উপন্যাস        :         তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ
লেখিকা         :         মাধুর্য মাধুরী
গ্রন্থ              :         
প্রকাশকাল     :         
রচনাকাল      :         ১৬ নভেম্বর, ২০২২ ইং

লেখিকা মাধুর্য মাধুরীর “তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হবে। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের ১৬ই নভেম্বর থেকে লেখা শুরু করেছেন।
তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ || মাধুর্য মাধুরী
তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ || মাধুর্য মাধুরী

1111111111111111111111

৭ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ || মাধুর্য মাধুরী (পর্ব - ০৮)

বাড়ি ফিরে,রুমের দিকে এগোতে এগোতে আর্য ভাবছিলো, এই সময়টুকুর মধ্যেই মেয়েটা অদ্ভুত মায়ায় জড়িয়ে ফেলেছে তাকে। আগে যাকে দু'দন্ড সহ্যই হত না, এখন তাকে ছাড়া প্রতিটা মুহুর্ত অসহ্য অনুভূতি হয়। কেমন যেন নিজেকে অসম্পূর্ণ লাগে। আচ্ছা, আরণ্যারও কি এমন অনুভূতি হয়? আর্য রুমের দরজায় নক করতে লাগলো। দরজাটা খুলতেই দমকা হাওয়ায় আর্য যেন আশ্চর্য হয়ে গেলো। আরণ্যা দাঁড়িয়ে আছে এক রাশ এলো চুলে, মেরুন রঙা একটা শাড়ি পরণে। কপালে কালো টিপ, চোখে গাঢ় করে কাজল দেওয়া। আজ আবেদনময়ী সাজে তাকে মোহিনী-কুহকিনী লাগছে। আর্য বিমোহিত হয়ে দেখতে লাগলো তাকে। হাতের এক ধাক্কায় আরণ্যাকে ভিতরে ঠেলে দরজাটা বন্ধ করে দিলো আর্য। হাতে থাকা আরণ্যার ওষুধ-পত্র ততক্ষণে মেঝেতে পড়ে গেছে। পুরো রুম ভেসে যাচ্ছে এক অন্যরকম সুবাসে। আরণ্যা কি আজ তবে কড়া পারফিউম ব্যবহার করেছে? আর্য আরণ্যাকে কাছে টেনে তার লালচে ঠোঁটে ঠোঁট মিশিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলো। কিন্তু আরণ্যা এক ঝটকায় সরে গিয়ে মুচকি হেসে তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকলো টেবিলের দিকে। টেবিল সাজানো রঙিন মোমবাতি আর বিলিতি মদের বোতলে। আর্যর বাবা-মা এখন বাড়ি নেই। বাইরে থেকে হালকা স্বরে  ভেসে আসছে, 'খেলাঘর বাঁধতে লেগেছি...'। অল্প অল্প শোনা যাচ্ছে রুমের ভিতর থেকে। এই মুহূর্তে আর্য গ্লাসের পর গ্লাস শেষ করে যাচ্ছে। মদের উগ্র গন্ধে ঘরের মাতাল আবহাওয়া কিছুটা হলেও প্রশমিত হয়েছে।
আর্য গ্লাস রেখে গানের তালে তালে গুনগুন করে উঠলো,
-'খেলাঘর বাঁধতে লেগেছি,
আমার মনের ভিতরে,
 খেলাঘর বাঁধতে লেগেছি!'
আরণ্যা আর্যর সাথে সুর মেলালো,
-'কত রাত তাই তো জেগেছি,
বলবো কী তোরে,
খেলাঘর বাঁধতে লেগেছি!'
আর্যর অজান্তেই মদের গ্লাসে একটা কাগজে মোড়ানো পাউডার মিশিয়ে হাতে তুলে দিলো আরণ্যা। আর্য পুরোপুরি নেশাসক্ত হওয়ার পর মোবাইলে রেকর্ডার'টা অন করে দিলো সে। রেকর্ডারে রেকর্ড হতে থাকলো অনেক না-বলা কথা।
মোবাইলের সিম কার্ড'টা বদল করেই গলার ফাঁপা হার্ট শেপ পেনডেন্ট -এ সিম কার্ড'টা দ্রুত হাতে ঢুকিয়ে পেনডেন্ট'টা বন্ধ করে দিলো আরণ্যা। ঢেলে রাখা মদের গ্লাসে দুই চুমুক দিয়ে শাড়ি শুদ্ধই ঘুমন্ত আর্যর পাশে বিছানায় লুটিয়ে পড়লো সে। অতল ঘুমে তলিয়ে যেতে তার'ও বিশেষ সময় লাগলো না।

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 

সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।


চলবে ...

৯ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা মাধুর্য মাধুরী তার সামাজিক মাধ্যম প্রফাইলে নিজের সম্পর্কে লিখেছেন - “নিজেকে প্রকাশ করতে চাই না। পৃথিবীর সব রহস্যের মধ্যে আমি অধিকতর রহস্যময়।” এছাড়া তার সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে জানতে পারলে তা অবশ্যই কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হবে।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন