উপন্যাস : তোমায় ঘিরে - ২
লেখিকা : জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ২৯ নভেম্বর, ২০২২ ইং
লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “তোমায় ঘিরে - ২” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। লেখিকা এটি “তোমায় ঘিরে” উপন্যাসের দ্বিতীয় সিজন হিসেবে লিখেছেন। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হল। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের নভেম্বরের ২৯ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
তোমায় ঘিরে - ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান |
৫৪তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
তোমায় ঘিরে- ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ৫৫)
মেহরাব বাসায় এসেই রান্নাঘরে চলে গেলো।নূর সেখানে দুপুরের রান্না করছিলো। মেহরাব নূরকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো।নূর চমকে উঠলো।
মেহরাবঃকি হলো?ভয় পেলে?
নূরঃএভাবে হুট করে জড়িয়ে ধরলো তো ভয় পাবোই।
মেহরাবঃভয় পাওয়ার কি আছে।আমি ছাড়া আর কার এতো সাহস আছে যে আমার নূরকে ধরবে?
নূরঃমনে পড়ে গেলো আপনি যে বিবাহিত?
মেহরাবঃআমি ভুল ছিলামটা কবে?
নূরঃভুলেন নাই না?সকাল সকাল নাস্তা না করে বেড়িয়ে যান।আসেন রাত ১ টা ২ টায়।
মেহরাবঃআর মাত্র কিছুদিন। ইলেকশনটা হয়ে গেলে সব নিয়মমাফিক হয়ে যাবে।
নূরঃদেখা যাবে কতো ঠিক হয়?
মেহরাবঃআমি কিন্তু ২ ঘন্টার সময় নিয়ে আসছি।তুমি চাইলে ২ ঘন্টা তোমাকে আদর করতে পারি।
নূরঃএকদম না।হাত মুখ ধুয়ে আসেন।খাবার বাড়ছি।
মেহরাবঃআমারতো এখন তোমাকে খেতে ইচ্ছে করছে।
নূরঃআমরা রান্নাঘরে।
মেহরাবঃচলো তাহলে বেডরুমে।
নূর ভেংচি কাটল।
মেহরাব নূরের ঘাড়ে মুখ গুযে দিলো।নূর খেয়াল করলো মেহরাবের হাতটা লাল হয়ে আছে। নূর সাথে সাথে হাতটা ধরে দেখতে লাগলো।
মেহরাবঃকি হলো?
নূরঃহাতে লাল মরিচ কি করে লাগলো।
নূর মেহরাব এর হাতটা ঠান্ডা পানিতে দিলো।হাত পুরো লাল হয়ে আছে।
নূরঃজ্বলছে না?কি করে লাগলো বলুন তো?কি দরকার ছিলো রান্নাঘরে আসার?আমাকে ডাকলেই পারতেন।এখান থেকে লেগেছে হয়তো।নূর বরফ দিচ্ছে মেহরাবের হাতে।আর ছটপট করছে যেন ব্যাথা মেহরাব না নূর নিজে পেয়েছে।
মেহরাবঃমরিচ লাগছে কেটে যায় নাইতো নূর পাখি।
নূরঃশিইইইইইস।খুব পচা আপনি।নিজের একটুকু যত্নও নেন না।কত গুলো মরিচ। হাত ধোঁয়ার পরও লাল হয়ে আছে।কতই না জ্বলছে একদমই খেয়াল থাকে না নিজের প্রতি।
নূর মেহরাব এর হাতে বরফ ঘষে দিচ্ছে।
মেহরাব মুগ্ধ হয়ে নূরকে দেখছে।সাদা থ্রি পিস পড়া নূরকে খুব স্নিগ্ধ লাগছে।কপালে স্পষ্ট ফুটে উঠা চিন্তার ভাজ নূরকে আরো মায়াবি করে তুলছে।ঠোঁট গুলো মেহরাব এর হাতে ফু দিতে ব্যস্ত।চোখের পাপড়ি গুলো এক সেকেন্ডে বার কেপে উঠছে।নূর টেনশন করলে বেশি বেশি পলক ফেলে।মেহরাব তার প্রিয়সীর দিকে নেশাক্ত নয়নে তাকিয়ে আছে।নূরের নেশা মেহরাবকে এক অজানা ঘোরে নিয়ে যাচ্ছে।
মেহরাব~
Tere baho mai mili aisi rahat si mujhe
Ho gayi jane jahan
Teri adaat si mujhe.
Diwana kar raha hai
Tera rup sunehra
Musalsal khal raha hai
Mujhko ab ye sehra
Bataan ab jaye to jaye kahan?
নূর মেহরাব এর কন্ঠে এই গানটা অনেক বছর পর শুনে অবাক হয়ে যায়।মেহরাব নূরকে আলতো করে জড়িয়ে ধরলো।নূর মেহরাব এর নিশ্বাসের শব্দ একদম কাছ থেকে শুনতে পাচ্ছে।নূরের নিশ্বাস ভারী হয়ে আসছে।
Dard ka alam hai hardam
Tere bin wo mera hamdam
Akho mai dikti hai mayusiya
Jaha vi jayu tere bin
Bari musqil se gujre din
Chubti hai dil ko teri khamosiya
নূরের কপালে মেহরাবের ঠোঁটের স্পর্শ পড়লো।নূর চোখ বন্ধ করে নিলো।মেহরাব নূর এর কোমড় জড়িয়ে ধরলো।মেহরাব এর এমন হুটহাট আদরে তাল সামলানো বেজায় মুশকিল নূরের কাছে।নূর একদম অন্যমনস্ক হয়ে পড়লো।
Diwana kar raha hai
Tera rup sunehra
Musalsal khal raha hai mujhko ab ye sehraa
Bata ab jaye to jaye kahaan?
মেহরাব নূরের ঠোঁটে ঠোঁট ডুবাতে যাবে তখনই আদ্রিয়ান ভাবীইইইই বলে ডাক দিয়ে উঠলো।নূর মেহরাবকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো।মেহরাব বেচারা হুট করে ঝটকা খেলো।
আদ্রিয়ানঃভাবীইইইই।
মেহরাবঃকি সারাদিন ভাবী ভাবী করস?আর কোনো কাজ নাই?বিয়ে কি তোর জন্য করে আনছি আমি?আমার থেকে বেশি সময়তো তুই থাকিস আমার বউয়ের সাথে।
আদ্রিয়ান এর মুখ ছোট হয়ে গেলো।
নূরঃএকদম বাজে বকবেন না।আমার দেবরই আমার দঃসময়ের সজ্ঞী।আপনি তো সারাদিন কাজ নিয়ে পড়ে থাকেন।ও না থাকলে আমি একদম একা হয়ে যেতাম।
আদ্রিয়ানঃথাক ভাবী।আমি তো চলেই যাবো আড়াই মাস পর।তখন ভাইয়া তোমাকে সারাক্ষনের জন্য পাবে।এখনতো আর দিচ্ছি না।
মেহরাবঃবিয়ে দিয়ে দিবো তোর।তাইলেই ভালো হবি তুই।আর ভাবী ভাবী করতে পারবি না।তোর বউ তোকে সোজা করবে।
আদ্রিয়ানঃঘোড়ার ডিম করবে।একটু বকলেই ভ্যা ভ্যা করে কেদে দেয় সে নাকি আমাকে সোজা করবে। (মনে মনে)
নূরঃকিছু বলবি রে?
আদ্রিয়ানঃতোমার বান্ধুবিকে সকালে একটু বকছিলাম আর বের হয় নাই রুম থেকে। দরজাও আটকে রেখেছে।একটু দেখোতো কি হয়েছে?
মেহরাবঃকোন সাহসে বকলি তুই আমার একমাত্র শালীকাকে।১০ টা না ৫ টা না ১ টা মাত্র শালীকা আমার।তাও চলে যাবে কালকে। আর আজকে এমন বকা বকি শুরু করলি?
আদ্রিয়ানঃচলে যাবে মানে?কই যাবে?কেন যাবে?
নূরঃওহ। তোমাকে তো বলা হয় নাই।আংকেল আজ রাতের ফ্লাইটে রাওনা দিবেন।কালকে সকালেই চলে আসবেন বাংলাদেশে।তাই মিরা কালকে সকালেই চলে যাবে।
মেহরাবঃদেখি সরো তোমরা দুইটা।আমার শালিকাটার রাগ ভাংগিয়ে আসি আমি।
মেহরাব মিরার রুমের দিকে চলে গেলো।
আদ্রিয়ান থ হয়ে গেলো মিরার যাওয়ার কথা শুনে।
আদ্রিয়ানঃভাবি।
নূরঃহুম।বলো।
আদ্রিয়ানঃমিরা কেন যাবে? না গেলে হয়না?
নূরঃযেতে তো হবেই।আজকে নয়তো কালকে।আংকেলতো আসতোই না। কিন্তু মিরার জন্য যে বাংলাদেশি ছেলে ঠিক করেছিলো মিরা তাকে নিষেধ করে দিয়েছে।তাই আংকেল নিজে বাংলাদেশে এসে মিরাকে ওই ছেলের সাথে বিয়ে দিবেন।
আদ্রিয়ানঃওই ছেলের মধ্যে কি স্বর্ন অলংকার ঝুলানো যে ওকেই বিয়ে করতে হবে?মিরা যখন না করছে তো ওকেই কেন বিয়ে করতে হবে?
নূরঃতো কি তোর কাছে বিয়ে দিবে?কি আজাইরা প্রশ্ন করছিস?সর দেখি।
শালি দুলাভাই মিলে কি খিচুড়ি পাকাচ্ছে।
আদ্রিয়ানঃহুম।
নূরঃতোর মন খারাপ হচ্ছে কেন? ওর সাথে আর ঝগড়া করতে পারবি না বলে?
আদ্রিয়ানঃজানিনা।তুমি যাও ওর কাছে।আমি আমার রুমে যাচ্ছি।
নূরঃকেন বলতো?তুই না এসে বললি ও দরজা খুলছে না।এখন আবার তুই চলে যাচ্ছিস?
আদ্রিয়ানঃআমার মাথা ব্যাথা করছে ভাবী।
আদ্রিয়ান আর এক মূহুর্ত দাড়ালো না। নিজের রুমে চলে গেলো।
নূর মিরার রুমে যেয়ে দেখে মেহরাব মিরা বসে গল্প করছে।
নূরঃএই ছিলো তোর রাগ?
মিরাঃকিসের রাগ?আমি তো ঘুমিয়ে ছিলাম।কে বললো আমি রেগে আছি বল দেখি।মেহরাব ভাইয়াও এসে এটাজ জিজ্ঞেস করছেন।
নূরঃকে আবার আদ্রিয়ান বললো তুই নাকি ওর উপর রেগে আছিস।
মিরাঃরাগ করার কাজ করলে রাগবো না?আমি কত ঘন্টা লাগিয়ে চা বানালাম তার জন্য তিনি সেটা খেয়ে আমাকে যা ইচ্ছে তা শুনিয়ে দিলো।বুঝলাম পারি না আমি কিন্তু একটুতো মন রক্ষা করতেই পারতো।
নূরঃআচ্ছা বাদ দে।খেতে চল।
মেহরাবঃআদ্রিয়ান আসবে না?
নূরঃওকে দিয়ে আপনি কি করবেন?যা ইচ্ছে তা তো শুনিয়ে দিলেন বাচ্চাটাকে।
মিরাঃকি শুনালো?
নূরঃকত কিছুই শুনালো।বাকি কি রাখছে।বাচ্চাটা ৩ মাসের জন্য আসছে।আর এখানে তা কারো সহ্যই হচ্ছে না।
নূর রেগে চলে গেলো।
মেহরাবঃশালিকা।
মিরাঃহুমম।
মেহরাবঃআমি আমার বউকে মানাই।তুমি একটু আদ্রিকে নিয়ে আসবে?ও না আসলে নূরও না খেয়ে থাকবে।নূর না খেলে আমিও না খেয়ে চলে যাবো।আর আমরা ৩ জন না খেলে তুমি খেতে পারবে বলো?
মিরাঃআরে আরে থামো।আমি যাচ্ছি।
মেহরাবঃগুড শালী আমার।
মেহরাব উঠে নূরের পিছনে পিছনে চলে গেলো।মিরা আদ্রিয়ান এর রুমের দিকে পা বাড়ালো।
ভরা দুপুর জানালা বন্ধ করে পর্দা টানিয়ে রুম অন্ধকার করে রেখেছে আদ্রিয়ান।বিছানা রেখে মাটিতে মাথা চেপে ধরে বসে কিছু একটা ভাবছে।মিরা আদ্রিয়ান পাশে যেয়ে বসলো।
আদ্রিয়ানঃরাগ কমছে?
মিরাঃহুম।
আদ্রিয়ানঃভালো।
মিরাঃমাথা ব্যাথা করছে?
আদ্রিয়ানঃনা।
মিরাঃআচ্ছা।খেতে যাবেন না?
আদ্রিয়ানঃখুদা নাই।
মিরাঃকেন?
আদ্রিয়ানঃচলে যাবে কালকে এটা আমাকে বলো নাই কেন?
মিরাঃভাবছিলাম চা বানিয়ে খাওয়াবো। তারপর বলবো।কিন্তু তার আগেই তো
আদ্রিয়ান মিরার কোলে মাথা রেখে কোমড় জড়িয়ে ধরলো।
আদ্রিয়ানঃথেকে যাও।আমি আর একটু ও কাদাবো না তোমাকে।উল্টাপাল্টা রান্না করলেও চুপচাপ খেয়ে নিবো।একটা টু শব্দ ও করবো না।যেও না আমাকে ছেড়ে।তোমাকে ছাড়া থাকার কথা ভাবতেও দম বন্ধ হয়ে আসছে।
মিরা আদ্রিয়ান এর চুলগুলো আলতো করে টেনে দিলো।
মিরাঃঅনেক ব্যাথা?
আদ্রিয়ানঃনা।একটু।
মিরাঃতাহলে প্রথম নিষেধ করলেন কেন?
আদ্রিয়ানঃজানিনা তো।
মিরাঃকি জানেন?
আদ্রিয়ানঃতুমি যাবে না।
মিরাঃকোন অধিকারে আটকাবেন আমাকে?
আদ্রিয়ান চুপ হয়ে গেলো।
মিরাঃবলেন?
আদ্রিয়ানঃবলতে হবে?
মিরাঃহ্যা।না বললে কি করে বুঝবো কেন আটকাবেন আমাকে? আপনি তো আর আমাকে ভালোবাসেন না।
আদ্রিয়ানঃজানিনা তো।
মিরাঃকি জানেন?
আদ্রিয়ান~
ভালোবাসি কি না জানি না তবে আমার দিনের শুরুটা তোমাকে ভেবে আর শেষটা তোমাকে ভাবার কাজটাকে ইতি টেনেই হয়।
আমার ঠোঁটের প্রথম হাসি থেকে শেষ শান্তির ঘুমটার কারন শুধু তোমার মায়াবি হাসিটাই হয়।
তোমাকে কাদতে দেখলে বুকের পাজরে তীব্র চিনচিনে ব্যাথা অনুভব করি আমি।যন্ত্রনাটা খুবই মিষ্টি মনে হয় আমার কাছে তাই তোমাকে বার বার কাদাই।
এই ব্যাথা অনুভব করায় মিরা নামক মায়াবীনি কষ্টে আদ্রিয়ান নামক তুচ্ছ মানবের অস্তিত্ব নড়ে চড়ে উঠে।
আদ্রিয়ান চৌধুরীর এর সারাদিন মিরাকে কিভাবে জ্বালাবো, কিভাবে হাসাবো, কিভাবে কাদাবো এইসব ভাবতেই চলে যায়।এই ভাবনা যেন কোনো শেষ নেই।
আমি চাই ও না এই ভাবনার শেষ হউক।ভালো লাগে আমার তোমাকে ভাবতে।আত্মার মানসিক সুখ হয়ে গিয়েছো তুমি আমার।
আমার সবটা জুড়ে এখন শুধু তোমার বসবাস।
বলবো না ভালোবাসি।শুধু বলবো আমার অস্তিত্বের সবটুকু #তোমায়_ঘিরে।
তুমিতে আমার প্রাপ্তি।
তুমিতেই আমার নিঃশেষ।
তুমি আমার নেশা।
তুমি আমার প্রশান্তি।
তবু ও বলবো না ভালোবাসি।
শুধুই বলবো আমার ভালো থাকাটা #তোমায়_ঘিরে।
শুধুই #তোমায়_ঘিরে আমিটা।
মিরা কিছু বলার ভাষাই হারিয়ে ফেললো।আদ্রিয়ান এর সহজ সরল স্বীকারোক্তি মিরার ঠোঁট গুলোকে নিশ্চুপ করে দিয়েছে।বুকের মধ্যখানটায় যেয়ে আঘাত করছে আদ্রিয়ান এর কথাগুলো।
বুকের গভীর পর্যন্ত আদ্রিয়ানকে অনুভব করতে পারছে মিরা।কানে শুধু দুইটি শব্দ বার বার ভাসছে।
শব্দ দুটি ~ #তোমায়_ঘিরে। #তোমায়_ঘিরে।
ভালোবাসি না বলেও যে মানুষ এই ভাবে ভালোবাসা অনুভব করাতে পারে তা আজ আদ্রিয়ান এর মুখে না শুনলে কখনোই টের পেতো না মিরা।
কি সুন্দর ভালোবাসি না বলেও অনুভব করিয়ে দিলো আদ্রিয়ান এর জীবনে মিরা কতটা জুড়ে আছে।
কি সুন্দর ভালোবাসি না বলে ও বুঝিয়ে দিলো ভালোবাসি শব্দটা থেকে ও তোমায় ঘিরে শব্দটা কত সুমধুর শোনায়।
মিরাঃআমিও চাই সারাজীবন আপনার তোমায় ঘিরে হয়ে থাকতে।রাখবেন আমাকে আপনার করে?
আদ্রিয়ানঃএকদম বুকের গভীরে লুকিয়ে রাখবো।যেখানে রাখলে তীব্র রোদ ও তোমার কাছে মিষ্টি মনে হবে এতোটা গভীরে রাখবো।
মিরাঃআদ্রিয়ান।
আদ্রিয়ানঃহুম।
মিরাঃভালোবাসি বলবেন না কখনো।যদি বলার হয়ে থাকে তাহলে #তোমায়_ঘিরে ই বলবেন।
আদ্রিয়ান মুচকি হেসে মিরার কোমড় জড়িয়ে ধরলো।মিরা আলতো করে আদ্রিয়ান এর চুল গুলো টেনে দিলো।
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
চলবে ...
৫৬তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন