উপন্যাস : তোমায় ঘিরে - ২
লেখিকা : জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ২৯ নভেম্বর, ২০২২ ইং
লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “তোমায় ঘিরে - ২” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। লেখিকা এটি “তোমায় ঘিরে” উপন্যাসের দ্বিতীয় সিজন হিসেবে লিখেছেন। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হল। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের নভেম্বরের ২৯ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
তোমায় ঘিরে - ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান |
1111111111111111111111
২০ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
তোমায় ঘিরে- ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ২১)
আদ্রিয়ান ব্যাগ গুছাচ্ছিলো তখনই তিথি রুমে প্রবেশ করলো।
তিথিঃকোথাও যাচ্ছেন?
আদ্রিয়ানঃকথার টোন কি করে এতো চেঞ্জ হয়ে গেলো?
তিথিঃআমি তো সবসময় ভালো করেই কথা বলতাম আপনার সাথে।
আদ্রিয়ানঃওহ তাই নাকি।ভালো হলেই ভালো।
তিথিঃকোথায় যাচ্ছেন?ব্যাগ গুছাচ্ছেন কেন?
আদ্রিয়ানঃআমার ট্রেনিং শুরু হয়ে যাবে পরশু থেকে আজকে রাতেই রাওনা দিতে হবে।
তিথিঃকিহ!!আমার থেকে দূরে যাওয়ার জন্য মিথ্যা কথা বলছেন তাই না।
আদ্রিয়ানঃনিজেকে এতো ইম্পরটেন্স কেন দিচ্ছেন?আপনি ছাড়া ও আমার জীবনে অনেক কিছুই আছে।
তিথিঃএভাবে বলবেন না কষ্ট হয় তো।
আদ্রিয়ানঃযে বস্তু কষ্ট দেয় তার থেকে দূরে সরে আসতে হয়।
আদ্রিয়ান বের হয়ে যেতে নিলে তিথির আদ্রিয়ান কলার ধরে টেনে এনে বিছানায় ফেলে দেয়।
তিথিঃবদ,ইতর ছেলে।কখন থেকে সম্মান দিচ্ছি। সম্মান কি হজম হয় না নাকি!!
আদ্রিয়ান উঠে দাঁড়িয়ে কলারটা ঝেড়ে নিলো।
আদ্রিয়ানঃফাজিল মেয়ে।সম্মান দিয়ে অনেক উপকার করছিস আমার।
তিথিঃআদ্রিয়ান এর বাচ্চা। অনেক সাহস বেড়ে গিয়েছে?আসার পর থেকে একটুকু শান্তিও দিচ্ছিস না আমাকে।
আদ্রিয়ানঃকি বললি তুই?ধ্যাত। তোর সাথে কথাই কে বলে।বোকা নিবোর্ধ মেয়ে।
আজকে তো চলেই যাবো।তারপর থাকবি শান্তিতে।একবারে ২ বছর পর আসবো।যাবো আদ্রিয়ান চৌধুরী হয়ে আসবো বেস্ট আর্মী অফিসার অফ বাংলাদেশ ব্রাঞ্চ ক্যাপ্টেন আদ্রিয়ান চৌধুরী হয়ে।
তিথির চোখ গুলো ছলছল করছে।আদ্রিয়ান লাগেজ নিচে রেখে গিটারটা হাতে তুলে নিলো।
Mujhko de tu mit jaane
Ab khudse dil mil jaane
Kyu hai yeh itna fasla,
Lamhe yeh phir na aane
Inko tu na de jaane
Tu mujh pe khudko de luta,
Tujhe tujhse tod lun kahi khudse jod lun
Mere jismo jaan main aa teri khusboo odh loon.
Jo bhi saanse main bharoo unhe tere sang bharoo
Chahe jo ho rasta use tere sang chalu.
Dil Ibadat kar raha hai
Dhadkane meri sun
Tujhko main kar loon hasil lagi hai yehi dhun
তিথি আদ্রিয়ানকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো।আদ্রিয়ান মুচকি হাসলো।
তিথিঃআই এম সরি।আমার ভুল হয়ে গিয়েছে।আর কখনো করবো না।তোকে ছাড়া আর কারো দিকে তাকাবোও না। প্লিজ এই বার মাফ করে দে।
আদ্রিয়ানঃতুই রাগ ভাংগাতে পারিস না রে।
তিথিঃআমি কিছুই পারি না।শুধু ভালোবাসতে পারি তোকে। সত্যিই।তোর এই বোকা তিথি পাখিটা তোকে ছাড়া কিছুই বোঝে না।আমাকে তাড়িয়ে দিস না।আদ্রিয়ান।
আদ্রিয়ানঃআমি তো রেগে নেই তোর সাথে তিথি পাখি।তুই আমাকে মেরে ফেললেও আমি তা নিয়ে তোর সাথে রেগে থাকতে পারবো না।
তিথিঃকেন?
আদ্রিয়ান মুচকি হাসলো।তুই যে বোকা পাখি তাই।
তিথিঃএকদিন তুই ঠিকই বলবি ভালোবাসি।তিথি চ্যালেঞ্জ।
আদ্রিয়ানঃএমন কখনোই হবে না আদ্রিয়ান চ্যালেঞ্জ।
তিথিঃ৪ বছর পর দেশে এসেছিস।এখন আবার ২ বছরের জন্য চলে যাবি।না গেলে হয়না?
আদ্রিয়ানঃনা গেলে ক্যাপ্টেন কি করে হবো?আর তোকেই বা কিভাবে পাবো?তানভীর আংকেলতো দূরের কথা তোর আরাফ বাবাই বেকার ছেলের কাছে তোর হাত দিবে না।
তিথিঃআমরা পালিয়ে যাবো।
আদ্রিয়ানঃহা হা হা।খাওয়াবো কি আপনাকে?
তিথিঃনা খেয়ে থাকবো।
আদ্রিয়ানঃসব কিছুতো মুভি মনে হয় তোর কাছে।আর তুই কি জানিস না আমার জীবনে একমাত্র স্বপ্ন আর্মী জয়েন করা?
তিথিঃহুম।
আদ্রিয়ানঃবাধা হবি আমার পথের নাকি শক্তি?
তিথিঃশক্তি।
আদ্রিয়ানঃকে বলছে আমার তিথি পাখি বোকা পাখি।এই যে কত বুদ্ধিমতি।
আদ্রিয়ান দুই হাত বাড়িয়ে দিলো।
আদ্রিয়ানঃএখানে আসো।
তিথি আদ্রিয়ানকে জড়িয়ে ধরে ঝড়ঝড় করে কান্না করে দিলো।
আদ্রিয়ান তিথির মাথায় চুমু খেলো।
আদ্রিয়ানঃসরি তিথি পাখি।কিন্তু একজন আর্মী অফিসার এর লাইভ সহজ না।আর তার স্ত্রীর জীবন তার থেকেও কঠিন।আমাকে প্রায়ই দেশের জন্য বাইরে বাইরে থাকতে হবে।খুব কম সময়েই আমি তোকে দিতে পারবো।তোর এগুলো অভ্যাসে পরিনত করতে হবে।পারবি তিথি পাখি?
না পারলে কোনো সমস্যা নেই।আমি কখনো তোকে বাধা দিবো না।তুই ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বিজন্যাসম্যান যেকোনো পাত্রকে বিয়ে করতে পারিস।
তিথিঃচুপ।বেশি কথা বলেন আপনি।আমার ক্যাপ্টেন আদ্রিয়ানকেই লাগবে।
আদ্রিয়ানঃসত্যিই?
তিথিঃতিন সত্যিই।
আদ্রিয়ানঃএতো স্ট্রং কবে হলো আমার তিথি পাখিটা?
তিথিঃযখন থেকে ক্যাপ্টেন আদ্রিয়ান এর হলো।
আদ্রিয়ানঃহা হা হা।
তিথিঃছাড়েন এখন।খেতে চলেন।খেয়ে ওষুধ খাবেন।
আদ্রিয়ানঃহাততো কেটে গিয়েছে।খাবো কি করে?চামচ এনেছো?
তিথিঃআমার হাত আছে না?আমি খাওয়ায় দিবো।
আদ্রিয়ানঃএত ভালোবাসা তো হজম হবে না।ওখানে কে ভালোবাসবে বলো?
তিথিঃওখানে ভালোবাসার জন্য ও অন্য কাউকে ঠিক করেছেন নাকি?
আদ্রিয়ানঃএতো ইন্সিকিউর কেমনে হয় একটা মানুষ?আমি কি এতোই সুন্দর!!
তিথি মুখে খাবার ঢুকিয়ে দিলো।
তিথিঃসুন্দর কি না জানি না। কিন্তু শুধুই আমার।
আদ্রিয়ান এর চোখে পানি চিকচিক করছে।
তিথিঃকি হলো? ঝাল অনেক?
আদ্রিয়ানঃহুম।অনেক ঝাল।কিন্তু আমার এই ঝালটা ভালো লাগছে।আমি যদি ফিরে না ও আসি আফসোস নেই।
তিথিঃএভাবে কেন বললি আদ্রিয়ান? তুই কি আমার থেকে কিছু লুকাচ্ছিস?
আদ্রিয়ানঃএতো ভয় পেলে হবে?আমার পুরোটা জীবনই রিস্ক এর উপর।যখনই বাসা থেকে বের হবো তখনই মনে করবি লাশ হয়ে ফিরবো।কোনো এক্সপেক্টেশন রাখবি না।
তিথি রেগে গেলো।
তিথিঃখাওয়া শেষ।ওষুধটা খেয়ে নিয়েন।
তিথি উঠে যেতে নিলে আদ্রিয়ান হাত ধরে আটকে নিলো।
আদ্রিয়ানঃআর মাত্র ১২ ঘন্টা।রেগে পার করিস না।মানানোর সময়টা নেই আমার কাছে।
তিথিঃরাগ করছি না।তোর জন্য খাবার রেডি করতে বলছি।তুই তো ফ্লাইটের খাবার খাস না।
আদ্রিয়ান হাত ছেড়ে দিলো। তিথি যেতেই আদ্রিয়ান আরাফ এর রুমে আসে।
আদ্রিয়ানঃআব্বু।আম্মু কোথায়?
আরাফঃহয়তো রান্না ঘরে।রেডি তুমিই?
আদ্রিয়ানঃহুম।
আরাফঃতুই কি শিওর?আদ্রিয়ান?
আদ্রিয়ানঃহ্যা আব্বু।আমি এই মিশনে যাবোই।
আরাফঃসবাইকে মিথ্যা বলে?
আদ্রিয়ানঃতুমি তো দেখেছোই আব্বু।সামান্য হাত কেটেছে বলে আম্মু নূর ভাবী আদ্রিতা আপুনি মেহরাব ভাইয়া আরিয়ান ভাইয়া সবাই কত অস্থির হয়ে গিয়েছিলো।এদেরকে যদি আমি বলি যে আমি ২ বছরের ট্রেনিং এ নয় ৬ মাসের ট্রেনিং আর বাকিটা সময় সিকরেট মিশনে যাচ্ছি যেখানে থেকে আমি কবে ফিরে আসবো, আসবো কি আসবো না। কোনো গ্যারান্টিই নেই।
আরাফঃখুব কি দরকার যাওয়ার?আমি ফোন করে না করে দেই?
আদ্রিয়ানঃনায়ায়ায়া।কখনোই না।তুমি খুব ভালো করেই জানো মিশনটা আমার ক্যারিয়ার এর জন্য কত ইম্পর্টেন্ট। আমার যেতে হবে আব্বু।আর একজন আর্মী অফিসার হয়েও যদি তুমি এমন করো তাহলে বাকিরা কি করবে!
আরাফঃআর্মী অফিসারটা পরে।আগে আমি তোমার বাবা।আর আমার মন মানছে না।আদ্রিয়ান। অন্য কোনো মিশন হলে আমি মানাও করতাম না।কিন্তু এই মিশনে আমার মন মানছে না।
আদ্রিয়ানঃআব্বু তুমি চিন্তা করো না।তুমি শুধু এদিকটা সামলে নিও।বলে তো যাচ্ছি ২ বছর।তার আগেই জয়ী হতে পারলে তাড়াতাড়ি চলে আসবো।আর না পারলে হয়তো আরো দেরি হবে।২ বছরের বেশি সময় লাগলে তিথিকে বিয়ে দিয়ে দিও আব্বু।
আরাফঃতুই আগে আমাকে ওয়াদা কর তুই ফিরে আসবি।
আদ্রিয়ানঃআমি এমন কোনো ওয়াদা করবো না যা নিজেই জানি না পূরন করতে পারবো কি না।প্লিজ আব্বু এমন ওয়াদা চেয়েও না।
কিন্তু হ্যা এতটুকু শিউর থাকো আমি না ফিরলেও ক্যাপ্টেন আদ্রিয়ান এর নামের গোল্ড ম্যাডেল ঠিকই ফিরবে।
আরাফঃআমার মেডেল না ছেলে লাগবে।তুই বল তুই ফিরবি।
আদ্রিয়ান অসহায় নয়নে বাবার দিকে তাকিয়ে আছে।
আরাফ এর ভেতরটা ভেঙে আসছে।এমন যুদ্ধে নিজে অনেকবার গিয়েছে কিন্তু আজ ছেলের জন্য মন মানছে না।এখন বুঝতে পারছে কেন আদর চৌধুরী তাকে আর্মীতে দিতে চান নাই।আজকে উনাকে খুব মনে পড়ছে।উনি থাকলে হয়তো এতোটা অসহায় মনে হতো না।উনি ঠিকই কাধে হাত রেখে বলতেন হতচ্ছারা টেনশন নিস না আমার নাতি দুশমনের কলিজা চিড়ে বের হয়ে আসবে।
আদ্রিয়ান আরাফ এর পাশে বসলো।তারপর আরাফকে জড়িয়ে ধরলো।
আদ্রিয়ানঃআব্বু তুমি ভেঙে পড়বে না।আমি জানি তুমি উপরে উপরে নিজেকে যতটা শক্ত দেখাও ভেতরে ভেতরে ততটাই নরম।তুমি দি আরাফাত চৌধুরী। আর আরাফাত চৌধুরী একটুতে ভেঙে যাওয়ার মানুষ না।আমি তোমার নাম উজ্জ্বল করে ফিরবো। ইনশাআল্লাহ।
আরাফ আদ্রিয়ান এর মাথায় হাত রাখলো।
আরাফঃআমি দোয়া করি আল্লাহর কাছে।আমার ছেলে যাতে দুশমনদের কুপোকাত করে ফিরে আসে।আমি কিন্তু কোনো যুদ্ধে হারি নাই।এটা সবসময় মনে রাখবি।
আদ্রিয়ান মুচকি হাসলো।
আদ্রিয়ানঃআমিও হারবো না আব্বু।আল্লাহ যতদিন হায়াত দিয়েছেন লড়ে যাবো।
দরজায় টোকার শব্দে আরাফ আদ্রিয়ান দরজার দিকে তাকালো।
আরাফঃতিথি।আসো।
আদ্রিয়ান এর কাছে তিথির হাবভাব ঠিক মনে হচ্ছে না।
আদ্রিয়ানঃনা জানে কোনো বোমটা ফাটায় এই মেয়ে।(মনে মনে)
তিথি যা বললো তা শুনে আদ্রিয়ান ঘামতে শুরু করলো।
আদ্রিয়ানঃএই যে দিলো আমার মাথায় বোম ব্লাস্ট করে।(মনে মনে)
তিথি আরাফকে বললো।
তিথিঃবাবাই আমি আজকেই আদ্রিয়ানকে বিয়ে করতে চাই।
আরাফ কথাটা শোনার জন্য প্রস্তুত ছিলো না।
আরাফঃকি বলছো তিথি।তুমি ভালো করে জানো তোমার নানি অসুস্থ।বিথি আর তানভীর তাকে দেখতে গিয়েছে।এই মূহুর্তে তাদের ফেরা সম্ভব না।এইজন্য তো তারা নূর এর বিয়েতেও আসতে পারলো না।এখন তোমার বিয়েতে কি করে আসবে?
আদ্রিয়ানঃআমি বিয়ে করবো না এখন।
তিথি আদ্রিয়ান এর দিকে রাগী নয়নে তাকালো।
তিথিঃতোমার ছেলে আমাকে বলে এসেছে যে ও আজ গেলে কাল ফিরবে কি না নিশ্চয়তা নেই।ও যদি না ফেরে আমি আমার বাকিটা জীবন ওর বিধবা হয়ে কাটাবো।আজ বিয়ে না করে গেলে তোমরা ঠিকই আমাকে অন্য কারো ঘাড়ে চাপিয়ে দিবে।আমি জানি না।বিয়ে আজকেই হবে।মা বাবাকে তুমি মানাবা।
তিথি কথাটা বলে বেড়িয়ে গেলো।
আদ্রিয়ানঃআব্বু। তুমি পেরা নিও না।বিয়ে হবে না।ও পাগল হয়ে গিয়েছে।আমি যদি না ফিরি তাহলে ওর জীবনটা নষ্ট হয়ে যাবে।আমি ওর জীবন নষ্ট করে যেতে চাই না।আমি কোনো পিছুটান নিয়ে যুদ্ধে যাবো না।
আদ্রিয়ান ও বেড়িয়ে গেলো।
আরাফ মাথায় হাত দিয়ে ধপ করে বসে পড়লো।তখনই নবনি আসলো।
নবনিঃকি হয়েছে আরাফ?
আরাফঃতোমার ছেলেতো আজকে চলে যাবে ট্রেনিং এ।
নবনিঃএটাতো আমি জানিই।কিন্তু এটা নিয়ে আপনি এতো চিন্তিত কেন?
আরাফঃতিথি বলছে আদ্রিয়ান বিয়ে করে রেখে যাবে।আর আদ্রিয়ান বলছে বিয়ে করবে না।আমি কোন দিকে যাবো?
নবনিঃবিয়ে করে রেখে গেলেই বা কি?তানভীরতো আপনার একবার বলাতেই রাজী হয়ে যাবে।তাহলে সমস্যাটা কোথায়?
আরাফঃএখন আমি তোমাকে কি করে বলি তোমার ছেলে ট্রেনিং এ না যুদ্ধে যাচ্ছে।আর যদি না ফিরে আসে তখন তিথির কি হবে!!! (মনে মনে)
নবনি এইবার আরাফকে সন্দেহ করছে।
নবনিঃআরাফ।আপনি এই ছোট খাটো বিষয় নিয়ে তো এতো ভাববেন না।কারন মেহরাব আদ্রিতার বিয়েটা আপনিই হুট করেই দিয়েছেন।সত্যিই সত্যিই বলেন। আদ্রিয়ান কোথায় যাচ্ছে?
আরাফঃলা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।এ আমি কি করলাম।এখনতো নবনি নামক সন্দেহর কাটা আমার দিকে ঘুরে গিয়েছে।আমি নবনি পাখিকে কোনো মতেই আদ্রিয়ান এর কথা বলতে পারবো না।এখন এই সন্দেহ কাটানোর জন্য হলেও বিয়েটা দিতে হবে।সরি আদ্রিয়ান।
আরাফঃআমি তানভীরকে কল দিচ্ছি। তুমি বিয়ের আয়োজন শুরু করো।
নবনি কথাটা শুনে স্বস্তি পেলো।
নবনিঃআমি তো ভেবেছিলাম আদ্রিয়ান ট্রেনিং এ না যুদ্ধে যাচ্ছে।
আরাফ কাশতে শুরু করে দিলো।
নবনিঃকি হলো?
আরাফঃপানি পানি নিয়ে আসো।
নবনিঃআচ্ছা আনছি।
নবনি যেতেই আরাফ হাফ ছেড়ে বাচলো।
আরাফঃইয়া আল্লাহ।বউ এর সামনে মিথ্যা বলা এত কঠিন কেন?
নবনিঃআচ্ছা।
আদ্রিয়ান তিথির পথ আটকে দাড়ালো।
আদ্রিয়ানঃহঠাৎ কি হলো তোর?আব্বু কে এটা কি বলে আসলি?
তিথিঃযা বলার বলে দিয়েছি।এখন যা কথা হবে বিয়ের পর হবে।
আদ্রিয়ানঃবিয়েতো হবে না।আমি করবো না বিয়ে।
তিথিঃনা করলে আমি হাতের রগ কেটে ফেলবো।হয়তো বউ সাজিয়ে রেখে যাবি আর নয়তো লাশ এর উপর দিয়ে যাবি।
আদ্রিয়ানঃতিথিইইইইইইই।খুব বাড় বাড়ছিস কিন্তু। এগুলো কি ধরনের কথা।
তিথিঃনিজেও তো এইরকম কথাই বলছিলি একটু আগে।ভুলে গেলি?
তিথি আর কোনো কথা না শুনেই চলে গেল।
আদ্রিয়ানঃইয়া আল্লাহ।না জানি তুমি কি লিখে রেখেছো ভাগ্যে।তিথি যে পরিমান রাগী জেদি মেয়ে।ও হাত কাটতে দ্বিতীয় বার ভাববে না।বিয়েটা মনে হয় করে রেখেই যেতে হবে।এমন হলে আমার আবার ফিরে আসতে হবে।তিথির জন্য হলেও আমার আসতেই হবে।
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
চলবে ...
২২ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন