উপন্যাস       :        তোমায় ঘিরে - ২
লেখিকা        :         জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         ২৯ নভেম্বর, ২০২২ ইং

লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “তোমায় ঘিরে - ২” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। লেখিকা এটি “তোমায় ঘিরে” উপন্যাসের দ্বিতীয় সিজন হিসেবে লিখেছেন। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হল। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের নভেম্বরের ২৯ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
তোমায় ঘিরে - ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান - Bangla Golpo - Kobiyal - কবিয়াল
তোমায় ঘিরে - ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান

1111111111111111111111

১১ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

তোমায় ঘিরে- ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ১২)

আরিয়ান জানালা দিয়ে মেহরাব এর রুমে প্রবেশ করে।অনুষ্ঠান থেকে মেহরাব ওইভাবে চলে আসায় আরিয়ান এর খুব টেনশন হচ্ছিলো।তাই মেহরাবকে দেখতে চলে আসে।কিন্তু মেহরাব এর রুমে আদ্রিতাকে দেখে থমকে যায়।আদ্রিতা বেড এ ঢেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে।
মেহরাব আর আদ্রিয়ান আদ্রিতার কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছে।আরিয়াম মুচকি হাসলো।
আরিয়ানঃএভাবে ঘুমালে তো আপনার ঘাড় ব্যাথা করবে আদ্রিতা। (মনে মনে)
আরিয়ান আস্তে আস্তে করে মেহরাব আর আদ্রিয়ান এর মাথা আদ্রিতার কোল থেকে নামিয়ে বালিশে রাখে।মেহরাব ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে ছিলো।তাই টের পায় না।আদ্রিয়ান একটু নড়ে চড়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ে।
আরিয়ানঃইশ!!আমি তো ভেবেছিলাম আদ্রিয়ান এখনি উঠে পড়বে।আল্লাহ বাচিয়েছে।
আরিয়ান এবার পা টিপে টিপে আদ্রিতার কাছে গেলো।তারপর আস্তে করে আদ্রিতাকে কোলে তুলে নিলো।আদ্রিতা অনেক দেরি করে ঘুমিয়েছে তাই উঠে নাই।বরং আদ্রিয়ান এর বুকে লেপ্টে ঘুমিয়ে রইলো।আদ্রিয়ান মেহরাব এর পাশের রুমটাতে আদ্রিতাকে শুয়ে দিলো। 
চলে আসতে নিলে আদ্রিতার বেসলেট এ হাত আটকে যায়।আরিয়ান আর যায় না।দরজাটা আটকে আদ্রিতার পাশে এসে বসে।
আরিয়ানঃআমার ঘুম কাতুরে পরী।
আরিয়ান আদ্রিতা গালে হাত রাখলো।আদ্রিতার গাল ভীষন উত্তপ্ত হয়ে আছে।আরিয়ান অস্থির হয়ে উঠলো।
আরিয়ানঃআপনারতো জ্বর।সবার খেয়াল আপনি রাখবেন আর আপনার খেয়ালটা কে রাখবে?
আদ্রিতা জ্বরে ঘোরে বিড়বিড় করছে।আরিয়ান বুঝতে না পেরে কানটা আদ্রিতার ঠোঁট এর কাছে নেয়।
আদ্রিতাঃডাক্টারসাহেব।আপনি কি সত্যিই এসেছেন?নাকি প্রতিদিন এর মতোই স্বপ্ন দেখছি আমি?
আরিয়ানঃস্বপ্ন দেখছেন।
আদ্রিতাঃস্বপ্নেও আপনি করে বলতে হবে?তুমি করে বলতে পারেন না?
আরিয়ান অবাক হয়ে গেলো।
আরিয়ানঃআপনি তুমি ডাক শুনতে চান?
আদ্রিতা আরিয়ানকে জড়িয়ে ধরলো।
আদ্রিতাঃকোথাও যাবেন না আজকে।আমার কষ্ট হয় আপনাকে ছাড়া থাকতে।বাজে অভ্যাস হয়ে গিয়েছেন আপনি আমার।
আরিয়ানঃবাজে অভ্যাস তো ছেড়ে দিতে হয়!
আদ্রিতা ঘুমিয়ে পড়ে।আরিয়ান আদ্রিতা কপালে হাত রেখে দেখে জ্বর বেড়ে চলছে।আরিয়ান পকেট থেকে জ্বরের ওষুধ বের করে আদ্রিতাকে খাওয়ায় দেয়।
আরিয়ানঃযাক।আজ প্রথমবার মনে হলো ডাক্টার হয়ে লাভ হয়েছে।এই যে প্রয়োজনীয় মেডিসিন নিজের কাছে রাখি।আর এখন আপনাকে দিতে পারলাম।
আদ্রিতা জ্বরের ঘোরে অসম্ভব কাপছে।আরিয়ান আদ্রিতাকে চাঁদর উড়িয়ে দিয়ে নিজের সাথে জড়িয়ে রেখেছে।আদ্রিতা এখন ও বিড়বিড় করছে।
আরিয়ান কাছে গেলে শুনতে পায়।ডাক্টার সাহেব আমার গান না শুনলে ঘুম আসে না।গান ছাড়বেন ফোনে?
আরিয়ান তাড়াহুড়ো করে আসায় ফোন আনে নাই।আর আদ্রিতার ফোন এর পাসওয়ার্ড ও জানা নেই।আদ্রিতা গান না ছাড়ায় রেগে উঠে পড়ে।আরিয়ান আদ্রিতাকে টেনে এনে আবারো জড়িয়ে ধরলো।
আরিয়ান~
Hai dil ye mera mujhe
Hardum ye poochta
Kyun hai mujhe
Tujhse itni wafa
Kyun teri hasrat
Hai har khwahish
Se badhkar mujhe
Kyun naam tera
Hi leti zubaan
আদ্রিতা আরিয়ানকে জড়িয়ে ধরে চুপ করে রইলো।আরিয়ান আদ্রিতা চুলে আস্তে আস্তে করে বিলি কেটে দিতে লাগলো।
Saathi tera bann jaaun
Kyun hai yeh junoon
Har aansun tera pee jaaun
Or de du sukoon
Har din tujhko chaahun
Teri raah takun
Apni baahon mein tujhko
Main salamat rakhun
আদ্রিতাঃনূরকে বিয়ে করবেন না ডাক্টার সাহেব।আমি আপনাকে অন্য কারো সাথে দেখতে পারবো না।
আরিয়ান~
Tere hi baare mein
Hai ab har zikr mera
Huaa hai kaisa
Asar yeh tera
Koi naseehat na
Chaahun main koi salaah
Jo rooh ne mere
Tujhe chun liya
Saathi tera ban jaaun
Kyun hai yeh junoon
Har aansun tera pee jaaun
Aur de du sukoon
Har din tujhko chaahun
Teri raah takun
Apni baahon mein tujhko
Main salaamat rakhun
আদ্রিতার চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে।আরিয়ান পানি মুছে দিয়ে।আদ্রিতার মাথায় চুমু দিলো।
Hai dil khamakhaa
Pareshan badaa
Isko koi samjah de zara
Ishq mein fanaa ho jaana
Hai dastoor yahi
Jisme ho sabar ki fitrat
Wo ishq hi nahin
Samajh bhi ja aye dil mere
Kya hai ye maajra
Saathi tera bann jaaun
Kyun hai yeh junoon
Har aansun tera pee jaaun
Aur de du sukoon
Har din tujhko chaahun
Teri raah takun
Apni baahon mein tujhko
Main salaamat rakhun.
আদ্রিতা ঘুমিয়ে পড়ে।জ্বর ও আগের থেকে কমে আসে।আরিয়ান আদ্রিতাকে বিছানায় রেখে চলে যায়।
সকালবেলা~
আদ্রিয়ান আর মেহরাব ঘুম থেকে উঠে নিলয়ের বাসায় চলে যায়।বিয়ের সব আয়োজন করতে।আরাফ নবনি রাতে বাসায় ফিরে নাই।ওখানেই ছিলো।আদ্রিতা ঘুম থেকে উঠে কাউকেই পায় না বাসায়।
আদ্রিতাঃআমার কেন মনে হলো আরিয়ান এসেছিলান?উনি কি সত্যিই এসেছিলেন?নাকি স্বপ্ন ছিলো আমার!ধুর উনি কি করে আসবেন।আমি যত্তসব উল্টাপাল্টা স্বপ্ন দেখি।
আদ্রিতা রেডি হয়ে নিলয়ের বাসার উদ্দেশ্য বেড়িয়ে পড়লো।
নূর এর হাতে মেহেদি লাগানো হচ্ছে।যে মেয়েটা লাগাচ্ছে সে মেয়েটা নূর এর ফোনে মেহরাব এর ওয়ালপেপার দেখে ভেবে নেয় এটাই নূর এর হবু স্বামী আর মেহরাব যেহেতু তাকে ঠিক করেছিলো মেহেদি লাগাতে তাই সে মেহরাব এর নামটাও জানতো।তাই সে হাতে মেহরাব লিখে দেয়।নূর অন্যমনস্ক ছিলো তাই খেয়াল করে নাই।
তিথি ব্যাপারটা খেয়াল করলো।
তিথিঃআর এ। আপনি এটা কি করলেন?আপু তাড়াতাড়ি হাত ধুয়ে ফেলো।
নূর তিথির কথায় হাতটা খেয়াল করে।তিথি পানি এনে নূর এর হাতটা ধুয়ে ফেলে।কিন্তু মেহরাব দামি কোন মেহেদি এনেছিলো।নামটা হাতে বসেই গেলো।
তিথিঃএটা কি হলো আপুনি।ভাইয়ার নামটাতো হাতে বসে গেলো।
নূরঃযার নাম তাকদিরে নাই তার নাম হাতে বসলে কিই বা হবে?
নূর উঠে চলে গেলো।তিথি কিছুই বুঝতে পারলো নূর এর কথা।
দেখতে দেখতে বিয়ের সময়টা এসে পড়লো।পুরো বাসা মেহমান এর গমগম করছে।বরযাত্রী আসার সময় হয়ে গিয়েছে।নিলয় সবকিছু খুব সাবধানে করিয়েছো।কারন আজকে বিয়েতে নিলয়য়ের খুব কাছের দূরের সকলে এসেছে। আর্মী হেড অফিসার থেকে নিয়ে বন্ধুবান্ধব,এমপি,মন্ত্রী সব আসবে আজকে।নিলয় শুধু কাছের মানুষদের বলেছিলো কিন্তু আরাফ সবাইকে দাওয়াত করে।পরিবার এর প্রথম সন্তান এর বিয়ে।আরাফ কোনো কমতিই রাখতে চায় নাই।
বর‍যাত্রি আসার সময় ৯টায় ছিলো।এখন ৯ টা পেরোয়ে ১০ টা বাজতে চলেছে তাদের কোনো সারাশব্দ নেই।নিলয় বেশ চিন্তিত হয়ে পড়ে।নিলয় আরিয়ান এর মা বাবাকে কল করে।তারা যা বলে তা শোনার পর নিলয়ের মাথায় হাত পড়ে যায়।
আরাফঃকি হয়েছে নিলয়?
নিলয়ঃআরিয়ানকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।
আরাফঃকিহহ!!কখন থেকে?
নিলয়ঃসারাদিন কেউ খেয়াল করে নাই। বর‍যাত্রী বের হওয়ার আগ থেকে সে গায়েব।
আরাফঃএটা কি বলছিস?আমাদের আগে জানায় নাই কেন!
নিলয়ঃএখন কি করবো রে?
আরাফঃআমি দেখছি লোক লাগিয়ে।
নিলয়ঃসাবধানে আরাফ।এই কথা বাইরে গেলে সব দোষ আমার মেয়ের উপর এসে পড়বে।নূর সহ্য করতে পারবে না।
আরাফঃএমন কিছু হবে না।আমি দেখছি।
আরাফ মেহরাব আদ্রিতা আদ্রিয়ান আদ্রিতাকে মেসেজ করে বেরিয়ে পড়ে।
মেহরাব মেসেজ পড়ে আরিয়ানকে কল দিতে থাকে। আরিয়ান এর ফোন বন্ধ।
আদ্রিয়ান দৌড়ে আসে।
আদ্রিয়ানঃভাইয়া।এটা কি হলো?আরিয়ান ভাইয়া কোথায় যেতে পারে?
মেহরাবঃআমি ও বুঝতে পারছি না।
আদ্রিয়ানঃএমনতো না উনি নিজের বিয়ে থেকে পালিয়েছেন?
মেহরাবঃনা। ও এইরকম ছেলেই না।ও নিজের জীবন দিবে তবুও কোনো মেয়ের সম্মানে আচ আসতে দিবে না।
আদ্রিতাঃভাইয়া।এমনতো না আরিয়ান কিডন্যাপ হয়েছে?
আদ্রিয়ানঃভাইয়া তুমিই তো বিয়ে আটকানের জন্য আরিয়ান ভাইয়াকে গায়েব করো নাই?
মেহরাবঃনা।আমি এটা করি নাই।কিন্তু কে করেছে?
আদ্রিতাঃসময় নষ্ট না করে আমাদের তাকে খোজা উচিত।সবাই আলাদা আলাদা খুজি।না জানি উনি কেম অবস্থায় আছেন?
মেহরাবঃহুম ঠিক বলেছিস।তোরা গাড়ি নিয়ে বের হ।আমিও যাচ্ছি।
আদ্রিতা আদ্রিয়ান বেড়িয়ে পড়লো।
আরিয়ান মুখ বাধা অবস্থায় চেয়ারে বসে আছে।তার সামনে কালো মুখোশধারী একজন দাঁড়িয়ে আছে।
আরিয়ানঃকে আপনি?আমাকে কেন এনেছেন এখানে?
মুখোশধারী ব্যাক্তিটা আরিয়ান এর মাথায় বন্দুক ধরে।আরিয়ান এর ঘাম ছুটতে লাগে।
আরিয়ানঃকি দোষ আমার?কেন মারতে চাচ্ছেন আমাকে?
গুলির শব্দ আসে।

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 

সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।


চলবে ...

১৩ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন