উপন্যাস       :        তোমায় ঘিরে - ২
লেখিকা        :         জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         ২৯ নভেম্বর, ২০২২ ইং

লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “তোমায় ঘিরে - ২” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। লেখিকা এটি “তোমায় ঘিরে” উপন্যাসের দ্বিতীয় সিজন হিসেবে লিখেছেন। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হল। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের নভেম্বরের ২৯ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
তোমায় ঘিরে - ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান - Bangla Golpo - Kobiyal - কবিয়াল
তোমায় ঘিরে - ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান

1111111111111111111111

১২ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

তোমায় ঘিরে- ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ১৩)

আরাফ মেহরাব আদ্রিতা আদ্রিয়ান নিলয় কেউই আরিয়ানকে খুজে পেলো না।নিলয় এর সব রাগ মেহরাব এর উপর যেয়ে পড়লো।
বাসায় এসে সবাইকে নূর এর রুমে ডাকা হলো।মেহরাব আসতেই নিলয় সকল রাগ নিয়ে মেহরাব এর উপর চড়াও হলো।
নিলয়ঃদেখেছিস নূর?দেখ ভালো করে।এই ছেলেকেই তুই ভালোবেসেছিলি।আর এই ছেলেই  আজ তোর মানসম্মান শেষ করে দিলো। একটা বার ও ভাবলো না বিয়ের আসর থেকে কোনো মেয়ের বিয়ে ভেঙে গেলে তাকে সারাজীবন তিরস্কার সহ্য করতে হয়।সমাজের কেউ তাকে মেনে নেয় না।মানুষ তাকে খারাপ খারাপ নামে ডাকে।
নূর কথা গুলো শুনে কাদতে লাগে।নিলয় আরো কিছু বলতে যাবে তখনই মেহরাব গর্জন করে উঠলো।
মেহরাবঃঅনেক বলে ফেলেছো বাবাই। যা বলার আমাকে বলো।নূর পাখিকে কেন কথা শুনাচ্ছো।
আর আমিই কিছু করিই নাই।আমি কেন তোমাদের মান  সম্মান  নষ্ট করবো।তোমাকে বাবা ডাকি আমিই!
নিলয়ঃআর কত নাটক করবি মেহরাব?আজ থেকে চার বছর আগেও এমনই এক নাটক সাজিয়ে আমার আর আরাফ এর বন্ধুত্ব ভেঙে দিয়ে চলে গিয়েছিলি।আজ আমার আর আমার মেয়ের সর্ম্পক ভাংগার ষড়যন্ত্র করছিস?
নূরঃচার বছরে আগে কি হয়েছিলো বাবা?
নিলয়ঃতোর মনে আছে মেহরাব যেদিন দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলো সেদিন তুই কাদতে কাদতে বাসায় এসেছিলি মেহরাব এর জন্য!তার শাস্তি সরূপ মেহরাব দেশ ছেড়ে চলে যায়।আর এর জন্য আরাফ আমার সাথে বন্ধুত্ব শেষ করে ফেলে।
নূরঃমেহরাব এর জন্য!!এটা তোমাকে কে বলেছে?
নিলয়ঃআমি জিজ্ঞেস করায় তো তুই মেহরাব এর নামই বলেছিলি।
নূরঃহ্যা।বলেছিলাম।কিন্তু পুরো কথা শেষ হওয়ার আগেই আমি জ্ঞান হারাই।আমার পুরো কথাটা ছিলো মেহরাব ভাইয়া আমাকে বাচিয়েছে।
নিলয়ঃমানে?
নূরঃসে দিন কিছু ছেলে আমার পিছু নিয়েছিলো।আর খুব বাজে বাজে কথা শুনাচ্ছিলো।আমার কাছে 
মেহরাবঃনূরররর।একদম চুপ।আর একটা লাইন ও বলবে না।
নূরঃআমাকে তো বলতেই হবে।আজকে বাবার জানতে হবে যে আপনার দোষ ছিলো না।
বাবা।মেহের আমাকে তাদের থেকে বাচায়।কিন্তু আমি সেই ঘটনা নিতে পারি নাই।তাই জ্ঞান হারাই।কিন্তু এর জন্য আপনি ওকে শাস্তি দেন?
মেহরাবঃবাবাই আমাকে কোনো শাস্তি দেয় না।আমি নিজ ইচ্ছায় দেশ ছেড়েছিলাম।
নিলয়ঃমানলাম সেই ঘটনার জন্য মেহরাব দায়ী না কিন্তু আজকের ঘটনার জন্য মেহরাবই দায়ী। আমি খুব ভালো করে জানি আরিয়ানকে মেহরাবই কিডন্যাপ করেছে।
নবনি আরাফ এর দিকে তাকিয়ে আছে।এতো কিছুর মাঝে আরাফ কিছুই বলছে না।কিন্তু নবনির ছেলের উপর লাগানো অপবাদগুলো সহ্য হলো না।নবনি কিছু বলতে যাবে তখনই আরাফ নবনির হাত চেপে ধরলো।
আরাফঃভুলে যেও না নবনি মেহরাব এর সামনে আরো কঠিন কঠিন লড়াই অপেক্ষা করছে।আজকের লড়াই ওকেই লড়তে দাও।আজ তোমার হবু বউমার ও পরীক্ষা।নূর যদি আজ মেহরাব এর পাশে না দাঁড়ায় তাহলে বুঝে নিবো নূর মেহরাব এর জীবনসজ্ঞীনী হওয়ার যোগ্যতা রাখে না।কারন মেহরাব সামনে পথ গুলো চলতে তার পাশে নূরকে প্রয়োজন হবেই।তুমি আমি সারাজীবন তাকে আগলে রাখতে পারবো না।নূরকে আজ মেহরাব এর পাশে দাড়াতে হবেই।এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবেই।
নিলয় মেহরাব এর উপর রেগে অনেক কিছু শোনাচ্ছে।মেহরাব এর স্থির দৃষ্টি নূর এর উপর।
নিলয়ঃবল কোথায় রেখেছিস আরিয়ানকে?আজ এউ বিয়ে ভাংলে আমি তোকে ছাড়বো না।আমি তোকে জেলে দিয়ে দিবো।
নূরঃব্যাস!!অনেক হয়েছে বাবা।এইবার থামো।আমি মানি না মেহরাব এমন কিছু করেছে।সারা দুনিয়া এক হয়ে বললেও আমি মানবো না মেহরাব আমার ক্ষতি হবে এমন কিছুর কথা ভাববেও।
নিলয়ঃতুই ওর মাসুম চেহারায় গলে যাচ্ছিস মা।তুই জানিস না ও তোর জন্য কতটা পাগল।ও সব করতে পারে তোর জন্য।
নূরঃহ্যা।উনি সব করতে পারেন আমার জন্য।যেমন আমাকে আরিয়ান এর কাছে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিলেন!!তুমি রাগে কিছুই দেখতে পারছো না বাবা।মেহরাব এমন করতেই পারে না।মেহরাব এর মধ্যে নবনি মামনি শিক্ষা আছে।আর আরাফ বাবা ও মেহরাবকে  নিষেধ করেছেন আমার বিয়েতে বাধা দিতে।মেহরাব কখনো এই আরাফ বাবাই উপরে যাবেন না।
এক আল্লাহ ছাড়া আর কারো কথাই আমি মানবো না যে মেহরাব ভুল হতে পারে।তুমি যদি বলো আমি অন্ধ বিশ্বাস করি তো হ্যা করি আমি অন্ধ বিশ্বাস। আমি মেহেরকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করি।
নিলয় স্তব্ধ হয়ে গেলো নূর কথা গুলো শুনে। নূর আজ পর্যন্ত কখনো নিলয়ের উপর কথা বলে নাই।নিলয় ভুল হলেও সে তা চুপচাপ মেনে নিয়েছে।কিন্তু আজ নূর এর এই রূপ তার কাছে বড্ড অচেনা।
নবনিও অবাক চাহনীতে আরাফ এর দিকে তাকালো।আরাফ বাকা হাসি দিলো।
মেহরাব ঠোঁট গুলো প্রসার করে প্রশান্তিময় হাসি দিলো।এমন একটা নূরকে দেখার জন্য তার চোখ দীর্ঘকাল পিপাসিত ছিলো।মেহরাব খুব করে চাইতো নূর তার জন্য রুখে দাঁড়াবে।আর আজকে নূর তা করে দেখিয়েছে।
নিলয় ভাবছে তার হাত থেকে সব ছুটে যাচ্ছে।একদিকে নূর এর প্রতিবাদী ব্যবহার। আর একদিকে বাইরে মেহমান বর এর জন্য অপেক্ষা করছে।
আরাফঃমেহরাব চলো এখান থেকে।এখানে তুমি অপমান ছাড়া কিছুই পাবে না।
নবনি মেহরাব এর হাত ধরে বেড়িয়ে আসতে নিলে নিলয় বাধা দেয়।
নিলয়ঃদাড়ান নবনি ভাবী।
নিলয় মেহরাব এর মুখোমুখি দাড়ায়।
নিলয়ঃবিয়ে করবে আমার মেয়েকে?
মেহরাব কথাটা শুনে নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না।
নিলয়ঃবলো করবে বিয়ে? আমার মেয়ের তোমার প্রতি অটুট বিশ্বাস। আমি সেই বিশ্বাস এর উপর বিশ্বাস করে দেখতে চাই।রাখবে আমার মেয়েকে নিজের রাজ্যে রানী করে?পারবে আমার মেয়েকে সব বিপদ থেকে রক্ষা করতে?
মেহরাব আরাফ এর দিকে তাকিয়ে আছে।নিলয় মেহরাব এর দৃষ্টি অনুসরন করে আরাফ এর সামনে যেয়ে দাঁড়ায়।
নিলয়ঃআমি বলেছিলাম আমার মেয়ে থেকে তোর ছেলেকে সরিয়ে নিতে। আজ আমিই বলছি তোর ছেলের বাধন গুলো খুলে দে।আমার মেয়ে আজ বিয়ের আসর থেকে খালি হাতে উঠতে পারবে না।আরাফ।তুই আমার মেয়েকে তোর ছেলের বৌ করে ঘরে তুলে নে।
এই পরিস্থিতিতে তোকে ছাড়া আমি আর কাউকেই বিশ্বাস করতে পারি না।আমার মেয়ে তোর ঘর ছাড়া আর কোথাও নিরাপদ থাকবে না।
নবনি আরাফকে চোখ দিয়ে আশ্বস্ত করে হ্যা করে দেয়ার জন্য।
আরাফঃনা।এখন বিয়ে হবে না।
নিলয়ঃদোস্ত।
আরাফঃআমি বর যাত্রী নিয়ে আসছি।আমার বড় ছেলের বিয়ে আমি এমনি এমনিই দিয়ে দিতে পারবো না।আমার বৌমাকে রেডি কর।চল মেহরাব।
আরাফ মেহরাব নবনিকে নিয়ে বেড়িয়ে গেলো।নিলয়ের মলিন হাসলো।নূর নিলয়কে জড়িয়ে ধরলো।
নিলয়ঃতুই যদি আরো আগে প্রতিবাদ করতি তাহলে তোদের এতো কষ্ট পেতে হতো না নূর।আমি সব সময় মনে করতাম মেহরাব তোকে বাধ্য করছে।কিন্তু তুই যে মেহরাবকে এতোটা ভালোবাসিস তা কখনো অনুধাবন করতে পারি নাই।
ওয়ারদাঃআর কান্না কাটি করো না তোমরা।বর যাত্রীর আসার আগে সব ঠিক ঠাক করো।নূর যাও মেকাপ ঠিক করো।
গুলির শব্দে আরিয়ান চোখ বুঝে নিলো।কিছুক্ষন পর চোখ খুললো।
আরিয়ানঃভাই আমি কি বেচে আছি নাকি জান্নাতে চলে গিয়েছি?ব্যাথা পাচ্ছি না কেন?
আরিয়ান চোখ খুলে দেখে গুলিটা উপরে করা হয়েছে।
_গুলিটা ভুল জায়গায় করছিলাম তাই উপরে করে ফেলেছি বন্দুক।গুলিতো তোর বুকে করা উচিত ডক্টর আরিয়ান চৌধুরী। মানুষের বুকে আঘাত করিস তো আমি তোর বুকেই আঘাত করবো।
আরিয়ান হা করে শুনছে।
আরিয়ানঃআমি নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছি না।তুমিইইইই!!তুমিই আমাকে কিডন্যাপ করেছো।না না এটা হতে পারে না।
আমি আমার চোখ নামক লাইফ লাইনটা ব্যবহার করতে চাই।একটু মুখোশটা খুলবে?
ব্যাক্তিটা মুখোশ খুলে ফেলে।আরিয়ান হা করে তাকিয়ে আছে সামনে দাঁড়ানো ব্যাক্তিকে দেখে।মুখোশ খোলার সাথে সাথে এক গোচ্ছা চুল ঝিটকে পড়লো আরিয়ান এর মুখে।মন মাতানো সুভাস ছড়িয়ে গেলো।ঠোটে গোলাপি কালার এর লিপ্সটিক।চোখে ঘন কালো কাজল।কথা বলার সময় চোখের পাপড়ি গুলো ঘন ঘন নড়ছে।এই যে আরিয়ান এর মন রাজ্যের একমাত্র রানী।
আদ্রিতা চৌধুরী। 
আরিয়ানঃআদ্রিতা!!!!
আদ্রিতাঃহ্যা আমি।তোর সাহস তো কম বড় না। আমাকে মনে বসিয়ে রেখে অন্য একটা মেয়ের সাথে বিয়ের পিড়িতে বসাতে যাচ্ছিলি।তোর হার্ট এ শুট করে বুক চিড়ে হ্রদয়টা বাইরে বের করে ফেলবো আমি।একদম মেরেই ফেলবো তোকে।
আরিয়ানঃওরে আমার হরিনী দেখি বাঘিনীর রূপ ধারন করেছে।হায়!তোমাকে এভাবে দেখেইতো আমার ছোট্ট খাট্ট একটা হার্ট এট্যাক হয়ে গিয়েছে।
তবুও আমাকে মেরে যদি তোমার শান্তি হয়। তাহলে মারো আমাকে।মেরে ফেলো আমাকে আদ্রিতা চৌধুরী। 
আদ্রিতা গুলি করতে পারলো না।বন্দুকটা নিচে পড়ে গেলো।
আরিয়ানঃহাত খুলো আমার।
আদ্রিতাঃনা।রিস্ক নেয়া যাবে না।আর বস এর নিষেধ আছে।
আরিয়ানঃবসটা আবার কে?
আদ্রিতাঃকিডন্যাপাররা বসের নাম বলে না।
আরিয়ানঃআসছে আমার প্রফেশনাল কিডন্যাপার।
আদ্রিতা রেগে তাকালো আরিয়ান এর দিকে।
আরিয়ানঃআচ্ছা।আচ্ছা।পালাবো না। সত্যিই।খুলো।বিশ্বাস করো না?
আদ্রিতাঃএকদমই না।
আরিয়ানঃখুলতে বলছি না? আরিয়ান কথাটা ধমক দিয়ে বললো।
আদ্রিতাঃওই সাহস তো কম বড় না।কিডন্যাপারকে ধমক দেন।থাকেন আপনি আমি গেলাম।ভাইয়ার বিয়ের পর ছেড়ে দিবো ভেবেছিলাম কিন্তু আর ছাড়বো না।এখানে পড়ে থাকেন।পড়ে পড়ে বুড়ো হয়ে যাবেন।এই জন্মের আর বিয়ে করতে পারবেন না।
আরিয়ানঃওই না।দাঁড়াও।যেও না।হাতটা খুলো প্লিজ। আমি কিছুই করবো না।প্রমিজ।
আদ্রিতাঃসত্যিইতো?
আদ্রিতা অনেক ভেবে হাতটা খুলেই দিলো।কিন্তু পা খুললো না।
আদ্রিতাঃপা খুলবো না।একদম চালাকী করবেন না।করলে ডিরেক্ট পায়ে শুট করে দিবো।আমি কিন্তু প্রফেশনাল শুটার।
আরিয়ানঃআর কি কি পারো?আমারতো ভয় করছে।
আদ্রিতাঃভয় পাওয়া ছেলেদের আমার খুব ভালো লাগে।
আরিয়ান হাত ধরে টান দিয়ে আদ্রিতাকে কোলে বসিয়ে নিলো।
আরিয়ানঃআর কি কি ভালো লাগে?
আদ্রিতাঃছাড়ুন আমাকে। 
আরিয়ানঃশিইসসসসস।
আরিয়ান আদ্রিতাকে জড়িয়ে ধরলো।
আদ্রিতাঃইতিহাস এ এমন কেউ আছে যে নিজের কিডন্যাপার এর সাথে রোমান্স করে?
আরিয়ানঃইতিহাস এ তো এমন আদ্রিতাও নেই যে নিজের ভালোবাসাকে আগলে রাখতে তার আরিয়ানকে কিডন্যাপ করে।
আদ্রিতা ভীষন লজ্জা পেলো।আরিয়ান আদ্রিতার ঘাড়ে নিজের থুতনি রাখলো।
আরিয়ানঃজ্বর আসছিলো আবার?
আদ্রিতাঃতার মানে কালকে রাতে  আপনি সত্যিই এসেছিলেন?
আরিয়ানঃহ্যা।আর তুমি আমাকে যেতেই দাও নাই।জানো?আর কতো কিছু করলে আমার সাথে। আমি আর কাউকে চেহারা দেখাতে পারবো না। আমার সব মান সম্মান লুটে নিয়েছো তুমি।এখন আমাকে কে বিয়ে করবে?কি হবে আমার!!
আদ্রিতাঃএতো ওভার এক্টিং করেন কি করে?আপনি আসলেই ডাক্টার নাকি এক্টার?
আরিয়ানঃআরিয়ান এর টেলেন্ট সর্ম্পকে তোমার কোনো ধারনা নেই।
আরিয়ান কথাটা বলে চুলে ব্রাশ করলো।
আদ্রিতা খিল খিল করে হেসে দিলো।
তখনই কারো গাড়ির হর্নের শব্দ পেলো।আদ্রিতা সাথে উঠে যেয়ে আরিয়ান এর হাত গুলো বেধে দিয়ে মুখোশটা আবারো পড়ে নেয়।
আদ্রিতাঃএকদম চুপ থাকবেন।বস এসে পরেছে।
আরিয়ান অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে এই কিডন্যাপিং এর মূল চরিত্রকে দেখার জন্য।

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 

সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।


চলবে ...

১৪ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন