উপন্যাস       :        তোমায় ঘিরে - ২
লেখিকা        :         জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         ২৯ নভেম্বর, ২০২২ ইং

লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “তোমায় ঘিরে - ২” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। লেখিকা এটি “তোমায় ঘিরে” উপন্যাসের দ্বিতীয় সিজন হিসেবে লিখেছেন। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হল। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের নভেম্বরের ২৯ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
তোমায় ঘিরে - ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান - Bangla Golpo - Kobiyal - কবিয়াল
তোমায় ঘিরে - ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান

1111111111111111111111

২৪ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

তোমায় ঘিরে- ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ২৫)

ফোনের ট্রিং মেসেজ এর শব্দে নূর মোবাইলটা হাতে নিলো।আরাফ আদ্রিতার রুমে ডেকেছে।নূর আস্তে করে উঠে দরজা লাগিয়ে বেড়িয়ে আসলো।
আরিয়ানঃআব্বু।আমি বিশ্বাস করতে পারছি না কিন্তু এটা হয়েছে। ল্যাপটপটা এই ঘটনার সাক্ষী। দেখো এখনো ফ্লোরে ছাই পড়ে আছে।

নূরঃআসবো?
আরাফঃহুম।
নবনিঃমেহরাব কেমন আছে?
নূরঃঘুমায়।
আরাফঃকিছু কি হয় নাই?
নূরঃহ্যা।হয়েছে।

নূর শুরু থেকে সবটা আরাফ নবনিকে খুলে বললো।
আরাফ নবনির মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।
নবনিঃওরা মেহরাবকে খুজে ফেলেছে আরাফ।আদ্রিতা মেহরাব এর শক্তিগুলোও প্রকাশ পেতে শুরু করেছে।
আরাফঃহুম।তজবির গুলো কি হাত থেকে খুলে ফেলবে?
নবনিঃতজবির খুলে ফেললেতো ওরা জ্বিনদের মাঝে পুরোপুরি সামিল হয়ে যাবে।
আরাফঃআমার মনে হয় আমাদের আবারো সেখানে যাওয়া দরকার যেখানে এই ঘটনা সূত্রপাত হয়।
নবনিঃজ্বিন রাজ্য?
আরাফঃহুম।
আরিয়ানঃআমি ও যাবো।

আরাফঃনা।আমি আর নূর যাবো জ্বিন রাজ্যে।আরিয়ান আর নবনি যাবে গ্রামে।নবনি বড় দাদুর রুমটা আবারো দেখা দরকার। আর ডায়রিটাও সাথে নিয়ে এসো।
নূরঃকিন্তু আমরা যাবো কি করে বাবাই?ওখানে আমাদের কে নিয়ে যাবে?মানুষ হয়ে সেখানে প্রবেশ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব না।
আরাফঃমেহরাব।মেহরাব নিয়ে যাবে আমাদের।
নবনিঃআপনি কি মেহরাবকে সব বলে দিতে চাইছেন?

আরাফঃমেহরাব আদ্রিতা আজকে নয়তো কালকে সব জানবেই। আমার মনে হয় এটাই তাদেরকে জানানোর সঠিক সময়।শত্রু ততখনই শক্তিশালী যতক্ষন পর্যন্ত আমরা নিজেদের শক্তি সর্ম্পকে না জানি।মেহরাব আদ্রিতার নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে সব কিছুর জন্য।
নবনিঃতাহলে কালকে সকালেই আমরা রাওনা দিবো।আরিয়ান আদ্রিতা আর আমি।
আরাফঃহ্যা।নূর মেহরাবকে উঠাও।জ্বীন রাজ্যের দরজা পৃথিবীর জন্য শুধু রাতে খোলা হয়।আমাদের কিছুক্ষনে মধ্যে রাওনা দিতে হবে।

নূরঃহুম।
নূর মেহরাবকে ঘুম থেকে ডাক দেয়।কিন্তু মেহরাব গভীর ঘুমে।
নূরঃমেহের।উঠেন না।আমাদের যেতে হবে তো।
মেহরাবঃকি শুরু করলে নূর?একটু পর পর উঠিয়ে দিচ্ছো।শান্তিতে ঘুমাতেও দিবে না নাকি?
নূরঃঘুমান আপনি। আমি গেলাম জ্বিন রাজ্যে।সেখানকার সব থেকে সুন্দর জ্বীন এর সাথে প্রেম করবো।আর সুন্দর কি আমি জ্বিন রাজ্যের রাজার সাথেই প্রেম করবো।আপনি এখানে ঘুমান পড়ে পড়ে।

মেহরাব এক লাফে উঠে পড়লো।চোখ গরম করে নূর এর দিকে তাকালো।
মেহরাবঃকি বললে?কার সাথে প্রেম করবে?
নূরঃজ্বীন রাজ্যের রাজার সাথে।
মেহরাবঃনূর চৌধুরী আমি এসব মজা একদমই পচ্ছন্দ করি না।
নূরঃমেহরাব চৌধুরী। আই এম সিরিয়াস।আর জ্বিন রাজ্যের রাজাকে তো আমি বিয়েও করে ফেলেছি। 
মেহরাবঃধুর। রাত বিরাতে ভূতে ধরছে তোমাকে।আয়াতুল কুরসি পড়ে ঘুমিয়ে পড়ো।সব ভুত মাথা থেকে নেমে যাবে।

কথাটা বলতে বলতেই মেহরাব শুয়ে পড়লো।
নূরঃমেহরাব।আমি সত্যিই বলছি।মজা করছি না। বিশ্বাস।
মেহরাবঃনূর।আমি ভালোমতো জানি আমার ঘুম তাড়ানোর জন্য তুমি এগুলো করছো।প্লিজ একটু ঘুমাতে দাও।
নূরঃউফফফ।আচ্ছা আমার কথা বিশ্বাস না হলে আরাফ বাবাইয়ের কথাতো বিশ্বাস হবে?উনি আমাদের অপেক্ষা করছেন।
মেহরাব এইবার আড়মোড় ভেঙে উঠে বসলো।

মেহরাবঃযদি একটা কথাও মিথ্যে হয়েছে না।সত্যিই কাচা খেয়ে ফেলবো তোমাকে।কোনো কিছু বলার সু্যোগ ও দিবো না।বলে দিলাম।
নূর ভেংচি দিয়ে বেড়িয়ে পড়লো।মেহরাব গায়ে একটা শার্ট জড়িয়ে হাটা ধরলো।
আরাফ এর রুমে আদ্রিতা নবনি আরিয়ান সবাইকে উপস্থিত পায় মেহরাব।
মেহরাবঃহচ্ছেটা কি? রাত দুপুরে সবাইকে এভাবে জাগানোর মানে কি?আর নূর কি সব উলটা পালটা বলছে।
আদ্রিতাঃআমিও বুঝতে পারছি না ভাই।দেখো না আমার ল্যাপটপটা আরিয়ান পুড়িয়ে ফেলেছে।আর এখন সেটার দোষ আমার উপরই চাপিয়ে দিচ্ছে।আমি নাকি জ্বিন এর শক্তি দিয়ে পুড়িয়ে ফেলছি।আমার প্রিয় ল্যাপটপ ছিল এটা।

মেহরাবঃকি রে!!আমার বোন এর ল্যাপটপ কেনো পুড়িয়েছিস আরিয়ান!!
আরিয়ানঃআমি করি নাই। তোর বোনকে কবের থেকে বুঝাচ্ছি ও ঘুরেই আমাকে দোষ দেয়।এখন আবার তুই শুরু করলি।
আদ্রিতাঃআপনি করেন নাই তো কি আপনার ভুতে করেছে?
আরিয়ানঃআরে এ ভুত এর না আমার বউ এর জ্বীনে করেছে।
আরাফঃএই থাম তোরা।
নবনিঃপেয়ে গিয়েছি।আরাফ।
নবনি ফোনে একটা ভিডিও সার্চ করছিলো এতক্ষন।ভিডিও টা সবার দিকে এগিয়ে দেয়।ভিডিও তে ছোট্ট মেহরাব আদ্রিতা চটর পটর করে কথা বলছে।ভিডিও টা মেহরাব আদ্রতার ২ মাস থাকাকালীন রেকর্ড করা হয়েছিলো।

মেহরাবঃএই ভিডিওর বেবি গুলো তো আমরা।তাই না আব্বু?
আরাফঃহ্যা।
আদ্রিতাঃকিন্তু যে বয়সে বাচ্চার আ ই করতে পারে না আমরা সে বয়সে কথা কি করে বলছি?
মেহরাবঃআরে এ এগুলো ইডিট করা যায়।
নবনি সব ঘটনা খুলে বলে।
মেহরাবঃতোমরা ফাইজলামি করছো আমাদের সাথে তাই না?
আদ্রিতাঃতা নয়তো কি!!
আরিয়ান মাথায় চাপড় মারলো।
আরিয়ানঃএতো অবিশ্বাস তো আমরাও করি নাই যতটা এরা করছে।
আরাফ এইবার রেগে গেলো।

আরাফঃথাপ্পড় দিবো দুটোকে। এতো গুলো মানুষ বলছে তাও বিশ্বাস হয় না।
মেহরাবঃকেমনে বিশ্বাস হবে বলো।হুট করে একদিন তোমাকে যদি তোমার বাবা ঘুম থেকে উঠিয়ে বলে তুই জ্বীন রাজ্যের রাজা।তুমি বিশ্বাস করবে বলো?
নবনিঃনা করলে নাই।আরাফ ওকে নিয়ে যেতে হবে না।আপনি নূরকে নিয়ে যান।
মেহরাবঃআরে না।আমি যাবো।বলো কি করতে হবে আমাকে।
আরাফঃদেয়ালের দিকে তাকিয়ে হুকুম করো জ্বিন রাজ্যের দরজা খোলার জন্য।
মেহরাব আরাফ এর কথা মতো দেয়ালের দিকে তাকিয়ে আদেশ করলো।আদেশ করার সাথে সাথে আরাফ এর চোখ থেকে নীল রশ্মির তীর্যকভাবে দেয়ালের উপর পড়লো।
আমি জ্বিন রাজ্যের রাজা মেহরাব চৌধুরী জ্বিন রাজ্যের দরজাকে আদেশ করছি খুলে গিয়ে আমার প্রবেশ এর পথ তৈরি করতে।

রুমে সাথে সাথে আলো ছড়িয়ে পড়ে।দেয়াল চিড়ে দরজা দৃশ্যমান হয়।আরাফ মেহরাব নূর এর হাত ধরে সাথে সাথে ভিতরে প্রবেশ করে।
আদ্রিতা হা হয়ে গেলো সব দেখে।
আরিয়ানঃএই বার বলোতো ল্যাপটপটা কে জ্বালিয়েছে?
আদ্রিতাঃকে আবার আপনিইই।
আরিয়ান দেয়ালে মাথা বাড়ি মারলো।
নবনিঃসকালে রেডি থেকো।ঠিক ৬ টায় রাওনা দিবো আমরা।
নবনি চলে গেলো।
আদ্রিতা ধপ করে বিছানায় বসে পড়লো।

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 

সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।


চলবে ...

২৬ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন