উপন্যাস        :         ভিলেন
লেখিকা        :          মনা হোসাইন
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         

লেখিকা মনা হোসাইনের “ভিলেন” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০১৯ সালে লিখেছেন।
ভিলেন || মনা হোসাইন Bangla Golpo - Kobiyal কবিয়াল
ভিলেন || মনা হোসাইন

1111111111111111111111

০৩ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

ভিলেন || মনা হোসাইন (পর্ব - ০৪)

আকাশ মেঘলাকে নিয়ে যেতে যেতে,
আকাশঃ মান সম্মানের পুরো ১২ টা বাজিয়ে দিলি।কেউ দেখলে আমাকে কি যে ভাব্বে...
মেঘলাঃ আমি কি করেছি তুই তো কান ধরে উঠবস করালি...তাই এখন কোলে করে নিচ্ছিস
আকাশঃ উঠবস করিয়ে কোন লাভ হয়েছে কি? তোর না আছে লজ্জা না আছে বুদ্ধি!তোকে আমাকে এভাবে দেখলে লোকে ত আর সেসব বুঝবে না ভাব্বে তুই আমার জিএফ...
মেঘলাঃ সত্যি? ভাইয়া শুননা একটা কথা বলি..??
আকাশঃ না...
মেঘলাঃ কেন
আকাশঃ তুই যতবার পারমিশন নিয়ে কথা বলিস একটা কথাই বলিস তাই 
মেঘলাঃ তো কি হয়েছে প্লিজ আমার সাথে প্রেম কর না আমার তোকে সত্যিই খুব ভাল লাগে।
আকাশ কিছু না বলে মেঘলাকে কোল থেকে নামিয়ে দিল।
মেঘলাঃ কি হল....
আকাশঃ হোস্টেলে যা বাসায় যেতে হবে না।
মেঘলাঃ মানে কি...
আকাশ ট্যাক্সি ডেকে মেঘলাকে তুলে দিল।
মেঘলাঃ আরে ছোট মা রাগ করবে আমার ফোন টাও তদের বাসায় নিয়ে আসি গিয়ে।
আকাশ মেঘলার কথার গুরুত্ব না দিয়ে ট্যাক্সি ভাড়া দিয়ে এড্রেস বলে দিল।
মেঘলাঃ তোর নিয়ে যেতে হবে না আমি একাই যেতে পারব তাও পাঠিয়ে দিস না।
আকাশ ট্যাক্সি ড্রাইভারকে উদ্দেশ্য করে, মামা আপনাকে যেতে বল্লাম তো...
ট্যাক্সি চালক চলে গেল।
মেঘলা মন খারাপ করে যেতে লাগল।
মেঘলাঃনিজে যা বুঝবে তাই করবে কখনো আমার কোন কথাই শোনে না।আমি কি দেখতে এতই খারাপ নাকি যে সবসময় রিজেক্ট করে দিতে হবে ঠিক আছে যা তোর মত ছেলের সাথে প্রেম করার দরকার নেই আমার। আমি তোর চেয়ে ভাল ছেলে পাব
আকাশঃ ক্লাস ৯ এ পড়ে প্রেম করতে চায় কত শখ?প্রেম করব প্রেম করব যখন তখন বলতে থাকে বাসায় কেউ শুনলে যে আমাদের মিশতে দিবে না এই সেন্সটুকুও নেই। 


। 
আকাশ বাসায় এসেছে সারাদিন চলে গেছে আজ মেঘলার ফোন টা তার কাছে না থাকায় আকাশকে প্যারা দিতে পারে নি।
সন্ধ্যা বেলা আকাশ মেঘলার ফোন নিয়ে মেঘলার হোস্টেলে গেল ফোন টা দেয়ার জন্য।
রিসিপনিষ্টঃ কার সাথে দেখা করবেন? 
আকাশঃ দেখা করব না ৪৯ নাম্বার রুমের মেঘলাকে ফোন টা একটু দিয়ে দিবেন...
রিসিপনিষ্টঃ ও আচ্ছা আপনি তাহলে আকাশ?
আকাশঃ জ্বি কিন্তু কেন...
রিসিপনিষ্টঃআপনি একবার মেঘলার রুমে যান
আকাশঃ না যাব না এটা একটা গার্লস হোস্টেল তাই রুমে যাওয়াটা আমার কাছে অস্বস্তিকর লাগে।খুব বেশি দরকার না হলে আমি রুমে যাই না।
রিসিপনিষ্টঃছেলেদের এখানে এলাউ করা হয় না আমি সেটা যানি স্যার কিন্তু আপনার যাওয়ার তো পারমিশন আছে তাই না?আসলে মেঘলা হটাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে আমাদের পক্ষ থেকে আপনাদের জানানো উচিত ছিল, ম্যাডাম বারবার বলছিল মেঘলার গার্জিয়ান নাকি আপনি আপনাকে যেন ইনফর্ম করি কিন্তু আমি নাম্বার পাই নি।আসলে আমি আজকেই এখানে জয়েন করেছি সব কিছু ভালভাবে বুঝে নেই নি রেজিস্ট্রার গুলি এখনো আগের রিসিপনিষ্ট এর কাছেই রয়ে গেছে।মেঘলাকে অনেকবার বল্লাম কিন্তু ও কারোর নাম্বার দিল না।
আকাশঃ কি সব বলছেন? কি হয়েছো ওর বলেই আকাশ তাড়াহুড়ো করে মেঘলার রুমে গেল।

আকাশঃ কি হয়েছে মেঘলা?
মেঘলাঃ এখব আসার কি দরকার ছিল? একবারেই আসতি মারা যাওয়ার পর কবর দিতে।
আকাশঃ কিসব বলছিস?
মেঘলার প্রচন্ড জ্বর এসেছে সাথে হালকা শ্বাসকষ্ট...ভাব্বেন না করোনা হয়েছে মেঘলা যখন পানিতে পড়ে গিয়েছিল ডাক্তার তখনি বলে দিয়েছিল ওর যেন ঠান্ডা না লাগে যদি ঠান্ডা লাগে শ্বাসকষ্ট হবে।
আকাশঃ এত জেদ কেন তোর? শরীর খারাপ একবার বলবি না?
মেঘলাঃবলব কেন আমি এতক্ষন ভিজেছি আমার যে শরীর খারাপ হবে তুই কি জানতি না? নাকি ডাক্তার কি বলেছিল ভুলে গেছিস?
আকাশঃউফফ তুই আসলেই একটা...যাক গে কি খাবি বল নিয়ে আসি আর সাথে ওষধ ও নিয়ে আসি।
মেঘলাঃ খাব না কিছু।
আকাশঃ বুঝেছি থাক তুই আসতেছি।
মেঘলা এবার মন খারাপ করে বলল না তুই যাস না আমার সাথে থাক...
আকাশ মেঘলার কথা না শোনেই বাইরে চলে  গেল আর কিছুক্ষন পর খাবার আর ওষধ নিয়ে এসে জোর করেই মেঘলাকে খাওয়ালো।
আরপর মেঘলার মাথায় কিছুক্ষন জলপট্টি দিয়ে বলল মেঘলা এবার তুই একটু ঘুমা আমি যাই সকালে আবার আসব।
আকাশ এটা বলার সাথে সাথেই মেঘলা আকাশের হাত আখরে ধরে বলল যাস না ভাইয়া খুব খারাপ লাগছে আজ তুই আমার সাথে থাক না প্লিজ।
আকাশঃমেঘলা এখানে তো ছেলেদের আসাই নিষেধ নেহাৎ ফুফিমনি তোকে ভর্তি করার আগেই কন্ডিশন দিয়েছিল তাই আমাকে আসতে দেয় তাই বলে রাতে থাকা যাবে? বোকা মেয়ে। থাক তুই আমি আবার সকালে আসব বলে আকাশ মেঘলার হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিল।
আকাশ বেরিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামছিল তার নিজেরো মেঘলাকে এভাবে রেখে যেতে ইচ্ছা করছে না।
আকাশ বাইরে আসতে আসতে ভাবল মেঘলাকে  কয়েকটা চকলেট কিনে দিয়ে যাই তাহলে হয়ত মনটা একটু ভাল হবে ভেবেই আকাশ কয়েকটা চকলেট নিয়ে আবার মেঘলার রুমে গেল।

কিন্তু রুমে গিয়ে দেখল মেঘলা বালিশে মুখগুঁজে ফুফিয়ে ফুফিয়ে কাঁদছে।
আকাশ গিয়ে নিশব্দে মেঘলার পাশে বসে মেঘলার  মাথায় হাত রাখল। মেঘলা চমকে উঠল।
আকাশঃ কান্নার কারন কি আমি চলে যাওয়া?
মেঘলা খুব আগ্রহ নিয়ে চোখ মুছতে মুছতে বলল আবার আসলি....!!! থাকবি...??
আকাশঃ না.. 
মেঘলা আবার কেঁদে দিল।
আকাশ মেঘলার চোখ মুছে দিয়ে বলল তবে তোকে নিয়ে যাব। 
মেঘলাঃ সত্যি..??
আকাশঃ হুম...
আকাশ মেঘলাকে নিয়ে বাসায় নিয়ে গেল আর ড্রয়িং রুমের বিছানায় মেঘলাকে শুতে বলল। সবাই এসে তো মেঘলাকে নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে গেল কারন সবাই মেঘলাকে আদর করে।
তবে মেঘলার অনেক বকাও শুনতে হয়েছে আকাশের বাবা আকাশকেও বকা দিয়েছে কারন ওর জন্যই মেঘলা ভিজেছে।
রাত ১১ টা সবার এখন ঘুমানোর পালা।
ছোট মাঃ মেঘলা আমার সাথে ঘুমাবি?
মেঘলা আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল না মা ভাল লাগছে না আমি এখানেই থাকি।
ছোট মাঃ আচ্ছা.. 
একে একে সবাই চলে গেল আকাশ এখনো বসে আছে।
অর্কঃ ভাইয়া যাবি না?
আকাশঃ হুম তুই যা আমি আসছি...
আকাশঃ মেঘলা আমি যাই?
মেঘলাঃ থাক না প্লিজ....
আকাশ ধমক দিয়ে বলক সব কিছুতেও বাড়াবাড়ি ভাল লাগে না বাসায় নিয়ে এসেছি না? তাহলে আবার কিসের প্যান প্যান? ঘুমা।
মেঘলাঃ তাহলে আর একটু থাক।
আকাশঃ পারব না বলে অর্ক কে নিয়ে চলে গেল।
সবাই সবার মত ঘুমিয়ে গেছে মেঘলাও এতক্ষনে ঘুমিয়ে গেছে।
অর্ক রাতে পানি খাওয়ার জন্য ড্রয়িং রুমে গেল।
অর্কঃ ভাইয়া তুই ঘুমাবি না?
আকাশঃ ঘুম পায় নি তাই বসে আছি।আকাশ মেঘলার হাত ধরে পাশেই বসে আছে।তবে মেঘলা গভীর ঘুমে।
আকাশঃআচ্ছা অর্ক আমি এখানে থাকলে কি খুব খারাপ হবে ব্যাপারটা?
অর্কঃ থাক না কি সমস্যা? এটা তো আর পার্সনাল কোনো রুম না ড্রয়িং রুম যার যখন ইচ্ছা আসতেছে যাচ্ছে সব ঘর থেকেই ড্রয়িং রুম দেখা যায় খারাপ কিছু ভাবার তো কিছু নেই।কিন্তু তুই সারা রাত বসে কাটাতে পারবি?
আকাশঃ  রাত তো প্রায় শেষ বাকি সময়টুকু থাকতে পারব।
অর্কঃ এত ভাবিস ওর জন্য ওকে কিন্তু সামনা সামনি বুঝতে দিস না কেন?যখন ও বলল থাকলেই পারতি।
আকাশঃ মেঘলা অযথা অনেক বায়না করে আমি তখন রাজি হলে মাথায় চড়ে বসত তাই ঘুমিয়ে যাওয়ার পর আসলাম।
অর্কঃ আচ্ছা থাক তাহলে আমি যাই


সকালে ছোট মা রান্না করতে রান্না ঘরে আসল কিন্তু এসে অবাক হল। 
ছোট মাঃ কি ব্যাপার আকাশ এত সকালে তুই রান্না  ঘরে ক্ষিদে পেয়েছে নাকি...??
আকাশ চমকে উঠে বলল না মানে আমি একটু স্যুপ বানাতে চাইছিলাম।
ছোট মাঃ আমাকে ডাকলেই পারতি যে ছেলে পানিটাও নিয়ে খায় না সে এত ভোরে স্যুপ বানাচ্ছে মানে তো খুব ক্ষিদে পেয়েছে তাই না? সর আমি রান্না করে দিচ্ছি।
আকাশঃ না মানে এটা আমার না মেঘলার জন্য আসলে সবার সামনে বানালে কি ভাব্বে তাই কেউ উঠার আগেই বানাতে চেয়েছিলাম। 
ছোট মাঃ মেঘলার কপাল টা খুব ভাল তুই কত খেয়াল রাখিস ওর।কিন্তু আকাশ তোর মা এসব জানলে কি হবে জানিস?
আকাশঃ জানি ছোট মা।তাই তো যাতে না জানে সেভাবেই থাকার চেষ্টা করি আমি চাইলেই মেঘলা এই বাসায় থেকে পড়াশুনা করত কিন্তু আমি জানি এখানে থাকলে ঝামেলা হবে তাই ওকে এখানে আনতে চাই না মেঘলা এখনো অবুঝ আমিও ততটা বড় নই আমাদের পাগলামি কেউই মেনে নিবা আমি সেটা বুঝি ছোট মা।কিন্তু কি করব মেঘলটা যে আমার উপড় খুব নির্ভশীল।

ছোট মাঃ কথা শুনে কে বলবে যে এই ছেলে কেবল উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ে। মাসাল্লাহ বাবা তোর ব্যবহারে তুই সব কিছু জয় করতে পারবি।
আকাশঃ হয়েছে আর পাম দিতে হবে না আমি এখন যাই তুমি একটু স্যুপটা একটু দিয়ে যেও মেঘলাকে বলো না যে আমি বানিয়েছি ও জানলে সারাবাড়িতে ঢোল বাজিয়ে জানান দিবে।
আকাশ গিয়ে মেঘলাকে ডাকল। 
আকাশঃ এখন কেমন লাগছে..??
মেঘলাঃ জানি না।
আকাশঃ আবার কি হল...
মেঘলাঃ কথা বলবি না আমার সাথে আমার কথা শুনিস না তুই।
আকাশঃ শুনার মত হলে ঠিকি শুনতাম। যা ফ্রেশ হয়ে আয় ওষধ খেতে হবে 
মেঘলাঃ তোর ওষধ তুই ওই খা।
আকাশঃ মেঘলার বাচ্চা ভালই ভালই বলছি
মেঘলাঃ তুই আমায় বকা দিলি...??
আকাশঃ না বকা দেই নি কান্না করিস না প্লিজ।
যা না প্লিজ। 
মেঘলাঃ যাচ্ছি যাচ্ছি...
মেঘলা আকাশের ওয়াশরুমে গেল আকাশ নিজেও অর্কের রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে মেঘলাকে ডাকতে আসল।
আকাশ ডাকতেই মেঘলা ওয়াশরুম থেকে ব্রাশ হাতে বেরিয়ে আসল।
আকাশঃ এতক্ষন লাগে?
মেঘলাঃ না ভাবতে ভাবতে একটু দেড়ি হয়ে গেল।
আকাশঃবিশ্বযুদ্ধ করবি নাকি যে হিটলারি বুদ্ধি করতেছিলি?
মেঘলাঃ অনেকটাই তাই আসলে তোর ব্রাশ দিয়ে দাঁত মেজেছি তো তুই কি বলবি সেটাই ভাবছিলাম।
আকাশঃ কি...
মেঘলাঃ এটা তোর না...??
আকাশঃ ওহ গড... ইয়াক ছি তুই কি কখনো মানুষ হবি না?
মেঘলাঃ তোর মানেই তো আমার তাই না তাহলে কি সমস্যা..এটা তুই ইউজ করিস রেখে গেলাম।

আকাশঃ এটা নিয়ে সোজা ডাস্টবিনে ফেলবি ফাউল মেয়ে। 
মেঘলাঃ বল্লেই হলো
আকাশঃ আমি পাগল হয়ে যাব।
মেঘলাঃ আচ্ছা আমি তোর দেখা শোনা করব নি চিন্তা করিস না।
আকাশ রাগে বাইরে চলে গেল।মেঘলা নিচে গিয়ে কম্বল টেনে বসে পড়ল ছোট মা স্যুপ দিয়ে গেল। 
মেঘলাঃ ওয়াও আমার ফেবারিট স্যুপ... থাংকিউ ছোট মা।মেঘলা সবটাই খেয়ে নিল।
এবার আকাশ আসল...
আকাশঃ নে পানি খা।সাথে ওষধ টাও
মেঘলাঃ তোর হাতে আমি বিষও খাব না।
আকাশঃ বিষ এমনেতেই কেউ খায় না। 
মেঘলাঃ খাব না কিছুই খাবনা তুই আমায় বকা দিলি কেন?
আকাশঃ কখন বকা দিলাম?
মেঘলাঃ একটু আগে ব্রাশের জন্য...
আকাশঃ খা বলছি না হলে জোর করে গিলাব।
মেঘলাঃ খাব না 
আকাশ অনেক জোর করে ব্যার্থ হল এবার অনুরোধ করতে শুরু করল।
আকাশঃ খেয়ে নে প্লিজ।
মেঘলাঃ খেতে পারি এক শর্তে
আকাশঃ কি শর্ত?
মেঘলাঃ যদি আইস্ক্রিম কিনে দিস
আকাশঃ তোর ঠান্ড লেগেছে তার মধ্যে আইস্ক্রিম? 
মেঘলাঃ জানতাম দিবি না আমিও ওষধ খাব না।
আকাশঃ তুই খাবি তোর ১৪ গুষ্ঠি খাবে। বাসায় তোর সাথে জোরাজোরি করতে চাইছিলাম না কিন্তু তুই ভাল কথার মেয়ে না বলে আকাশ এসে মেঘলার মুখ চেপে ধরে ওষধ খায়িয়ে দিল।

মেঘলাঃ বাজে ছেলে একটা বলিস মেয়েদের টাচ করিস না অথচ কথায় কথায় টাচ করিস।
আকাশঃ তুই মেয়ের মধ্যে পড়িস? তোর কোন আচারনেই মেয়ের মত না ইনফেক্ট তোর আচারন কোন সুস্থ মানুষের মতই না তুই একটা সাইকো।
মেঘলাঃ ঠাডা পড়ুক তোর উপড়।
আকাশঃ অনেক ডিউটি করেছি এবার আমি যাচ্ছি একদম বিরক্ত করবি না।
মেঘলাঃ কোথায় চাস এখানে বস...
আকাশঃ মানে কি?
মেঘলাঃ গল্প করব তোর সাথে।
আকাশঃ খেয়ে কাজ নাই আমার...??
মেঘলাঃ চল একটা গল্প শোনাই...
আকাশ সারারাত মেঘলার পাশে বসে ছিল তাই তার খুব ঘুম পেয়েছে কিন্তু মেঘলা তাকে যেতে দিচ্ছে না বসিয়ে বসিয়ে গল্প শুনাচ্ছে।
মেঘলার মুখে খই ফুটছে কিন্তু আকাশের কোন রেস্পন্স নেই।
মেঘলাঃ আমি তো কিছু বুঝলাম না তুই কি আমার কথা শুনতে পাচ্ছিস?
আকাশঃ আমার ঘুম পেয়েছে মেঘলা আমাকে যেতে দে প্লিজ।

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 

সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।


চলবে ...

৫ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা মনা হোসাইনের মূল নাম গাজী পিংকি হোসেন। তিনি লেখালেখির ক্ষেত্রে ছদ্মনাম হিসেবে ‘মনা হোসাইন’ নামটি বেছে নিয়েছেন। বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলার বাসিন্দা এই লেখিকা অনলাইন ডিজিটাল মার্কেটার ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে কাজ করছেন।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন