উপন্যাস : তোমায় ঘিরে - ২
লেখিকা : জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান
গ্রন্থ :
প্রকাশকাল :
রচনাকাল : ২৯ নভেম্বর, ২০২২ ইং
লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরানের “তোমায় ঘিরে - ২” শিরোনামের এই ধারাবাহিক উপন্যাসটি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে নেয়া হয়েছে। লেখিকা এটি “তোমায় ঘিরে” উপন্যাসের দ্বিতীয় সিজন হিসেবে লিখেছেন। ‘কবিয়াল’ পাঠকদের জন্য উপন্যাসটি পর্ব আকারেই প্রকাশিত হল। লেখিকা অনবদ্য এ উপন্যাসটি ২০২২ সালের নভেম্বরের ২৯ তারিখ থেকে লেখা শুরু করেছেন।
![]() |
তোমায় ঘিরে - ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান |
৫৩ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
তোমায় ঘিরে- ২ || জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান (পর্ব - ৫৪)
৭ দিন হয়ে গেলো তিথির কোনো খোঁজ পাওয়া যায় নাই।মেহরাব নিজের সবটুকু ক্ষমতা ব্যবহার করে তিথিকে খুজে কিন্তু তিথির ব্যাপারে একটা তথ্যও সংগ্রহ করতে পারেনি।
আরিয়ান আদ্রিতাকে নূর এর সাথে ঘটে যাওয়া সকল ঘটনা খুলে বলে।আদ্রিতা শোনার পর থেকে তিথি নামটাও সহ্য করতে পারছে না।যতটা তিথিকে এর জন্য দোষারোপ করছে তার থেকে বেশি নিজের প্রতি রাগ উঠছে।আদ্রিতা নূরের রুমের দরজায় দাড়িয়ে আছে।প্রবেশ করতে মনের মধ্যে জড়তা কাজ করছে।
নূর বিছানা গুছানের সময় ড্রেসিং টেবিলের আয়নায় দরজায় দাড়ানো আদ্রিতার প্রতিচ্ছবি দেখে।
নূরঃআপুনি।দাঁড়িয়ে আছো কেন?ভেতরে আসো।
আদ্রিতাঃনূর।
নূর এর হাতগুলো থমকে গেলো।নূর পিছনে ঘুরে অবাক চোখে তাকাচ্ছে আদ্রিতার দিকে।
আদ্রিতাঃআর মুখ ঢেকে থাকতে হবে না।আমি সব জেনে গিয়েছি।
নূরঃআপুনি।তুমি।
আদ্রিতাঃহ্যা।আমি জানি।আর কার জন্য নিজেকে আড়াল করে রাখবে?তিথিই?সে তো চলেই গিয়েছে আমাদের সবার জীবন ধ্বংস করে দিয়ে।
নূরঃআপু যে চলে গিয়েছে তার ব্যাপারে এভাবে না বলি।
আদ্রিতাঃআই এম সরি।
নূরঃউহুম।একদমই না।
আদ্রিতাঃআমি তোকে ভুল বুঝেছি বোনু।আমাকে ক্ষমা করে দে।
নূরঃযা চলে গেছে তা বাদ দাও তো।এখন আগামী ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবো।আদ্রিয়ান এর জীবনটা গুছাতে হবে আমাদের।
আদ্রিতাঃহুম।
মিরা চা বানানোর কঠিন চেষ্টা চালাচ্ছে।কিন্তু হচ্ছে না।আদ্রিয়ান কথার ছলে ছলে বলেছিলো আদ্রিয়ান চৌধুরীর বউ সব রান্না পারবে।যে পারবে না তাকে আদ্রিয়ান বিয়েই করবে না।মিরার এখন তা নিয়ে খুব টেনশন।কারন মিরা জীবনে রান্নাঘরেই যায় নাই।রান্নাতো দূরের কথা।
৪র্থ বারের সময় মিরার চা মোটামুটি ভালো দেখাচ্ছে।মিরা এইবার আর টেস্ট করলো না।এই চা নিয়েই আদ্রিয়ান এর কাছে হাজির হলো।
আদ্রিয়ান মন দিয়ে মোবাইল ঘাটছিলো।মিরা চায়ের কাপ নিয়ে এসে আদ্রিয়ান এর সামনে দাড়ালো।আদ্রিয়ান ডান দিকে চোখ তুলে একবার তাকিয়ে নিজের কাজেই মনো নিবেশ করলো।
মিরাঃপাত্তা দিচ্ছেন না নাকি?
আদ্রিয়ানঃহুমমমমমমমমমমম।বলো।
মিরাঃচা নিয়ে আসছি।খাবেন?
আদ্রিয়ান ফোন রেখে মিরার দিকে চমকে তাকালো।
আদ্রিয়ানঃএটাতে ইদুর মারার ওষুধ মিলিয়ে আনছো নাকি?
মিরাঃগলাটা আসে না সেটা টিপলেই মরে যাবেন।এর জন্য আমার কফি বানাতে হবে না।
আদ্রিয়ানঃআমার গলা কি তোমার মতো মুরগী গলা নাকি যে টিপলে মরে যাবো।
আমার গলা টিপতে যেয়ে দেখো তোমার হাত মচকে যায় নাকি।হা হা হা।
মিরাঃঅসভ্য লোক। আপনার জন্য চা আনাই ভুল হয়েছে।
আদ্রিয়ানঃআরে আরে দাও।দেখছি।ভুল হলো নাকি কি হলো
আদ্রিয়ান কাপটা নিয়ে এক চুমুক দিতেই মুখটা বাংলার পাচ করে ফেললো।উঠে যেয়ে বেসিনে থুথু ফেলে আসলো।
মিরাঃকি হলো?খুব খারাপ?
আদ্রিয়ানঃএটা চা ছিলো? এর থেকে ভালো তো আমি তিনদিন না খেয়ে থাকতে পারবো?জীবনে রান্নাঘরে যাও নাই নাকি?
আর না গেলে কে বলসে যেতে?সকাল সকাল মুখের স্বাদটা নষ্ট না করলেই পারতে।
চিনি আর লবনের মধ্যকার তফাৎটা যে মেয়ে চিনে না সেই মেয়ে আর কি রান্না করবে।এর থেকে ভালো না খেয়ে থাকা।
আর কখনো যাবে না রান্না করতে।বুঝছো?
আদ্রিয়ান গড়গড় করে এতো গুলো কথা শুনিয়ে দিলো।তারপর মিরার দিকে তাকিয়ে থ হয়ে গেলো।মিরার চোখ ছলছল করছে।বহু কষ্টে কান্না চেপে রেখেছে।
আদ্রিয়ানঃএইটুক কথায় কান্না করতে হবে?আর কান্না করতে হবে ভালো কথা।কান্না করো।কিন্তু এই ভাবে দাতে দাত খিচে চোখের পানি আটকে রেখেছো কেন?
মিরাঃকারন আমি ছিচকাদুনি না।
আদ্রিয়ানঃহা হা হা।হা হা হা।
ওরে আমার ছিচকাদুনিরে।হা হা হা।
মিরা দৌড়ে উপরে চলে গেলো।
আদ্রিয়ানঃমেয়েটা এতো দুর্বল।সারাদিন শেরনীর মতো ঘুরে আর একটু কিছু বললেই বিড়ালের মতো আদুরে হয়ে যায়।
হা হা হা।
আদ্রিয়ান চায়ের কাপটা হাতে তুলে নিলো।
আদ্রিয়ানঃএতো কষ্ট করে বানিয়ে এনেছে।সামান্য লবনইতো।খাওয়াই যায়।
আদ্রিয়ান মুচকি হেসে কাপে চুমুক দিলো।
আজ সাতদিন পর তিথির চোখের বাধন খোলা হলো।কিন্তু এতে তিথি খুশি হতে পারলো না।তিথি পানি ছাড়া মাছের মতো ছটপট করছে।কারন তিথির চোখের বাধন খুলতেই এক গাদা লাল মরিচ বাতাসের বেগে ঝিটকে এসে চোখে ঢুকে গেলো।
তিথির হাত গুলো বাধা দেখে হাত দিয়ে চোখও মুছতে পারলো না।কই মাছের মতো ছটপট হাহাকার করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই তার কাছে।
তিথিঃপানিইই।পানিইইই।প্লিজ পানি দিন।আমার কষ্ট হচ্ছে।আমি পারছি না।আয়াহ।
খুব জ্বলছে।প্লিজ পানিই।
_খুব জ্বলছে তিথি পাখির?
_মেহরাব?
_হা হা হা।তুমি নিজেই চোখ খুলে দেখো।এমনিতেতো সাত দিন অনেক চেচিয়েছো।চোখ খুলো চোখ খুলো বলে।এই বার তো খুলে দিলাম এইবার তাকাও।তাকিয়ে দেখোতো তোমার সামনে কে দাড়িয়ে আছে?
তুমি তো ভালোইবাসো আমাকে তাহলে ভালোই চিনবে।কি চিনবে না?
তিথি খুব কষ্টে ঝাপসা চোখে সামনে দাঁড়ানো মেহরাবকে দেখলো।কিন্তু বেশিক্ষন দেখার আগেই চোখের ভিতরে মরিচ চলে গেলো।তিথি চিৎকার করে উঠলো।
মেহরায়ায়ায়াব।পানি পানিই।চোখে চলে গিয়েছে।
মেহরাব এক গ্লাস পানি তিথির মুখে ছুড়ে মারলো।তিথি হঠাৎ পানির আঘাতে কেপে উঠলো।চোখের জ্বালা পোড়া একটু হলেও কমে আসলো।
মেহরাবঃতাকাও তিথি। দেখো তোমার সামনে মেহরাব চৌধুরী দাড়িয়ে আছে।তোমার ভালোবাসা।যে ভালোবাসার জন্য তুমি এতো কিছু করলে সে ভালোবাসা নিজ থেকে তোমার সামনে এসে দাড়িয়েছে।তাকাও দেখো আমাকে।
তিথি চোখ খুলতেই পারছে না।অনেক জ্বলছে চোখ।
মেহরাবঃকি হলো বলোতো?যাকে পাওয়ার জন্য মানবিকতার সব লিমিট ক্রস করে দিলে এখন তার দিকে তাকাতেই পারছো না?
মেহরাব চৌধুরীর দিকে চোখ খুলে তাকাতেই পারছো না আর তাকে সারাজীবন এর জন্য পাইতে চাওয়াটা কি বেমানান না? বলো দেখি।
তিথির মাথায় জেদ চেপে বসলো। তিথি নিজের সবটুকু ব্যাথা সহ্য করেও চোখ খুললো।কিন্তু তবুও মেহরাব এর চেহারাটা স্পষ্ট দেখতে পারলো না।
মেহরাব হুংকার দিয়ে উচ্চশব্দে হেসে দিলো।তিথির চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে আর মেহরাব খিলখিলিয়ে হাসছে।
তিথিঃভাইয়া।আপনিই আমাকে এতো দিন ধরে এখানে বেধে রেখেছেন?কেন ভাইয়া?কি দোষ আমার।শুধু আপনাকে বিয়ে করতে চেয়েছি বলে এই শাস্তি আমার?
মেহরাব একটা চেয়ার টেনে পায়ের উপর পা দিয়ে বসলো।তারপর আবারো আর এক গ্লাস ঠান্ডা পানি তিথির চোখে ছুড়ে মারলো।তিথি এইবার মিট মিট করে একটু একটু চোখ খুলতে পারছে।
মেহরাবঃকি যে বলো না তিথি পাখি।বিয়ে করতে চেয়েছো আমার রানী হয়ে থাকতে তাই না?
আমি অবশ্যই তোমাকে রানী করে রাখবো।কিন্তু আমার রানীতো আছে।তাহলে তোমাকে কই রাখবো বলো দেখি?
এক রাজারতো একটাই রানী হয়।
মেহরাব ভাবতে লাগলো।
তিথি অবাক হয়ে মেহরাবের পাগলামী দেখছে।
মেহরাব অনেকক্ষন ভাবার পর বললো।
মেহরাবঃরাজার বাসায়তো শুধু রানীই হয় না।আরো একটা রানী হয়।
চাকরানী~
আজ থেকে তুমি মেহরাব চৌধুরীর চাকরানী।
কথাটা বলে মেহরাব বাকা হাসালো।
তিথিঃভাইয়া?আপনি এমন করছেন কেন?
মেহরাবঃআর অভিনয় করবে না।খবরদার।আমি সব জানি। সব।
তিথিঃভাইয়াকি তাহলে সব জেনে গেলো? (মনে মনে)
মেহরাবঃআমি আদ্রিয়ান কে বলি তোমার সাথে অভিনয় করতে।যাতে তুমি কোথাও না পালাতে পারো।
আমি আদ্রিয়ানকে বলি যে তোমাকে আমি শাস্তি দিবো না।এই কথাটা না বললে আদ্রিয়ান তোমাকে পুলিশের কাছে তুলে দিতো।
এতে আমি স্বস্তি কখনোই পেতাম না।
তোমাকে আমি নিজ হাতে শাস্তি দিবো।আমার বাচ্চার খুনিকে প্রতিক্ষনে ক্ষনে প্রতি মূহুর্তে প্রতি দিনে মরতে হবে।
তিথি দুনিয়া ঘুরে গেলো।এ কি শুনছে।মেহরাব সব জেনে গিয়েছে।
মেহরাব আবারো বলতে শুরু করলো।
মেহরাবঃ
একবারে আমি তোমাকে কখনোই মারবো না।প্রতিদিন তোমাকে মৃত্যুর একদম কাছে থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসবো।তুমি নিজে বলবে তোমাকে মেরে ফেলতে কিন্তু আমি তোমাকে মারবো না।
অনেক হিসাব নিকাশ কষেছি।সব মিটমাট করতে হবে।
নূরপাখি গলার কন্ঠের হিসাব।আমার বাচ্চাকে আঘাত করার হিসাব।নূরের প্রতিটা আত্মচিৎকারের হিসাব।আদ্রিয়ান এর চোখের পানির হিসাব।আদ্রিতা বিশ্বাসের হিসাব।আমার বাবা মার ভালোবাসার হিসাব।সব হিসাব হবে।
তিথিঃভাইয়া।আপনি আমার সাথে এমন করতে পারেন না।মেহরাব বাবাই থাকলে এমন হতে দিতো না।
মেহরাব বাকা হাসলো।
মেহরাবঃআমার আব্বুকে তুমি জানোই কতটুক?আমার বাবা ন্যায়বিচার করতে আমার দাদুকে পর্যন্ত গান পয়েন্টে নিয়েছে।আমি সেই আরাফাত চৌধুরীর ছেলে।
আমার কাছে সবাই সমান।তোমার জায়গায় আদ্রিয়ান আদ্রিতা হলেও ঠিক এমনি শাস্তি পেতো।
তিথিঃআমি আদ্রিয়ানকে সব বলে দিবো।
মেহরাবঃহহা হা হা।হা হা হা।
তুমি বলবে আর ও বিশ্বাস করবে?
আচ্ছা তোমার কি মনে হয়?আমি মন্ত্রী পদে হাওয়ায় ভেসে আসছি?
রাজার মতো নীতি খাটিয়ে আজ আমি রাজনীতির রাজপ্রধান। আদ্রিয়ান আমাকে বলেছিলো তোমাকে শাস্তি দিতে আমি ওর সামনে একটুকু রাগের বহিঃপ্রকাশ করি নাই।৭ দিন পাগলের মতো তোমাকে খোজার অভিনয় করছি।
তুমি প্রমান সহ গেলেও কেউ তোমাকে বিশ্বাস করবে না।
তিথিঃআপনার মতো সহজ সরল মানুষ এমন হয়ে গেলো কি করে?
মেহরাবঃ দুনিয়া গোল
এখানে সবার দুটি Role..
হা হা হা।হা হা হা।
মেহরাবের হাসির আওয়াজ পুরো রুম জুড়ে ভয়ানক গুঞ্জন সৃষ্টি করছে। তিথির কানে বাজছে এই হাসিটা।যেই হাসি যেই মানুষে ব্যক্তিত্বে প্রভাবিত হয়ে আজ এতকিছু করলে তার এই রূপ মোটেও কাম্য না।
তিথিঃআমাকে ছেড়ে দাও ভাইয়া।আমি আর কখনো তোমাদের মাঝখানে আসবো না।কখনোই না।আমি আদ্রিয়ানকে নিয়ে ভালো থাকবো।আমি ভুল করেছি আদ্রিয়ান এর ভালোবাসা অবহেলা করে তোমাকে ভালোবেসে।আমাকে ক্ষমা করে দাও।
মেহরাবঃআমার মধ্যে ক্ষমা নামক জড় পদার্থের বাস একদমই নাই।যে আমার এই রূপ দেখবে সেই মরবে।তোমাকে এখান থেকে মৃত্যু ছাড়া আর কিঁঁছুই মুক্তি দিতে পারবে না।
মেহরাব কথাটা বলে মেচের কাঠিতে আগুন লাগিয়ে তিথির দিকে ফেললো।চারপাশে দাউদাঊ করে আগুন জ্বলতে লাগলো।মেহরাব চারদিকে কেরোসিন ছিটিয়ে রেখেছিলো।তিথি চারপাশে আগুব জ্বলছে।মেহরাব কিছুটা দূরত্বে দাঁড়িয়ে বাকা হাসছে।
তিথিঃআমি ভুল করছি।জীবনের সব থেকে বড় ভুল করছি আদ্রিয়ানকে ঠকিয়ে।ওর ভালোবাসা আমার সব থেকে বড় ছায়া ছিলো।আমাকে সুযোগ দাও।একটা সুযোগ দাও। আমি ভুল শুধরে নিবো।
সব আগের মতো হয়ে যাবে।তুমি নূর আপুনি আমি আদ্রিয়ান আদ্রিতা আপু আরিয়ান ভাইয়া সবাই একসাথে মিলেমিশে থাকবো।ভাইয়া।আমাকে ক্ষমা করে দাও।
মেহরাবঃকরে দিবো।করে দিবো আমি ক্ষমা।সব ভুলে যাবো।আমার মেয়েকে আমার রক্ত আমার প্রথম সন্তান আমার ভালোবাসার চিহ্ন ফিরিয়ে দাও।আমি সব ভুলে যাবো।সব।
তিথি অসহায় মুখে তাকালো।
মেহরাবঃকি হলো দিবে না বলো?চাইলেই তো সব ঠিক করা যায়।দাও ঠিক করে।দাও আমার কলিজার টুকরোকে ফিরিয়ে।
তিথি কাদতে লাগলো।আগুন তিথির পায়ে ধরে গেলো।
তিথিঃভাইয়ায়ায়া।অনেক কষ্ট হচ্ছে।আমি মরে যাবো তো।
মেহরাব বেড়িয়ে গেলো।
মেহরাবঃThe game is on😉....
গার্ডস আগুন নিভিয়ে ওরে মেডিসিন ভালো মন্দ খেতে দাও।ফেভারিট খাবার দিও কিন্তু। আর হ্যা।মরে না যাতে।এখানে ওকে জান্নাত জাহান্নাম দুটো সুখই দেয়া হবে।
মেহরাব মুচকি হেসে বেড়িয়ে গেলো।
পিছন থেকে গাডর্সরা বলে উঠলো।
_ইনার থেকে ডেঞ্জারাস লোক আমি আর কাউকে দেখি নাই।
_আর উনার মতো দয়ালু লোকও আমি দেখি নাই।উনার জন্যই আমাদের মতো অনেক গরিব পরিবারের সংসার চলে।
_হ্যা।ইনাকে বোঝা খুবই কঠিন।
আর একজন বললো।
_এত কঠিন ও না।উনি গরিবের ফেরেশতা আর পাপীদের জন্য আজরাঈল।
সবাই সম্মতি প্রকাশ করলো।
একজন বৃদ্ধ বলে উঠলো।
_হ্যা।এই এক কথাই মেহরাব বাবার চরিত্র প্রকাশ পায়।
তিথি কাদতে কাদতে জ্ঞান হারায়।তিথির শেষ উচ্চারণ ছিলো
তিথিঃআদ্রিয়ান।
আপনার পছন্দের গল্পের নাম কমেন্টে জানান
সবার আগে সব পর্ব পেতে যুক্ত হন আমাদের ফেসবুক পেজে।
চলবে ...
৫৫তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক/ট্যাপ করুন
লেখক সংক্ষেপ:
তরুণ লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস সিমরান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে তিনি নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, আমি আমার মতো। আমি কারো মতো না। আমি আমিতেই পারফেক্ট। যারা আমাকে এমনভাবে গ্রহণ করতে পারবে, তারাই আমার আপন।
কবিয়াল
কবিয়াল’এ প্রকাশিত প্রতিটি লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত কবিয়াল’র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় কবিয়াল কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। কবিয়াল’এ প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন