত।তোকে ভালবাসলে এভাবে বিদেশে যেত না।ওকে যদি জোর করে পাঠানো হত একবার তো বলতে পারতো। 
অনেক হয়েছে আর না তোকে নিয়ে গেম খেলতে আমি দিব না তুই যাতে মেঘলাকে ভুলতে পারিস তার সব ব্যবস্থা আমি নিজে করব...!!

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 

সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।


চলবে …..

১৭ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা মনা হোসাইনের মূল নাম গাজী পিংকি হোসেন। তিনি লেখালেখির ক্ষেত্রে ছদ্মনাম হিসেবে ‘মনা হোসাইন’ নামটি বেছে নিয়েছেন। বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলার বাসিন্দা এই লেখিকা অনলাইন ডিজিটাল মার্কেটার ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে কাজ করছেন।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন