উপন্যাস       :        বেসামাল প্রেম
লেখিকা        :         জান্নাতুল নাঈমা
গ্রন্থ               :         
প্রকাশকাল   :         
রচনাকাল     :         ৯ জুলাই, ২০২২ ইং

লেখিকা জান্নাতুল নাঈমার ‘বেসামাল প্রেম’ শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশ করা হলো। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের ৯ জুলাই থেকে লেখা শুরু করেছেন।
বেসামাল প্রেম || জান্নাতুল নাঈমা Bangla Golpo - Bangla Kobita - Kobiyal
বেসামাল প্রেম || জান্নাতুল নাঈমা

৪৩ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন

বেসামাল প্রেম || জান্নাতুল নাঈমা (পর্ব - ৪৪)

এক সপ্তাহ পর হৈমীর পরীক্ষা শুরু। সে কথা মাথায় রেখে নিজের কর্তব্য পূরণ করে রুদ্র। রুদ্রর পাঠানো পার্সেল সূচনা হৈমীকে দিতেই সে সেগুলো গ্রহণ করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে। তীব্র ক্রোধে ফেটে পড়ে জেদ দেখিয়ে বলে,  - "যে মানুষটা আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেনি। তার দেওয়া কোনো কিছুই নিতে আমি রাজি নই।"
হৈমীর বক্তব্য রুদ্রকে জানালে সে দ্রুত মিটিং শেষ করে সরাসরি ভিডিয়ো কল দেয় হৈমীকে। হৈমী তখন গোসল করে চুল আঁচড়াচ্ছে। ফোন রিসিভ করার সঙ্গে সঙ্গেই ফরমাল পোশাকে রাশভারি রুদ্রর মুখ দেখতে পায়। ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে মুহুর্তেই। তাচ্ছিল্য করে বলে, 
-" শুনেছি জাঁতায় পড়লে বাঘও ধান খায়। "

সদ্য স্নান করা হৈমীর স্নিগ্ধ মুখে তীক্ষ্ণ চোখে তাকাল রুদ্র। বস চেয়ারে হেলান দিল সন্তর্পণে। অধরে বিদ্রুপের হাসি ফুটিয়ে পাল্টা জবাব দিল সেও, 
-" বাঘ ধান খায় কি খায় না সে বিষয়ে আমার কোনো আগ্রহ নেই। কিন্তু রুদ্র শেখ ধানকে ভাত বানিয়ে খেতে জানে। "
ঢোক চিপল হৈমী৷ তর্জনী উঁচিয়ে বলল, 
-" দেখুন আপনি কিন্তু খুব খারাপ৷ কতগুলো ফোন দিয়েছি আমি? কতগুলো ম্যাসেজ করেছি জানেন? "
-" জানি। "

সোজাসাপটা উত্তর দিল রুদ্র। মুখ হা হয়ে গেল হৈমীর। চোখ কটমট করে তাকিয়ে রইল সে। রুদ্র সেসবে তোয়াক্কা না করে বলল, 
-" আমার অফিসে বেশ চাপ। আপাতত আসতে পারছি না। তবে সিয়র থাকো পরীক্ষার মাঝেই গিয়ে দেখা করে আসব একদিন। "
এ কথায় সন্তুষ্ট হলো হৈমী। মনটাও ভালো হয়ে গেল তার। খুশিতে গদগদ হয়ে জিজ্ঞেস করল, 
-" কেমন আছেন আপনি? "


-" ঠিকভাবে পড়াশোনা করবে, ঠিকভাবে খাওয়া দাওয়া করবে। আশানুরূপ রেজাল্ট না পেলে লজ্জায় তোমার ভাই মুখ দেখাতে পারবে না৷ একজন লেকচারারের বোন তুমি আশা করি এটা মাথায় থাকবে। আমাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। এত ফোন, ম্যাসেজ করে প্রেম দেখাতেও হবে না। সময় করে আমিই ফোন করব। যতদিন পরীক্ষা চলবে ঠিক ততদিন এই কথাগুলো মাথায় রাখবে। রাখছি রাতে ফোন করব। "

টুট টুট করে ফোনটা কেটে গেল৷ হৈমী স্তব্ধ হয়ে বসে কিয়ৎক্ষণ। ঢোক চিপে বিরস বদনে আফসোস মিশ্রিত নিঃশ্বাস ফেলল। বিরবির করে বলল, 
-" ধূর ছাঁই। এতদিন পর ফোন করেছে। কোথায় মান, অভিমান করব। দু'জন দুজনের খবর নিব। কথা চলতে চলতে একটু রোমান্টিক মুডে চলে যাব। তা না ঠাশঠুশ বকবক করে কেটে দিল! আনরোমান্টিক জামাই একটা! "

রাতে ফোন করবে রুদ্র। তাই দুপুরে খেয়েদেয়ে পড়তে বসল হৈমী। রাত পর্যন্ত পড়ে সময় কাটাবে৷ এরপর রুদ্র ফোন করলে ভালোমন্দ দু'টি কথা বলবে। হৈমীর চোখ, মুখের উজ্জ্বল ভাব দেখেই সূচনা বুঝতে পারল রুদ্রর সঙ্গে কথা বলে তার মন ভালো হয়ে গেছে৷ তাই রুদ্রর পাঠানো জিনিস গুলো রুমে এসে দিয়ে গেল। হৈমী সেগুলো খুলে দেখল, দু'টো শাড়ি, দুটো সেলোয়ার-কামিজ, পনেরো হাজার টাকা। এছাড়াও পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। যা দেখে নিঃসন্দেহে বলা যায়, সে খুবই দায়িত্বশীল একজন ব্যক্তি। সবকিছু গ্রহণ করলেও পনেরো হাজার টাকা সে সূচনাকে দিয়ে দিল। বলল,
-" টাকা দিয়ে আমি কী করব এগুলো আমার লাগবে না। "

সূচনা হৈমীর হাত চেপে ধরে বলল,
-" টাকা দিয়ে কী করবে তুমি ভালো জানো। শোনো আমার ভাইয়ের বউয়ের খরচ তার বাবার বাড়ির লোক বহন করবে এটা কিন্তু ভালো দেখায় না৷ ঠিক যেমন আমার খরচ তোমার ভাইয়া দিচ্ছে তোমার খরচও আমার ভাইই দেবে৷ এটাই নিয়ম। "


হৈমী কিঞ্চিৎ লজ্জা পেল। সূচনা তার পার্স বের করে সেখানে টাকা রেখে বলল, 
-" পড়াশোনা করছ। যেদিন নিজের পায়ে দাঁড়াবে সেদিন চাইলে তুমিও এভাবে তাকে দিতে পারবে৷ স্বামীর টাকার ওপর যেমন স্ত্রীর হক আছে তেমনি স্ত্রীর টাকার ওপর স্বামীরও হক আছে বুঝলে। যেহেতু এখন আমরা কেউ নিজের পায়ে দাঁড়াইনি সেহেতু তাদের কর্তব্যটুকু সন্তুষ্টির সঙ্গে গ্রহণ করতে হবে। "
মাথা নাড়ল হৈমী। অর্থাৎ সূচনার কথা সে বুঝতে পেরেছে। মিষ্টি করে হেসে সূচনা বলল, 
-" আমি যাই তুমি মন দিয়ে পড়ো৷ ভালো রেজাল্ট করতে হবে কিন্তু। "


একমাস পর, 
বিকেলবেলা রুম অন্ধকার করে শুয়ে আছে সূচনা। মাহের রুমে ঢুকে লাইট অন করতেই নাক টানার শব্দ পেল। চট করে ঘাড় ঘুরিয়ে বিছানায় তাকাতেই দেখল, সূচনা চোখের পানি আড়াল করে ধাতস্থ হয়ে বসল। ভ্রু কুঁচকে এগিয়ে এলো মাহের৷ বিছানায় বসে  থমথমে কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল, 
-" কী হয়েছে সূচনা? "
মাহেরের মুখের দিকে তাকিয়ে বুকটা হুহু করে ওঠল সূচনার। লুকিয়ে ফেলা কান্নাগুলোও বেরিয়ে এলো আচমকা। হতভম্ব হয়ে গেল মাহের। সহসা সূচনার কাঁধে হাত রেখে প্রশ্ন করল, 
-" অ্যাঁই মেয়ে এভাবে কাঁদছ কেন? "


সম্পর্কে উন্নতি ঘটেছে অনেক। আপনি থেকে তুমি সম্পর্কে পদার্পণ করেছে উভয়ই। বেড়েছে একে অপরের মনের মিলনের গভীরতাও। 
-" হলো না মাহের হলো না! "
বুঝতে না পেরে আরেকটু ঘনিষ্ঠ হয়ে বসল মাহের। ধীরেধীরে সূচনাকে বুকে আগলে নিল। মাথায় হাত বুলিয়ে জিজ্ঞেস করল, 
-" কী হয়েছে বলবে তো এভাবে কেন কাঁদছ। কী হয়নি বলো? "
-" আমি আবারো ব্যর্থ। "
ক্রন্দনরত কণ্ঠে সূচনা এটুকু উচ্চারণ করতেই চমকে ওঠল মাহের। সহসা সূচনার কাঁধ ধরে মুখের দিকে দৃষ্টি রাখল। চোখে চোখ পড়তেই সূচনা বলল, 
-" এবারেও ও এলো না। "
হাঁপ নিঃশ্বাস ছেড়ে মাহের সূচনার দুই গালে আলতো স্পর্শ করল। মুখোমুখি হয়ে আদুরে সুরে বলল, 
-" কী বোকা মেয়ে! সামান্য বিষয়টা নিয়ে এভাবে কেউ কাঁদে? অ্যাঁই আমরা বিয়ে করেছি কতদিন হুম? আমাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কই গড়ে ওঠেছে মাত্র দু’মাস। তুমি এত ব্যস্ত হচ্ছো কেন? হায় আল্লাহ! একে নিয়ে আমি কী করি। "
সূচনার চোখের পানিগুলো বাঁধনহারা। মাহের তাকে গভীর করে বুকে জড়িয়ে নিল। মাথায় চুমু খেয়ে স্বান্তনা দিল, 
-" আমাদের পুচকো আসবে সূচনা শীঘ্রই আসবে। আল্লাহ তায়া’লার আমাদেরকে বিশেষ সময়েই বিশেষ উপহারটা দিবেন৷ তুমি একটু ধৈর্য্য ধরো প্লিজ। "
ধীরেধীরে শান্ত হলো সূচনা৷ মাহের দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে মনে মনে বলল, 
-" আমি জানি সূচনা মা তোমাকে বংশধর আনার জন্য তাড়া দিচ্ছে। কিন্তু আমার এত তাড়া নেই। আল্লাহ যখন চাইবে তখনি আমাদের সন্তান আসবে৷ এখানে তোমার হাত নেই৷ সন্তান বাজারের কোনো পণ্য নয় যে চাওয়া মাত্রই পেয়ে যাব। মা কেন অবুঝতা করছে বুঝতে পারছি না কিন্তু এসবের জন্য তোমার পড়াশোনা আর মনে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এটা ঠিক বুঝতে পারছি। "


হৈমীর পরীক্ষা আগামীকাল শেষ। কথা অনুযায়ী রুদ্র পরীক্ষার মাঝে একটা দিন সময় করে ওঠতে পারেনি৷ দেখা করতে পারেনি হৈমীর সাথে। তাই শেষ পরীক্ষার আগের দিন রাত আটটার মধ্যে অফিসিয়াল সব কাজ শেষ করে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে সে৷ সারাদিন অফিস করে রাতে নিজেই ড্রাইভ করে ফেরার পথে ছোট্ট একটি দূর্ঘটনা ঘটায়৷ মাথায় আর হাতে চোট পেয়ে টাঙ্গাইল না গিয়ে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে যায়। সেখানে তার বান্ধবী সুবর্ণা ছিল। সে তার মাথায় ব্যান্ডেজ করে হাতে দুটো সেলাই করে দেয়। কিছু মেডিসিন লিখে দিলে সে ফেরার জন্য উদ্যত হয়৷ হসপিটালের করিডোরে তখনি অল্পবয়সী এক যুবকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে তার। এক দিকে শরীরের শোচনীয় অবস্থা অপরদিকে মাথার ভেতর চলছে তাকে রাতের মধ্যে টাঙ্গাইল ফিরতে হবে। সকালে হৈমীকে পরীক্ষা দিতে সে নিজেই নিয়ে যাবে। তারওপর এভাবে বেখেয়ালি যুবকটি ধাক্কা খেল! প্রচণ্ড বিরক্ত হয়ে তাই যুবকটিকে ধমকে মারতে উদ্যত হলো সে। বা হাতে কলার চেপেও ধরল। যুবকটিও কম নয়। অগ্নি চক্ষুতে তাকিয়ে কাঁধ চেপে ধরল রুদ্রর। মুহুর্তেই ছোটোখাটো হট্টগোল বেজে গেল। যুবকটি যে পথ দিয়ে এলো সে পথেই উপস্থিত হলো একজন মাঝবয়েসী মহিলা। ভীতিকর কণ্ঠে সে বলল, 
-" এই রিমন কী হয়েছে? এই ছেলে আমার ছেলেকে মারছ কেন তুমি? "

তীব্র ক্রোধান্বিত চোখ দু'টো সহসা তুলতেই সম্মুখে দণ্ডায়মান নারীটিকে দেখে আচমকা যুবকটির কলার ছেড়ে দিল রুদ্র। কান দু'টো সজাগ হলো। চোখ দু'টো বিস্মিত। মেরুদণ্ড দিয়ে নেমে গেল শীতল স্রোত। যুবকটিকে কিছু বলতে গিয়েও ঠোঁট কেঁপে ওঠল। সম্মুখের নারীটিকে আপাদমস্তক দেখে অবচেতনেই হৃদয় টনটন করে ওঠল। হাহাকার করে বের হতে চাইল একটি শব্দ, 
-" মা! "

কিন্তু তীব্র ঘৃণায় সেটুকু আর বের করতে পারল না। সম্মুখের নারীটিও বিস্মিত চোখে তাকিয়ে। নিজের প্রথম সন্তানকে চিনতে সে একটুও ভুল করেনি। ছবিতে যেমনটা দেখেছিল তার চেয়েও বেশি সুদর্শন তার প্রথম সন্তান রুদ্র শেখ। মনে মনে ভাবতেই ডুকরে ওঠল সে। চোয়ালদ্বয় শক্ত করে ধীরপায়ে এগিয়ে এসে রুদ্র বলল, 
-" মিসেস সুরভী! "

সুরভী বেগম হাত বাড়াল রুদ্রর দিকে। একটি ছোঁয়ার আশায়। ছিটকে দূরে সরে গেল রুদ্র। তীব্র ঘৃণায় চোখ খিঁচিয়ে বলল, 
-" ডোন্ট টাচ মি, ডোন্ট টাচ মি। "
রিমন ভ্রু কুঁচকে মায়ের পাশে এসে দাঁড়াল। রুদ্রর প্রতি হওয়ার কঠিন রাগটা নিমিষেই কমে এসেছে তার। মনে জেগেছে কৌতুহল। সে কৌতুহল থেকেই মা'কে জিজ্ঞেস করল,
-" আম্মু বড়োভাই? "


সুরভি মাথা নাড়াল। রুদ্র রিমনের দিকে অসহনীয় ঘৃণায় তাকিয়ে মুখ ফিরিয়ে নিল। সুরভি বেগম রুদ্রর দিকে এগিয়ে এসে বলল, 
-" তোর কী হয়েছে বাবা? মাথা, হাতের এ কি অবস্থা।  এই রুদ্র! "
আচমকা সুরভি বেগম রুদ্রর বাহুতে চেপে ধরলেন৷ তৎক্ষনাৎ রুদ্র হিংস্রতার সঙ্গে এক ঝটকায় হাত ছাড়াল। বিষয়টা এতটায় ক্রোধের সঙ্গে ঘটল যে সুরভি তাল সামলাতে না পেরে ছিটকে গেলেন। মাকে পড়ে যেতে দেখে রিমন এসে ধরল। মেজাজ খারাপ করে রুদ্রর দিকে তাকাল। বলল, 
-" এটা কী ধরনের আচরণ! "
রুদ্র সহসা তর্জনী উঁচিয়ে বলল, 
-" অ্যাঁই আচরণ শিখাবি না..."
এটুকু বলে সহসা থেমে গেল। বাকিটুকু আর উচ্চারণ করতে পারল না। একরাশ ঘৃণা নিয়ে দ্রুত প্রস্থান করল তার দেখা নিকৃষ্ট একজন মায়ের সামনে থেকে। সুরভি বেগম তার চলে যাওয়ার পথে তাকিয়ে মুখে আঁচল চেপে ডুকরে ওঠলেন। রিমনের বুকে মুখ গুঁজে অশ্রুপাত করলেন বিরতিহীন। 


রুদ্রর বাড়ি ফিরতে ফিরতে ফজরের আজান দিয়ে দিল। অসহনীয় দুঃখ, কষ্টে জর্জরিত বুকটা নিয়ে ঘরে ফিরল সে। বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই বুঝল গা কাঁপিয়ে জ্বর আসছে... মস্তিষ্কে জুড়ে সুরভি বেগমের মুখ গিজগিজ করছিল এরই মধ্যে সহসা হৈমীর মুখটা মনে পড়ল। গভীর ঘুমে তলিয়ে যেতে যেতে শুধু অস্ফুট স্বরে বলল, 
-" কথা রাখতে পারলাম না। এরজন্য আমি একটুও সরি নই। তোমার কপাল খারাপ। কারণ আমি মানুষটাই খারাপ। আমি কেন খারাপ জানো? কারণ আমাকে যিনি জন্ম দিয়েছেন ঐ একটা খারাপ। ওকে আমি খু"ন করব খু"ন। "


পরীক্ষা শেষ করে বাড়ি ফিরে গোসলে ঢুকেছে হৈমী। এমন সময় সূচনার কাছে ফোন এলো দাদিনের। জানালো রুদ্রর অবস্থা খুব খারাপ, এক্ষুণি তাকে নিয়ে হাসপাতাল যাচ্ছে। সে যেন হৈমী আর মাহেরকে নিয়ে হাসপাতালে চলে আসে। গোসল করে বের হওয়ার পর খবরটা শোনামাত্র হৈমীর চোখ দিয়ে অবিশ্রান্ত জল গড়াতে লাগল। একদিকে সূচনা আরেকদিকে হৈমী। একসঙ্গে দু'জনকে সামলে বিশ মিনিটের পথ শেষ করল মাহের। হাসপাতালে যাওয়ার পর শুনতে পেল গতকাল রুদ্র কখম বাড়ি ফিরেছে কেউ জানত না৷ দুপুর বারোটার দিকে দাদিন রুমের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে রুমে যায়। রুদ্রকে মেঝেতে সেন্সলেস অবস্থায় পায়। হাসপাতালে আনার পর ডক্টররা জানায় অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে ঘুমের ঘোরে মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছে তার। যা বড়ো ধরনের স্ট্রোকের পূর্বলক্ষণ। এ বয়সে এ ধরনের রোগ খুবই দুঃখজনক বলে আফসোস করছে ডাক্তাররা।

আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান 

সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।


চলবে 

৪৫ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন


লেখক সংক্ষেপ:

তরুণ লেখিকা জান্নাতুল নাঈমা সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। জানতে পারলে অবশ্যই তা কবিয়াল পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হইবে।

কবিয়াল
 
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন